দেশ-বিদেশ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
দেশ-বিদেশ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বিনা ভিসায় এবারের ঈদে ঘুরে আসতে পারেন যে ৩২ টি দেশে

একটা সময় ছিল যখন ঈদের ছুটি মানেই আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সময় কাটানো বা ঘোরাঘুরি। যুগ পাল্টেছে। এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতে ঈদের ছুটি কাটাতে যাচ্ছে এদেশের মানুষ। এবারের ঈদে যারা বিনা ভিসায় দেশের বাইরে ঈদের ছুটি কাটাতে চান তাদের জন্য একটি তালিকা দেওয়া হলো। এ তালিকায় রয়েছে সেসব দেশের নাম ও দরকারী তথ্য যেখানে বিনা ভিসা বা অন অ্যারাইভেলে যাওয়া যায়।
ভিসা ছাড়া যাওয়া যাবে এবং অবস্থান করা যাবে এমন দেশগুলো হচ্ছে:
•    এশিয়া মাহাদেশের মধ্যে  
•    ভুটান (যত দিন ইচ্ছা)
•    শ্রীলংকা (৩০ দিন) 

•    আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে 

কে এই লেন্দুপ দর্জি?

গত রোববার বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া পুলিশের বাধার মুখে তার বাসার ফটকে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা করেন। বক্তৃতার এক পর্যায়ে তিনি লেন্দুপ দর্জির প্রসংগ টেনে এনে বলেন, লেন্দুপ দর্জিও ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেননি।

শেয়ারনিউজ পাঠকদের জন্য লেন্দুপ দর্জির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরা হলো:
লেন্দুপ দর্জি ১৯০৪ সালের ১১ই অক্টবর সিকিমের পালইয়ংয়ে জন্ম গ্রহন করেন। তিনি সিকিম ন্যাসনাল কংগ্রেসের প্রতিস্ঠাতা। হিমালয়ের পাদদেশে সবুজে ভরা অনিন্দ্য সুন্দর একটি দেশ সিকিম। ৭০৯৬ কিলোমিটার আয়তনের এই দেশটি ছিলো স্বাধীন স্বার্বভৌম একটি দেশ। ১৮৪৪ সালে তিব্বত দখলের

বাংলাদেশে বিদেশী দূতাবাস গুলির ঠিকানা


মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকে মানুষ আলাদা আলাদা গোত্রে দলভুক্ত হয়ে বাস করতো। তারই ধারাবাহিকতায় জন্ম নেয় রাষ্ট্র। আর রাস্ট্র গঠনের পরপরই মানুষের বৈদেশিক সম্পর্ক এবং নিজ রাস্ট্রের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাপারে অন্য রাস্ট্রের সাথে যোগাযোগ জরুরী হয়ে পড়ে। গ্রীক সভ্যতারও আগে রাষ্ট্রিয় দূতের অস্তিত্ব থাকার প্রমান পাওয়া যায়। এই রাষ্ট্রিয় দূত থেকেই দূতাবাসের উৎপত্তি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তি সময় এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন সহ কয়েকটি রাষ্ট্র বিভাজনের ফলে বর্তমানে পৃথিবীতে স্বাধীন রাষ্ট্রের সংখ্যা ২৪৯ টি। ২৪৯ টি রাষ্ট্রের ভিন্ন ভিন্ন জাতীয় পতাকা, ভিন্ন ভাষা, সাংস্কৃতি ও স্বাতন্ত্রতা প্রকাশ পায়। বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের নাম আমরা দেখি এ্যাম্বেসী অথবা হাইকমিশন, কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশগুলোকে হাইকমিশন নামে অবিহিত করা হয়। এছাড়া বাকি সব দেশের দূতাবাসকে বলে এ্যাম্বেসী।

বাংলাদেশের বিদেশী হাইকমিশন অফিস বা এ্যাম্বাসীর সবগুলোরই অবস্থান রাজধানী ঢাকায়। বেশির ভাগেরই অবস্থান গুলশন, বনানী ও বারিধারা এলাকায়। এসকল এলাকায় দূতাবাসের অবস্থান হওয়ায় গণমাধ্যমসহ অনেকে উক্ত এলাকাগুলোকে কুটনিতিক পাড়া বলতে সাচ্ছন্দ বোধ করে।

দূতাবাসের উদ্দেশ্যে ও কাজ

যে ৫ টি বিদেশি গোয়েন্দাসংস্থা বাংলাদেশের মাটিতে সর্বাধিক সক্রিয়.. রিসার্চ অ্যান্ড এনালাইসিস উইং এর আদ্যপান্ত

বাংলাদেশে এ ৫ টি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা সর্বাধিক সক্রিয় আছে বলে বিবেচনা করা হয়। এর মধ্যে ভারতের রিসার্চ অ্যান্ড এনালাইসিস উইং কে প্রধানতম ধরা হয়ে থাকে। এই সংস্থা বাংলাদেশের অনেক ইতিহাস ঘটনঘটনের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে যুক্ত। (সতর্কীকরনঃ এখানে আমি এমন কিছু তথ্য দিয়েছি যা হয়তো মতাদর্শগত বা অন্যকোন কারনে কারো কারো ভালো নাও লাগতে পারে সেক্ষেত্রে তার ভিতরে আর না ঢুকাই ভালো) 

বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রত্যাহারকারী আবার নাগরিকত্ব ফিরে পাবেন


শপথবাক্য পাঠের মাধ্যমে কোন বাংলাদেশী বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করে ভিন দেশের নাগরিকত্ব নিয়ে থাকলে তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ফিরে পাবেন। এ জন্য তাকে নির্ধারিত পদ্ধতিতে আবেদন করতে হবে। প্রস্তাবিত বাংলাদেশ নাগরিকত্ব আইন, ২০১১-তে এ বিধান করা হয়েছে।

প্রসংগ: দাউদ ঈব্রাহীম

ভারতের চোরাকারবারী,সিবিআই এর মোস্ট ওয়ান্টেড,মাফিয়া ডন দাউদ ঈব্রাহীমের কথা কমবেশী সবাই জানি।পুলিশ কনস্টেবলের ছেলে দাউদ ঈব্রাহীমের এত বিশাল বিত্তের মালিক হওয়াটা তার নিকটস্হ আত্মীয়স্বজনের কাছে রীতিমত রূপকথার গল্পের মত।ভারতের শেয়ার মার্কেট,ক্রিকেট,মাদক ব্যবসা,চলচ্চিত্র জগৎ সব কিছুতেই রয়েছে তার একাধিপত্য।বর্তমানে অবশ্য তিনি ১৯৯৩ এর মুম্বাই ব্লাস্টের দায়ভার মাথায় নিয়ে পাকিস্তানে বা দুবাইয়ে পালিয়ে আছেন(সিবিআই এর ভাষ্যমতে)।এরপরেও বিদেশ থেকে তিনি ভারতীয় আন্ডারওয়ার্ল্ডের নিয়ন্ত্রণ করেন।





মহারাষ্ট্র রাজ্যের রত্নাগিরিতে জন্ম নেওয়া দাউদ $৬-৭ বিলিয়ন ডলারের মালিক যা তাকে পৃথিবীর ইতিহাসে অপরাধীদের মধ্যে তৃতীয় সর্ব্বোচ্চ ধনীতে পরিণত করেছে।ইন্টারপোলের পেইজ:


Click This Link






বাল্যকালে ও কৈশরে দরিদ্রসন্তান দাউদের ঘরে ভাতের হাঁড়ি থাকতো প্রায়সময় খালি।নিরুপায় দাউদ বড় ভাই সাব্বিরকে নিয়ে স্মাগলিং এর পথ ধরেন।১৯৭৭ সালে করেন ১১ জন সাথীকে নিয়ে হাজী আলী নামক জনৈক ব্যক্তির নৌকায় হামলা করে প্রায় ১৪ লাখ রূপির(বর্তমানের হিসেবে ১কোটি ২৬ লক্ষ) মালামাল লুট করেন,তখনই মাত্র দাউদের পরিবার কাড়ি কাড়ি অর্থের মুখ দেখতে পায়।একেবারে ওয়ান্স আপন এ টাইম ইন মুম্বাই এর ইমরান হাসমীর মত স্বভাব,একটি সেকেন্ড হেন্ডেড শেভ্রলেট নিয়ে মুম্বাই এর রাস্তায় ঘুরতে থাকেন এবং দামী দামী জামাকাপড় পরতে থাকেন।






তরুণ বয়সেই তেল্লী মহল্লার বাসুদাদার বাহিনীর সাথে পাল্লা দেওয়ার উদ্দেশ্যে গঠন করেন বউজী সাহেব ও রামা নায়েকের সহায়তায় নিজস্ব বাহিনী যা পরবর্তীতে ডি-কোম্পানীতে পরিণত হয়।


যারা ওয়ান্স আপন এ টাইম ইন মুম্বাই(ওআটম) দেখেছেন তারা দাউদের জীবনকাহিনী,তার চিন্তাধারার প্রায় সবটাই দেখেছেন।দাউদের উশৃঙ্খল বেআইনী জীবন নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে পিতা পুলিশ কনস্টেবল ইব্রাহীম হাসান কাসকার হাজী মাস্তানের(সুলতান মির্জা ইন ওআটম) কাছে সাহায্য চাইতে যান।হাজী সাহেব তাকে মনিষ মার্কেটে একটি ইলেকট্রনিক্সের দোকানে বসিয়ে দিলেন।কিন্তু বিধি বাম,সৎ পথে দাউদের সন্তুষ্টি মিলে না,শীঘ্রই হাজী মাস্তানের স্মাগলিং এর সম্রাজ্যে নিজেকে জড়িয়ে নেন।এসময় নিজের রাজনৈতিক প্রতিপত্তি বৃদ্ধিসহ সমাজের সম্মানজনক ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠায় উঠে পড়ে লাগেন।পরিচয় হয় পত্রিকার সম্পাদক,রাজনীতিবিদ,ব্যবসায়ী,আইনজীবি,ক্রিকেটার,ফিল্মস্টার সহ সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সংগে।তাঁর দেওয়া বিভিন্ন পার্টিতে এঁরা অবাধ বিচরণ করতে থাকেন।একচেটিয়াভাবে উপড়ে উঠতে গেলে শত্রু আসবেই,দাউদের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হল না।হাজী মাস্তানের নিকটতম সৈয়দ বাটলা যখন দাউদের বন্ধু উর্দু পত্রিকা ডেইলী রাজদরের সম্পাদক ইকবাল নাটিককে হত্যা করল,দাউদ হাজী মাস্তানের কাছে বিচার চাইতে গেলেন।কিন্তু হাজী এই হত্যার শাস্তি হিসেবে শুধুমাত্র একটি থাপ্পর দিলেন বাটলাকে,যা দাউদ মেনে নিতে পারেন নি।ফলে হাজী মাস্তানের সাথে তাঁর সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ১৯৮০ সালে মুম্বাই এর ভেন্ডীবাজার জাংশন এর সামনে বাটলাকে হত্যা করেন দাউদ।এই ঘটনা তাকে মুম্বাইয়ের অপরাধ জগতে উপরের দিকে নিয়ে যায়।






তাঁর সাথে সত্যিকারের বন্ধুত্ব কারো হত না।সবসময় নিজের লাভটাই তার নজরে আসত,বললেন তারই নিকটবর্তীরা যারা তাকে ছোট থেকে চেনেন।পরবর্তীতে করিম লালা গ্যাংয়ের জন্য কাজ করলেও তার সাথেও বেশীদিন থাকেন নি।পরবর্তীতে গড়ে তোলেন নিজস্ব গ্যাং


ডি-কোপম্পানী।এভাবেই ধীরে ধীরে তাঁর গ্যাংয়ে আসতে থাকে ছোটা শাকিল,ছোটা রাজন,আবু সালেম প্রভৃতি ভয়ংকর অপরাধীরা।তার ক্রমশ বর্ধমান অপরাধের ছোঁয়া গিয়ে লাগতে থাকে শেয়ার মার্কেট,সরকারী অফিস,ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি,ক্রিকেট সহ নানা লাভজনক স্হানে।


Click This Link


তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে থাকেন বাজিকরদের বাজির টাকা।বলা হয়ে থাকে অনেক ভারত,পাকিস্তান,সাউথআফ্রিকা ম্যাচের ফলাফলের ভাগ্য নির্ধারিত হত তাঁর ঈশারায়।যেখানে খেলোয়াড়রা রাজী হতনা সেখানেই ডাক পড়ত দাউদের।দাউদের একটি কল মানেই ছিল মানো নাহলে নিশ্চিৎভাবে মর।কিছুদিন আগে এমন কথাও উঠেছিল যে ভারত-শ্রীলংকাবিশ্বকাপ২০১১ ফাইনাল ম্যাচটিতে দাউদের ইশারায় খেলা পরিচালনা করেন ধনী এবং সাংগাকারা দুজনই। http://www.youtube.com/watch?v=SRBThYtpd78 ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও তিনি বিনিয়োগ করেন।সালমান খান অভিনীত চোরি চোরি চুপকে চুপকে তে দাউদের বিনিয়োগ করার অভিযোগের রিপোর্ট সিবিআই ও সিআইডির কাছে আছে।তবে বলিউড দাউদের নৃশংস থাবা দেখতে পায় যখন দাউদের চর আবু সালেম সঙ্গীত পরিচালক গুলশান কুমারকে হত্যা করে।২০০০ সালে একবার আমির খানের গাড়িতেও হামলা করে দাউদ বাহিনী,তবে দক্ষ বডিগার্ডরা পাল্টা গুলি চালালে ঘটনাস্হলেই নিহত হয় হামলাকারীদের ৪ জন।


সেই যাত্রায় বেঁচে যান "গজীনি","রং দে বসন্তী" খ্যাত আমির।


সূত্র:


http://en.wikipedia.org/wiki/Dawood_Ibrahim


দাউদের মেয়ের সাথে বিয়ে হয়েছে সাবেক পাকিস্তানী ব্যট্‌সম্যান জাভেদ মিয়াদাদের ছেলের।দুবাইয়ের একটি বিলাসবহুল হোটেলে তাদের বিয়ে হয় শান্তিপূর্ণভাবে।যথারীতি সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা অনুষ্ঠানে গুপ্তচর বেশে উপস্হিত থাকলেও দাউদকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয় নি।তাকে নিয়ে তৈরী করা চলচ্চিত্রগুলো হল: ডি, কোম্পানি,ওয়ান্স আপন এ টাইম ইন মুম্বাই।

নোবেল পুরস্কারের ইতিকথা


নোবেল পুরস্কারের প্রবর্তক সুইডেনেরের রসারনবিদ ও প্রকৌশলী আলফ্রেড নোবেল (১৮৩৩-১৮৯৬) । তাঁর ডিনামাইট আবিস্কারের ৯ মিলিয়ন ডলার নোবেল পুরস্কারের জন্য যান। শুরুতে পদার্থ, রসায়ন, শান্তি, সাহিত্য, চিকিৎসা বিশেষ অবদানের জন্য পুরস্কার প্রদান করা হত। ১৯০১ সালের ১০ ডিসেম্বর আলফ্রেড নোবেলের ৫মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রথম নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়। ১৯৬৯ সালে অর্থনীতিতে প্রথম নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়। বর্তমানে পদার্থ, রসায়ন, শান্তি, সাহিত্য, চিকিৎসা ও অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়।

এখন পর্যন্ত সকল নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম নিচে দেওয়া হল:

2010

The Nobel Prize in Physics
Andre Geim, Konstantin Novoselov
The Nobel Prize in Chemistry
Richard F. Heck, Ei-ichi Negishi, Akira Suzuki
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Robert G. Edwards
The Nobel Prize in Literature
Mario Vargas Llosa
The Nobel Peace Prize
Liu Xiaobo
The Prize in Economic Sciences
Peter A. Diamond, Dale T. Mortensen, Christopher A. Pissarides

2009

The Nobel Prize in Physics
Charles Kuen Kao, Willard S. Boyle, George E. Smith
The Nobel Prize in Chemistry
Venkatraman Ramakrishnan, Thomas A. Steitz, Ada E. Yonath
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Elizabeth H. Blackburn, Carol W. Greider, Jack W. Szostak
The Nobel Prize in Literature
Herta Müller
The Nobel Peace Prize
Barack H. Obama
The Prize in Economic Sciences
Elinor Ostrom, Oliver E. Williamson

2008

The Nobel Prize in Physics
Yoichiro Nambu, Makoto Kobayashi, Toshihide Maskawa
The Nobel Prize in Chemistry
Osamu Shimomura, Martin Chalfie, Roger Y. Tsien
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Harald zur Hausen, Françoise Barré-Sinoussi, Luc Montagnier
The Nobel Prize in Literature
Jean-Marie Gustave Le Clézio
The Nobel Peace Prize
Martti Ahtisaari
The Prize in Economic Sciences
Paul Krugman

2007

The Nobel Prize in Physics
Albert Fert, Peter Grünberg
The Nobel Prize in Chemistry
Gerhard Ertl
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Mario R. Capecchi, Sir Martin J. Evans, Oliver Smithies
The Nobel Prize in Literature
Doris Lessing
The Nobel Peace Prize
Intergovernmental Panel on Climate Change (IPCC) , Albert Arnold (Al) Gore Jr.
The Prize in Economic Sciences
Leonid Hurwicz, Eric S. Maskin, Roger B. Myerson

2006

The Nobel Prize in Physics
John C. Mather, George F. Smoot
The Nobel Prize in Chemistry
Roger D. Kornberg
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Andrew Z. Fire, Craig C. Mello
The Nobel Prize in Literature
Orhan Pamuk
The Nobel Peace Prize
Muhammad Yunus, Grameen Bank
The Prize in Economic Sciences
Edmund S. Phelps

2005

The Nobel Prize in Physics
Roy J. Glauber, John L. Hall, Theodor W. Hänsch
The Nobel Prize in Chemistry
Yves Chauvin, Robert H. Grubbs, Richard R. Schrock
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Barry J. Marshall, J. Robin Warren
The Nobel Prize in Literature
Harold Pinter
The Nobel Peace Prize
International Atomic Energy Agency (IAEA) , Mohamed ElBaradei
The Prize in Economic Sciences
Robert J. Aumann, Thomas C. Schelling

2004

The Nobel Prize in Physics
David J. Gross, H. David Politzer, Frank Wilczek
The Nobel Prize in Chemistry
Aaron Ciechanover, Avram Hershko, Irwin Rose
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Richard Axel, Linda B. Buck
The Nobel Prize in Literature
Elfriede Jelinek
The Nobel Peace Prize
Wangari Muta Maathai
The Prize in Economic Sciences
Finn E. Kydland, Edward C. Prescott

2003

The Nobel Prize in Physics
Alexei A. Abrikosov, Vitaly L. Ginzburg, Anthony J. Leggett
The Nobel Prize in Chemistry
Peter Agre, Roderick MacKinnon
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Paul C. Lauterbur, Sir Peter Mansfield
The Nobel Prize in Literature
John M. Coetzee
The Nobel Peace Prize
Shirin Ebadi
The Prize in Economic Sciences
Robert F. Engle III, Clive W.J. Granger

2002

The Nobel Prize in Physics
Raymond Davis Jr., Masatoshi Koshiba, Riccardo Giacconi
The Nobel Prize in Chemistry
John B. Fenn, Koichi Tanaka, Kurt Wüthrich
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Sydney Brenner, H. Robert Horvitz, John E. Sulston
The Nobel Prize in Literature
Imre Kertész
The Nobel Peace Prize
Jimmy Carter
The Prize in Economic Sciences
Daniel Kahneman, Vernon L. Smith

2001

The Nobel Prize in Physics
Eric A. Cornell, Wolfgang Ketterle, Carl E. Wieman
The Nobel Prize in Chemistry
William S. Knowles, Ryoji Noyori, K. Barry Sharpless
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Leland H. Hartwell, Tim Hunt, Sir Paul M. Nurse
The Nobel Prize in Literature
Sir Vidiadhar Surajprasad Naipaul
The Nobel Peace Prize
United Nations (U.N.) , Kofi Annan
The Prize in Economic Sciences
George A. Akerlof, A. Michael Spence, Joseph E. Stiglitz

2000

The Nobel Prize in Physics
Zhores I. Alferov, Herbert Kroemer, Jack S. Kilby
The Nobel Prize in Chemistry
Alan J. Heeger, Alan G. MacDiarmid, Hideki Shirakawa
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Arvid Carlsson, Paul Greengard, Eric R. Kandel
The Nobel Prize in Literature
Gao Xingjian
The Nobel Peace Prize
Kim Dae-jung
The Prize in Economic Sciences
James J. Heckman, Daniel L. McFadden

1999

The Nobel Prize in Physics
Gerardus 't Hooft, Martinus J.G. Veltman
The Nobel Prize in Chemistry
Ahmed H. Zewail
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Günter Blobel
The Nobel Prize in Literature
Günter Grass
The Nobel Peace Prize
Médecins Sans Frontières
The Prize in Economic Sciences
Robert A. Mundell

1998

The Nobel Prize in Physics
Robert B. Laughlin, Horst L. Störmer, Daniel C. Tsui
The Nobel Prize in Chemistry
Walter Kohn, John A. Pople
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Robert F. Furchgott, Louis J. Ignarro, Ferid Murad
The Nobel Prize in Literature
José Saramago
The Nobel Peace Prize
John Hume, David Trimble
The Prize in Economic Sciences
Amartya Sen

1997

The Nobel Prize in Physics
Steven Chu, Claude Cohen-Tannoudji, William D. Phillips
The Nobel Prize in Chemistry
Paul D. Boyer, John E. Walker, Jens C. Skou
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Stanley B. Prusiner
The Nobel Prize in Literature
Dario Fo
The Nobel Peace Prize
International Campaign to Ban Landmines (ICBL) , Jody Williams
The Prize in Economic Sciences
Robert C. Merton, Myron S. Scholes

1996

The Nobel Prize in Physics
David M. Lee, Douglas D. Osheroff, Robert C. Richardson
The Nobel Prize in Chemistry
Robert F. Curl Jr., Sir Harold W. Kroto, Richard E. Smalley
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Peter C. Doherty, Rolf M. Zinkernagel
The Nobel Prize in Literature
Wislawa Szymborska
The Nobel Peace Prize
Carlos Filipe Ximenes Belo, José Ramos-Horta
The Prize in Economic Sciences
James A. Mirrlees, William Vickrey

1995

The Nobel Prize in Physics
Martin L. Perl, Frederick Reines
The Nobel Prize in Chemistry
Paul J. Crutzen, Mario J. Molina, F. Sherwood Rowland
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Edward B. Lewis, Christiane Nüsslein-Volhard, Eric F. Wieschaus
The Nobel Prize in Literature
Seamus Heaney
The Nobel Peace Prize
Joseph Rotblat, Pugwash Conferences on Science and World Affairs
The Prize in Economic Sciences
Robert E. Lucas Jr.

1994

The Nobel Prize in Physics
Bertram N. Brockhouse, Clifford G. Shull
The Nobel Prize in Chemistry
George A. Olah
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Alfred G. Gilman, Martin Rodbell
The Nobel Prize in Literature
Kenzaburo Oe
The Nobel Peace Prize
Yasser Arafat, Shimon Peres, Yitzhak Rabin
The Prize in Economic Sciences
John C. Harsanyi, John F. Nash Jr., Reinhard Selten

1993

The Nobel Prize in Physics
Russell A. Hulse, Joseph H. Taylor Jr.
The Nobel Prize in Chemistry
Kary B. Mullis, Michael Smith
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Richard J. Roberts, Phillip A. Sharp
The Nobel Prize in Literature
Toni Morrison
The Nobel Peace Prize
Nelson Mandela, Frederik Willem de Klerk
The Prize in Economic Sciences
Robert W. Fogel, Douglass C. North

1992

The Nobel Prize in Physics
Georges Charpak
The Nobel Prize in Chemistry
Rudolph A. Marcus
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Edmond H. Fischer, Edwin G. Krebs
The Nobel Prize in Literature
Derek Walcott
The Nobel Peace Prize
Rigoberta Menchú Tum
The Prize in Economic Sciences
Gary S. Becker

1991

The Nobel Prize in Physics
Pierre-Gilles de Gennes
The Nobel Prize in Chemistry
Richard R. Ernst
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Erwin Neher, Bert Sakmann
The Nobel Prize in Literature
Nadine Gordimer
The Nobel Peace Prize
Aung San Suu Kyi
The Prize in Economic Sciences
Ronald H. Coase

1990

The Nobel Prize in Physics
Jerome I. Friedman, Henry W. Kendall, Richard E. Taylor
The Nobel Prize in Chemistry
Elias James Corey
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Joseph E. Murray, E. Donnall Thomas
The Nobel Prize in Literature
Octavio Paz
The Nobel Peace Prize
Mikhail Sergeyevich Gorbachev
The Prize in Economic Sciences
Harry M. Markowitz, Merton H. Miller, William F. Sharpe

1989

The Nobel Prize in Physics
Norman F. Ramsey, Hans G. Dehmelt, Wolfgang Paul
The Nobel Prize in Chemistry
Sidney Altman, Thomas R. Cech
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
J. Michael Bishop, Harold E. Varmus
The Nobel Prize in Literature
Camilo José Cela
The Nobel Peace Prize
The 14th Dalai Lama (Tenzin Gyatso)
The Prize in Economic Sciences
Trygve Haavelmo

1988
The Nobel Prize in Physics
Leon M. Lederman, Melvin Schwartz, Jack Steinberger
The Nobel Prize in Chemistry
Johann Deisenhofer, Robert Huber, Hartmut Michel
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Sir James W. Black, Gertrude B. Elion, George H. Hitchings
The Nobel Prize in Literature
Naguib Mahfouz
The Nobel Peace Prize
United Nations Peacekeeping Forces
The Prize in Economic Sciences
Maurice Allais

1987

The Nobel Prize in Physics
J. Georg Bednorz, K. Alexander Müller
The Nobel Prize in Chemistry
Donald J. Cram, Jean-Marie Lehn, Charles J. Pedersen
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Susumu Tonegawa
The Nobel Prize in Literature
Joseph Brodsky
The Nobel Peace Prize
Oscar Arias Sánchez
The Prize in Economic Sciences
Robert M. Solow

1986

The Nobel Prize in Physics
Ernst Ruska, Gerd Binnig, Heinrich Rohrer
The Nobel Prize in Chemistry
Dudley R. Herschbach, Yuan T. Lee, John C. Polanyi
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Stanley Cohen, Rita Levi-Montalcini
The Nobel Prize in Literature
Wole Soyinka
The Nobel Peace Prize
Elie Wiesel
The Prize in Economic Sciences
James M. Buchanan Jr.

1985

The Nobel Prize in Physics
Klaus von Klitzing
The Nobel Prize in Chemistry
Herbert A. Hauptman, Jerome Karle
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Michael S. Brown, Joseph L. Goldstein
The Nobel Prize in Literature
Claude Simon
The Nobel Peace Prize
International Physicians for the Prevention of Nuclear War
The Prize in Economic Sciences
Franco Modigliani

1984

The Nobel Prize in Physics
Carlo Rubbia, Simon van der Meer
The Nobel Prize in Chemistry
Robert Bruce Merrifield
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Niels K. Jerne, Georges J.F. Köhler, César Milstein
The Nobel Prize in Literature
Jaroslav Seifert
The Nobel Peace Prize
Desmond Mpilo Tutu
The Prize in Economic Sciences
Richard Stone

1983

The Nobel Prize in Physics
Subramanyan Chandrasekhar, William Alfred Fowler
The Nobel Prize in Chemistry
Henry Taube
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Barbara McClintock
The Nobel Prize in Literature
William Golding
The Nobel Peace Prize
Lech Walesa
The Prize in Economic Sciences
Gerard Debreu

1982

The Nobel Prize in Physics
Kenneth G. Wilson
The Nobel Prize in Chemistry
Aaron Klug
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Sune K. Bergström, Bengt I. Samuelsson, John R. Vane
The Nobel Prize in Literature
Gabriel García Márquez
The Nobel Peace Prize
Alva Myrdal, Alfonso García Robles
The Prize in Economic Sciences
George J. Stigler

1981

The Nobel Prize in Physics
Nicolaas Bloembergen, Arthur Leonard Schawlow, Kai M. Siegbahn
The Nobel Prize in Chemistry
Kenichi Fukui, Roald Hoffmann
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Roger W. Sperry, David H. Hubel, Torsten N. Wiesel
The Nobel Prize in Literature
Elias Canetti
The Nobel Peace Prize
Office of the United Nations High Commissioner for Refugees (UNHCR)
The Prize in Economic Sciences
James Tobin

1980

The Nobel Prize in Physics
James Watson Cronin, Val Logsdon Fitch
The Nobel Prize in Chemistry
Paul Berg, Walter Gilbert, Frederick Sanger
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Baruj Benacerraf, Jean Dausset, George D. Snell
The Nobel Prize in Literature
Czeslaw Milosz
The Nobel Peace Prize
Adolfo Pérez Esquivel
The Prize in Economic Sciences
Lawrence R. Klein
1979
The Nobel Prize in Physics
Sheldon Lee Glashow, Abdus Salam, Steven Weinberg
The Nobel Prize in Chemistry
Herbert C. Brown, Georg Wittig
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Allan M. Cormack, Godfrey N. Hounsfield
The Nobel Prize in Literature
Odysseus Elytis
The Nobel Peace Prize
Mother Teresa
The Prize in Economic Sciences
Theodore W. Schultz, Sir Arthur Lewis
1978
The Nobel Prize in Physics
Pyotr Leonidovich Kapitsa, Arno Allan Penzias, Robert Woodrow Wilson
The Nobel Prize in Chemistry
Peter D. Mitchell
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Werner Arber, Daniel Nathans, Hamilton O. Smith
The Nobel Prize in Literature
Isaac Bashevis Singer
The Nobel Peace Prize
Mohamed Anwar al-Sadat, Menachem Begin
The Prize in Economic Sciences
Herbert A. Simon
1977
The Nobel Prize in Physics
Philip Warren Anderson, Sir Nevill Francis Mott, John Hasbrouck van Vleck
The Nobel Prize in Chemistry
Ilya Prigogine
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Roger Guillemin, Andrew V. Schally, Rosalyn Yalow
The Nobel Prize in Literature
Vicente Aleixandre
The Nobel Peace Prize
Amnesty International
The Prize in Economic Sciences
Bertil Ohlin, James E. Meade
1976
The Nobel Prize in Physics
Burton Richter, Samuel Chao Chung Ting
The Nobel Prize in Chemistry
William N. Lipscomb
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Baruch S. Blumberg, D. Carleton Gajdusek
The Nobel Prize in Literature
Saul Bellow
The Nobel Peace Prize
Betty Williams, Mairead Corrigan
The Prize in Economic Sciences
Milton Friedman
1975
The Nobel Prize in Physics
Aage Niels Bohr, Ben Roy Mottelson, Leo James Rainwater
The Nobel Prize in Chemistry
John Warcup Cornforth, Vladimir Prelog
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
David Baltimore, Renato Dulbecco, Howard Martin Temin
The Nobel Prize in Literature
Eugenio Montale
The Nobel Peace Prize
Andrei Dmitrievich Sakharov
The Prize in Economic Sciences
Leonid Vitaliyevich Kantorovich, Tjalling C. Koopmans
1974
The Nobel Prize in Physics
Sir Martin Ryle, Antony Hewish
The Nobel Prize in Chemistry
Paul J. Flory
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Albert Claude, Christian de Duve, George E. Palade
The Nobel Prize in Literature
Eyvind Johnson, Harry Martinson
The Nobel Peace Prize
Seán MacBride, Eisaku Sato
The Prize in Economic Sciences
Gunnar Myrdal, Friedrich August von Hayek
1973
The Nobel Prize in Physics
Leo Esaki, Ivar Giaever, Brian David Josephson
The Nobel Prize in Chemistry
Ernst Otto Fischer, Geoffrey Wilkinson
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Karl von Frisch, Konrad Lorenz, Nikolaas Tinbergen
The Nobel Prize in Literature
Patrick White
The Nobel Peace Prize
Henry A. Kissinger, Le Duc Tho
The Prize in Economic Sciences
Wassily Leontief
1972
The Nobel Prize in Physics
John Bardeen, Leon Neil Cooper, John Robert Schrieffer
The Nobel Prize in Chemistry
Christian B. Anfinsen, Stanford Moore, William H. Stein
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Gerald M. Edelman, Rodney R. Porter
The Nobel Prize in Literature
Heinrich Böll
The Nobel Peace Prize
No Nobel Prize was awarded this year. The prize money for 1972 was allocated to the Main Fund.
The Prize in Economic Sciences
John R. Hicks, Kenneth J. Arrow
1971
The Nobel Prize in Physics
Dennis Gabor
The Nobel Prize in Chemistry
Gerhard Herzberg
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Earl W. Sutherland, Jr.
The Nobel Prize in Literature
Pablo Neruda
The Nobel Peace Prize
Willy Brandt
The Prize in Economic Sciences
Simon Kuznets
1970
The Nobel Prize in Physics
Hannes Olof Gösta Alfvén, Louis Eugène Félix Néel
The Nobel Prize in Chemistry
Luis F. Leloir
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Sir Bernard Katz, Ulf von Euler, Julius Axelrod
The Nobel Prize in Literature
Aleksandr Isayevich Solzhenitsyn
The Nobel Peace Prize
Norman E. Borlaug
The Prize in Economic Sciences
Paul A. Samuelson
1969
The Nobel Prize in Physics
Murray Gell-Mann
The Nobel Prize in Chemistry
Derek H. R. Barton, Odd Hassel
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Max Delbrück, Alfred D. Hershey, Salvador E. Luria
The Nobel Prize in Literature
Samuel Beckett
The Nobel Peace Prize
International Labour Organization (I.L.O.)
The Prize in Economic Sciences
Ragnar Frisch, Jan Tinbergen
1968
The Nobel Prize in Physics
Luis Walter Alvarez
The Nobel Prize in Chemistry
Lars Onsager
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Robert W. Holley, Har Gobind Khorana, Marshall W. Nirenberg
The Nobel Prize in Literature
Yasunari Kawabata
The Nobel Peace Prize
René Cassin
1967
The Nobel Prize in Physics
Hans Albrecht Bethe
The Nobel Prize in Chemistry
Manfred Eigen, Ronald George Wreyford Norrish, George Porter
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Ragnar Granit, Haldan Keffer Hartline, George Wald
The Nobel Prize in Literature
Miguel Angel Asturias
The Nobel Peace Prize
No Nobel Prize was awarded this year. The prize money was with 1/3 allocated to the Main Fund and with 2/3 to the Special Fund of this prize section.
1966
The Nobel Prize in Physics
Alfred Kastler
The Nobel Prize in Chemistry
Robert S. Mulliken
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Peyton Rous, Charles Brenton Huggins
The Nobel Prize in Literature
Shmuel Yosef Agnon, Nelly Sachs
The Nobel Peace Prize
No Nobel Prize was awarded this year. The prize money was allocated to the Special Fund of this prize section.
1965
The Nobel Prize in Physics
Sin-Itiro Tomonaga, Julian Schwinger, Richard P. Feynman
The Nobel Prize in Chemistry
Robert Burns Woodward
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
François Jacob, André Lwoff, Jacques Monod
The Nobel Prize in Literature
Mikhail Aleksandrovich Sholokhov
The Nobel Peace Prize
United Nations Children's Fund (UNICEF)
1964
The Nobel Prize in Physics
Charles Hard Townes, Nicolay Gennadiyevich Basov, Aleksandr Mikhailovich Prokhorov
The Nobel Prize in Chemistry
Dorothy Crowfoot Hodgkin
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Konrad Bloch, Feodor Lynen
The Nobel Prize in Literature
Jean-Paul Sartre
The Nobel Peace Prize
Martin Luther King Jr.
1963
The Nobel Prize in Physics
Eugene Paul Wigner, Maria Goeppert-Mayer, J. Hans D. Jensen
The Nobel Prize in Chemistry
Karl Ziegler, Giulio Natta
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Sir John Carew Eccles, Alan Lloyd Hodgkin, Andrew Fielding Huxley
The Nobel Prize in Literature
Giorgos Seferis
The Nobel Peace Prize
Comité international de la Croix Rouge (International Committee of the Red Cross) , Ligue des Sociétés de la Croix-Rouge (League of Red Cross Societies)
1962
The Nobel Prize in Physics
Lev Davidovich Landau
The Nobel Prize in Chemistry
Max Ferdinand Perutz, John Cowdery Kendrew
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Francis Harry Compton Crick, James Dewey Watson, Maurice Hugh Frederick Wilkins
The Nobel Prize in Literature
John Steinbeck
The Nobel Peace Prize
Linus Carl Pauling
1961
The Nobel Prize in Physics
Robert Hofstadter, Rudolf Ludwig Mössbauer
The Nobel Prize in Chemistry
Melvin Calvin
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Georg von Békésy
The Nobel Prize in Literature
Ivo Andric
The Nobel Peace Prize
Dag Hjalmar Agne Carl Hammarskjöld
1960
The Nobel Prize in Physics
Donald Arthur Glaser
The Nobel Prize in Chemistry
Willard Frank Libby
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Sir Frank Macfarlane Burnet, Peter Brian Medawar
The Nobel Prize in Literature
Saint-John Perse
The Nobel Peace Prize
Albert John Lutuli
1959
The Nobel Prize in Physics
Emilio Gino Segrè, Owen Chamberlain
The Nobel Prize in Chemistry
Jaroslav Heyrovsky
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Severo Ochoa, Arthur Kornberg
The Nobel Prize in Literature
Salvatore Quasimodo
The Nobel Peace Prize
Philip J. Noel-Baker
1958
The Nobel Prize in Physics
Pavel Alekseyevich Cherenkov, Il´ja Mikhailovich Frank, Igor Yevgenyevich Tamm
The Nobel Prize in Chemistry
Frederick Sanger
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
George Wells Beadle, Edward Lawrie Tatum, Joshua Lederberg
The Nobel Prize in Literature
Boris Leonidovich Pasternak
The Nobel Peace Prize
Georges Pire
1957
The Nobel Prize in Physics
Chen Ning Yang, Tsung-Dao (T.D.) Lee
The Nobel Prize in Chemistry
Lord (Alexander R.) Todd
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Daniel Bovet
The Nobel Prize in Literature
Albert Camus
The Nobel Peace Prize
Lester Bowles Pearson
1956
The Nobel Prize in Physics
William Bradford Shockley, John Bardeen, Walter Houser Brattain
The Nobel Prize in Chemistry
Sir Cyril Norman Hinshelwood, Nikolay Nikolaevich Semenov
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
André Frédéric Cournand, Werner Forssmann, Dickinson W. Richards
The Nobel Prize in Literature
Juan Ramón Jiménez
The Nobel Peace Prize
No Nobel Prize was awarded this year. The prize money was with 1/3 allocated to the Main Fund and with 2/3 to the Special Fund of this prize section.
1955
The Nobel Prize in Physics
Willis Eugene Lamb, Polykarp Kusch
The Nobel Prize in Chemistry
Vincent du Vigneaud
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Axel Hugo Theodor Theorell
The Nobel Prize in Literature
Halldór Kiljan Laxness
The Nobel Peace Prize
No Nobel Prize was awarded this year. The prize money was allocated to the Special Fund of this prize section.
1954
The Nobel Prize in Physics
Max Born, Walther Bothe
The Nobel Prize in Chemistry
Linus Carl Pauling
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
John Franklin Enders, Thomas Huckle Weller, Frederick Chapman Robbins
The Nobel Prize in Literature
Ernest Miller Hemingway
The Nobel Peace Prize
Office of the United Nations High Commissioner for Refugees (UNHCR)
1953
The Nobel Prize in Physics
Frits (Frederik) Zernike
The Nobel Prize in Chemistry
Hermann Staudinger
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Hans Adolf Krebs, Fritz Albert Lipmann
The Nobel Prize in Literature
Sir Winston Leonard Spencer Churchill
The Nobel Peace Prize
George Catlett Marshall
1952
The Nobel Prize in Physics
Felix Bloch, Edward Mills Purcell
The Nobel Prize in Chemistry
Archer John Porter Martin, Richard Laurence Millington Synge
The Nobel Prize in Physiology or Medicine
Selman Abraham Waksman
The Nobel Prize in Literature
François Mauriac
The Nobel Peace Prize
Albert Schweitzer

Source

ঢাকায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য ওয়ান স্টপ শপ সার্ভিস চালু

এই প্রথম বাংলাদেশে প্রবাসী বাংলাদেশী সংস্খা এনআরবি অর্গানাইজেশনের উদ্যোগে শুরু হতে যাচ্ছে ‘ওয়ান স্টপ শপ’ সার্ভিস। গত মঙ্গলবার পল্লবীতে সংস্খার আহ্বায়কের বাসভবনে এনআরবি অর্গানাইজেশনের এক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়। এনআরবি অর্গানাইজেশনের আহ্বায়ক সাইফুর রাহমান সাগর বলেন, প্রবাসীরা বিদেশ থেকে ইনভেস্টের নামে টাকা পাঠিয়ে বিভিন্ন কোম্পানি থেকেও অনেক প্রতারিত হয়েছেন। এসব সমস্যা নিরসনে এ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। কোনো প্রবাসী যদি বাংলাদেশে আসেন তাকে অবশ্যই অর্গানাইজেশনকে অবহিত করতে হবে এবং তার অবস্খান ও উদ্দেশ্য (যদি সম্ভব হয়) জানাতে হবে। সেসব প্রবাসীরাই এই সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন যারা এই সংস্খার সদস্য পদ নিয়েছেন। কেউ যদি তাদের সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করাতে চান সে ক্ষেত্রে অর্গানাইজেশনের সাথে পরামর্শ ও সহযোগিতা নিতে পারবেন। তাতে কোনো ধরনের প্রতারণায় পড়ার ঝুঁঁকি থাকবে না। কেঊ যদি দেশে কোনো ফ্ল্যাট বা বাড়ি বানাতে চান তাহলে অর্গানাইজেশনের কাছ থেকে বিভিন্ন যুক্তি পরামর্শ নিতে পারবেন। শিগগিরই সরকারি বিভিন্ন সেক্টরে প্রবাসী কোটা চালুর জন্য সরকারের প্রতি লিখিত আবেদনসহ আরো অন্যান্য কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। এই অর্গানাইজেশনের সদস্য হতে ইচ্ছুকরা বার্ষিক নামমাত্র একটা ফি দিয়ে মেম্বারশিপ কার্ড নিতে পারবে। শুধু বাংলাদেশী অরিজিন প্রবাসীরাই এই অর্গানাইজেশনের সদস্য হতে পারবেন। সারা বছর অর্গানাইজেশনের সব সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। এখানে থাকবেন সব ধরনের আইনি সহায়তা ও পরামর্শ দেয়ার জন্য উচ্চ আদালতের আইজীবীরা। সদস্য সংগ্রহণের জন্য অর্গানাইজেশনের অনলাইনে বিভিন্ন প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছে। অর্গানাইজেশনের নিজস্ব ওয়েবসাইট (www.nrborganization.com) শিগগিরই মেম্বারশিপ ফরম পাওয়া যাবে। সেখান থেকেই মেম্বারশিপ ফরম পূরণ করতে পারবেন। অর্গানাইজেশন প্রবাসীদের পক্ষ হয়ে সরকারের কাছ থেকে সব ধরনের দাবি আদায় করার জন্য শিগগিরই একটি কনফারেন্সের আয়োজন করতে যাচ্ছে বলে আশা প্রকাশ করেছে। এতে করে প্রবাসী বাংলাদেশীরা দেশে এসে কিছুটা হলেও স্বস্খিরভাবে দিনাতিপাত করতে পারবেন বলে আশা করেন আলোচনা সভার বক্তারা।

জেনে নিন মাউন্ট এভারেস্টের সব অজানা কাহিনী-২

মাউন্ট এভারেস্টে আহরোনের পথ


কি এভারেস্ট এ উঠতে চান?তা হলে তো আপনাকে কিছু রুট সম্পকে জানতে হবে।আসলে এভারেস্ট উঠতে গেলে অনেক গুলো রুট আছে কিন্তু তার মধ্যে আপনাকে যেকোন বড় ২ টি রুটের ১ টি বেছে নিতে হবে।রিজ গুলো হলো

১।দক্ষিণ-পূর্ব রিজ ও

২। উত্তর-পূর্ব রিজ

দুটি পথই ভিন্ন ভিন্ন।এখানে একটি রিজ (দক্ষিণ-পূর্ব রিজ ) হলো নেপালে আর উত্তর-পূর্ব রিজ হলো তিব্বতে অবস্থিত।নিচে এই রিজ ২ টির কিছু দিক নিদের্শনা দেয়া হলো

১।দক্ষিণ-পূর্ব রিজ


এই রিজটির অবস্থান হলো নেপালে।এখানে থেকে যারা এভারেস্ট জয় করে তাদেরকে নেপাল মাউন্টিং ফেডারেশন এভারেস্ট জয়ী হিসাবে সনদ প্রদান করেন।এই সে পথ যেখান থেকেই সর্বপ্রথম মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছিল এডমন্ড হিলারি ও তেনজিং নরগে।তারা দক্ষিণ-পূর্ব রিজ ধরেই উঠেছিলেন ৮,৮৪৮ মিটার!

এই দক্ষিণ-পূর্ব রিজের বেস ক্যাম্প অবস্থিত সমুদ্রপাষ্ঠ থেকে ৫,৩৮০ মিটার (১৭,৭০০ ফুট) উপরে।এই বেস ক্যাম্পে আপনাকে যেতে হলে নমচে বাজার হয়ে কাঠমুন্ডু,তারপর "লুকলা" (২,৮৬০ মিটার) হয়ে যেতে হবে।এখানে আসতে সাধারণত অভিযাত্রীদের ৫ থকে ৬ দিন লাগে।তারপর তারা বেসক্যাম্পে বেশ কিছু সপ্তাহ অবস্থান করে।এখানে নেপালের শেরপাদের নিয়ে তারা নানা ধরণের প্রশিক্ষন গ্রহন করে।এখান থেকে তারা আহরোনের সকল যন্ত্রপাতি গ্রহন করে।তারপর তারা খুম্বু গ্লাসিয়ার থেকে উপরে উঠার যাত্রা শুরু করে।
বেস ক্যাম্প থেকে একটু উপরে উঠলেই ক্যাম্প ১ *(Camp I) যেটি ৬,০৬৫ মিটার উচুতে অবস্থিত।

ক্যাম্প ১ থেকে অভিযাত্রীরা "ওয়েস্টান কিউ' দিয়ে অগ্রসর হয় ক্যাম্প ২ (Camp II) বা Advanced Base Camp (ABC) তে।একে বাংলায় অগ্রবরতী বেস ক্যাম্প বলে।
যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬,৫০০মিটার উপরে।এবার Advanced Base Camp দিয়ে অভিযাত্রীরা চলতে থাকেন Camp III এর দিকে ।



এখানে আর হাটা পথ নয় এবার চলতে হবে রশি বেয়ে বেয়ে।যা আগে থেকেই শেরপারা ঠিকঠাক করে রাখে।Camp III থেকে Camp IV যাওয়ার সময় অভিযাত্রীগনকে পাড়ি দিতে হয় "ডেথ জোন"।নাম শুনেই নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন যে স্থানটা হলো মরণ ফাদ।আর এই ডেথজোনে অভিযাত্রীরা আসেন "সাউথ কোল" দিয়ে।

আবহাওয়া ঠিকঠাক থাকলে তারা এই "ডেথ জোন" পাড়ি দেবার জন্য সর্বোচ্চ ২ দিন সময় নেয়।আর আব হাওয়া যদি খারাপ থাকে তাহলে তারা নেমে আসে Camp III তে।



অনেক বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে তারা Camp IV আসে।এবার সবাই অগ্রসর হতে সর্বোচ্চ চূড়ায় আহরনের জন্য।এর জন্য তাদের প্রথমে "The Balcony" তে আহরণ করতে হয়।

এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮,৪০০ মিটার উচুতে।তাদের লক্ষ্য থাকে "সাউথ সামিট" এর দিকে,এটি একটি টেবিলের সমান আয়তনের বরফের তাক।

যেখানেই অনেক আভিযাত্রীর শেষ হয়ে গেছে মিশন শুধুমাত্র "সাউথ সামিট" পার না হতে পেরে।"সাউথ সামিট" সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮,৭৫০ মিটার উপরে।"সাউথ সামিট" পার হবার পর থেকে পর্বতারোহীরা সবাই একা একা উঠতে শুরু করে।কারণ একসাথে চলার মত পথ সেখানে নেই।

তাদের সাথে করে তখন বহন করতে হয় অক্সিজেন,বরফ কাটার ,রশি,জেকটেইপ সহ প্রয়োজনীয় সব কিছু।এই সময়টায় আসলে একজন অভিযাত্রীর জন্য সবচেয়ে কঠিনতম সময়।যদি একটু ভুল হয় তাহলে তাদের সোজা ২,৪০০ মিটার নিচে চলে যেতে হবে।যার পরিণাম মৃত্যু ছাড়া আর কিছু নয়।আর এখানে সবচেয়ে বড় আসুবিধা হলো হিমালয়ের গায়ের উপর থাকে আলগা তুষারের আবরণ।যা দেখলে বোঝার উপায়ই থাকে না যে সেটি আলগা।এমন অবস্থা সেখানে ভর দিয়ে চলতে গেলেই আলগা তুষারের আবরণ খসে পড়ে।আর এভাবেই আভিযাত্রীদের জীবনের আলো নিভে যায়।"সাউথ সামিট" থেকে মাত্র ৯৮ মিটার উপরেই হলো "সামিট"বা সর্বোচ্চ চূড়া।
কিন্তু এই ৯৮ মিটার পার হতেই আভিযাত্রীরা পার করে দেন ২-৫ ঘন্টা।আর হবেই বা না কেন ।কারণ সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি।


২। উত্তর-পূর্ব রিজ





মাউন্ট এভারেস্টের এর দক্ষিণ-পূর্ব রুট ও উত্তর-পূর্ব রুট এর মধ্যে রয়েছে অবস্থানগত,পরিবেশগত অনেক পার্থক্য।তবে দক্ষিণ-পূর্ব রুট থেকে উত্তর-পূর্ব রুট দিয়ে এভারেস্ট উঠা বেশ কিছুটা সহজতর।আর এখান থেকে পারমিট গ্রহনের খরচ ও নেপালের চেয়ে অর্ধেক। মাউন্ট এভারেস্টের উত্তর-পূর্ব রিজ শুরু হয়েছে চীনের তিব্বত অংশ থেকে।

উত্তর-পূর্ব রিজ এর বেসক্যাম্প অবস্থিত "রংগবুক গ্লাসিয়ার: এ।এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫,১৮০ মিটার (১৬,৯৯০ ফুট) উপরে।বেস ক্যাম্প থেকে ক্যাম্প ২ (Camp II) এর দুরুত্ব ৯২০ মিটার।

আর এর উপরে আছে ক্যাম্প ৩ (Camp III) বা (ABC – Advanced Base Camp) অগ্রবর্তী বেসক্যাম্প ।এটির উচ্চতা ৬৫০০ মিটার।এর উপরেই অবস্থিত হলো "নর্থ কোল" এটি ৭০১০ মিটার উপরে।এর পর একে একে আছে Camp VI (৮২৩০ মিটার), নর্থ সামিট (৮৫৮০ মিটার) ও সর্বশেষ সামিট (৮৮৪৮ মিটার)।


এভারেস্টের ডেথ জোন

ডেথজোন মানেই হলো মৃত্যুকূপ।হিমালয় দূর থেকে দেখতে যতটা না সুন্দর কাছ থেকে ততোটাই নির্মম তার পথ।এমনো স্থা আছে এভারেস্টে যেখানে আজ পর্যন্ত কোন মানুষই সে স্থানে পোছাতে পারে নি।যারা বারবার চেষ্টা করেছে তাদের অনেকে প্রাণ ও হারিয়েছেন এসব স্থান থেকে।

তাছাড়া ৮০০০ মিটার উপরে থেকে শুরু হয় আসল ডেথ জোন।কেননা ৮ হাজার মিটার উচুতে পরিবেশ এতটাই প্রতীকূল অবস্থান নেয় যে সেখানে অস্থান করাটা অনেক কষ্টকর।শূন্য ডিগ্রীর নিচে তাপমাত্রা,তুষার পাত,বরফের ফাদ,পিচ্ছিল বরফ থেকে পড়ে যাওয়া সহ অনেক প্রতিকূলতা অভিযাত্রীদের জন্য হয়ে দাড়ায় সবচেয়ে বড় চ্যালেন্জ।

তাছাড়া উচ্চতাজনিত চাপ তো আছেই।আমরা জানি ভূপৃষ্টের থেকে যত উপরে উঠা যায় চাপ ততো বাড়তে থাকে।আমাদের দেহে চাপ বাড়ার সাথে সাথে রক্তের চাপ ও বেড়ে যায়।আমাদের দেহের স্বাভাবিক নাড়ীর স্পন্দন হলো ৭৬-৭৮/মিনিট।(বার)যখন অভিজাত্রীগন বেস ক্যাম্পে আছে তখন তাদের গড় স্পন্দন থাকে ৮০ বারের মত।কিন্তু ৮ হাজার মিটার উপর থেকে এই স্পন্দন বেড়ে দাড়ায় ৯৫-১০০ বার পর্যন্ত !তাহলে চিন্তা করুন কতটা সমস্যা ও জীবনের ঝুকিতে পরতে হয় অভিযাত্রীদের।তার উপরে যদি আবার শূন্য ডিগ্রীর নিচে তাপমাত্রা,তুষার পাত,বরফের ফাদ,পিচ্ছিল বরফ থেকে পড়ে যাওয়া সহ অনেক প্রতিকূলতা অবস্থা থাকে তাহলে এভারেস্ট জয় থেকে জীবন বাচানোই বড় হয়ে দাড়ায় সেখানে।তা থাকা সত্তে ও জীবনের মায়া না করে তারা চলতে থাকে অবিরাম এভারেস্ট জয় করার মিশনে।

এছাড়া ও এমন কিছু স্থান আছে যেখান থেকে পাড় হতে গেলে পদে পদে মৃত্যুর প্রহর গুনতে হয়।এমন জায়গার নাম হলো খুম্বু আইসফল।


খুম্বু আইস ফল


এভারেস্টের সবচেয়ে ভয়ানক স্থান।এই স্থান এতটাই বিপদাসংকুল যে এভারেস্টে যত প্রাণহানি ঘটেছে তার ৮০ ভাগই ঘটেছে এখানে।



কিন্তু দূ;ভাগ্য যে প্রায় ৫০ ভাগ নিহতদের লাশ এখান থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয় নি।তাহলে বুঝেন যে কতোটা বিপদজনক স্থান এই খুম্বু আইস ফল !



এই অংশটি মাউন্ট এভারেস্টের সাউথ ইস্ট রুটের বেস ক্যাম্পের পরেই ৬০৬৫ মিটার উপরে।
এই অংশটুকু পার হওয়া অভিযাত্রীদের জন্য পুলসেরাত পারে হবার মত।এমন ভংগুর স্থান হিমালয়ের আর কোথা ও নেই।বরফের পাত,গভীর খাদ,পরিবেশগত আবহাওয়া ,শুন্য ডিগ্রীর নিচে তাপমাত্রা সব মিলিয়ে এ যেন এক মৃত্যুপূরী।



একটু অসাবধান হলেই সেখানে নিশ্চত মৃত্যু।
কেবল এই স্থানেই ১৯৯৬ সালের ১১ মে ১৯ জন অভিযাত্রী প্রান হারান।এটাই এভারেস্টের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দূর্ঘটনা।আর স্বপ্নের এভারেস্ট জয় করতে হলে এই মৃত্যুপূরী পার হয়ে যাওয়া ছাড়া কোন পথ নেই।




কি জয় করতে চান এভারেষ্ট ?

আপনি ও কি মুসা ইব্রাহীমের মত এভারেস্ট জয় করতে চান?উজ্জ্বল করতে চান নিজের ও দেশে মুখ ? আগে খোজখবর নিন এর সর্ম্পকে।আর আমি কিছু তথ্য দিব যে এভারেস্টে যেতে হলে আপনাকে কি কি করতে হবে।

এভারেস্ট অভিযানে যাওয়ার আগে আপনাকে কড়া প্রশিক্ষণ নিতে হবে। আর এই প্রশিক্ষণ আপনি নিতে পারবেন পাশের দেশ ভারত থেকেই। এই প্রশিক্ষণ হয় দু ধরনের ১।বেসিক ও ২।অ্যাডভান্স।এর জন্য আপনাকে গুনতে হবে আনুমানিক ৫০০ ডলার (৩৫,০০০ টাকা)। এ ছাড়া অভিজ্ঞতা থাকতে হবে ২০ হাজার ফুটেরও বেশি উচ্চতা থেকে ঘুরে আসার।কি ভেবেছেন কেবল ভালো মৌসুমেই এভারেস্ট জয় করবেন।সে গুড়ে বালি !কেননা আপনাকে খারাপ মৌসুমে সেখানে যাওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে।আর এসবের করতে হলে ও মোটা অংকের খরচ আপনাকে গুনতে হবে। এখানেই শেষ নয় আরো প্রধান খরচ তো সামনে।এভারেস্টে চড়তে হলে ২৫ হাজার মার্কিন ডলার ( ১৭ লক্ষ ৫০ হাজার ! টাকা )দিয়ে নেপাল সরকার থেকে পারমিট নিতে হয়।আর যদি আপনি তিব্বত মানে উত্তর-পূর্ব রিজ দিয়ে যেতে চান সেখানেও আপনাকে ১০ হাজার মার্কিন ডলার (৭ লক্ষ্য টাকা) দিয়ে পারমিট নিতে হবে।পাশাপাশি ইকুইপমেন্টসহ অন্যান্য খরচ তো আছেই। এভারেস্টে যেতে লাগবে বেশ কিছু টেকনিক্যাল যন্ত্রপাতি।এর মধ্যে রয়েছে হালকা তাঁবু, শূন্য ডিগ্রি নিচের তাপমাত্রা প্রতিরোধক স্লিপিং ব্যাগ, আইসজ্যাকেট, উইন্ডব্রেকার ট্রাউজার,




মাঙ্কি ক্যাপ, সানগ্লাস, হ্যান্ডগ্লাভস, কড়া সানস্ক্রিম, বিশেষ ধরনের দড়ি, পা ও কোমরের বেল্ট,পাহাড়ের খাড়া জায়গায় নিরাপত্তার জন্য দুমুখো ক্যারাবিনা,পর্বতের ঢালে নিজের শরীর আটকানোর জন্য হুক, অ্যালুমিনিয়ামের ফ্লোডিং মই, বরফের পথটি শক্ত না ফাঁপা তা পরীক্ষার জন্য আইস এক্স, হাঁটার লাঠি ইত্যাদি। এগুলো আপনি পাবে হিমালয়ের দেশ নেপালের কাঠমান্ডুর থামেলে।এই হলো মোটামুটি ভাবে প্রস্তুতি।আর থাকতে হবে অসীম মনোবল,সাহস আর প্রতিকূলতাকে জয় করার ক্ষমতা।এই সব কিছু যদি আপনার ঠিকঠাক থাকে তবে আপনি ও পারেন মুসা ইব্রাহীমের মত এভারেস্ট জয় করতে।কি কবে যাচ্ছেন এভারেস্ট জয় করতে?

এভারেস্টে প্রযুক্তি,ব্রাউজিং করুন দ্রুতগতির ইন্টারনেট চূড়ায় বসেই !



"দোস্ত আমি এখন এভারেস্টের মাথার উপর দিয়ে চা খাচ্ছি আর হাটা হাটি করছি" এমন একটা স্ট্যাটাস যদি ফেসবুকে দেখা দেখা যায় তাহলে তাহলে তো আপ[নি ভাবেন যে সে নিশ্চয় পাগল বা ভুয়া কোম্পানীর লোক।কেন?আরে ভাই এভারেস্টে কি ইন্টারনেট আছে যে ঐ বেটা ফেসবুক ইউস করছে?এধরণের কাহিনী হলেও অবিশ্ব্যস করার কিছুই থাকবে না।করণ এখন ইন্টারনেট পোছে গেছে পৃথিবীর সবচেয়ে উচু স্থান হলো হিমালয়।

জ্বী কেবল এভারেস্টের নিচ থেকে নয়।এবার থেকে এভারেস্টের মাথায় ও বসে আপনি অবিশ্বাস্য দ্রুতগতির ইন্টারনেট সিটিসেল ডুম থুক্কু থ্রিজি প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবেন।

আর এই সুবিধাটা দিচ্ছে সুইডেনের বিখ্যাত ফোন কোম্পানি টেলিয়াসোনেরার সহযোগী প্রতিষ্ঠান এনসেল ।তারা এভারেস্ট অঞ্চলের গোরাকশেপ গ্রামে ৫ হাজার ২শ মিটার বা ১৭ হাজার ফুট উঁচুতে একটি দ্রুত গতির তৃতীয় প্রজন্ম (থ্রি-জি) ফোনের বেস স্টেশন স্থাপন করেছে। এ নেটওয়ার্ক এভারেস্টের চূড়া পর্যন্ত পৌঁছবে।

এভারেস্টের ৮ হাজার ৮শ ৪৮ মিটার উঁচুতে ওঠা পর্বতারোহীদের আগে খুবই ব্যয়বহুল অথচ অনিশ্চিত স্যাটেলাইট ফোন কভারেজ কিংবা পর্বতের চীনা পার্শ্বে ২০০৭ সালে চায়না মোবাইলের স্থাপিত ভয়েস-ওনলি নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভর করতে হতো। নতুন স্থাপনা প্রতিবছর এভারেস্ট অঞ্চলে আসা হাজার হাজার পর্যটক ও পর্বত পরিব্রাজকদের জন্যও সহায়ক হবে। টেলিয়াসোনেরার প্রধান নির্বাহী লারস নির্বার্গ বলেন, মোবাইল যোগাযোগের ক্ষেত্রে এটি এক বিরাট মাইলফলক এই থ্রি-জি দ্রুতগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ থেকে দ্রুততর ও অধিকতর সুলভ টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদান করবে। কোম্পানিটি জানায়, এই থ্রি-জি সার্ভিস ভিডিও কল এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য পর্যাপ্ত দ্রুত গতিসম্পন্ন হবে। ইউরোপের একটি খনিতে সমুদ্র পৃষ্টের ১৪শ মিটার নিচে থ্রি-জি বেস স্থাপনের কৃতিত্বের দাবিদারও এই কোম্পানি। তাহলে আপনারা কেউ চিন্তা কইরেন না।প্রিয় টেকটিউন্স বা ফেসবুক আপনি এভারেস্টে গেলে ও আপনার সাথেই থাকবে।


মাউন্ট এভারেস্ট যত রেকর্ড

এবার আসি এভারেস্ট এর রেকর্ড নিয়ে।এমনও আছে যে ৩০ বার চেষ্টা করে ও ব্যার্থ হয়েছেন এভারেস্ট জয় করতে।আবার ১৩ বছর বয়সে ও জয় করে ফেলেছে এভারেস্ট এমন ঘটনাও ঘটেছে।এমন কিছু রেকর্ড আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।



প্রথম জয়

এভারেস্টের চূড়ায় প্রথম পেঁৗছেন স্যার এডমন্ড হিলারি এবং তেনজিং নোরগে, ১৯৫৩ সালের ২৯ মে।

প্রথম নারীঃ

১৯৭৫ সালের ১৬ মে প্রথম নারী হিসেবে এভারেস্টের চূড়ায় পেঁৗছার কৃতিত্ব দেখান জাপানের জুনকো তাবেই,



অক্সিজেন ছাড়া প্রথম এভারেস্ট জয় করা নারীঃ

লিডিয়া ব্র্যাডি। তিনি এভারেস্ট জয় করেন ১৯৮৮ সালের ১৪ অক্টোবর।


অক্সিজেন ছাড়া প্রথম পুরুষঃ



১৯৭৮ সালের ৮ মে এভারেস্ট জয় করেন অস্ট্রিয়ার পিটার হেবেলার (ডানে ব) এবং ইতালির রেইনহোল্ড মেসনার(বায়ে)। এ অভিযানটি অনন্য, কারণ তাঁরাই প্রথম অক্সিজেন ছাড়া চূড়ায় আরোহণ করেন

প্রথম একক জয়ঃ



ইতালির রেইনহোল্ড মেসনার প্রথম অভিযাত্রী যিনি একা এভারেস্ট জয় করেন,১৯৮০ সালের ২০ আগস্ট।


শীতকালে জয় এভারেস্ট জয়


শীতকালে প্রথম এভারেস্ট জয় করেন পোল্যান্ডের এল সিচি এবং কে ওয়েলিকি ১৯৮০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি।


প্রথম এভারেস্ট জয়ী দম্পতি

১৯৯০ সালের ৭ অক্টোবর এভারেস্ট জয় করেন এক দম্পতি। স্লোভেনিয়ার এই স্বামী-স্ত্রীর নাম আন্দ্রেজ এবং মারিয়া স্ট্রেমফেলজ।

প্রথম অন্ধ :



২০০১ সালের ২৫ মে প্রথম অন্ধ ব্যক্তি হিসেবে এভারেস্ট জয় করেন যুক্তরাষ্ট্রের এরিক ভিয়েনমায়ার।


দুই ভাইয়ের এভারেস্ট জয়

১৯৯২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর। প্রথম সহোদর হিসেবে এভারেস্ট জয় করলেন আলবার্তো ও ফেলিক্স ইনুরাতেগুই।



বাবা-ছেলের এভারেস্ট জয়


১৯৯০ সালে প্রথম মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেন জ্য নোয়েল রোচে এবং তাঁর ছেলে রোচে বারত্রা ওরফে জেবুলন।

১৭ বছরের বারত্রা ছিলেন তখন পর্যন্ত সবচেয়ে কম বয়সী এভারেস্ট জয়ী।


খোঁড়া হয়েও চূড়ায়





১৯৯৮ সালে বিশ্ব্ববাসীকে চমকে দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের টমাস হুইটাকের। একটা কৃত্রিম পা নিয়েও দুর্গম এভারেস্টকে পরাভূত করেন তিনি।


প্রথম দুবার এভারেস্টের চূড়ায়

প্রথম দুবার এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার কৃতিত্ব নেপালের নওয়াং গোম্বুর।


সবচেয়ে দ্রুত এভারেস্ট জয়



সবচেয়ে দ্রুত এভারেস্টে ওঠার রেকর্ড অস্ট্রিয়ান ক্রিস্টিয়ান স্টেনগালের।

বেইস ক্যাম্প থেকে চূড়ায় পেঁৗছাতে তিনি সময় নেন মাত্র ১৬ ঘণ্টা ৪২ মিনিট। ঘটনাটি ঘটে ২০০৭ সালে।



সবচেয়ে দ্রুত নেমে আসা

সবচেয়ে দ্রুত চূড়া থেকে নেমে আসার রেকর্ডটি ফ্রান্সের জ্যঁ-মার্ক বোয়াভিনের। তিনি প্যারাগ্লাইডিং করে মাত্র ১১ মিনিটে নেমে আসেন বেস ক্যাম্পে।





প্রথম বাঙালি এর এভারেস্ট জয়


বাঙালি হিসাবে প্রথম এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করেন দেবাশীষ বিশ্বাস ও বসন্ত সিংহ রায়।



দেবাশীষের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় আর বসন্ত সিংহের বাড়ি নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে।




সবচেয়ে বেশিবার চূড়ায়



এভারেস্টের চূড়ায় কোনো মতে একবার পেঁৗছাটাই বেশির ভাগ মানুষের কাছে স্বপ্নের মতো।





সেখানে নেপালের আপা শেরপার কাণ্ড শুনলে চোখ কপালে উঠবে। এ পর্যন্ত ২০ বার এভারেস্টের চূড়ায় পা রেখেছেন তিনি।



সবচেয়ে বেশি সময় এভারেস্ট চূড়ায়


সবচেয়ে বেশি সময় মাউন্ট এভারেস্টের শীর্ষে অবস্থানের রেকর্ড নেপালের বাবু চিরি শেরপার।



১৯৯৯ সালে অক্সিজেন ছাড়া ২১ ঘণ্টার বেশি চূড়ায় থাকেন তিনি। শুধু তাই নয়, চমৎকার একটা ঘুমও দিয়ে দেন সেখানে।



সবচেয়ে বেশি বয়সে এভারেস্ট জয়


সবচেয়ে বেশি বয়সে এভারেস্ট জয় করেন বাহাদুর শেরচান।
২০০৮ সালে ২৫ মে এভারেস্ট জয়ের সময় তাঁর বয়স ছিল ৭৬ বছর।



সবচেয়ে কম বয়সে জয়


এ বছরই ২২ মে ঘটনাটা ঘটান আমেরিকান এক কিশোর। জর্ডান রোমেরা নামের



এই কিশোরের বয়স মাত্র ১৩ বছর।


মোট অভিযাত্রীর মৃত্যু

এভারেস্টের চূড়ায় পা রাখতে গিয়ে ২০০৯ সালের শেষভাগ পর্যন্ত ২১৬ জন অভিযাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন।



সবচেয়ে বড় অভিযাত্রীদের দল

এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অভিযাত্রী দল এভারেস্ট জয়ে গেছে চীন থেকে। ১৯৭৫ সালে ৪১০ জনের একটি অভিযাত্রী দল ওই অভিযানে অংশ নেয়।


প্রযুক্তির আশীর্বাদে এভারেস্ট উঠা এখন আরো সহজতর


ডেস্কস্যার এডমন্ড হিলারি ও তেনজিং নোরগে এভারেস্ট জয় করার পরও অনেক বছর বিশ্বের সর্বোচ্চ চূড়াটি অনেকটা রহস্য হয়েই ছিল মানুষের মাঝে। ১৯৫৩ সালের পর দীর্ঘ ৫০ বছরে এভারেস্ট জয় করেছিলেন প্রায় ৫০০ জন আরোহী। সেখানে গত সাত বছরে ২৯ হাজার ৩৫ ফুট উঁচু চূড়াটি জয় করেছেন আড়াই হাজার মানুষ।মুসা ইব্রাহীম যে সময় হয় করেন সেই সপ্তাহেই এভারেস্টজয়ী হিসেবে নাম লিখিয়েছেন তিন শতাধিক অভিযাত্রী।

'এভারেস্টকে আমার আর বিশেষ কোনো স্থান মনে হয় না। কারণ অন্য পাঁচটা ব্যস্ত এলাকার মতোই সেখানে এখন মানুষ গিজগিজ করে।' কয়েক বছর ধরে বিশ্বের সর্বোচ্চ চূড়াটি বিজয়ের 'হিড়িক' পড়ে যাওয়ায় এ মন্তব্য করেছেন পাঁচবার এভারেস্টজয়ী যুক্তরাষ্ট্রের জেক নরটন।

মূলত ২০০৩ সাল থেকেই এভারেস্টজয়ীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ২০০৭ সালে সর্বোচ্চ ৬৩০ জন বিশ্বের সর্বোচ্চ চূড়াটি জয় করেন। চলতি বছরেও এ সংখ্যা চার শর কম হবে না। জয়ীদের তালিকায় কেবল পুরুষই নয়, রয়েছেন নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীরাও। গত রবিবারেই মাত্র ১৩ বছর বয়সে চূড়ার ওঠার রেকর্ড গড়ে আমেরিকার শিশু জর্ডান রোমেরো। ২০০৭ সালে জাপানি নাগরিক কাতসুকে ইয়ানাগিসাওয়া ৭১ বছর বয়সে চূড়ায় উঠে চমক লাগিয়ে দেন। একই বছরে চূড়ায় ওঠেন কৃত্রিম হৃদযন্ত্র স্থাপন করা এক কানাডীয় নারী। এবার সহ আপা শেরপা চূড়া জয় করলেন ২০ বার।

হঠাৎ করেই এভারেস্ট জয়ে সফলতার হার বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টিকে 'প্রযুক্তির আশীর্বাদ' হিসেবেই অভিহিত করছেন জেক নরটন। তাঁর ভাষায়, 'এভারেস্ট চূড়ায় আরোহণের মানচিত্র এখন আমাদের মুখস্থ। গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) আরোহীদের হাতে হাতে। তা ছাড়া পথপ্রদর্শক ও দেহরক্ষী হিসেবে সার্বক্ষণিক শেরপা তো রয়েছেই। রয়েছে আধুনিক সরঞ্জাম।'



আরোহীদের পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করা ব্রিটিশ নাগরিক কেনটন কুল বলেন, 'হিলারি ও নোরগে যখন এভারেস্টে যান, তখন তাঁরা সম্পূর্ণ অচেনা এক জগতের খোঁজে ছিলেন। এখন কিন্তু বিষয়টি আর তেমন নেই। এমনকি আরোহীদের সহায়তার জন্য বিভিন্ন স্থানে স্থায়ীভাবে দড়ি ও মই লাগানো রয়েছে।'



কুলের মতে, উন্নত প্রযুক্তির পোশাক ও সরঞ্জাম পর্বতারোহণের কাজকে অনেক সহজ করে দিয়েছে।




তিনি বলেন, 'পাহাড়ের চূড়ায় ভালো দস্তানা, জুতা ও কাপড় বড় ব্যবধান গড়ে দেয়। এসব বিশেষায়িত কাপড় প্রচণ্ড ঠাণ্ডার মধ্যেও আরোহীদের উষ্ণ রাখে। তা ছাড়া কৃত্রিম অক্সিজেনের ব্যবস্থাও এখন অনেক আধুনিক হয়েছে। রয়েছে স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রিত আধুনিক আবহাওয়ার পূর্বাভাস। এসব কারণেই এভারেস্ট জয় আগের চেয়ে এত সহজ ও নিরাপদ হয়েছে।'

এ মৌসুমে (এপ্রিল-মে) অবশ্য অনুকূল আবহাওয়াও আরোহীদের অনেক সহায়তা করেছে। এ পর্যন্ত ২১৬ জন অভিযাত্রী এভারেস্ট চূড়ায় আরোহণের পথে প্রাণ হারালেও এ বছর এখনো পর্যন্ত কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। অভিযাত্রীদের সফলতার হারও ছিল অনেক বেশি। নেপালের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, এ বছর এভারেস্টে আরোহণের জন্য অনুমতি নিয়েছেন ২৩৩ জন বিদেশি। তিব্বত অংশ থেকে যাত্রা করে এভারেস্টজয়ের সফলতার হার নেপালের তুলনায়ও বেশি। মুসা ইব্রাহীম এ পথেই চূড়ায় উঠেছেন। তাঁর ২৬ জনের দলের সবাই সফলভাবে এভারেস্ট জয় করতে সক্ষম হয়েছেন। মুসার এক দিন আগে তাঁর ব্যবহৃত পথ ধরেই সবচেয়ে কম বয়সে এভারেস্ট জয়ের রেকর্ড গড়ে শিশু রোমেরো। সোমবার কানাডার নাগরিক সেইন্ট জার্মেইন তো কোনো রকম কৃত্রিম অক্সিজেন সঙ্গে না নিয়েই এভারেস্ট জয় করেছেন।

বছর বছর শতাধিক আরোহী এভারেস্ট চূড়ায় উঠছেন বলে গুরুত্ব কমে যাচ্ছে জয়ীদেরও। ১৯৫৩ সালে হিলারি ও নোরগের এভারেস্ট জয়ের পর পুরো বিশ্বেই আলোড়ন উঠেছিল। অথচ গত রবিবার রোমেরো মাত্র ১৩ বছর বয়সে এভারেস্ট জয় করার পর তার নিজ দেশের পত্রপত্রিকায়ও তেমন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। একই দিনে সবচেয়ে কম বয়সী ভারতীয় হিসেবে এভারেস্ট জয় করা ১৬ বছর বয়সী অর্জুন বাজপেয়িকে নিয়েও তেমন মাতামাতি হয়নি। তবে নরটন মনে করেন, স্বাভাবিক হয়ে এলেও মানুষের এভারেস্ট জয়ের আকাঙ্ক্ষা চিরদিনই থাকবে। যদিও ইচ্ছে থাকলেই সেটি সম্ভব হবে না সবার পক্ষে। কারণ নেপাল বা তিব্বত থেকে এভারেস্টে আরোহণের অনুমতি সংগ্রহ করতেই মাথাপিছু ফি দিতে হয় ১০ হাজার ডলার। এ ছাড়া আরোহণের অন্যান্য ব্যয় তো আছেই।




শেষ কথা

আসলে শেষ কথা হলো যত বাধা বিপত্তিই আসুক না কেন এভারেস্ট জয় করা জন্য মানুষ সবসময় ই যাবে এভারেস্টের পাদদেশে।আর চিরকালই মানুষের কাছে এভারেস্ট হয়ে থাকবে একটি গর্বের বিষয়।আর বারবার এভাবেই এভারেস্ট হার মানবে সৃষ্টির সেরা জীব মানুষের

জেনে নিন মাউন্ট এভারেস্টের সব অজানা কাহিনী-১

হিমালয়।নামটা সেই ছোটবেলা থেকেই শুনছি আমরা।পৃথিবীর সবচেয়ে উচু স্থান হলো হিমালয়।উচ্চতা মাত্র ৮,৮৪৮ মিটার !মানে ৮.৮৫ কিলোমিটার!আকাশের সাথেই যার মিতালী।মেঘ যাকে নিয়ে খেলা করে,সাদা তুষার যার পোশাক আর যার আছে মাথা উচু করে সামগ্র পৃথিবী কে দেখা সেই তো হিমালয়।আমার আজকের টিউনটি সেই হিমালয়কেই নিয়ে।টিউনের মাধ্যমে আমি আপনাদেরকে জানাতে চেষ্টা করবো হিমালয়ের সকল খুটিনাটি তথ্য আর আমরা সবাই হরিয়ে যাবো এক অজানার দেশে।
Mount


মাউন্ট এভারেস্টের জন্ম

আজ থেকে প্রায় ৬ কোটি বছর আগে জন্ম নেয় এভারেস্ট।আসলে আমরা জানি যে কোন পর্বতমালা সৃষ্টি হয়েছে পৃথিবীর ভূ-গভের সৃষ্ট আন্দোলনের ফলে। আমাদের পৃথিবীর ভূ-গভে মাটির স্তর গুলো প্লেট আকারে থাকে।এগুলো আবার বিভিন্ন উপমহাদেশীয় এরিয়া নিয়ে গঠিত।এমনি ২ টি প্লেটের সংঘষে সৃষ্টি হয় এভারেস্টের।ভারতীয় উপমাদেশের প্লট ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ান প্লটের সংঘর্ষে এভারেস্ট তৈরী।

তাছাড়া অভন্তরীণ ভুমিকম্প ও এর জন্য দায়ী।এ ধরণের সংঘর্ষ কোটি কোটি বছর পর পর সংঘটিত হয়।

dff



এভারেস্টের আবিষ্কৃত হলো যেভাবে

১৮০৮ সাল ।তৎকালীন ভারতে ব্রিটিশরা শুরু করলো পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতসমূহের অবস্থান বের করার অভিজান।এর জন্য তারা "বৃহৎ ত্রিকোণমিতিক জরিপ" (Great Trigonometric Survey) শুরু করেন।
light


এই প্রক্রিয়া নিখুত ভাবে চালানোর জন্য তারা ব্যব হার করলো ১১০০ পাউন্ড অজনের থিয়োডোলাইট ।
জরিপ কাজ আরাম্ভ হলো দক্ষিণ ভারত থেকে।জরুপকারী দল ক্রমাগত উত্তরদিকে সরতে থাকে এবং ১৮৩০ সালে তারা হিমালয়ের পাদদেশে পৌঁছায়।তারা আস্তে আস্তে নেপালের দিকে অগ্রসর হতে থাকে।কিন্তু তখন নেপাল ও তিব্বতে বিদেশীদের প্রবেশ ছিল নিষিদ্ধ।এভাবে অননেক বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে ১৮৪৭ সালের শেষর দিকে এভারেস্টের ১৪০ মাইল (২৩০ কিমি) পূর্বে কাঞ্চনজঙ্ঘা এর কাছে চলে আসেন।সে সময় বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতচূড়া হিসেবে বিবেচিত হত কাঞ্চনজঙ্ঘা।সে সময় জরিপ চালান ব্রিটিশ প্রধান জরিপকারক এন্ডু ওয়াহ।তিনি কাঞ্চনজঙ্ঘা থেকে পূর্ব দিকে একটি নতুন পর্বত দেখতে পান।তিনি এক পলকেই দেখে বুঝতে পারেন এটা কাঞ্চনজঙ্ঘার চেয়ে ও অনেক বড়।কিন্তু এর জন্য তো প্রমান চাই।তিনি জেমস নিকলসন নামে এক কর্মচারী পাঠান জরিপের জন্য।সে অনেক হিসাব নিকাশ করে এসে ফলাফল দেয় যে এর উচ্চতা ৩০,২০০ ফুট (৯,২০০ মিটার)।কিন্তু তার হিসাবে ভূল হবার কারণ ছিল আলোর প্রতিসারণ।ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে নিকলসন চলে যান তার দেশে।কি আর করা এত গুলো পর্বত কি নামহীন ভাবে পড়ে থাকবে? না কর্নেল ওয়াহ তার এক ক্লার্ক মাইকেল হেনেসিকে দিয়ে সবগুলো পাহাড় গুলোর রোমান সংখ্যার হিসাব রাখতে বললেন।সে হিসাবে এভারেস্টের নাম হলো peak-XV বা "চূড়া-১৫"। যাই হোক সেবার ও ওয়াহ পারলেন না।অবশেষে তিনি স্বরণাপন্ন হন বাঙ্গালী গণিতবিদ ও জরিপকারক রাধানাথ শিকদারের।তিনি ছিলেন স্যার এভারেস্টের অনেক প্রিয় পাত্র ।

rs

১৮১৩ সালে তার জন্ম জোড়াসাকোতে।তিনি তখন এই জরিপে হাত দেন।৮৯ টি নামহীন পরবতের হিসাব করতে হবে তাকে।একদিন তিনি peak-XV (চূড়া-১৫) এর হিসাব কষে বের করলেন ২৯০০২ ফুট !মাথা খারাপ হয়নি তো।আবারও তিনি দেখলেন।নাহ ঠিকই আছে,সাথে সাথে তিনি চলে গেলেন " রয়েল জিওগ্রাফিক সোসাইটি"তে তার স্যার কর্নেল এন্ড্রু ওয়াহর কাছে।তিনি তার সকল বিষয় গুলো আবার ও পরীক্ষা করে দেখলেন সব ঠিকই আছে।তিনি যা ভেবেছিলেন ঠিক তাই।এই চূড়া-১৫ ই তাহলে কাঞ্চনজঙ্ঘার চেয়ে উচু।আর তার মানেই হল চূড়া-১৫ হলো পৃথিবীর সবচেয়ে উচু স্থান।রাতারাতি সব দিকে খবর পোছে গেল।এভাবেই একজন বাঙ্গালী গণিতবিদ ও জরিপকারক রাধানাথ শিকদারের হাত ধরেই আবিষ্কার হলো বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট।সেই রাধানাথ শিকদার ১৮৭০ সালে মারা যান।কিন্তু রেখে যান এক অনাবদ্য সৃষ্টি।



সর্বোচ্চ পর্বতচূড়ার নামকরণ

আবিষ্কার হলো সর্বোচ্চ পর্বতচূড়া কিন্তু এর নাম কি দেয়া হবে।ভাবত লাগলেন কর্নেল এন্ড্রু ওয়াহ।তিনি দেখলেন যে এটাই এখন তার কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।জরিপকারীরা সবাই চাচ্ছিলো যে নামটা স্থানীয় কোনো নামের হোক।কিন্তু তারা কোনো স্থানীয় নাম খুজে পেলনা।করণ তখন তিব্বত ও নেপালে বিদেশীদের প্রবেশ ছিল বন্ন্ধ।তাই তারা স্থানীয় নাম খুজে পাওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হলো।তবে বেশ কিছু স্থানীয় নাম প্রচলিত থাকলেও এদের মধ্যে সুপরিচিত ছিল তিব্বতিদের ব্যাবহার করা কয়েকশ’ বছরের পুরনো নাম "চোমোলুংমা"।কিন্তু এইনামের আবার অনেক উপনাম থাকার কারণে তিনি এই নাম নাকচ করে দেন।তাই তিনি সহ সবাই মিলে এর নাম রাখার সিধান্ত নেন তাদের পূর্বসূরি ভারতের প্রাক্তন জরিপ পরিচালক জর্জ এভারেস্টের নামে ।
ff


এ সম্পকে ওয়াহা লিখেন ----

'আমার সম্মানিত পূর্বসূরি জরিপ প্রধান কর্ণেল স্যার জর্জ এভারেস্ট আমাকে প্রতিটি ভৌগলিক উপাদান স্থানীয়ভাবে প্রচলিত নামকরণ করতে শিখিয়েছিলেন। কিন্তু এই পর্বতটি, যা কিনা খুব সম্ভবতঃ পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত- এর কোন স্থানীয় নাম আমরা খুঁজে পাইনি, আর কোন স্থানীয় নাম থেকে থাকলেও নেপালে প্রবেশের আগে তা আমাদের পক্ষে নিশ্চিতভাবে জানা সম্ভব নয়। এরমধ্যেই চূড়াটির নামকরণ করার সুযোগ এবং পাশাপাশি দায়িত্বও আমার কাঁধে বর্তেছে......এমন একটি নাম যা কিনা দেশ-বিদেশের ভূগোলবিদরা জানবে এবং পৃথিবীর সভ্য জাতির লোকদের মুখে মুখে ফিরবে।'কিন্তু জর্জ এভারেস্ট এটাকে প্রত্যাখান করেন।কিন্তু তা বেশিদিন টেকেনি।অবশেষে ১৮৬৫ সালে "রয়েল জিওগ্রাফিক সোসাইটি" আনুষ্ঠানিকভাবে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতচূড়ার নামকরণ করে মাউন্ট এভারেস্ট।

এরপর থেকেই এই "চূড়ো ১৫" ই হয়ে গেল "মাউন্ট এভারেস্ট"।তাছাড়া নেপালের সবাই একে ডাকে "সাগরমাথা’ (আকাশের দেবী)।আর তিব্বতীয়রা একে এখনো ডাকে "চোমোলুংমা"।যার মানে হলো "মহাবিশ্বের দেবী মা"

শুরু হল পর্বত জয় করার মিশনঃ

হলো আবিষ্কার,হলো নামকরণ ও ,এবার পালা চূড়োয় চড়া।আমরা জানি যারা পাহাড় থেকে পাহাড়ে ঘুরে বেড়া তাদেরকে পর্বতারোহী বলা হয়।তাদের নেশা পেশা সবই এই পাহাড়কে ঘিরেই।এই খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে সকল অদম্য সাহসী পর্বতারোহীরা উঠে পড়ে লেগে গেলেন এভারেস্ট জয় করার জন্য।নানা দেশ থেকে নানা পর্বতারোহী এসে ভিড় জমাতে লাগলেন এভারেস্টের দেশ নেপালে।তবে আবিষ্কারের ও আগে ব্রিটিশরা ১৯২১ সালের অভিযানে হিমালয়ে প্রত্যাবর্তন করে। এতে জর্জ ফিনচ প্রথমবারের মত অক্সিজেন ব্যবহার করে পর্বতারোহণ করেন। তার আরোহণের গতি ছিলো বিস্ময়কর – ঘন্টায় প্রায় ৯৫০ ফুট (২৯০ মি)। তিনি ৮,৩২০ মিটার (২৭,৩০০ ফুট) ওপরে ওঠেন, যা ছিল সর্বপ্রথম কোনো মানুষের ৮,০০ মিটারের বেশি উচুতে আরোহণ। ম্যালোরি এবং কর্ণেল ফেলিক্স দ্বিতীয়বারের মতো ব্যর্থ অভিযান করেন। ম্যালোরির নেতৃত্বাধীন দলটি উত্তরের গিরিখাত বেয়ে নামতে গিয়ে ভূমিধ্বসের কবলে পড়ে এবং সাতজন পর্বতারোহী নিহত হয়।এভাবে চলতে থাকে আরো ৩২ বছর।এর মধ্যে অনেকে প্রাণ হারান এভারেস্ট জয় করতে গিয়ে।কিন্তু কেউই থেমে থাকেন নি একের পর এক অভিজান তারা চালু করেন।

এমন সময় ১৮৫৩ সালে এক পর্বতারোহী জেনে যান যে এভারেস্টই পৃথিবীর সবচেয়ে উচু পাহাড়।ব্যস রওনা দিলেন এভারেস্টের উদ্দেশ্য।জানেন এই লোকটি কে?ঠিক বলেছেন তিনিই ছিলেন এডমন্ড হিলারি।জন্মস্থান ছিল তার নিউজিল্যান্ডে।



সুদুর নিউজিল্যান্ডে থেকে তিনি চলে আসেন নেপালে।খুজতে থাকেন একজন সঙ্গী।পেয়েও যান।আর সেই সঙ্গীই ছিলো নেপালের লোকের কাছে দেবতাতূল্য "তেনজিং নরগে"।



এই দুইজন মিলে শুরু করেন অসম্ভবকে সম্ভব করার মিশন।তবে এর আগে ১৯৫২ সালে তেনজিং নোরক দক্ষিণ-পূর্ব রিজের হয়ে ৮,৫৯৫ মিটার (২৮,১৯৯ ফুট) ওপরে ওঠেন, যা ছিল এভারেস্ট বিজয়ের আগে উচ্চতা আরোহণে মানুষের নতুন রেকর্ড।তিনি তার এই অভিজ্ঞতা ১৯৫৩ সালের মিশনে কাজে লাগান।

১৯৫৩ সাল ব্রিটিশ অভিযাত্রীক দল খুজতে থাকেন সাহসী দুই পর্বতারোহীকে।সে সুবাদে তারা পেয়ে যান এডমন্ড হিলারি ও তেনজিং নরগেকে।
gg


তারা ১৯৫৩ সালের ২৮ শে মে রওনা দেন এভারেস্ট জয়ের উদ্দেশ্যে।সকাল ৭ টা ৩০ মিনিটে তারা শুরু করেন তাদের অভিজান।এর মধ্যে অনেক প্রতিকূলতা,বাধা বিপত্তি না মেনে চলতে থাকেন আবিরাম।সে সুবাদেই ১৯ মে ১৯৫৩ সালের ২৯ মে সকাল ১১ টা ৩০ মিনিটে পৃথিবীর প্রথম মানুষ হিসেবে পা রাখেন এভারেস্টের চূড়োয়।তবে এডমন্ড হিলারিই সবার আগে উঠেন হিমালয়ে।তখন নেরগে ছিলেন তার চেয়ে মাত্র ১০০ মিটার নিচে। এভাবেই মানুষ প্রথম জয় করে এভারেস্টের মত অসম্ভব এক জগতকে।


fff

এভারেস্ট জয় করার খবর পেয়ে তাদের সংবধনা দেয়ার জন্য সূদূর লন্ডন থকে রানী ২য় এলিজাবেথ নেপালে এসে তাদেরকে বীর হিসাবে আখ্যায়িত করেন।আর নেপালের সবাইতো তেনজিংকে তাদের দেবতা হিসাবেই মানে।

তাদের এই জয়ের পরে থেমে আর থেমে থাকেনি জয়ের ধারা।সেই থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ২ শ’র বেশি পর্বতারোহী উঠেছেন এভারেস্টে।সেখানে আমাদের দেশকেও উজ্জ্বল করেছেন বাংলাদেশের দামাল ছেলে মুসা ইব্রাহিম। এ বছরের ২৩ মে তিনি জয় করে ফিরেন এভারেস্ট।



কে এই মুসা ইব্রাহিম

mi

পেশায় একজন সাংবাদিক এই মুসা ইব্রাহিম।জন্ম তার জন্ম ১৯৭৯ সালে লালমনিরহাটের মোগলহাটে।বাবা আনসার আলী ও মা বিলকিস বেগম। ঠাকুরগাঁওয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে মাস্টার্স করেন মুসা। মাস্টার্স করেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও। বর্তমানে তিনি ডেইলি স্টার-এ সহ-সম্পাদক হিসেবে কর্মরত।



২০০২ সালে অন্নপূর্ণা ট্রেইলে অভিযানের মধ্য দিয়ে মুসা স্বপ্নপূরণের পথে অগ্রসর হন। সেবার উঠেছিলেন ১২ হাজার ৪৬৪ ফুট। এরপর তিনি একটার পর একটা পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণ ও অভিযানে অংশ নিতে থাকেন। তিনি হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে দুই দফায় গত ছয় বছরে দুটো পেশাদারি পর্বতারোহণের প্রশিক্ষণ নেন। গত বছর জুনে তিনি ও তাঁর সহযোগী তৌহিদ হোসেন অন্নপূর্ণা-৪-এর শিখর জয় করেন প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে।নিচে তার হিমালয় জয়ের কাহিনী তুলে ধরা হলো কালের কন্ঠ থেকে পাওয়া একটি ফিচার থেকে।



২০০৭ সালের ২৯ অক্টোবর গড়ে তোলেন 'বাংলাদেশ নর্থ আলপাইন ক্লাব (বিএনএসি)'। এ সংগঠন গড়ার পরই স্বপ্ন বাস্তবায়নের একটা রূপরেখা তৈরি করেন। স্থির করেন, ২০১০ সালের মধ্যেই এভারেস্ট অভিযান করবেন। প্রস্তুতি হিসেবে বেশ কিছু পর্বতে অভিযানে যান। শেষে সমস্যা দাঁড়ায় টাকা নিয়ে। বাংলাদেশে বসে অভিযানের প্রয়োজনীয় অর্থ ও রসদ সংগ্রহ করাও আরেকটা এভারেস্ট জয়ের সমান। এই বাঁধাও পেরোলেন মুসা। এই অভিযানের খরচের একটি বড় অংশ দিয়েছেন বোন নূর আয়শা। পাশাপাশি অনেক ঘোরাঘুরি করে, বন্ধুবান্ধবের সাহায্যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে রাজি করিয়ে ২০১০ সালের মার্চে অভিযানে নেমে পড়লেন। লক্ষ্য একটাই এভারেস্টের চূড়ায় ওড়াবেন দেশের পতাকা।



এভারেস্টের উদ্দেশে মুসা ঢাকা ছাড়েন গত ৮ এপ্রিল। প্রথমে যান কাঠমান্ডু। সেখান থেকে তিব্বত। তিব্বত থেকে সংগ্রহ করেন পর্বতারোহণের পারমিট। কারণ টাকার অঙ্কটা কম। নেপাল থেকে পারমিট নিতে লাগে ২৫ হাজার মার্কিন ডলার, আর তিব্বত থেকে ১০ হাজার। বেইস ক্যাম্প থেকে তিনি ট্রেকিং শুরু করেন ২০ এপ্রিল। গন্তব্যে পৌছাতে লাগে এক মাসের বেশি সময়। ভালো আবহাওয়ার অপেক্ষায় সময় চলে যায়।



২৩ মে সকালে ওঠেন চূড়ায়। সেখানে ছিলেন ২৫ মিনিটের মতো। ২৪ মে মুসা ও তাঁর সঙ্গীরা অগ্রবর্তী বেইস ক্যাম্পে পৌছেন। বেইস ক্যাম্পে পৌছেন ২৫ মে বিকেলে। এ অভিযানে বড় ধরনের বিপদে পড়েছিলেন তিনি। উত্তরাংশের দ্বিতীয় ধাপে গিয়ে তাঁর অক্সিজেন মাস্কের পাইপ ছিদ্র হয়ে যায়। তিনি নিঃশ্বাস নিতে পারছিলেন না। কিন্তু শেরপারা সেটি সঙ্গে সঙ্গে ঠিক করে ফেলে। এ যাত্রায় এভাবেই উদ্ধার পান তিনি।



বাংলাদেশের পতাকা হাতে এভারেস্টের চূড়ায় মুসা সাথে শেরপা সোম বাহাদুর তামাং (ডানে)

তিনি প্রথম বাংলাদেশী হিসাবে এভারেস্টে উড়ান বাংলাদেশর পতাকা।তার সঙ্গী হিসাবে ছিলেন নেপালের ২ জন শেরপা সোম বাহাদুর তামাং এবং গনেশ মাগার।তারা মোট ২৬ জনের একটি দল একসাথে এই অভিজানে নামেন।এর মধ্যে ১৪ জন নেপালি শেরপা ছাড়াও এভারেস্ট বিজয়ীদের ওই দলে ছয়জন যুক্তরাজ্য, তিনজন মন্টেনিগ্রো ও একজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।আমাদের অনেক গর্ব আজ মুসা ইব্রাহিমকে নিয়ে।

বসবাসের সবচেয়ে ভালো জায়গা নরওয়ে

বিশ্বের বসবাসের সবচেয়ে ভালো জায়গা তেলসমৃদ্ধ দেশ নরওয়ে। আর সবচেয়ে খারাপ জিম্বাবুয়ে। যেখানে আছে অর্থনৈতিক সঙ্কটের পাশাপাশি এইডস এর প্রকোপ।




বৃহস্পতিবার প্রকাশিত জাতিসংঘের একটি বার্ষিক মানবিক উন্নয়ন সূচক একথাই বলছে।



জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)'র এ সূচকে বিশ্বের দেশগুলোর ক্রমতালিকায় নরওয়ের পাশাপাশি শীর্ষ স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড।



আর সর্বনিুে রয়েছে নাইজার, ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো এবং সবশেষে জিম্বাবুয়ে।



এ সূচকে আরো দেখা গেছে, মানুষের গড় আয়ুর দিক থেকে এগিয়ে আছে জাপান। জাপানিরা ৮৩ বছরের বেশি বাঁচে। অন্যদিকে, আফগানিস্তানে গড় আয়ু সবচেয়ে কম ৪৪ বছরেরর কিছু বেশি।



সূচকে যুক্তরাষ্ট্র গত বছর ১৩ তম স্থানে থাকলেও এ বছর উঠে এসেছে ৪ নম্বরে।

চিতা কিভাবে এত দ্রুত দৌড়াতে পারে?

একটি ‘ফেরারী এনজো’ সেকেন্ডে প্রায় ৮ মিটার গতি তুলতে পারে। আর একটি চিতা তুলতে পারে সেকেন্ডে প্রায় ১০ মিটার। প্রথম তিন লাফে এর গতি উঠে যায় ঘন্টায় ৬০ কিলোমিটার এর বেশি! এর বিশেষভাবে তৈরি দেহ নিয়ে এটি ঘন্টায় সর্বোচ্চ প্রায় ১১২ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে সক্ষম যা সত্যি অবাক করার মত। স্থলচর প্রানীদের মধ্যে চিতা সবচেয়ে বেশি দ্রুতগতি সম্পন্ন। খুব দ্রুত দৌড়াতে পারলেও এটি একটানা খুব বেশি দৌড়াতে পারে না। আর তাই শিকার ধরার ক্ষেত্রে দ্রুতগতিই এর ভরসা। স্বভাবতই প্রশ্ন জাগতে পারে, চিতা কি কারনে এত দ্রুত দৌড়াতে পারে।


2010-11-11_235803

চিতা বিড়াল গোষ্ঠির প্রানী। এটি দেখতে অনেকটা লেপার্ড এর মত তবে আকৃতিতে ছোট। চিতা সাধারনত দৈর্ঘ্যে ৪ ফিট এবং উচ্চতায় ৩ ফিট এর মত হয়। এর লম্বা লেজটি দ্রুত দৌড়ানোর সময় গতি নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে। যে কোন প্রানী যেটি তিন লাফে ৬০ কিলোমিটার গতি তুলতে পারে, তার দেহ অবশ্যই এর জন্য বিশেষায়িত। চিতার ওজন হয় সাধারনত ১২৫ পাউন্ড যা বিড়াল গোষ্ঠীর অন্যান্য শিকারী প্রানী থেকে অনেক কম। এর দেহের আকৃতি ‘এরোডায়নামিক’। অর্থাৎ চোটার সময় এটিকে খুব একটা বাতাসের বাধায় পড়তে হয় না। ‘এরোডায়নামিক’ আকৃতি এর উদাহরন হিসেবে বলা যায় উড়োজাহাজ। এর পাতলা শরীর, ছোট মাথা এবং চিকন লম্বা পা বাতাসের দ্বারা খুব একটা বাধাপ্রাপ্ত হয় না।

2010-11-12_000118

দৌড়ানোর সময় বাতাসে ভেসে থাকা চিতা, যদিও এক সেকন্ডের কম সময়ের জন্য



চিতার চোখগুলোও একটু চওড়া হয় যাতে এটি দ্রুতগতিতে দৌড়ানোর সময় চারপাশের দৃশ্যপট এটির দৃষ্টিসীমায় থাকে। দ্রুত দৌড়ানোর সময় শরীরে প্রচুর রক্ত পাম্প করার জন্য চিতার রয়েছে একটি শক্তিশালী হৃদপিন্ড। এর বড় আকৃতির ফুসফুস বেশি বাতাস ধারন করতে পারে যা দ্রুত দৌড়ানোর ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়। এর লম্বা লেজটি দৌড়ানোর সময় দিক নিয়ন্ত্রন এবং ওজনের ভারসাম্য রক্ষা করে। ফলে ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে দৌড়ানোর সময় এর শরীর ঘুরে যায় না বা নিয়ন্ত্রন হারায় না।

2010-11-12_000138

দ্রুতগতি সম্পন্ন ছোট প্রানী ধরার ক্ষেত্রে চিতা বেশি পারদর্শী
দ্রুত দৌড়াতে পারলেও এটি খুব বেশিক্ষন ছুটতে পারে না। সর্বোচ্চ গতিতে এটি প্রায় ৩০ সেকেন্ড এর মত দৌড়াতে পারে। এরপর এর শরীর এতটাই গরম এবং ক্লান্ত হয়ে যায় যে, এটিকে কিছুক্ষন বিস্রাম করতে হয় আগের অবস্থায় ফিরে আসার জন্য। অনেক সময় এটি শিকার ধরার পর সাথে সাথে খেতে পারে না ক্লান্তির জন্য। আর তখন সিংহ বা এ জাতীয় বড় শীকারি প্রানি এসে এদের শিকার নিয়ে যায়। আর স্বভাবত সিংহের সাথে লড়াই করার ক্ষমতা চিতার নেই। মূলত দ্রুত দৌড়ানো ছাড়া চিতার আর কোন বিশেষ গুন নেই। এটি মোটেও শক্তিশালী নয় এবং শিকার নিয়ে অন্য প্রানীর সাথে মারামারির চাইতে পালিয়ে যেতেই পছন্দ করে। এ ক্ষেত্রে অনেক সময় এটি গাছে চড়ে শিংহ জাতীয় প্রানী থেকে রক্ষা পায়। যদিও বলা হয় চিতা একমাত্র বিড়াল গোষ্টীর প্রানী যেটি গাছে চড়তে পারে না। কারন এর পায়ের তালু বিড়ালের মত নয় বরং অনেকটা কুকুর এর মত। তবে ঠেকায় পড়লে বাঘেও ঘাস খায় প্রবাদের মত চিতাও ঠেকায় পড়লে গাছে ওঠে। তবে গাছে চড়ার ক্ষেত্রে ওস্তাদ ‘লেপার্ড’ এর সংগে চিতার গাছে চড়াকে কোনভাবেই তুলনা করা যাবে না। লেপার্ড নিজে তো গাছে উঠেই অনেক সময় বড় আকৃতির শিকার নিয়েও গাছে উঠে যায় যাতে সিংহের মত অলস শিকারিরা তার শিকার ছিনিয়ে নিতে না পারে

সাপ যখন আকাশে উড়ে

সাপ কি আকাশে উড়তে পারে? পারে বৈকি। তবে সব গুলো নয়। মোটামুটি ৫ প্রজাতির সাপ উড়তে পারে। তবে এই উড়াকে পাখির আকাশে উড়ার সাথে তুলনা করা যাবে না। সাপের উড়ার পদ্ধতি অনেকটা গ্লাইডিং এর মত। মোটামুটি ৮০ ফিট দূরত্ব অতিক্রম করতে সক্ষম এরা। লাফ দেয়ার সময় এরা সরাসরি নিচের দিকে না পড়ে কিছুটা সামনের দিকে এগিয়ে যায়। অনেকটা গ্লাইডার এর মত এরা একটি গাছ থেকে আরেকটি গাছে উড়ে যায়।


2010-12-02_181037


বিজ্ঞানিরা সাপের উড়ার ছবি এবং ভিডিও ধারন করেছেন। তারা গবেষনা করেছেন সাপ কিভাবে এই কাজটি করে থাকে। ‘আমেরিকান ফিজিক্যাল সোসাইটি’ লং বিচে হওয়া এক মিটিং এ বিশ্লেষন করার চেস্টা করেছেন সাপের উড়ার পদ্ধতিটি। তাদের মতে, উড়ার সময় সাপ তাদের ওজন কমিয়ে ফেলছে না বা অসম্ভব কিছুও করছে না। এধরনের সাপগুলো শরীরের আকৃতি অনেকটা ভোঁতা যা উর্ধমূখী বাতাসের দ্বারা কিছুটা বাধাপ্রাপ্ত হয়। আর সাপের আকৃতি অনেকটা এরো ডায়নামিক অর্থাৎ দ্রুতগতিতে সামনের দিকে যাওয়ার সময় বাতাসের দ্বারা খুব একটা বাধাপ্রাপ্ত হয় না। চিতা কিভাবে দ্রুত দৌড়াতে পারে এই সম্পর্কিত একটি পোস্টে এরো ডায়নামিক শেপ নিয়ে লেখা হয়েছে। এধরনের সাপগুলো একটু বেশি শক্তিশালী হয়ে থাকে। উড়ার পূর্বে এরা শরীরকে বিশেষ একটি আকৃতিতে নিয়ে আসে এবং তীব্র বেগে সামনের দিকে ছুঁড়ে দেয়। এরপর শরীরকে আগ-পিছ করে বাতাসের সাথে একটি সামঞ্জস্যতা তৈরি করে নেয় যা এটিকে অনেকটা সামনের দিকে নিয়ে যায়।

একদল বায়োলজিস্ট উড়ন্ত সাপকে ৪৯ ফিট উঁচু টাওয়ার থেকে ছেড়ে দেয়া এবং এর উড়ার দৃশ্যটি ভাল মানের ক্যামেরায় ধারন করা হয়। এরপর সেই ভিডিও বিশ্লেষন করে তারা বিভিন্ন তথ্য বের করেন। সাপের উড়ার এই পদ্ধতির উপর নির্ভর করে বিশেষ ধরনের আকাশযান তৈরির কথাও তারা ভাবছেন যেটি কম জ্বালানি খরচ করবে।

সাগরতলের সবচেয়ে বিপজ্জনক ৫টি হাঙ্গর

পানিতে বসবাসকারী শিকারী প্রানীগুলোর মধ্যে হাঙ্গরই সবচেয়ে বেশি পরিচিত। হিংস্রতার দিক দিয়েও এর তুলনা হয় না। হাঙ্গর কি আসলেই বিপজ্জনক? গবেষকরা বলে থাকেন, কোন হাঙ্গর যেটি ৬ ফিট এর বেশি লম্বা সেটি মানুষের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। কারন এটি আকারে বড়, সুগঠিত চোয়াল এবং শক্ত দাঁতের অধিকারী। মূলত গ্রেইট হোয়াইট এবং বুল শার্ক জাতীয় হাঙ্গরগুলো ছাড়া অন্যান্য হাঙ্গরগুলো মানুষ থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করে। এবার আসা যাক কোন কোন হাঙ্গরগুলো আপনার সমূদ্র স্নান দূঃস্বপ্নে পরিনত করতে পারে।




১. শর্টফিন ম্যাকাওঃ

সবচেয়ে দ্রুতগতি সম্পন্ন এই হাঙ্গর অনেক সময় মাছ ধরার নৌকা আক্রমন করে থাকে। এর এক কামড়ে একটি নৌকা যতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাতে এটি ডুবে যেতে ২-৩ মিনিট সময় লাগে। এই জন্য শর্টফিন ম্যাকাও জেলেদের জন্য সবচেয়ে

most-dangerous-shark-2

বিপজ্জনক হাঙ্গর। অনেক সময় জেলেরাও এর জন্য বিপজ্জনক। ম্যাকাও যদি কখনো বর্শিতে আটকা পড়ে তখন এটি খুবই আক্রমনাত্নক হয়ে ওঠে। এটি সাধারনত গভীর পানিতে বাস করে। আর তাই তীরে সাঁতার কাটা সাঁতারুদের চাইতে জেলে অথবা ডুবুরিদের এর দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার আশংকা বেশি থাকে।



২. ওশানিক হোয়াইটটিপঃ

হোয়াইটটিপ সাগরতলের বড় প্রানীগুলোর মধ্যে একটি। যদিও এটি মানুষকে আক্রমন করার ইতিহাস খুব একটা নেই। যখন কোন যুদ্ধের নৌযান শত্রু দ্বারা আক্রান্ত হয়ে ডুবে যায়, তখন গভীর পানিতে থাকা এই হাঙ্গর অনেক সময়
060609_075817_echeng2473

যোদ্ধাদের শত্রু হয়ে ওঠে। এটি যখন শিকার ধরে তখন অন্য কোন দিকে খেয়াল থাকে না। এই জন্যই মূলত একে বিপজ্জনক হাঙ্গর এর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।



৩. টাইগার শার্কঃ

মানুষের বদলে টাইগার শার্ক মূলত জুতা, টিনের কৌটা, ব্যাগ, সিগারেটের প্যাকেট এগুলো খেতেই বেশি পছন্দ করে। কারন এর পেটে প্রায়ই এগুলো পাওয়া যায়। যেখানে অন্যান্য হাঙ্গররা কোন মানুষ পেলে হয়ত একটি কামড় দিয়ে দেখবে এটি খাওয়ার যোগ্য কিনা, সেখানে টাইগার শার্ক এক কামড় দিয়ে কোন মতেই ছেড়ে দেবেনা। আর এটি যদি একবার
Tiger-Shark-Roger-Horrocks2

খাওয়া চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে সেটি কারো জন্যই খুব একটা সুখকর হবেনা। এর চোয়ালে ইলাস্টিক পেশী রয়েছে। যার কারনে এটি স্বাভাবিক এর চাইতে বড় কামড় দিতে পারে। এটির ক্ষুরের মত ধারালো শক্ত দাঁতের কাছে যেকোন কিছু হার মানতে বাধ্য। অনেক সময় এটি শক্ত খোলসে ঢাকা সামদ্রিক কচ্ছপ খেতেও দ্বিধা করে না।

৪. বুল শার্কঃ

এর নাম থেকেই এর স্বভাব সম্পর্কে ধারনা করা যাচ্ছে। ষাঁড়ের মত আক্রমন করতেই এরা বেশি পছন্দ করে। বুল শার্ক দ্বারা আক্রান্ত হওয়া এক ব্যক্তি এটিকে ট্রাক দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সাথে তুলনা করেছেন। মিঠা পানি এবং লবনাক্ত পানি
bull-shark-1

সবখানেই এদের দেখা যায়। স্বাধারনত তীরের কাছের অগভীর পানিতেই এদের বেশি পাওয়া যায়।



৫. গ্রেইট হোয়াইটঃ

হোয়াইট বলা হলেও গ্রেইট হোয়াইট কিন্তু পুরপুরি সাদা নয়। এর পেটের দিকটি সাদা এবং পিঠের দিকটি গাড় ধূসর রঙের হয়ে থাকে। ‘মাইন্ডলেস কিলিং মেশিন’ নামে পরিচিত গ্রেইট হোয়াইট শার্ক সম্পর্কে প্রায় সবাই জানে। এটি মানুষের প্রতি খুবই আগ্রহী এবং কামড় দিয়ে পরখ করে দেখে এটিকে খাদ্য হিসেবে গ্রহন করা যায় কিনা। মানুষ এবং নৌযানে আক্রমন করার
great-white-shark-1

কুখ্যাতি রয়েছে এর অনেক। যদিও অনেক গবেষকরা বলে থাকেন পানির নিচ থেকে সার্ফ বোর্ডকে দেখতে সীল মাছের মত দেখায় বিধায় এটি ভুল করে সার্ফ বোর্ড আক্রমন করে। তবে মানুষের চাইতে সীল মাছের চর্বিযুক্ত নরম মাংসই এদের বেশি পছন্দ। এটি এক কামড়ে ৯ থেকে ১৪ কেজি মাংস মুখে পুরে ফেলতে পারে। ৫ কিলোমিটার দূর থেকে সামান্য রক্তের আভাস পেলে এটি ছুটে আসতে পারে।



আপনারা যারা ‘Jaws’ অথবা ‘Deep Blue Sea’ এর মত হাঙ্গরের মুভি দেখেছেন তারা এর আক্রমন এবং ধংস ক্ষমতা সম্পর্কে সহজেই ধারনা করতে পারেন। মুভিতে যতটুকু দেখানো হয়েছে বাস্তবে হাঙ্গর কিন্তু এর চাইতে কম বিপজ্জনক নয়।