ইসলাম লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ইসলাম লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
পবিত্র হারাম শরীফ যখন যুদ্ধক্ষেত্র: কি ঘটেছিল সেদিন মক্কা শরীফে (ছবিসহ)..........
কাবা শরীফের কিশওয়া কাহিনী
পুরুষের জন্য ১৪ জন মেয়ের সঙ্গে আজীবন বিবাহ হারাম
আমাদের ইসলাম ধর্মের নিয় অনুসারে আমরা ১৪ জন মেয়েকে কখনো নিজের জীবন সঙ্গিনী হিসেবে নিতে পারবো না। যারা এখনো সঠিক ভাবে জানেন না যে কারা সেই ১৪ জন।
১/ মা,
২/ পিতার মা-দাদী,
৩/মাতার মা-নানী,
৪/স্ত্রী মা-শাশুড়ি,
৫/দুধ মা,
৬/বোন,
৭/দুধ বোন,
৮/পিতার বোন-ফুফী,
৯/মাতার বোন-খালা,
১০/মেয়ে
১/ মা,
২/ পিতার মা-দাদী,
৩/মাতার মা-নানী,
৪/স্ত্রী মা-শাশুড়ি,
৫/দুধ মা,
৬/বোন,
৭/দুধ বোন,
৮/পিতার বোন-ফুফী,
৯/মাতার বোন-খালা,
১০/মেয়ে
১১/ভায়ের মেয়ে-ভাইজী,
১২/বোনের মেয়ে-ভাগিনী, উক্ত তিন মেয়ের
১৩/নাতনী,
১৪/পুতনী।
মুক্তিযুদ্ধ ও কিছু কথা-২
স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াস নিয়ে আমি আমার মুক্তিযুদ্ধ ও কিছু কথা-১ শিরোনামে আলোচনা করেছি, এখানে আমরা আলোচনায় নিয়ে আসবো এমন দুইজন জীবিত ব্যক্তির নাম যারা আমার দৃষ্টিতে জাতীয় বীর কিন্তু উনারা নিজেদের আড়াল করে লুকিয়ে রেখেছেন এক বিশাল অজানা সত্য ইতিহাস। উনাদের এই অজানা সত্য ইতিহাস লুকিয়ে রাখার অপরাধে যদি কেউ কেউ তাদেরকে জাতীয় বীর থেকে নামিয়ে দাঁড় করিয়ে দেয় আসামীর কাঠগড়ায় তবে কি খুব বেশি অন্যায় হবে?
আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি কখনোই তা অন্যায় হবে না কারন তাদের চুপ থাকর জন্যই আজ স্বাধীনতার ৪২ বছর পরও মুক্তিযুদ্ধের এক বিশাল অধ্যায় রয়ে গেছে অজানা সৃষ্টি হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের বিকৃত ইতিহাস। এই যে বিকৃত
আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি কখনোই তা অন্যায় হবে না কারন তাদের চুপ থাকর জন্যই আজ স্বাধীনতার ৪২ বছর পরও মুক্তিযুদ্ধের এক বিশাল অধ্যায় রয়ে গেছে অজানা সৃষ্টি হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের বিকৃত ইতিহাস। এই যে বিকৃত
সউদী রাজপরিবার: কে তাদের প্রকৃত পূর্বপুরুষ?
সউদী রাজপরিবার: কে তাদের প্রকৃত পূর্বপুরুষ? সত্যিই কি সউদী রাজ পরিবার “আনজা বিন ওয়াইল” গোত্রের সদস্য, যা তারা দাবি করে থাকে? তারা কি প্রকৃতপক্ষে ইসলাম ধর্মের অনুসারী? আসলেই কি তারা আরব বংশোদ্ভূত?
উপরের প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর সউদী রাজ পরিবারের অনেক দাবির উপর কলঙ্ক আরোপ করবে এবং যুক্তির দ্বারা অনেক মিথ্যা উদ্ধৃতি খণ্ডন করবে।
উপরের প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর সউদী রাজ পরিবারের অনেক দাবির উপর কলঙ্ক আরোপ করবে এবং যুক্তির দ্বারা অনেক মিথ্যা উদ্ধৃতি খণ্ডন করবে।
ইসলামী আইনে উত্তরাধীকারী সম্পদে একজন নারীর অংশ একজন পুরুষের অর্ধেক কেন
ক. কুরআনে উত্তরাধিকার
যথাযোগ্য প্রাপকের মধ্যে উত্তরাধিকারী সম্পদ বন্টনের সুনির্দিষ্ট এবং বিস্তারিত নির্দেশনা জ্যোতীর্ময় কুরআনে বিধৃত আছে।
উত্তরাধিকার সংক্রান্ত কুরআনে আয়াত সমূহঃ
সূরা বাকারাঃ ১৮০
সূরাবাকারাঃ ২৪০
সূরানিসাঃ ৭-৯
সূরানিসাঃ ১৯
সূরানিসাঃ ৩৩
সূরামায়েদাহঃ ১০৬-১০৮
খ. আত্মীয় স্বজনের জন্য উত্তরাধিকারের সুনির্দিষ্ট অংশ
কুরআনের তিনখানি আয়াতে বিস্তারিতভাবে নিকটাত্মীয়দের অংশ বর্ননা করা হয়েছে।
তোমাদের সন্তানদের ব্যাপারে আল্লাহ তোমাদেরকে এই বিধান দিচ্ছেনঃ পুরুষের অংশ দুই নারীর সমান হবে। (উত্তরাধিকারী) যদি দুই জনের বেশি নারী হয় তাহলে সম্পদের দুই তৃতীয়াংশ দেয়া হবে। আর একজন নারী হলে মোট সম্পদে অর্ধেক পাবে। মৃত ব্যক্তির সন্তান থাকলে তার পিতা-মাতা প্রত্যেক ছয় ভাগের এক ভাগ করে পাবে। আর সে যদি নিঃসন্তান হয় পিতা-মাতাই হয় উত্তরাধিকারী তাহলে মাকে দেয়া হবে তিন ভাগের এক ভাগ। মৃতের ভাই বোন থাকলে মা সেই ছয় ভাগের এক ভাগই পাবে। এসব বণ্টন মৃতের কোনো অসীয়ত থাকলে তা এবং ঋণ থাকলে তা আদায় করার পরে।
তোমাদের পিতা-মাতা এবং তোমাদের সন্তান-সন্ততী, তোমাদের জানা নাই এদের মধ্যে তোমাদের কল্যাণের দিক দিয়ে কারা ঘনিষ্ঠতর। এই বণ্টন ব্যবস্থা ফরয করে দেয়া হয়েছে (তোমাদের জন্য) আল্লাহর পক্ষ থেকে। আল্লাহ তো সব কিছুর ব্যাপারেই পূর্ণ অবহিত এবং মহামহীম জ্ঞানের আধার। আর তোমাদের স্ত্রীরা যা কিছু রেখে গেছে, তার অর্ধেক তোমরা পাবে যদি তারা নিঃসন্তান হয়। সন্তান থাকলে তোমরা পাবে ত্যাক্ত সম্পত্তির চারভাগের এক ভাগ- তাদের করে যাওয়া অসীয়ত এবং দেনা থাকলে তা সব আদায়ের পরে। আর (তোমরা মরে গেলে) তোমাদের রেখে যাওয়া সম্পদের তারা পাবে চার ভাগের একভাগ যদি তোমাদের কোনো সন্তান না থাকে। সন্তান থাকলে তারা পাবে আট ভাগের একভাগ। তা-ও কার্যকর হবে তোমাদের কোনো অসীয়ত এবং দেনা থাকলে তা আদায়ের পর।
আর যদি এমন কোনো পুরুষ অথবা স্ত্রীলোক (সম্পদ রেখে মারা যায়) যার না আছে কোনো সন্তান আর না আছে পিতা-মাতা। আছে এক ভাই অথবা এক বোন তাহলে তাদের প্রত্যেক (কোনো পার্থক্য ছাড়া) পাবে ছয় ভাগের এক ভাগ। আর ভাই বোন যদি দুই এর বেশি হয় তাহলে তারা সবাই মিলে মোট সম্পদের তিন ভাগের একভাগ পাবে। তা-ও কোনো অসীয়ত এবং ঋণ থাকলে তা আদায়ের পরে। কোনো ভাবেই কারো কোনো ক্ষতি করা বা হতে দেয়া যাবে না। (এসব কিছু) আল্লাহর দেয়া উপদেশ মালা। আর আল্লাহ সব কিছুর ব্যাপারেই পূর্ণ অবহিত এবং পরম ধৈর্য্যশীল। (সূরা নিসাঃ ১১-১২)
তারা আপনার কাছে ফতোয়া জানতে চায়। বলুন, আল্লাহ তোমাদেরকে ফতোয়া দিচ্ছেন- নিঃসন্তান ও পিতৃ-মাতৃহীন মৃত ব্যক্তির সম্পদ বণ্টন সম্পর্কে। যদি এমন ব্যক্তি মারা যায়, যার কোনো সন্তান নেই, আছে এক বোন। তাহলে সে (বোন) পাবে সম্পদের অর্ধেক আর যদি (এরকম কোনো) বোন মারা যায় তাহলে ভাই পুরো সম্পদের উত্তরাধিকারী হবে। মৃতের উত্তরাধীকারী যদি দুই বোন হয় তাহলে ত্যাক্ত সম্পত্তির তিন ভাগের দুই ভাগের দুই ভাগ তারা পাবে। আর যদি কয়েকজন ভাই বোন হয় তাহলে পুরুষের অংশ নারীর অংশের দু’জনার সমান।
আল্লাহ (এই সব জটিল বিষয়গুলো খুলে) স্পষ্ট করে দিচ্ছেন তোমাদের জন্য যেন তোমরা বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে না যাও। প্রত্যেকটি জিনিস সম্পর্কেই আল্লাহ পূর্ণ অবহিত। (সূরা নিসাঃ১৭৬)
গ. প্রতিপক্ষ পুরুষের তুলনায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে নারী সমান অথবা বেশির অধিকারী হয়
অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারী অধিকারী হয় প্রতিপক্ষ পুরুষের অর্ধেক। যাই হোক এটা কিন্তু সর্বক্ষেত্রে নয়। মৃত ব্যক্তি এমন, যার পিতা-মাতও নেই, পুত্র কন্যাও নেই। আছে বৈপিত্রীয় ভাই ও বোন। এদের প্রত্যেকে এক ষষ্টমাংশ করে পাবে।
মৃতের পুত্র কন্যা থাকলে মাত-পিতা উভয়ে এক ষষ্টমাংশ করে পাবে। ক্ষেত্র বিশেষে নারী উত্তরাধিকার হয় পুরুষে দ্বিগুন। মৃত যদি একজন নারী হয় যার না কোনো সন্তান আছে ভাই বোন, আছে স্বামী এবং মা ও বাবা। এখানে মৃত্যের স্বামী পাবে অর্ধেক সম্পদ এবং পাবে এক তৃতীয়াংশ বাবা পাবে এক ষষ্টমাংশ। বিশেষ এই ক্ষেত্রটিতে বাবার তুলনায় মা দ্বিগুন পাচ্ছে।
ঘ. নারী সাধারণত পুরুষের অর্ধেক অংশের উত্তরাধিকারী হয়
১. পুত্র যতটুকু উত্তরাধিকারী হয় কন্যা তার অর্ধেক।
২.মৃতের কোনো সন্তান না-থাকলে স্বামী চারের এক অংশ এবং স্ত্রী আটের এক অংশ।
৩.মৃতের সন্তান থাকলে স্বামী দুইয়ের এক অংশ স্ত্রী চারের এক অংশ।
৪.যদি মৃতের পিতা-মাতা অথবা সন্তান না থাকে তাহলে ভাই যা পাবে বোন পাবে তার অর্ধেক।
ঙ. পুরুষ নারীর চাইতে দ্বিগুন সম্পদের উত্তরাধিকারী হয়, কারণ সে পরিবারের আর্থিক প্রয়োজনের যোগানদাতা।
ইসলাম নারীর ওপরে কোনো আর্থিক বাধ্যবাধকতা এবং অর্থনৈতিক দায়দায়িত্ব নেই যা পুরুষের কাঁধে ন্যাস্ত আছে। যে কোনো মেয়ের বিয়ের আগে পর্যন্ত থাকা, খাওয়া, কাপড়-চোপড় এবং অন্যান্য আর্থিক প্রয়োজনের যোগানদাতা তার বাবা অথবা ভাই। বিবাহের পরে এসব দায়িত্ব স্বামীর অথবা পুত্রের। ইসলাম পুরুষের ওপরই তার পরিবারের আর্থিক প্রয়োজন পূরণের দায়-দায়িত্ব চাপিয়ে দ্বিগুণ অংশ দেয়া হয়েছে।
উদাহরণ স্বরুপ এক পুত্র ও এক কন্যা এবং নগদ এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা রেখে এক লোকমারা গেল। এখন উত্তরাধিকার বণ্টনে পুত্র মালিক হলো পূর্ণ এক লক্ষ টাকার আর কন্যা পেলো মাত্র পঞ্চাশ হাজার টাকা। কিন্তু পরিবারে যাবতীয় আর্থিক প্রয়োজন পূরণের দায় এখন পুত্রের ঘাড়ে। সে সব প্রয়োজন পূরণে পুত্রকে প্রায়সব টাকাই ব্যায় করে ফেলতে হচেছ। অথবা ধরা যাক প্রায় আশি হাজার টাকা ব্যায় করে এখন তার কাছে আছে মাত্র বিশ হাজার টাকা। অপরদিকে কন্যা যে পেয়েছে পঞ্চাশ হাজার টাকা তা থেকে কারো জন্য একটি পয়সা খরচ করার কোনো দায়-দায়িত্ব তার ওপরে নেই এবং সে বাধ্যও নয়। অর্থাৎ সম্পূর্ণ টাকাটাই তার কাছে গচ্ছিত আছে।
যথাযোগ্য প্রাপকের মধ্যে উত্তরাধিকারী সম্পদ বন্টনের সুনির্দিষ্ট এবং বিস্তারিত নির্দেশনা জ্যোতীর্ময় কুরআনে বিধৃত আছে।
উত্তরাধিকার সংক্রান্ত কুরআনে আয়াত সমূহঃ
সূরা বাকারাঃ ১৮০
সূরাবাকারাঃ ২৪০
সূরানিসাঃ ৭-৯
সূরানিসাঃ ১৯
সূরানিসাঃ ৩৩
সূরামায়েদাহঃ ১০৬-১০৮
খ. আত্মীয় স্বজনের জন্য উত্তরাধিকারের সুনির্দিষ্ট অংশ
কুরআনের তিনখানি আয়াতে বিস্তারিতভাবে নিকটাত্মীয়দের অংশ বর্ননা করা হয়েছে।
তোমাদের সন্তানদের ব্যাপারে আল্লাহ তোমাদেরকে এই বিধান দিচ্ছেনঃ পুরুষের অংশ দুই নারীর সমান হবে। (উত্তরাধিকারী) যদি দুই জনের বেশি নারী হয় তাহলে সম্পদের দুই তৃতীয়াংশ দেয়া হবে। আর একজন নারী হলে মোট সম্পদে অর্ধেক পাবে। মৃত ব্যক্তির সন্তান থাকলে তার পিতা-মাতা প্রত্যেক ছয় ভাগের এক ভাগ করে পাবে। আর সে যদি নিঃসন্তান হয় পিতা-মাতাই হয় উত্তরাধিকারী তাহলে মাকে দেয়া হবে তিন ভাগের এক ভাগ। মৃতের ভাই বোন থাকলে মা সেই ছয় ভাগের এক ভাগই পাবে। এসব বণ্টন মৃতের কোনো অসীয়ত থাকলে তা এবং ঋণ থাকলে তা আদায় করার পরে।
তোমাদের পিতা-মাতা এবং তোমাদের সন্তান-সন্ততী, তোমাদের জানা নাই এদের মধ্যে তোমাদের কল্যাণের দিক দিয়ে কারা ঘনিষ্ঠতর। এই বণ্টন ব্যবস্থা ফরয করে দেয়া হয়েছে (তোমাদের জন্য) আল্লাহর পক্ষ থেকে। আল্লাহ তো সব কিছুর ব্যাপারেই পূর্ণ অবহিত এবং মহামহীম জ্ঞানের আধার। আর তোমাদের স্ত্রীরা যা কিছু রেখে গেছে, তার অর্ধেক তোমরা পাবে যদি তারা নিঃসন্তান হয়। সন্তান থাকলে তোমরা পাবে ত্যাক্ত সম্পত্তির চারভাগের এক ভাগ- তাদের করে যাওয়া অসীয়ত এবং দেনা থাকলে তা সব আদায়ের পরে। আর (তোমরা মরে গেলে) তোমাদের রেখে যাওয়া সম্পদের তারা পাবে চার ভাগের একভাগ যদি তোমাদের কোনো সন্তান না থাকে। সন্তান থাকলে তারা পাবে আট ভাগের একভাগ। তা-ও কার্যকর হবে তোমাদের কোনো অসীয়ত এবং দেনা থাকলে তা আদায়ের পর।
আর যদি এমন কোনো পুরুষ অথবা স্ত্রীলোক (সম্পদ রেখে মারা যায়) যার না আছে কোনো সন্তান আর না আছে পিতা-মাতা। আছে এক ভাই অথবা এক বোন তাহলে তাদের প্রত্যেক (কোনো পার্থক্য ছাড়া) পাবে ছয় ভাগের এক ভাগ। আর ভাই বোন যদি দুই এর বেশি হয় তাহলে তারা সবাই মিলে মোট সম্পদের তিন ভাগের একভাগ পাবে। তা-ও কোনো অসীয়ত এবং ঋণ থাকলে তা আদায়ের পরে। কোনো ভাবেই কারো কোনো ক্ষতি করা বা হতে দেয়া যাবে না। (এসব কিছু) আল্লাহর দেয়া উপদেশ মালা। আর আল্লাহ সব কিছুর ব্যাপারেই পূর্ণ অবহিত এবং পরম ধৈর্য্যশীল। (সূরা নিসাঃ ১১-১২)
তারা আপনার কাছে ফতোয়া জানতে চায়। বলুন, আল্লাহ তোমাদেরকে ফতোয়া দিচ্ছেন- নিঃসন্তান ও পিতৃ-মাতৃহীন মৃত ব্যক্তির সম্পদ বণ্টন সম্পর্কে। যদি এমন ব্যক্তি মারা যায়, যার কোনো সন্তান নেই, আছে এক বোন। তাহলে সে (বোন) পাবে সম্পদের অর্ধেক আর যদি (এরকম কোনো) বোন মারা যায় তাহলে ভাই পুরো সম্পদের উত্তরাধিকারী হবে। মৃতের উত্তরাধীকারী যদি দুই বোন হয় তাহলে ত্যাক্ত সম্পত্তির তিন ভাগের দুই ভাগের দুই ভাগ তারা পাবে। আর যদি কয়েকজন ভাই বোন হয় তাহলে পুরুষের অংশ নারীর অংশের দু’জনার সমান।
আল্লাহ (এই সব জটিল বিষয়গুলো খুলে) স্পষ্ট করে দিচ্ছেন তোমাদের জন্য যেন তোমরা বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে না যাও। প্রত্যেকটি জিনিস সম্পর্কেই আল্লাহ পূর্ণ অবহিত। (সূরা নিসাঃ১৭৬)
গ. প্রতিপক্ষ পুরুষের তুলনায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে নারী সমান অথবা বেশির অধিকারী হয়
অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারী অধিকারী হয় প্রতিপক্ষ পুরুষের অর্ধেক। যাই হোক এটা কিন্তু সর্বক্ষেত্রে নয়। মৃত ব্যক্তি এমন, যার পিতা-মাতও নেই, পুত্র কন্যাও নেই। আছে বৈপিত্রীয় ভাই ও বোন। এদের প্রত্যেকে এক ষষ্টমাংশ করে পাবে।
মৃতের পুত্র কন্যা থাকলে মাত-পিতা উভয়ে এক ষষ্টমাংশ করে পাবে। ক্ষেত্র বিশেষে নারী উত্তরাধিকার হয় পুরুষে দ্বিগুন। মৃত যদি একজন নারী হয় যার না কোনো সন্তান আছে ভাই বোন, আছে স্বামী এবং মা ও বাবা। এখানে মৃত্যের স্বামী পাবে অর্ধেক সম্পদ এবং পাবে এক তৃতীয়াংশ বাবা পাবে এক ষষ্টমাংশ। বিশেষ এই ক্ষেত্রটিতে বাবার তুলনায় মা দ্বিগুন পাচ্ছে।
ঘ. নারী সাধারণত পুরুষের অর্ধেক অংশের উত্তরাধিকারী হয়
১. পুত্র যতটুকু উত্তরাধিকারী হয় কন্যা তার অর্ধেক।
২.মৃতের কোনো সন্তান না-থাকলে স্বামী চারের এক অংশ এবং স্ত্রী আটের এক অংশ।
৩.মৃতের সন্তান থাকলে স্বামী দুইয়ের এক অংশ স্ত্রী চারের এক অংশ।
৪.যদি মৃতের পিতা-মাতা অথবা সন্তান না থাকে তাহলে ভাই যা পাবে বোন পাবে তার অর্ধেক।
ঙ. পুরুষ নারীর চাইতে দ্বিগুন সম্পদের উত্তরাধিকারী হয়, কারণ সে পরিবারের আর্থিক প্রয়োজনের যোগানদাতা।
ইসলাম নারীর ওপরে কোনো আর্থিক বাধ্যবাধকতা এবং অর্থনৈতিক দায়দায়িত্ব নেই যা পুরুষের কাঁধে ন্যাস্ত আছে। যে কোনো মেয়ের বিয়ের আগে পর্যন্ত থাকা, খাওয়া, কাপড়-চোপড় এবং অন্যান্য আর্থিক প্রয়োজনের যোগানদাতা তার বাবা অথবা ভাই। বিবাহের পরে এসব দায়িত্ব স্বামীর অথবা পুত্রের। ইসলাম পুরুষের ওপরই তার পরিবারের আর্থিক প্রয়োজন পূরণের দায়-দায়িত্ব চাপিয়ে দ্বিগুণ অংশ দেয়া হয়েছে।
উদাহরণ স্বরুপ এক পুত্র ও এক কন্যা এবং নগদ এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা রেখে এক লোকমারা গেল। এখন উত্তরাধিকার বণ্টনে পুত্র মালিক হলো পূর্ণ এক লক্ষ টাকার আর কন্যা পেলো মাত্র পঞ্চাশ হাজার টাকা। কিন্তু পরিবারে যাবতীয় আর্থিক প্রয়োজন পূরণের দায় এখন পুত্রের ঘাড়ে। সে সব প্রয়োজন পূরণে পুত্রকে প্রায়সব টাকাই ব্যায় করে ফেলতে হচেছ। অথবা ধরা যাক প্রায় আশি হাজার টাকা ব্যায় করে এখন তার কাছে আছে মাত্র বিশ হাজার টাকা। অপরদিকে কন্যা যে পেয়েছে পঞ্চাশ হাজার টাকা তা থেকে কারো জন্য একটি পয়সা খরচ করার কোনো দায়-দায়িত্ব তার ওপরে নেই এবং সে বাধ্যও নয়। অর্থাৎ সম্পূর্ণ টাকাটাই তার কাছে গচ্ছিত আছে।
যে সকল মহিলাকে বিবাহ করা হারাম
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বংশ পরম্পরায় মানব প্রজন্মকে দুনিয়ায় টিকিয়ে রেখে দুনিয়াকে আবাদ রাখার জন্য বিবাহ বন্ধনকে বৈধ করেছেন। এটাকে আল্লাহ তাআলার একটা গুরুত্বপূর্ণ নীতি ও সিস্টেম। এ ছাড়া বিবাহের মাধ্যমে দাম্পত্য জীবন গঠন করা নবীদেরও সুন্নত।
আল্লাহ তাআলা বলেন:
ﮜ ﮝ ﮞ ﮟ ﮠ ﮡ ﮢ ﮣ ﮤﮥ ﯔ الرعد: ٣٨
অর্থাৎ, নিশ্চয় আপনার পুর্বে অনেক রাসুলকে প্রেরণ করেছি। আমি তাদেরকে স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান করেছি। (সুরা রা'দ ৩৮)
বিশ্বনবী মুহাম্মদ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের আদর্শ। আমাদের জীবনে আমরা কোন কাজ কিভাবে করব রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেটি দেখিয়ে দিয়ে গেছেন।
হাদীস শরীফে এসেছে:
عن أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يَقُولُ جَاءَ ثَلَاثَةُ رَهْطٍ إِلَى بُيُوتِ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْأَلُونَ عَنْ عِبَادَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا أُخْبِرُوا كَأَنَّهُمْ تَقَالُّوهَا فَقَالُوا وَأَيْنَ نَحْنُ مِنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَا تَأَخَّرَ قَالَ أَحَدُهُمْ أَمَّا أَنَا فَإِنِّي أُصَلِّي اللَّيْلَ أَبَدًا وَقَالَ آخَرُ أَنَا أَصُومُ الدَّهْرَ وَلَا أُفْطِرُ وَقَالَ آخَرُ أَنَا أَعْتَزِلُ النِّسَاءَ فَلَا أَتَزَوَّجُ أَبَدًا فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهِمْ فَقَالَ أَنْتُمْ الَّذِينَ قُلْتُمْ كَذَا وَكَذَا أَمَا وَاللَّهِ إِنِّي لَأَخْشَاكُمْ لِلَّهِ وَأَتْقَاكُمْ لَهُ لَكِنِّي أَصُومُ وَأُفْطِرُ وَأُصَلِّي وَأَرْقُدُ وَأَتَزَوَّجُ النِّسَاءَ فَمَنْ رَغِبَ عَنْ سُنَّتِي فَلَيْسَ مِنِّي
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রীদের বাড়ীতে তিনজন লোক আসল। তারা রাসুল রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইবাদাত সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করল-তার ইবাদাত কেমন ছিল? তারা রাসুল রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইবাদাত সম্পর্কে তাদেরকে জানালে তারা সেটাকে খুবই কম মনে করলেন। তারা বললেন: কোথায় নবী (মর্যাদার দিক থেকে) আর কোথায় আমরা? কারণ, আল্লাহ তাআলা নবীজী রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পুর্ব ও পরবর্তী সব গুনাহ ক্ষমা করার ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের একজন বলল: আমি এখন থেকে সর্বদা সারারাত নামাজ পড়ব। দ্বিতীয়জন বলল: আমি এখন থেকে আজীবন (সাওমে দাহর) রোজা রাখতে থাকব। রোজা ভাঙ্গবো না। তৃতীয়জন বলল: আমি নারী সংগ থেকে দূরে থাকব আজীবন, বিবাহ করব না কখনো। অতঃপর রাসুল রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের কাছে এসে বললেন: তোমরা এমন সব কথা বলছিলে! জেনে রাখ! আল্লাহর কসম! আমি তোমাদের থেকে আল্লাহকে অনেক বেশী ভয় করি। এতদসত্ত্বেও আমি রোজা রাখি আবার রোজা ছেড়ে দিই, নামাজ পড়ি, ঘুমাই এবং বিবাহ করি। যে ব্যক্তি আমার এ সুন্নাত থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে সে আমার উম্মত নয়। (বুখারী )
রাসুল রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ مَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمُ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ لَهُ وِجَاء
হে যুবকেরা! তোমাদের মধ্যকার যে সামর্থবান সে যেন বিবাহ করে। কেননা, তা তার দৃষ্টি নিম্নগামী রাখতে ও লজ্জাস্থানকে হেফাজত করায় সহায়ক হয়। আর যে বিবাহের সামর্থ রাখে না, সে যেন (তার পরিবর্তে) রোজা রাখে। কেননা, তা তার জন্য ঢালস্বরূপ (অনেক অপরাধ হতে রক্ষা করে)। (বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, দারেমী, নাসায়ী, মুসনাদে আহমদ)
এবার আসুন! আমরা দেখে নিই কাদেরকে বিবাহ করা বৈধ এবং কাদেরকে বিবাহ করা বৈধ নয়।
আল্লাহ তায়ালা এ সম্বন্ধে কুরআন মজীদে বলেন:
ﮃ ﮄ ﮅ ﮆ ﮇ ﮈ ﮉ ﮊ ﮋ ﮌ ﮍ ﮎ ﮏ ﮐ ﮑ ﮒ ﮓ ﮔ ﮕ ﮖ ﮗ ﮘ ﮙ ﮚ ﮛ ﮜ ﮝ ﮞ ﮟ ﮠ ﮡ ﮢ ﮣ ﮤ ﮥ ﮦ ﮧ ﮨ ﮩ ﮪ ﮫ ﮬ ﮭ ﮮ ﮯ ﮰ ﮱ ﯓ ﯔﯕ ﯖ ﯗ ﯘ ﯙ ﯚ ﯛ ﭑ ﭒ ﭓ ﭔ ﭕ ﭖ ﭗ ﭘﭙ ﭚ ﭛ ﭜﭝ ﭞ ﭟ ﭠ ﭡ ﭢ ﮁ النساء: ٢٣ - ٢٤
অর্থাৎ, তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতা,কন্যা, বোন, ফুফু, খালা, ভাইয়ের মেয়ে, বোনের মেয়ে, দুধমাতা, দুধ বোন, শাশুড়ী, দৈহিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে এমন স্ত্রীর অন্য ঘরের যে কন্যা তোমার লালন পালনে আছে; যদি তাদের সাথে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপিত না হয় তাহলে, তাকে বিবাহ করাতে দোষ নেই। এ ছাড়া তোমাদের ঐরসজাত পুত্রের স্ত্রী, ও একত্রে দুই সহদরা বোনকে বিবাহাধীনে রাখা। তবে, আয়াত নাযিলের পুর্বে যা হয়ে গেছে তা আলাদা। নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। আর (শরীয়ত সম্মত পন্থায় প্রাপ্ত) ক্রীতদাসী ব্যতিত বিবাহিতা (যে অন্যের বিবাহাধীনে আছে) মহিলাদেরকেও তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে। এদের বাইরে যে কোন (মুসলিম বা আহলে কিতাব) মহিলাকে তোমাদের জন্য বিবাহ করা বৈধ করা হয়েছে। এটা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট। (সুরা নিসা: ২৩-২৪)
যে সমস্ত মহিলাদেরকে বিবাহ করা হারাম তাদেরকে দু'টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
• স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ মহিলা : তারা তিন শ্রেণীর।
ক.বংশগত কারণে নিষিদ্ধ: তারা হচ্ছেন-
১. মাতা
২. দাদী
৩. নানী
৪. নিজের মেয়ে, ছেলের মেয়ে, মেয়ের মেয়ে যত নিচেই যাক না কেন।
৫. আপন বোন, বৈমাত্রেয় বোন ও বৈপিত্রেয় বোন।
৬. নিজের ফুফু, পিতা, মাতা, দাদা, দাদী, নানা ও নানীর ফুফু।
৭. নিজের খালা, পিতা, মাতা, দাদা, দাদী, নানা ও নানীর খালা।
৮. আপন ভাই, বৈমাত্রেয় ভাই ও বৈপিত্রেয় ভাই ও তাদের অধঃতন ছেলেদের কন্যা।
৯. আপন বোন, বৈমাত্রেয় বোন ও বৈপিত্রেয় বোন ও তাদের অধঃতন মেয়েদের কন্যা।
খ. দুগ্ধ সম্বন্ধীয় কারণে নিষিদ্ধ:
বংশগত কারণে যাদেরকে বিবাহ করা নিষিদ্ধ দুগ্ধ সম্বন্ধের কারণেও তারা নিষিদ্ধ। তবে, শর্ত হচ্ছে-
গ. বৈবাহিক সম্বন্ধের কারণে নিষিদ্ধ:
১. পিতা, দাদা ও নানা (যতই উপরে যাক না কেন) যাদেরকে বিবাহ করেছেন।
২. কোন পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর দৈহিক সম্পর্ক স্থাপিত হোক বা না হোক উক্ত পুরুষের পুত্র-পোত্র বা প্রপোত্রের সাথে মহিলার বিবাহ নিষিদ্ধ।
৩. কোন পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর দৈহিক সম্পর্ক স্থাপিত হোক বা না হোক উক্ত পুরুষের পিতা-দাদা বা নানার সাথে মহিলার বিবাহ নিষিদ্ধ।
৪. শাশুড়ী। মহিলার সাথে বিবাহ হলেই তার মাতা ও দাদী বা নানী হারাম হয়ে যাবে। দৈহিক সম্পর্ক স্থাপিত হোক বা না হোক।
৫. স্ত্রীর সাথে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপিত হলেই তার কন্যা, তার পুত্রের কন্যা ইত্যদি হারাম হয়ে যাবে।
• সাময়িক ভাবে নিষিদ্ধ মহিলা:
সাময়িক কারণে কখনো কখনো মহিলাকে বিবাহ করা নিষিদ্ধ হয়ে থাকে। উক্ত কারণ দূর হয়ে গেলে তাকে বিবাহ করা বৈধ হবে।
১. কোন মহিলাকে বিবাহ করলেই তার আপন বোন, ফুফু, খালাকে বিবাহ করা হারাম গণ্য হবে। তবে, তাকে যখন তালাক দিয়ে দেবে কিংবা, স্বামী মারা যাবে এবং সে ইদ্দত শেষ করবে, তখন তাকে সে বিবাহ করতে পারবে।
২. যে মহিলা অন্যের বিবাহাধীনে ছিল। তাকে স্বামী তালাক দিয়েছে কিংবা মারা গেছে এবং সে ইদ্দত পালন করছে; এমতাবস্থায় তাকে বিবাহ করা নিষিদ্ধ। ইদ্দত শেষ হয়ে গেলেই বিবাহ করতে পারবে।
অনেকে জিজ্ঞাসা করে থাকেন যে,খালাতো,মামাতো,ফুফাতো বা চাচাতো বোনকে বিবাহ করা যাবে কিনা?
তার উত্তর হচ্ছে- আসলে আল্লাহ তায়ালা উপরোক্ত আয়াতে যাদের সাথে বিবাহ করা নিষিদ্ধ সকলের কথাই বলে দিয়েছেন। খালাতো,মামাতো,ফুফাতো বা চাচাতো বোন তাদের মধ্যকার কেউ নন। অতএব, তাদেরকে বিবাহ করা বৈধ।
এমনকি, চাচা মারা গেলে বা তালাক দিয়ে দিলে চাচীকে বিবাহ করার বৈধতাও ইসলাম দিয়েছে। তবে, তাদেরকে বিবাহ করবেন কি করবেন না সেটা আপনার ইচ্ছা।
সুত্র:www.islamhouse.com
আল্লাহ তাআলা বলেন:
ﮜ ﮝ ﮞ ﮟ ﮠ ﮡ ﮢ ﮣ ﮤﮥ ﯔ الرعد: ٣٨
অর্থাৎ, নিশ্চয় আপনার পুর্বে অনেক রাসুলকে প্রেরণ করেছি। আমি তাদেরকে স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান করেছি। (সুরা রা'দ ৩৮)
বিশ্বনবী মুহাম্মদ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের আদর্শ। আমাদের জীবনে আমরা কোন কাজ কিভাবে করব রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেটি দেখিয়ে দিয়ে গেছেন।
হাদীস শরীফে এসেছে:
عن أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يَقُولُ جَاءَ ثَلَاثَةُ رَهْطٍ إِلَى بُيُوتِ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْأَلُونَ عَنْ عِبَادَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا أُخْبِرُوا كَأَنَّهُمْ تَقَالُّوهَا فَقَالُوا وَأَيْنَ نَحْنُ مِنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَا تَأَخَّرَ قَالَ أَحَدُهُمْ أَمَّا أَنَا فَإِنِّي أُصَلِّي اللَّيْلَ أَبَدًا وَقَالَ آخَرُ أَنَا أَصُومُ الدَّهْرَ وَلَا أُفْطِرُ وَقَالَ آخَرُ أَنَا أَعْتَزِلُ النِّسَاءَ فَلَا أَتَزَوَّجُ أَبَدًا فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهِمْ فَقَالَ أَنْتُمْ الَّذِينَ قُلْتُمْ كَذَا وَكَذَا أَمَا وَاللَّهِ إِنِّي لَأَخْشَاكُمْ لِلَّهِ وَأَتْقَاكُمْ لَهُ لَكِنِّي أَصُومُ وَأُفْطِرُ وَأُصَلِّي وَأَرْقُدُ وَأَتَزَوَّجُ النِّسَاءَ فَمَنْ رَغِبَ عَنْ سُنَّتِي فَلَيْسَ مِنِّي
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রীদের বাড়ীতে তিনজন লোক আসল। তারা রাসুল রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইবাদাত সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করল-তার ইবাদাত কেমন ছিল? তারা রাসুল রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইবাদাত সম্পর্কে তাদেরকে জানালে তারা সেটাকে খুবই কম মনে করলেন। তারা বললেন: কোথায় নবী (মর্যাদার দিক থেকে) আর কোথায় আমরা? কারণ, আল্লাহ তাআলা নবীজী রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পুর্ব ও পরবর্তী সব গুনাহ ক্ষমা করার ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের একজন বলল: আমি এখন থেকে সর্বদা সারারাত নামাজ পড়ব। দ্বিতীয়জন বলল: আমি এখন থেকে আজীবন (সাওমে দাহর) রোজা রাখতে থাকব। রোজা ভাঙ্গবো না। তৃতীয়জন বলল: আমি নারী সংগ থেকে দূরে থাকব আজীবন, বিবাহ করব না কখনো। অতঃপর রাসুল রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের কাছে এসে বললেন: তোমরা এমন সব কথা বলছিলে! জেনে রাখ! আল্লাহর কসম! আমি তোমাদের থেকে আল্লাহকে অনেক বেশী ভয় করি। এতদসত্ত্বেও আমি রোজা রাখি আবার রোজা ছেড়ে দিই, নামাজ পড়ি, ঘুমাই এবং বিবাহ করি। যে ব্যক্তি আমার এ সুন্নাত থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে সে আমার উম্মত নয়। (বুখারী )
রাসুল রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ مَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمُ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ لَهُ وِجَاء
হে যুবকেরা! তোমাদের মধ্যকার যে সামর্থবান সে যেন বিবাহ করে। কেননা, তা তার দৃষ্টি নিম্নগামী রাখতে ও লজ্জাস্থানকে হেফাজত করায় সহায়ক হয়। আর যে বিবাহের সামর্থ রাখে না, সে যেন (তার পরিবর্তে) রোজা রাখে। কেননা, তা তার জন্য ঢালস্বরূপ (অনেক অপরাধ হতে রক্ষা করে)। (বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, দারেমী, নাসায়ী, মুসনাদে আহমদ)
এবার আসুন! আমরা দেখে নিই কাদেরকে বিবাহ করা বৈধ এবং কাদেরকে বিবাহ করা বৈধ নয়।
আল্লাহ তায়ালা এ সম্বন্ধে কুরআন মজীদে বলেন:
ﮃ ﮄ ﮅ ﮆ ﮇ ﮈ ﮉ ﮊ ﮋ ﮌ ﮍ ﮎ ﮏ ﮐ ﮑ ﮒ ﮓ ﮔ ﮕ ﮖ ﮗ ﮘ ﮙ ﮚ ﮛ ﮜ ﮝ ﮞ ﮟ ﮠ ﮡ ﮢ ﮣ ﮤ ﮥ ﮦ ﮧ ﮨ ﮩ ﮪ ﮫ ﮬ ﮭ ﮮ ﮯ ﮰ ﮱ ﯓ ﯔﯕ ﯖ ﯗ ﯘ ﯙ ﯚ ﯛ ﭑ ﭒ ﭓ ﭔ ﭕ ﭖ ﭗ ﭘﭙ ﭚ ﭛ ﭜﭝ ﭞ ﭟ ﭠ ﭡ ﭢ ﮁ النساء: ٢٣ - ٢٤
অর্থাৎ, তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতা,কন্যা, বোন, ফুফু, খালা, ভাইয়ের মেয়ে, বোনের মেয়ে, দুধমাতা, দুধ বোন, শাশুড়ী, দৈহিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে এমন স্ত্রীর অন্য ঘরের যে কন্যা তোমার লালন পালনে আছে; যদি তাদের সাথে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপিত না হয় তাহলে, তাকে বিবাহ করাতে দোষ নেই। এ ছাড়া তোমাদের ঐরসজাত পুত্রের স্ত্রী, ও একত্রে দুই সহদরা বোনকে বিবাহাধীনে রাখা। তবে, আয়াত নাযিলের পুর্বে যা হয়ে গেছে তা আলাদা। নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। আর (শরীয়ত সম্মত পন্থায় প্রাপ্ত) ক্রীতদাসী ব্যতিত বিবাহিতা (যে অন্যের বিবাহাধীনে আছে) মহিলাদেরকেও তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে। এদের বাইরে যে কোন (মুসলিম বা আহলে কিতাব) মহিলাকে তোমাদের জন্য বিবাহ করা বৈধ করা হয়েছে। এটা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট। (সুরা নিসা: ২৩-২৪)
যে সমস্ত মহিলাদেরকে বিবাহ করা হারাম তাদেরকে দু'টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
• স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ মহিলা : তারা তিন শ্রেণীর।
ক.বংশগত কারণে নিষিদ্ধ: তারা হচ্ছেন-
১. মাতা
২. দাদী
৩. নানী
৪. নিজের মেয়ে, ছেলের মেয়ে, মেয়ের মেয়ে যত নিচেই যাক না কেন।
৫. আপন বোন, বৈমাত্রেয় বোন ও বৈপিত্রেয় বোন।
৬. নিজের ফুফু, পিতা, মাতা, দাদা, দাদী, নানা ও নানীর ফুফু।
৭. নিজের খালা, পিতা, মাতা, দাদা, দাদী, নানা ও নানীর খালা।
৮. আপন ভাই, বৈমাত্রেয় ভাই ও বৈপিত্রেয় ভাই ও তাদের অধঃতন ছেলেদের কন্যা।
৯. আপন বোন, বৈমাত্রেয় বোন ও বৈপিত্রেয় বোন ও তাদের অধঃতন মেয়েদের কন্যা।
খ. দুগ্ধ সম্বন্ধীয় কারণে নিষিদ্ধ:
বংশগত কারণে যাদেরকে বিবাহ করা নিষিদ্ধ দুগ্ধ সম্বন্ধের কারণেও তারা নিষিদ্ধ। তবে, শর্ত হচ্ছে-
গ. বৈবাহিক সম্বন্ধের কারণে নিষিদ্ধ:
১. পিতা, দাদা ও নানা (যতই উপরে যাক না কেন) যাদেরকে বিবাহ করেছেন।
২. কোন পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর দৈহিক সম্পর্ক স্থাপিত হোক বা না হোক উক্ত পুরুষের পুত্র-পোত্র বা প্রপোত্রের সাথে মহিলার বিবাহ নিষিদ্ধ।
৩. কোন পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর দৈহিক সম্পর্ক স্থাপিত হোক বা না হোক উক্ত পুরুষের পিতা-দাদা বা নানার সাথে মহিলার বিবাহ নিষিদ্ধ।
৪. শাশুড়ী। মহিলার সাথে বিবাহ হলেই তার মাতা ও দাদী বা নানী হারাম হয়ে যাবে। দৈহিক সম্পর্ক স্থাপিত হোক বা না হোক।
৫. স্ত্রীর সাথে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপিত হলেই তার কন্যা, তার পুত্রের কন্যা ইত্যদি হারাম হয়ে যাবে।
• সাময়িক ভাবে নিষিদ্ধ মহিলা:
সাময়িক কারণে কখনো কখনো মহিলাকে বিবাহ করা নিষিদ্ধ হয়ে থাকে। উক্ত কারণ দূর হয়ে গেলে তাকে বিবাহ করা বৈধ হবে।
১. কোন মহিলাকে বিবাহ করলেই তার আপন বোন, ফুফু, খালাকে বিবাহ করা হারাম গণ্য হবে। তবে, তাকে যখন তালাক দিয়ে দেবে কিংবা, স্বামী মারা যাবে এবং সে ইদ্দত শেষ করবে, তখন তাকে সে বিবাহ করতে পারবে।
২. যে মহিলা অন্যের বিবাহাধীনে ছিল। তাকে স্বামী তালাক দিয়েছে কিংবা মারা গেছে এবং সে ইদ্দত পালন করছে; এমতাবস্থায় তাকে বিবাহ করা নিষিদ্ধ। ইদ্দত শেষ হয়ে গেলেই বিবাহ করতে পারবে।
অনেকে জিজ্ঞাসা করে থাকেন যে,খালাতো,মামাতো,ফুফাতো বা চাচাতো বোনকে বিবাহ করা যাবে কিনা?
তার উত্তর হচ্ছে- আসলে আল্লাহ তায়ালা উপরোক্ত আয়াতে যাদের সাথে বিবাহ করা নিষিদ্ধ সকলের কথাই বলে দিয়েছেন। খালাতো,মামাতো,ফুফাতো বা চাচাতো বোন তাদের মধ্যকার কেউ নন। অতএব, তাদেরকে বিবাহ করা বৈধ।
এমনকি, চাচা মারা গেলে বা তালাক দিয়ে দিলে চাচীকে বিবাহ করার বৈধতাও ইসলাম দিয়েছে। তবে, তাদেরকে বিবাহ করবেন কি করবেন না সেটা আপনার ইচ্ছা।
সুত্র:www.islamhouse.com
বাংলায় সহজে কুরআন পড়ুন এবং আয়াত অনুসন্ধান করুন
Yaseen
ইয়া-সীন
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ يس
وَالْقُرْآنِ الْحَكِيمِ
Waalqurani alhakeemi
প্রজ্ঞাময় কোরআনের কসম।
Innaka lamina almursaleena
নিশ্চয় আপনি প্রেরিত রসূলগণের একজন।
إِنَّكَ لَمِنَ الْمُرْسَلِينَ
বাংলায় সহজে কুরআন পড়ুন এবং আয়াত অনুসন্ধান করুন
http://www.mumenoon.net/bangeli/
ইয়া-সীন
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ يس
وَالْقُرْآنِ الْحَكِيمِ
Waalqurani alhakeemi
প্রজ্ঞাময় কোরআনের কসম।
Innaka lamina almursaleena
নিশ্চয় আপনি প্রেরিত রসূলগণের একজন।
إِنَّكَ لَمِنَ الْمُرْسَلِينَ
বাংলায় সহজে কুরআন পড়ুন এবং আয়াত অনুসন্ধান করুন
http://www.mumenoon.net/bangeli/
হজ্জ ও কুরবানী সংক্রান্ত কয়েকটি প্রশ্নের জবাব
প্রশ্নঃ কুরবানীর জন্য পূর্বে ক্রয় করে রাখা পশু সংসারের অভাবের কারণে বিক্রি করা যাবে কি? এবং পরবর্তীতে উক্ত মূল্যে বা অতিরিক্ত মূল্যে পশু ক্রয় করে কুরবানী করলে বৈধ হবে কি-না জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তরঃ পূর্বে ক্রয় করে রাখা কুরবানীর পশু পরিবারের নিতান্ত অভাবের কারণে বিক্রি করে খরচ করতে পারবে। কেননা পরিবারের খরচ বহন করা তার জন্য আবশ্যক। অতঃপর পরবর্তীতে সামর্থ হলে পশু কিনে কুরবানী করবে। (ইবনে মাযাহ)
প্রশ্নঃ একই পরিবারের পক্ষ থেকে একজন কুরবানী করলে চলবে কি ? নাকি সামর্থবান সদস্যকে কুরবানী একাধিক করতে হবে ?
উত্তরঃ একটি পরিবারে পক্ষ থেকে একটি কুরবানীই যথেষ্ট। (মুসলিম) তবে একটি পরিবারের পক্ষ থেকে একাধিক পশুও কুরবানী করা যায়। রাসূল (সঃ) নিজ হাতে দু’টি শিংওয়ালা দুম্বা কুরবানী করেছেন। ( বুখারী ) বিদায় হজ্জে রাসূল (সঃ) একশ’টি কুরবানী করেছিলেন। ( বুখারী)
প্রশ্নঃ জনৈক হাজী সাহেব হজ্জ শেষে বাড়ি ফিরলেন। কিন্তু মসজিদে তিন দিন অবস্থানের পর বাড়িতে প্রবেশ করলেন। এরূপ বিলম্বে বাড়িতে প্রবেশ কি ঠিক? উত্তর দিয়ে জ্ঞাত করবেন।
উত্তরঃ তিন দিন মসজিদে অবস্থান করার কোন প্রমাণ নেই। তবে সুন্নত হচ্ছে দিনের বেলায় সফর থেকে ফিরে আসলে মসজিদে দু’রাকা‘আত নামাজ আদায় করে সরাসরি বাড়িতে প্রবেশ করা। আর রাত্রি বেলায় আসলে মসজিদে রাত্রি যাপন করে বাড়িতে প্রবেশ করা। আর যদি বাড়ির মানুষ আগে থেকেই আসার ব্যাপারে অবহিত থাকে, তাহলে যে কোন সময় বাড়িতে প্রবেশ করা যায়। রাসূল (সঃ) যখন সফর থেকে বাড়ি ফিরতেন তখন ওযু করে মসজিদে দু’রাকা‘আত নামাজ আদায় করে বাড়িতে প্রবেশ করতেন এবং রাত্রে আসলে মসজিদে রাত্রি যাপন করে সকালে বাড়িতে প্রবেশ করতেন। (আহমদ)
প্রশ্নঃ মৃত ব্যক্তির জন্য হজ্জ করা যায় কি?
উত্তরঃ মৃত ব্যক্তির জন্য হজ্জ করা যায়। বুরায়দা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (সঃ)-এর নিকট বসেছিলাম। ইতোমধ্যে একজন মহিলা এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার মা মারা গেছেন। তাঁর উপর এক মাসের রোযা রয়েছে, আমি কি তাঁর পক্ষ থেকে রোযা পালন করব? রাসূল (সঃ) বললেন, তুমি তার পক্ষ থেকে রোযা পালন কর। মহিলা বলল, তিনি কখনো হজ্জ করেননি, আমি তাঁর পক্ষ থেকে হজ্জ করব? রাসূল (সঃ) বললেন, হাঁ কর। (মুসলিম) উল্লেখ্য যে, মৃত ব্যক্তির পক্ষে হজ্জ করার পূর্বে নিজের হজ্জ করতে হবে। ( আবু দাউদ)
প্রশ্নঃ আমার পূর্ণ নিয়ত ছিল হজ্জ করার। কিন্তু কিছু সমস্যার কারণে হজ্জ করা সম্ভব হচ্ছিল না, হঠাৎ সমস্যা সমাধান হয়ে গেলে বন্ধুর কথা অনুযায়ী ৯ যিলহজ্জ তারিখে ফজরের পরে তার সাথে হজ্জ করার জন্য আরাফায় চলে যাই মদীনার মীকাত হতে। কিন্তু আমি ওমরা করিনি, মীনাতেও অবস্থান করিনি। ৯ তারিখ হতে বাকী সব কাজ করেছি। এমতাবস্থায় আমার হজ্জ হয়েছে কি?
উত্তরঃ প্রশ্নকারীর হজ্জ সম্পাদন হয়েগেছে। কেননা আরাফার দিনই মূলতঃ হজ্জ। ৯ তারিখ আরাফার ময়দানে হজ্জের নিয়তে অবস্থান করলে হজ্জ হয়ে যাবে। আব্দুর রহমান ইবনে ইয়া’মুর আদ-দায়লী বলেন, আমি নবী (সঃ) কে বলতে শুনেছি, আরাফা-ই হচ্ছে হজ্জ। সূর্যোদয়ের পূর্বে যে ব্যক্তি আরাফায় পৌঁছেছে, সে হজ্জ পেয়েছে। ( তিরমিযী আবু দাউদ নাসায়ী)
প্রশ্নঃ ‘হাজরে আসওয়াদ’ পাথরটি কোথায় ছিল, কে নিয়ে আসল, পাথরটি কি প্রকৃতই কালো ? বিস্তারিত জানাবেন।
উত্তরঃ ‘হাজরে আসওয়াদ’ পাথরটি জান্নাতের সাদা চকচকে পাথর ছিল। আদম (আঃ) জান্নাত হতে পৃথিবীতে আসার সময় পাথরটি নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে মানুষের পাপপূর্ণ হস্ত স্পর্শের ফলে তা কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করে। (তাফসীরে ইবনে কাসীর সূরা বাকারা ১২৭ নং আয়াতের তাফসীর) রাসূল (সঃ) বলেন; ‘হাজরে আসওয়াদ’ প্রথমে দুধ বা বরফের চেয়েও মসৃণ অবস্থায় জান্নাত থেকে অবতীর্ণ হয়। অতঃপর বনী আদমের পাপের কারণে তা কালো হতে থাকে। (তিরমিযী)
অন্যত্র রাসূল (সঃ) বলেন; আল্লাহ কিয়ামতের দিন হাজরে আসওয়াদকে এমনভাবে উঠাবেন যে, তার দু’টি চোখ থাকবে, যা দিয়ে সে দেখবে, এবং একটি মুখ থাকবে যা দিয়ে সে কথা বলবে এবং ঐ ব্যক্তির জন্য সাক্ষ্য দেবে যে ব্যক্তি সঠিক অন্তরে তাকে স্পর্শ করেছে। ( ইবনে মাযাহ)
প্রশ্নঃ বদলী হজ্জ যার পক্ষ থেকে করা হয় সে কী পরিমাণ নেকী পাবে এবং যিনি করে দেন তিনি কী পরিমাণ নেকী পাবেন ?
উত্তরঃ বদলী হজ্জ যার পক্ষ থেকে করা হবে তিনি হজ্জের পূর্ণ নেকী পাবেন। ইবনে আব্বাস হতে বর্ণিত; এক ব্যক্তিকে বলতে শুনলেন আমি শুবরুমার পক্ষ থেকে উপস্থিত। তিনি তাকে বললেন; তুমি কি নিজের হজ্জ করেছ? সে বলল না। তিনি বললেন; তাহলে তুমি তোমার হজ্জ কর অতঃপর শুমরুমার পক্ষ থেকে হজ্জ কর। ( আবু দাউদ) বদলী হজ্জ সম্পাদনকারীও পূর্ণ হজ্জের নেকী পাবেন। (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা)
উত্তরঃ পূর্বে ক্রয় করে রাখা কুরবানীর পশু পরিবারের নিতান্ত অভাবের কারণে বিক্রি করে খরচ করতে পারবে। কেননা পরিবারের খরচ বহন করা তার জন্য আবশ্যক। অতঃপর পরবর্তীতে সামর্থ হলে পশু কিনে কুরবানী করবে। (ইবনে মাযাহ)
প্রশ্নঃ একই পরিবারের পক্ষ থেকে একজন কুরবানী করলে চলবে কি ? নাকি সামর্থবান সদস্যকে কুরবানী একাধিক করতে হবে ?
উত্তরঃ একটি পরিবারে পক্ষ থেকে একটি কুরবানীই যথেষ্ট। (মুসলিম) তবে একটি পরিবারের পক্ষ থেকে একাধিক পশুও কুরবানী করা যায়। রাসূল (সঃ) নিজ হাতে দু’টি শিংওয়ালা দুম্বা কুরবানী করেছেন। ( বুখারী ) বিদায় হজ্জে রাসূল (সঃ) একশ’টি কুরবানী করেছিলেন। ( বুখারী)
প্রশ্নঃ জনৈক হাজী সাহেব হজ্জ শেষে বাড়ি ফিরলেন। কিন্তু মসজিদে তিন দিন অবস্থানের পর বাড়িতে প্রবেশ করলেন। এরূপ বিলম্বে বাড়িতে প্রবেশ কি ঠিক? উত্তর দিয়ে জ্ঞাত করবেন।
উত্তরঃ তিন দিন মসজিদে অবস্থান করার কোন প্রমাণ নেই। তবে সুন্নত হচ্ছে দিনের বেলায় সফর থেকে ফিরে আসলে মসজিদে দু’রাকা‘আত নামাজ আদায় করে সরাসরি বাড়িতে প্রবেশ করা। আর রাত্রি বেলায় আসলে মসজিদে রাত্রি যাপন করে বাড়িতে প্রবেশ করা। আর যদি বাড়ির মানুষ আগে থেকেই আসার ব্যাপারে অবহিত থাকে, তাহলে যে কোন সময় বাড়িতে প্রবেশ করা যায়। রাসূল (সঃ) যখন সফর থেকে বাড়ি ফিরতেন তখন ওযু করে মসজিদে দু’রাকা‘আত নামাজ আদায় করে বাড়িতে প্রবেশ করতেন এবং রাত্রে আসলে মসজিদে রাত্রি যাপন করে সকালে বাড়িতে প্রবেশ করতেন। (আহমদ)
প্রশ্নঃ মৃত ব্যক্তির জন্য হজ্জ করা যায় কি?
উত্তরঃ মৃত ব্যক্তির জন্য হজ্জ করা যায়। বুরায়দা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (সঃ)-এর নিকট বসেছিলাম। ইতোমধ্যে একজন মহিলা এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার মা মারা গেছেন। তাঁর উপর এক মাসের রোযা রয়েছে, আমি কি তাঁর পক্ষ থেকে রোযা পালন করব? রাসূল (সঃ) বললেন, তুমি তার পক্ষ থেকে রোযা পালন কর। মহিলা বলল, তিনি কখনো হজ্জ করেননি, আমি তাঁর পক্ষ থেকে হজ্জ করব? রাসূল (সঃ) বললেন, হাঁ কর। (মুসলিম) উল্লেখ্য যে, মৃত ব্যক্তির পক্ষে হজ্জ করার পূর্বে নিজের হজ্জ করতে হবে। ( আবু দাউদ)
প্রশ্নঃ আমার পূর্ণ নিয়ত ছিল হজ্জ করার। কিন্তু কিছু সমস্যার কারণে হজ্জ করা সম্ভব হচ্ছিল না, হঠাৎ সমস্যা সমাধান হয়ে গেলে বন্ধুর কথা অনুযায়ী ৯ যিলহজ্জ তারিখে ফজরের পরে তার সাথে হজ্জ করার জন্য আরাফায় চলে যাই মদীনার মীকাত হতে। কিন্তু আমি ওমরা করিনি, মীনাতেও অবস্থান করিনি। ৯ তারিখ হতে বাকী সব কাজ করেছি। এমতাবস্থায় আমার হজ্জ হয়েছে কি?
উত্তরঃ প্রশ্নকারীর হজ্জ সম্পাদন হয়েগেছে। কেননা আরাফার দিনই মূলতঃ হজ্জ। ৯ তারিখ আরাফার ময়দানে হজ্জের নিয়তে অবস্থান করলে হজ্জ হয়ে যাবে। আব্দুর রহমান ইবনে ইয়া’মুর আদ-দায়লী বলেন, আমি নবী (সঃ) কে বলতে শুনেছি, আরাফা-ই হচ্ছে হজ্জ। সূর্যোদয়ের পূর্বে যে ব্যক্তি আরাফায় পৌঁছেছে, সে হজ্জ পেয়েছে। ( তিরমিযী আবু দাউদ নাসায়ী)
প্রশ্নঃ ‘হাজরে আসওয়াদ’ পাথরটি কোথায় ছিল, কে নিয়ে আসল, পাথরটি কি প্রকৃতই কালো ? বিস্তারিত জানাবেন।
উত্তরঃ ‘হাজরে আসওয়াদ’ পাথরটি জান্নাতের সাদা চকচকে পাথর ছিল। আদম (আঃ) জান্নাত হতে পৃথিবীতে আসার সময় পাথরটি নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে মানুষের পাপপূর্ণ হস্ত স্পর্শের ফলে তা কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করে। (তাফসীরে ইবনে কাসীর সূরা বাকারা ১২৭ নং আয়াতের তাফসীর) রাসূল (সঃ) বলেন; ‘হাজরে আসওয়াদ’ প্রথমে দুধ বা বরফের চেয়েও মসৃণ অবস্থায় জান্নাত থেকে অবতীর্ণ হয়। অতঃপর বনী আদমের পাপের কারণে তা কালো হতে থাকে। (তিরমিযী)
অন্যত্র রাসূল (সঃ) বলেন; আল্লাহ কিয়ামতের দিন হাজরে আসওয়াদকে এমনভাবে উঠাবেন যে, তার দু’টি চোখ থাকবে, যা দিয়ে সে দেখবে, এবং একটি মুখ থাকবে যা দিয়ে সে কথা বলবে এবং ঐ ব্যক্তির জন্য সাক্ষ্য দেবে যে ব্যক্তি সঠিক অন্তরে তাকে স্পর্শ করেছে। ( ইবনে মাযাহ)
প্রশ্নঃ বদলী হজ্জ যার পক্ষ থেকে করা হয় সে কী পরিমাণ নেকী পাবে এবং যিনি করে দেন তিনি কী পরিমাণ নেকী পাবেন ?
উত্তরঃ বদলী হজ্জ যার পক্ষ থেকে করা হবে তিনি হজ্জের পূর্ণ নেকী পাবেন। ইবনে আব্বাস হতে বর্ণিত; এক ব্যক্তিকে বলতে শুনলেন আমি শুবরুমার পক্ষ থেকে উপস্থিত। তিনি তাকে বললেন; তুমি কি নিজের হজ্জ করেছ? সে বলল না। তিনি বললেন; তাহলে তুমি তোমার হজ্জ কর অতঃপর শুমরুমার পক্ষ থেকে হজ্জ কর। ( আবু দাউদ) বদলী হজ্জ সম্পাদনকারীও পূর্ণ হজ্জের নেকী পাবেন। (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা)
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)