দেশ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
দেশ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

জাসদ কাহিনী (৩): চরমপন্থিদের ধ্বংসাত্মক ইতিহাস ১৯৭৪

১৯৭৪ সালের ১৮ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু উদ্বোধনী ভাষণে সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা ও গুপ্তহত্যাকাণ্ডে লিপ্ত উগ্রবামপন্থি, প্রকাশ্য ও গোপন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও গ্রুপগুলোর তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ‘তারা যা করছে তা বিপ্লব নয়, বিপ্লবের বিকৃতি-পারভারসন। নিদ্রিত মানুষকে হত্যা করে আর অন্তর্ঘাত ও নাশকতামূলক তৎপরতা চালিয়ে বিপ্লব হয় না।’
স্বাধীনতার দুই বছর পরও উগ্রচরমপন্থি, স্বাধীনতাবিরোধী, পাকিস্তানপন্থিদের সহিংস ও নাশকতামূলক এবং অন্তর্ঘাতী আচরণ অব্যাহত থাকে। এতে দিনরাত উৎকণ্ঠিত ও আতঙ্কিত হয়ে পড়ে দেশবাসী। চোরাগোপ্তা হামলা, জবাই করা, থানা লুটের সঙ্গে বাজার লুট সবই চলছিল কথিত কমিউনিজম প্রতিষ্ঠার নামে। অথচ এরা কেউই জনসমর্থিত বা আদৌ কমিউনিস্ট ছিল না। এরা মানুষের রক্তপান করতে ভালোবাসত। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে জনগণ বেশ বিচলিত হয়ে পড়েছিল। অস্ত্রের সরবরাহ বাড়ছিল।  বিশেষত চীনে নির্মিত অস্ত্র সংগ্রহ করত এ দেশের মাওবাদীরা। যাদের দলেরও চেয়ারম্যান মাও সে তুং। এবং এরা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ছিল অবিশ্বাসী। এদের পক্ষে প্রকাশ্য অবস্থান নিয়েছিলেন মওলানা ভাসানী। মূলত চরমপন্থিরাও ভাসানীকে আশ্রয় করত সুযোগমতো। তাদের অরাজকতার মাত্রার সঙ্গে ভাসানীর বক্তৃতা-বিবৃতি জনমনে আশঙ্কা তৈরি করে। তাই দেখা যায় ভাসানী ১৯৭৪ সালের ২৯ আগস্ট ঢাকা শহরে হরতাল পালন করেন জনমনে আতঙ্ক বাড়াতে। আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক মন্দা, মুদ্রাস্ফীতি এবং ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের পটভূমিতে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু যখন চরম সর্বনাশের করাল গ্রাস থেকে দেশকে উদ্ধারের পথের সন্ধানে ব্যতিব্যস্ত, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো অবাধ গণতন্ত্রের সুযোগে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের দোহাই দিয়ে

জাসদ কাহিনী (২): ঘাতকরা চারদিকে নিঃশ্বাস ফেলেছিল

জাফর ওয়াজেদ
১৯৭৩ ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের বাঙালির জন্য এক আতঙ্কের বছর। গুপ্তহত্যার বছর। অবৈধ অস্ত্রগুলো এ সময় ঝলসে উঠেছিল। কে যে আততায়ী, কে যে হন্তারক, চেনা দুষ্কর তখন। ঘাতকরা চারপাশে নিঃশ্বাস ফেলছিল। দেশজুড়ে অব্যাহত গুপ্তহত্যা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগসহ নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড। ২১ মে মওলানা ভাসানী এসব ঘটনাকে আরও প্রসারিত করার জন্য হরতাল পালন করেন। চরমপন্থিরা এতে উদ্বুদ্ধ হয়। ২৭ মে নরসিংদীতে আওয়ামী লীগের একটি মিছিলে সর্বহারা পার্টি গুলি চালালে চারজন নিহত হন। ২৯ মে নড়িয়ায় নিজ বাসভবনে চরমপন্থিদের গুলিতে নিহত হন আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত এমপি নুরুল হক। ঘটনার সঙ্গে সর্বহারা পার্টি জড়িত বলে পুলিশের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ১২ জুন বাগেরহাটের ফকিরহাট থানার বেতাগী পুলিশ ফাঁড়িতে সশস্ত্র হামলা ও লুটপাট। মাওবাদীদের প্রথম ফাঁড়ি আক্রমণ এটি। ১৩ জুন বগুড়ার গাবতলী থানা লুট করে মতিন, আলাউদ্দিন গ্রুপ। ১৮ জুন নওগাঁর নিয়ামতপুর থানার ছাতড়া পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালায় পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির অহিদুর রহমান ও আলমগীর কবির। ২২ জুন কুস্টিয়ার দৌলতপুর থানার মাধিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালায় আবদুল হকের নেতৃত্বাধীন পূর্ব পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টি। তারা ফাঁড়ির সব অস্ত্রশস্ত্র এমনকি পুলিশের পোশাকও লুট করে নিয়ে যায়। ২৬ জুন পিরোজপুরের কাঁঠালিয়া থানার আমুয়া পুলিশ ফাঁড়ি লুট করে সিরাজ সিকদারের পূর্ব বাংলা সর্বহারা

জলিল-তাহেরের সৈনিক সংস্থা কি চুমু খাওয়ার জন্য ছিল ? : শাবান মাহমুদ ও রফিকুল ইসলাম রনি

সাক্ষাৎকার : মহিউদ্দিন আহমদ

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের একসময়ের সক্রিয় কর্মী, কলামিস্ট ও আলোচিত রাজনৈতিক গ্রন্থ ‘জাসদের উত্থান-পতন : অস্থির সময়ের রাজনীতি’র লেখক মহিউদ্দিন আহমদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জাসদ জড়িত ছিল না তবে এ জন্য দলটির হঠকারী রাজনীতি দায় এড়াতে পারে না। ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার প্রসঙ্গ তুলে এনে মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে পরিচালিত বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা বাহিনীটি কিসের জন্য? এটি কি বঙ্গবন্ধুকে চুমু খাওয়ার জন্য? প্রথমে এ সংস্থার কাজ শুরু করেছিলেন মেজর জলিল। যখন গ্রেফতার হলেন তখন মেজর জলিল বলেছিলেন, এখন থেকে যেন কর্মীরা কর্নেল তাহেরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। রাজধানীর ধানমন্ডির বাসভবনে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে গতকাল জাসদের সেই সময়কার রাজনীতির বিভিন্ন প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন মহিউদ্দিন আহমদ। এক প্রশ্নের জবাবে মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, ১৯৭২ সালের সংবিধান মেনে নিয়েই রাজনীতিতে জাসদের আত্মপ্রকাশ। ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদের বিরোধী দল হিসেবেও ভূমিকা রেখেছে জাসদ। তবে গণতন্ত্রের পথে হেঁটে হেঁটে একপর্যায়ে দলটির যাত্রা শুরু হয় উল্টোপথে। গণবাহিনী গঠনের মধ্য দিয়ে জাসদ রাজনীতির মূলধারা থেকে বিচ্যুত হয়ে আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতিতে সক্রিয় হয়। এর ফলে গণতান্ত্রিক ধারায় না থেকে উগ্রপন্থি রাজনৈতিক দলে পরিণত হয় জাসদ, যা ছিল একটি হঠকারী সিদ্ধান্ত। ১৯৭২ থেকে ’৭৫ পর্যন্ত জাসদের

জাসদ কাহিনী (১): গুপ্তহত্যা থানা-ফাঁড়ি লুটের ৭২-৭৫

‘সোনায় মোড়ানো বাংলা মোদের শ্মশান করেছে কে কে কে
ইয়াহিয়া তোমায় আসামির মতো জবাব দিতেই হবে।’ 
স্বাধীন বাংলা বেতার থেকে মোকসেদ আলী সাঁই রচিত ও সুরারোপিত গানটি মনে পড়ে স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ের দিকে দৃষ্টিপাত করলেই। স্বাধীন স্বদেশে বিজয়ের আনন্দ ম্লান হয়ে এসেছিল ছয় মাসের মাথায়। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে আরও বিধ্বস্ত করার জন্য অস্ত্রের ঝঙ্কার তুলেছিল স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিসহ চরমপন্থিরা। পাকিস্তানি আশা-আকাক্সক্ষার ধারক এ চরমপন্থি ও রাজাকাররা সম্মিলিতভাবে অস্ত্রের ঝঙ্কার তুলেছিল মুক্তিযুদ্ধের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে। এরা যুদ্ধের সময় বাঙালি নিধনে মত্ত ছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগে। এদের সঙ্গে সংযুক্ত হয় মুক্তিযুদ্ধফেরত একদল উগ্রপন্থি। এরা নানা গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দেশজুড়ে তাণ্ডব চালায়। এদের অপকর্মকাণ্ডে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের ভঙ্গুর প্রশাসন গড়ে তোলা ও সচল রাখার পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত সেতু, কালভার্ট, কল কারখানা মেরামত ও সংস্কার কাজ যখন চলছিল, তখন সেসব আবার ভেঙে ফেলা, এমনকি উড়িয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। অবৈধ অস্ত্রের ছড়াছড়ি সর্বত্র। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়। অরাজক পরিস্থিতির ব্যাপকতা ছিল মাত্রাহীন। এদের বিরাট অংশই বাংলাদেশের স্বাধীনতায় অবিশ্বাসী। পাকিস্তান ও চীনের অনুসারী এবং সাহায্যপ্রাপ্ত ছিল এরা। সামরিক বা গেরিলা প্রশিক্ষণ ছিল এদের অনেকেরই। ক্ষমতার দম্ভে এরা নিজেদের মধ্যেও সহিংস ঘটনা ঘটাত।

জাসদের ভ্রান্তিবিলাসের অজানা অধ্যায়: নঈম নিজাম

জাসদ নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড চলছে রাজনীতিতে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী এ দলকে নিয়ে হঠাৎ বিতর্ক জমে উঠেছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। আর বিতর্কের সূত্রপাত সরকারি দল থেকেই। দীর্ঘ ৪৩ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত দলটির জন্ম আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সাহসী নেতাদের সমন্বয়ে। শুরু থেকেই জাসদ ছিল এ দেশের রাজনীতিতে পরম বিস্ময়। রহস্যঘেরা। ধূমকেতুর মতো সামাজিক বিপ্লব ও বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের স্লোগান আর তারুণ্যের তেজি নেতৃত্বের টানে জাসদে শুরুতে দলে দলে ছুটে এসেছিল অগণিত তরুণ। কিন্তু দিন শেষে সবাই হয়েছে বিপ্লবের নামে বিভ্রান্ত, আর সংগ্রামের নামে বিপর্যস্ত, হতাশ। নেতাদের ভ্রান্তি, লক্ষ্যহীনতা আর হঠকারিতার চরম মূল্য দিতে হয়েছে জাসদের কর্মী-সমর্থকদের। কালের বিচারে বেরিয়ে এসেছে- জাসদের বিপ্লব ছিল আসলে বিপ্লবের ভ্রান্তিবিলাস।
জাসদের চমকপূর্ণ সৃষ্টি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দুটি সম্মেলনকে ঘিরে। ঢাকায় রেসকোর্স ও পল্টন ময়দানে ১৯৭২ সালের ২৩ জুলাই সম্মেলন দুটির আয়োজন করা হয়েছিল। রেসকোর্সের সম্মেলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শেখ ফজলুল হক মণি, আবদুর রাজ্জাক ও তোফায়েল আহমেদের সমর্থনপুষ্ট নূরে আলম সিদ্দিকী ও আবদুল কুদ্দুস মাখন। আর পল্টনের সম্মেলনের পেছনে ছিলেন সিরাজুল আলম খানের সমর্থনপুষ্ট আ স ম আবদুর রব, শাজাহান সিরাজ প্রমুখ। দুটি

মুজিব বাহিনী : ‘দ্য ফিফথ আর্মি ইন বাংলাদেশ’


[সম্প্রতি দেশে একাত্তর ও একাত্তর-পরবর্তী রাজনীতির বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে নতুন করে আগ্রহ ও বিতর্ক লক্ষ করা যাচ্ছে। এবার এই বিতর্কের কেন্দ্রে উঠে এসেছে মুক্তিযুদ্ধে মুজিব বাহিনী নামে পরিচিত ‘বাঙলাদেশ লিবারেশন ফোর্স বা বিএলএফ’-এর ভূমিকা। বিশেষত একাত্তরে কী প্রেক্ষাপটে এই গোপন বাহিনী গড়ে উঠেছিল এবং তার ভূমিকা মুক্তিযুদ্ধে ও যুদ্ধ-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতি ও সমাজ জীবনে কীরূপ ফলাফল বয়ে এনেছে, তা নিয়ে সম্প্রতি জাতীয় সংসদে ও গণমাধ্যমে তীব্র বিতর্ক দেখা যাচ্ছে। এই বিতর্কের খানিকটা পটভূমি জানতে এখানে গবেষক আলতাফ পারভেজ-এর ‘মুজিব বাহিনী থেকে গণবাহিনী: ইতিহাসের পুনর্পাঠ’ শীর্ষক প্রকাশিতব্য গবেষণা গ্রন্থটি থেকে প্রথম দুটি অধ্যায় সংক্ষিপ্ত আকারে পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো। আলোচ্য গবেষণা গ্রন্থটি শিগগির প্রকাশিত হবে। এখানে প্রকাশিত অংশে কিছু তথ্যসূত্র বাদ দেয়া হয়েছে, যা আগ্রহী পাঠক মূল গ্রন্থে পাবেন।]

‘মুজিব বাহিনী’র জন্ম : নেতৃস্থানীয় সংগঠকদের দাবি
মুজিব বাহিনীর প্রধান চার নেতা ছিলেন সিরাজুল আলম খান, শেখ ফজলুল হক মণি, আবদুর রাজ্জাক ও তোফায়েল আহমেদ। ভারতীয়রা এই নেতাদের আদর করে বলতেন ‘অবিচ্ছেদ্য চার’। মুক্তিযুদ্ধের পর শেখ মণি জীবিত ছিলেন চার বছর। আবদুর রাজ্জাক মারা গেছেন ২০১১ সালের ২৩ ডিসেম্বর। বাকি

সেন্টমার্টিন : যাতায়াত ও থাকা খাওয়ার প্রয়োজনীয় তথ্য

অপুর্ব সুন্দর জায়গা সেন্টমার্টিন। নীল পানি ঘেরা এক দ্বীপ- য়েখানকার মানুষ অসম্ভব ভালো। চুরি ডাকাতির রেকর্ড প্রায় নেইই। সারারাত ঘুরতে পারবেন নির্ভয়ে, নির্জনে। ভাবতে অবাক লাগে জাহাজ থেকে এতো লোক নামে - সব যায় কোথায়! আসলে বিশাল বড় বিচ হওয়ায় এখোনো ভীষন নির্জন।

কিভাবে যাবেন-
ঢাকার ফকিরাপুল (রাত ৯টা নাগাদ) হয়ে সায়দাবাদ থেকে বাস ছাড়ে। কিছু কিছু কল্যানপুর/

মসজিদে আজান হোক মন্দিরে ঘণ্টা বাজুক: কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম

শত বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ৫ জানুয়ারির নির্বাচনী প্রহসনে ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। এত বছর যারা একসঙ্গে বাস করেছে তারা এখন পরস্পর-পরস্পরের শত্রু। কত বছরের বন্ধুত্ব ক্ষমতাবান রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কারণে কীভাবে মুহূর্তে শত্রুতায় পরিণত হয় তার উজ্জ্বল প্রমাণ দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁওয়ের নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা। 
সবাই নিরীহ হতদরিদ্র, পাশাপাশি বাস তাদের। একজন আরেকজনের খেতের আইলের এক মুঠো ঘাস তোলা নিয়ে কখনো কোনো বাকবিতণ্ডা করেছে বলে কেউ বলতে পারে না। এলাকাবাসীর কাছে শোনলাম, গড়েয়া গোপালপুরে আগুন ধরেছে শুনে কিছু মানুষ আগুন নেভাতে ছুটে গেলে মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র

মানব দেবতা থেকে দানবে রূপান্তরিত এক স্বৈরশাসকের গল্প ( ২য় পর্ব )

সদ্য স্বাধীন দেশ বছর ঘুরে তৃতীয় বছরে পা দি দিতে না দিতেই ই জনগণের প্রত্যাশার আলো ধপ করে নিভেগেলো । আমদানী আর বিতরণ পক্রিয়ার প্রত্যেকটি স্তরে দুর্নীতি , কালোবাজারী , চোরাচালান ইত্যাদির বদৌলতে খাদ্য সরবরাহ অবনতির দিকে ধাবিত হতে লাগলো । মানুষ খেকো বাঘের মতো দুর্ভিক্ষ সারাদেশে সদর্পে ছেয়ে গেল ।

খালেদা বিশ্বাস করেননি, হাসিনা জানতেন ১২ জানুয়ারীর মধ্যে মার্শাল ল’ হবে


 রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহমেদের সাবেক উপদেষ্টা এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক। বাংলাদেশের বৈদেশিক সাংবাদিক সংস্থা ওকাব-এর সাবেক প্রেসিডেন্ট জনাব মোখলেস চৌধুরী ১/১১-এর জ্বলন্ত সাক্ষী। 

যে ক’জন মানুষ ১/১১’র ঘটনা ঘটার সময় উপস্থিত ছিলেন তার মধ্যে মোখলেস চৌধুরী অন্যতম। তিনি সব কিছু খুব কাছে থেকে দেখেছেন। ১/১১ কার ইঙ্গিতে হয়েছে, কীভাবে হয়েছে সব কিছুই নিজ চোখে প্রত্যক্ষ করেছেন। তিনি নিশ্চিতভাবে ১/১১’র ইতিহাসের একটি অংশ। বঙ্গভবন থেকে বের হবার পর তিনি এই প্রথম বারের মত কোন মিডিয়ার মুখোমুখি হলেন। 
তিনি সম্প্রতি আমেরিকায় বেড়াতে এসেছিলেন। আমেরিকায় অবস্থানকালে ঠিকানাকে দেয়া এক এক্সক্লুসিভ সাক্ষাতকালে অনেক চাঞ্চল্যকর, শিহরণ জাগানো কথা বলেছেন। বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ১/১১ এর ঘটনার কথা বিশ্বাস করতে চাননি, আর আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা জানতেন ১২ জানুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশে মার্শাল ল’ জারি করা হচ্ছে। এই সাক্ষাতকারে জনাব চৌধুরী ১/১১ এর সমস্ত ঘটনা তুলেছেন যা পাঠকদের দীর্ঘদিনের সুপ্ত কৌতুহল মেটাবে। 
এখানে পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি প্রশ্নোত্তরাকারে তুলে ধরা হলো- 

আওয়ামীলীগ থেকেই প্রথম শুরু হয় বাকশালী প্রতিবাদ। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ সালের চেপে যাওয়া ইতিহাস।-১

আজকে যারা ৫০-৫৫ বছর বয়স তাদের একবার জিজ্ঞাস করুন তো তাদের জীবনের সব চেয়ে দূঃসময় কোনটা নির্দিধায় উত্তর পাবেন ১৯৭৪ সালের গ্রীস্ম থেকে শরৎ কালটা।

কেন আবার ওই সময় আওয়ামী দূঃশাষনের কারনে দেশে নেমে আসে ভয়াবহ দূর্ভিক্ষ। আমদানী আর বিতরন প্রক্রিয়ার প্রত্যেকটি স্তরে দূর্নিতী, কালোবাজারী, স্বজনপ্রিতী, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ভারতে চোরাচালানীর কারনে মানূষখেকো বাঘের মত সারা দেশে দূঃর্ভিক্ষ দাপিয়ে বেড়াতে শুরু করল। মানূষ মারা যেতে

শেখ ফজলুল হক মনির মুজিব বাহিনীর হাতে যে সকল মুক্তিযোদ্ধা নিহত হয়েছে তাদের বিচার কবে হবে? নাকি মনি যাদের মেরেছে তারা রাজাকার ছিল?

মুজিব বাহিনীর সিরাজুল আলম খান, হাসানুল হক ইনু, আব্দুর রাজ্জাকরা তখনো বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধে নামেনি কিন্তু শেখ ফজলুল হক মনি যুদ্ধ শুরু করে দেয় পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সাথে আর যুদ্ধরত বাম পন্থী মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে।

ট্রেনিং প্রাপ্ত মুজিব বাহিনীর সদস্যরা ১৯৭১ সালের আগষ্ট মাসে বাংলাদেশ প্রবেশ শুরু করে। কিন্তু তাদের দুই মাস আগেই মনিপন্থী মুজিব বাহিনী দেশে ঢুকে যুদ্ধ শুরু করে যুদ্ধরত বামপন্থী মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে।

বৃহত্তর বরিশাল জেলায় পেয়ারা বাগানে সিরাজ শিকদারের সর্বহারা পার্টির সাথে মিশে এক মরনপন যুদ্ধে লিপ্ত হয় পাকিস্তানী আর্মির বিরুদ্ধে।

"মানবতার ডাক" জীবন বাঁচানো সাহসী যোদ্ধারা


রক্তের সম্পর্ক নেই। নেই কোনো আত্মীয়তার বন্ধন। এমনকি প্রতিবেশীও নন। তাতে কী। মানবিকতার টানেই ধ্বংসস্তূপে নেমে গেলেন একেকজন সাহসী যোদ্ধা। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই মৃত্যুপুরীর ফাঁকফোকর থেকে বের করে আনলেন জীবিত শত শত মানুষ। আনলেন শত শত মৃতদেহও। এদের কারও ছিল না কোনো প্রশিক্ষণ। এরপরও সেনা, ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে দিনভর তাদের ক্লান্তিহীন লড়াই। ধ্বংসস্তূপে ভাই খুঁজতে এসেছেন বোনকে, বাবা খুঁজতে এসেছেন সন্তানকে; আবার সন্তান

শেখ মুজিবের জন্মদিনে ঢাকায় বোমা বিস্ফোরণঃ উইকিলিসের তথ্য

প্রেসিডেন্ট মুজিবুর রহমানের ৫৬তম জন্মদিনের সন্ধ্যায় ঢাকায়  কমপক্ষে তিনটি স্থানে বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে। এতে একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছেন। ১৯৭৫ সালের ১৭ই মার্চ ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস থেকে এ বার্তা পাঠানো হয় যুক্তরাষ্ট্রের 
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কলকাতা ও নয়াদিল্লিতে। এ বার্তার শিরোনাম ‘বোম্বিংস ইন ঢাকা’। বার্তা নম্বর ক্যানোনিক্যাল আইডি: ১৯৭৫ঢাকা০১৩৫৯-বি। সমপ্রতি ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৬ সময়কালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক যে ১৭ লাখের বেশি গোপন বার্তা ফাঁস করেছে উইকিলিকস তার মধ্যে রয়েছে এই বার্তাটি। এতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট মুজিবুর রহমানের ৫৬তম জন্মদিন ছিল ১৭ই মার্চ। এ নিয়ে বেশ প্রচার চালানো হয়েছিল। দিনটি ছিল রোববার। এদিন

প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের ক্ষমতা বাতিল করে পাস হয় চতুর্থ সংশোধনী: উইকিলিকস

১৯৭৫ সালের ২৫শে জানুয়ারি সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী পাস করার মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রেসিডেন্ট হলেন শেখ মুজিবুর রহমান। স্বল্প সংখ্যক বিরোধীদলীয় সদস্য ছিলেন পার্লামেন্টে। তাদের ওয়াক আউটের পর কোন আলোচনা না করেই তড়িঘড়ি করে পাস করা হয় ওই সংশোধনী। এ সংবিধান দেশে প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, মন্ত্রিপরিষদ (যাদের পার্লামেন্টের সদস্য হতেই হবে এমন কথা নেই) ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। বিচক্ষণ প্রেসিডেন্টের অধীনে এই সংশোধনী বলে যে, দেশ হবে একদলীয় এবং অন্য সব বিরোধী রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ হবে।

জাতির প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের সাথে আওয়ামী অপমানের একটি অজানা কাহিনী



১৯৭১ সালের এপ্রিল সতেরো তারিখে মুজিব নগর সরকার গঠনের আনুষ্ঠানিকতা দ্রুত শেষ হবার পর, প্রবাসী সরকারের নেতৃবৃন্দ আবার ভারতে ফিরে যাবার মুহুর্তে এক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছিলো।ভারত সীমান্তে পৌঁছে সদ্যগঠিত বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিলেন- এখন আর উদ্বাস্তু নয় বরং একটি রাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসেবে আরেকটি রাষ্ট্রে তারা প্রবেশ করবেন। সুতরাং তাদেরকে যথাযথ আনুষ্ঠানিকতার সাথে নিয়ে যেতে হবে কারন

ঐতিহাসিক ২৩শে মার্চ, ১৯৭১ এ ২৩শে মার্চ

ঐতিহাসিক ২৩শে মার্চ ১৯৭১, স্বাধীন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ কর্তৃক পতাকা দিবস পালন করা করা হয়, জয় বাংলা বাহিনীর কুচকাওয়াজ ও গান ফায়ারের মাধ্যমে স্বশ্রদ্ব সম্মান জানিয়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করা হয়। 

ছবিতে পেছনে দন্ডায়মান ছাত্রলীগের চার খলিফা খ্যাত স্বাধীন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা আ স ম আবদূর দর, আবদুল কুদ্দুস মাখন, নুরে আলম সিদ্দিকি, শাহজাহান সিরাজ, গান ফায়ার করছেন কামরুল আলম খান খসরু, পতাকা উত্তোলন করছেন হাসানুল হক ইনু,

ইমরান এইচ সরকারঃ এক জীবন্ত কিংবদন্তীর নাম


 


বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে সফল মানুষদের নামের তালিকা করা হলে সবার অগ্রভাগে কাদের নাম থাকবে?

বিল গেটস? ওয়ারেন বাফেট? বারাক ওবামা? জাকির নায়েক? 

উপরের কেউই বিশ্বের সবচেয়ে সফল মানুষ নন। পৃথিবীর সবচেয়ে সফল মানুষ হচ্ছেন বাংলাদেশের ভিন্নধর্মী আন্দোলনের রুপকার ইমরান এইচ সরকার। উপরে যে চারজন মানুষের নাম উল্লেখ করেছি তারা সবাই কম-বেশী নিজ গুনে স্বস্থানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। এঁদের জন্ম হয়েছে বিত্তের সর্বনিম্নস্তরে, বেড়ে উঠেছেন প্রতিকূলতার চরম সীমার মধ্যে। কিন্তু নিজগুনে আজ তাঁরা নিজেকে অধিষ্ঠিত করেছেন সর্বোচ্চ স্তরে। কিন্তু ইনি নিভৃতে রাতের আঁধারে কূটচালে চড়ে এসেছেন।




কিন্তু কে এই ইমরান যিনি এঁদের সবাইকে ছাপিয়ে গেলেন? চলুন দেখে

৩০ হাজার জাসদকর্মী বলীদান রহস্যের সন্ধানে


মুজিব পরিবার

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অনুমোদিত রাজনৈতিক দল হচ্ছে 'জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল' বা জাসদ। নবগঠিত এই দলের ৩০ হাজার নেতাকর্মী তৎকালীন জাতীয় রক্ষী বাহিনী ও আওয়ামী লীগের গুন্ডাদের দ্বারা নিহত হয়েছিল - এরকম একটি প্রচারণা দলটির কার্যক্রম শুরুর পর থেকেই কিছু কিছু লোকের মধ্যে বিরাট জিজ্ঞাসা বা প্রশ্নবোধক চিহ্ন হয়ে আছে যার সদুত্তর কেউই দিতে পারেনি। এই প্রশ্নের আলোকেই ঘটনার সত্যাসত্য নিরুপণে আজকের আলোচনার অবতারণা।

ব্ল্যাক সোয়ান-সিরাজুল আলম খান দাদা


পরিচিতি : 
সিরাজুল আলম খান, নোয়াখালীতে ১৯৪১ সালে জন্ম নেয়া এক জন ব্যাক্তি যে বাংলাদেশের জন্মের সাথে জড়িত অত্যান্ত নিবিড় ভাবে। অবিবাহিত একজন মানুষ যাকে বাংলাদেশের রাজনীতি সম্পর্কে সম্মক অবহিতজনের কাছে পরিচিত রহস্যপুরুষ হিসাবে, এছাড়া রাজনৈতিক নেতাদের কাছে তিনি পরিচিত তাত্ত্বিক (theorist) হিসাবে। সিরাজুল আলম খান ভিন্ন ভিন্ন তিন মেয়াদে প্রায় ৭ বছর কারাভোগ করেন। সিরাজুল আলম খান মেধাবী ছাত্র হিসাবে শিক্ষায়তনে সুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন। সিরাজুল আলম খানের বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রী অঙ্ক শাস্ত্রে হলেও দীর্ঘ জেল জীবনে তিনি দর্শন, সাহিত্য, শিল্পকলা, রাজনীতি-বিজ্ঞান, অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সমাজ বিজ্ঞান, পরিবেশ বিজ্ঞান, সামরিক বিজ্ঞান, মহাকাশ বিজ্ঞান, সংগীত, খেলাধুলা সম্পর্কিত বিষয়ে ব্যাপক পড়াশোনা করেন। ফলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের উপর গড়ে উঠে তাঁর অগাধ পাণ্ডিত্য এবং দক্ষতা। সেই কারণে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক নিযুক্ত হন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন রাজ্যের অসকস বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯৬-’৯৭ সনে।