বাকশাল লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বাকশাল লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

ওরা জাতির পিতাকে সম্মান দিতে ব্যর্থ হয়েছে

 

উনি বাংলাদেশে ফিরে প্রথমে হলেন রাষ্ট্রপতি, তারপর বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রপতি পদে বসিয়ে নিজে হলেন নির্বাহী প্রধানমন্ত্রী। অন্তত আমি তাতে হতাশ হয়েছিলাম। মুজিব ভাই পাকিস্তান থেকে প্রথমে লন্ডনে এসেছিলেন। পাকিস্তানে তাকে এ ধারণা দেয়া হয়েছিল যে পশ্চিম পাকিস্তানিরা পূর্ব পাকিস্তানকে ‘অটোনমি‘ (স্বায়ত্তশাসন) দিতে রাজি হয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে শুনে তিনি রীতিমত একটা ধাক্কা খেয়েছিলেন।

রক্ষিবাহিনীর কিছু স্মৃতিঃ কম্যুনিষ্ট নেতা শান্তি সেনের স্ত্রী শ্রীমতি অরুণা সেন


দুর্বল মনের লোক হলে পোষ্টটি পড়বেন না


১৯৭৩ সালের বাংলা আশ্বিন মাস। বিপ্লবী কম্যুনিষ্ট আন্দোলনের সাথে জড়িত অরুনা সেন, রানী সিংহ ও হনুফা বেগমকে ফরিদপুর জেলার মাদারীপুর মহকুমার রামভদ্রপুর গ্রাম থেকে রক্ষীবাহিনী ধরে নিয়ে যায়। কিন্তু সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোন মামলা দায়ের করেনি। তাদেরকে কোন আদালতেও হাজির করেননি। ঢাকার বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় এ নিয়ে অনেক লেখালেখি হয় এবং পরে সুপ্রীম কোর্টে তাদের পক্ষে রীট আবেদন করার পর কোর্টের নির্দেশে তাদেরকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার শুনানির সময় সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রমাণযোগ্য অভিযোগ আনতে অক্ষম হওয়ায় সুপ্রীম কোর্ট অবিলম্বে তাদের তিনজনকেই বিনা শর্তে মুক্তিদানের নির্দেশ দেন। অরুণা সেন ও অন্যান্যদের পক্ষে এই মামলা পরিচালনা করেছিলেন ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ ও ব্যারিষ্টার জমিরুদ্দিন সরকার।

বিডিআর হত্যাকান্ডের গোপন অধ্যায়


পিলখানায় ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারী বিডিআর হত্যাকান্ডকে যারা শুধু একটি বিদ্রোহ ও হত্যা হিসেবে দেখলেও আমি তাদের মধ্যে নই। দীর্ঘদিন বাংলাদেশ আর্মিতে চাকুরীর সুবাদে আমার অনেক বন্ধু সেই বাহিনীতে আছেন।

আমি এমন সব সূত্র থেকে এসব খবর আপনাদের দিতে যাচ্ছি যেসব সূেত্রর উল্লেখ করবো না। সেজন্যে লিখায় যে দুর্বলতা তা থাকবে। আমি সেজন্য ক্ষমাপ্রার্থী।

মুজিবের শাসন: একজন লেখকের অনুভব - আহমদ ছফা - ৩

উনিশ শ' বাহাত্তর সালের পর থেকে প্রকৃত প্রস্তাবে চার পাঁচজন ছা্ত্রই স্টেনগান হাতে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ চালাত। উপাচার্যবৃন্দ এই অস্ত্রধারী ছা্ত্রদের কথাতে উঠতেন, বসতেন। স্বাধীনতার পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মুক্তির দুর্গ হিসেবে পরিচিত ছিল, কিন্তু স্বাধীনতার পর বিশ্ববিদ্যলয়ের বেবাক পরিবেশটাকেই কলুষিত করে তোলা হল। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীন চিন্তা, কল্পনা, নিরপেক্ষ গবেষনার পথ একেবারে বন্ধ হয়ে গেল। সরকার সমর্থক ছা্ত্ররা প্রকাশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করত।

মুজিবের শাসন: একজন লেখকের অনুভব - আহমদ ছফা - ২


বিরোধীদল তো ছিলই না। বিরোধীদলীয় পত্রপত্রিকাগুলোকেও নির্মমভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। সরকার সমর্থক পত্রিকাসমুহ এবং সরকারের অন্য দুটো অংগদলের মুখপত্রগুলো প্রতিটি স্বৈরাচারী পদক্ষেপকে একেবারে নির্লজ্জভাবে অভিনন্দিত করে যাচ্ছিল। তথাপি শেখ মুজিবুর রহমান একদলীয় শাসন কায়েম করার প্রাক্কালে বাংলাদেশে পত্র-পত্রিকার সংখ্যা একেবারে কমিয়ে এনে গণমতের বাহনগুলোর কর্তৃত্ব নির্ভরযোগ্য হস্তে অর্পণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন। রাজধানী ঢাকা থেকে মাত্র চারটি দৈনিক পত্রিকা

মুজিবের শাসন: একজন লেখকের অনুভব - আহমদ ছফা - ১




মুজিবের শাসন: একজন লেখকের অনুভব - আহমদ ছফা


চোদ্দই আগস্টের রাতে আমি নতুন ঢাকার ধানমন্ডি এলাকার সাতাশ নম্বর সড়কের একটি হোস্টেলে এক বন্ধুর সংগে ঘুমাতে গিয়েছিলাম। সাতাশ নম্বর আর বত্রিশ নম্বর সড়কের ব্যবধান বড় জোড় তিন থেকে চার'শ গজ। এই বত্রিশ নম্বরেই দারাপুত্র পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন বাংলাদেশের রাস্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান।