জ্বিন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
জ্বিন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

তথ্য-উপাত্তের আলোতে, জ্বিনের প্রকৃত পরিচয়!

সকল মুসলমান জ্বিনে বিশ্বাসী। কোরআনের সকল কথাকে বিশ্বাস করতে হয় বলে, জ্বিন নামের একটি সৃষ্ট সম্প্রদায় আছে বলে বিশ্বাস করতে হয়। কেননা জ্বিন থাকার কথা কোরআনে বলা হয়েছে। এমনকি মোহাম্মাদ (সাঃ) সহ দুনিয়ার সকল নবীদের সাথে জ্বিনদের সাক্ষাত হয়েছে। পবিত্র কোরআনে একটি পরিচ্ছেদ আছে, যার নাম জ্বিন।

মুসলমানেরা জ্বিনে বিশ্বাস করলেও কিছু অন্য ধর্ম বিশ্বাসীরা চোখের সামনে ঘটা অতি প্রাকৃতিক ব্যাপারটি কে ভূতের কারসাজি বলে চালিয়ে দেয়! তারা ভূতকে বিশ্বাস করে, স্বপক্ষে যুক্তি হাজিরের চেষ্টা করে কিংবা অভিজ্ঞতার আলোকে বর্ণনা দেয়। আরেক দল ভুতকে বিশ্বাস করেনা বরং নিজের চোখে না দেখা পর্যন্ত কোন অস্তিত্বকে তারা স্বীকারই করতে চায়না! তারা সবকিছু বৈজ্ঞানিক যুক্তি দিয়ে বুঝতে চায়! ভূতের ঘটনাকে ব্যাখা দিতে বৈজ্ঞানিক যুক্তি

কাশ্মিরী জ্বিন সোলায়মান বিন হুশশামের সাক্ষাতকার

কিছুদিন আগে এক চাচাতো ভাইয়ের সাথে গিয়েছিলাম তার নানা বাড়ী। চাচাতো ভাইয়ের নানা বাড়ী মানে আমারও নানা বাড়ী। নানার তিন ছেলে। মেঝ ছেলের নাম শরিফুল আলম। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষক। কবিরাজী চিকিৎসার সাথেও জড়িত। মামার বোন মানে চাচীর কাছে ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি যে মেঝ মামার সাথে নাকি কোন এক জ্বীনের পরিচয় আছে। কিন্তু কখনোই বিশ্বাস করতে পারি নাই। কারণ জ্বিন মানুষের সাথে দেখা সাক্ষাত করে সেটা কল্পনা করাও কঠিন।



যাই হোক, বিশ্বাস করি বা না করি, কৌতূহল আমার ছিলই। তাই মামার কাছে অনেকদিন ধরে আব্দার করে আসছি জ্বিনের সঙ্গে সাক্ষাত করিয়ে দেয়ার জন্যে। মামা প্রথম প্রথম পাত্তা দিতেন না। কিন্তু এক সময় আমার আগ্রহ ও কৌতূহল দেখে তিনি রাজী হলেন। তাছাড়া আমি যে জ্বিন নিয়ে অনেক দিন ধরে গবেষনা করে আসছি সেটাও তিনি ভালো ভাবেই জানেন। মূলত সে কারনেই তিনি একসময় নমনীয় হলেন।






যাই হোক আসল কথায় আসি। গত মার্চ মাসের ২৫ তারিখ, শুক্রবার রাতে আনুমানিক পৌনে এগারটার সময় মামা বললেন, ‘চল, এক জায়গায় যাই। তোকে একজনের সাথে পরিচয় করিয়ে দেব’। মামার সিডি-৮০ মোটর বাইকের পেছনে চড়ে বসলাম। গ্রামের ভেতর দিয়ে সশব্দে বাইক এগিয়ে চলল। মিনিট দশেক পরে আমরা গ্রাম পেরিয়ে মাঠের মাঝে একটা জায়গায় থামলাম। এখানে একটা বড় গাছের নীচে আমরা দাড়ালাম। কিছুক্ষন দুজন নিজেদের মধ্যে টুকিটাকি কথা বললাম। তারপর মামা সামনের দিকে ইঙ্গিত করে বললেন, ‘ভাইজান আস্তেছে’।


দেখলাম একজন লোক মাঠের ভেতর থেকে আইলের উপর দিয়ে হেটে রাস্তার দিকে আসছে। আমাদের থেকে ৪০/৫০ গজ দুরে হবে। রাতটা বেশি অন্ধকার না আবার আলোকিতও না। আকাশে হালকা মেঘ আছে। চাদের আলো মাঝে মাঝেই ঢেকে যাচ্ছে মেঘের আড়ালে। যাই হোক মানুষটি ক্রমশ আমাদের কাছে এগিয়ে আসছে। আমি ভেতরে ভেতরে শিহরিত হচ্ছি। কিছুটা ভয়ও লাগছে। মনে মনে সুরা ফাতেহা পড়া শুরু করলাম। আমার অবস্থা মামা কিছুটা আঁচ করতে পারলেন। বললেন, ‘ভয় নেই। তার সাথে কথা বলে দেখবি উনি যে জ্বিন সেটা টেরই পাবি না। স্বাভাবিক থাকিস’। উনি এখন আমাদের থেকে মাত্র দশ বারো হাত দুরে। উচু লম্বা একজন লোক বলে মনে হলো। হাত উচু করে সালাম দিলেন, ‘আসসালামু আলাইকুম শরিফুল আলম ভাই। আসসালামু আলাইকুম ইয়াজিদ সিকান্দার ভাই’। বলতে বলতেই উনি আমাদের কাছে চলে এলেন। প্রথমে মামার সাথে আলিঙ্গন ও করমর্দন করলেন। ভয় পাচ্ছিলাম। তবুও মামা যেহেতু আলিঙ্গন করলেন। তাই বুকের ভেতর কিছুটা সাহস সঞ্চয় করলাম।






লোকটা প্রায় ৭ ফুট লম্বা। অনেকটা নীচু হয়ে আমাদের হয়ে আমার সাথে আলিঙ্গন করলেন। করমর্দন করতে করতে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ইয়াজিদ ভাই, ভয়ের কিছু নেই। আমিও আপনাদের মতই মহান আল্লাহর সৃষ্টি’।


তার কথায় আমার ভয় কিছুটা কেটে গেল। তাছাড়া স্পর্শ করার সময় মনে হলো আমি যেন কোন মানুষের সাথেই আলিঙ্গন করছি।


কুশল বিনিময় হলো। লোকটার শরীর যতটা বলিষ্ঠ, কন্ঠ ঠিক তার বিপরীত। কিছুটা ফ্যাসফ্যাসে মেয়েলী কন্ঠ।


নিজেই থেকেই বললেন, ‘ইয়াজিদ ভাই, অবাক হচ্ছেন, না? অবাক হওয়ারই কথা। আমি শরিফুল ভাইয়ের অনুরোধে আজ আপনার সাথে সাক্ষাত করে এলাম’।






এরপর আমরা রাস্তার পাশে একটা পড়ে থাকা একটা গাছের লগের উপর যেয়ে বসলাম। জ্বিন ভাইটির সাথে অনেক কথা হলো। সব কথা মনেও নেই। ভীষন উত্তেজিত ছিলাম। তবে আমাদের আলোচনার মূল অংশটুকু আপনাদের জন্যে নীচে তুলে দিলাম।


আমিঃ ভাই, আপনার সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে ইচ্ছে করছে। কোনটা রেখে কোন প্রশ্ন করি। তার চেয়ে আপনি নিজেই নিজের সম্পর্কে কিছু বলেন।






জ্বিনঃ ইয়াজিদ ভাই, আমার নাম সোলায়মান বিন হুশশাম। সুলেমান নামেই পরিচিত। আমার বসত ভারতের কাস্মীর উপত্যকায় অবস্থিত বান্দিপোড়া জেলায়। আমার গ্রামের নাম সুবানগর। একেবারেই পাহাড় ঘেষা নিরিবিলি একটা গ্রাম। এখানে আমরা প্রায় দেড় হাজার জ্বিন-পরী বসবাস করি। এই গ্রামে কোন মানুষ বসবাস করে না। আমরা জ্বীনরাই গ্রামটির জন্ম দিয়েছি। প্রায় আড়াই হাজার বছর ধরে আমরা এখানে বসবাস করছি। আগে আমাদের পূর্ব পুরুষরা বসত করত। এখন আমরা করি। আশপাশের এলাকার মানুষেরা আমাদেরকে তাদের মতই মানুষ বলে মনে করে। আমরা ওই এলাকার ভোটার। আদম শুমারিতেও আমাদেরকে গননা করা হয়।


গোটা পৃথিবীকে ৭টি এলাকায় বিভক্ত করে জ্বীনরা বসবাস করে। তবে আপনাদের মতো আমাদের এলাকাগুলো স্থল কেন্দ্রিক নয়। আমাদের এলাকাগুলো দ্বীপ কেন্দ্রিক। মোটামুটি নির্জন ও বিস্তীর্ন এলাকা আমাদের পছন্দ। পৃথীবিতে অনেক দ্বীপ আছে যেখানে কোন মানুষ বসবাস করে না। শুধু জ্বীন-পরীরা বসবাস করে। তবে স্থলেও প্রুচর জ্বিন পরীর বসবাস আছে। সবচেয়ে বেশি বসবাস রাশিয়া, ইরান, ভারত ও গ্রানাডায়।






আমিঃ সোলায়মান ভাই, পৃথিবীতে এখন কত জ্বিন আছে?


সোলায়মান জ্বিনঃ সেটা বলা মুশকিল। এক এলাকার জ্বিন অন্য এলাকায় যেতে পারে না। তাই অন্য এলাকার খবর রাখাও কঠিন। তবে মানুষের থেকে জ্বিন পরীর সংখ্যা অনেক কম হবে। জ্বিনের সংখ্যা সবচেয়ে কম। পরীরা বেশিদিন বাচে, আর তাদের সংখ্যাও অনেক বেশি।


আমিঃ সোলায়মান ভাই, আপনার পরিবার সম্পর্কে বলেন....


সোলায়মান জ্বীনঃ ইয়াজিদ ভাই, আমার বয়স ২৭৮ বছর। আপনি হয়ত জানেন না আমরা জ্বিনেরা আপনাদের তুলনায় অনেকদিন বেশি বেচে থাকি। একেকজন জ্বিন সাধারনত গড়ে ৪৫০ বছর জীবিত থাকে। স্ত্রী জ্বিন অর্থাৎ পরীরা সাধারনত পাঁচশ বছর বেচে থাকে। আমার তিনজন বিবি আছেন। পাঁচটি কন্যা ও দুটি পুত্র আছে।


আমিঃ আপনারা কি সব ভাষায় কথা বলতে পারেন?


সোলায়মান জ্বীনঃ না (হেসে) ইয়াজিদ ভাই, আমি বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি, উর্দূ ও আসামিজ এই পাঁচটি ভাষা জানি। আমাদের গ্রামে একটি স্কুল আছে। সেখানে আমি ইংরেজি ও উর্দূ ভাষা শেখায়।


আমিঃ ভাষাগুলো কিভাবে শিখেছেন?


সোলায়মান জ্বীনঃ আমি প্রায় চল্লিশ বছর চট্টগ্রামে ছিলাম। সেখানে একটা স্কুলে বাংলা শিখেছি। ইংরেজি ও হিন্দি শিখেছি দিল্লীতে, উর্দূ শিখেছি আমার এক চাচার কাছে। উনি দীর্ঘ দীর্ঘদিন লাহোরে চিলেন। ভালো উর্দূ জানেন। আর আমার দাদী আসামিজ ভাষা ভালো জানতেন। তার কাছেই ওটা শিখেছি। মানুষ যেভাবে কোন বিদ্যা রপ্ত করে, আমরা জ্বিনরাও একই পদ্ধতিতে সেই বিদ্যা রপ্ত করি। আমরাও স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই, লেখাপড়া করি। আমরা যে কোন স্তন্যপায়ী প্রানীর আকার ধারন করতে পারি। বাচ্চা ছেলে থেকে শুরু করে বুড়ো পর্যন্ত আকার ধারন করতে পারি।


আমিঃ আচ্ছা, আমি তো শুনেছি যেখানে আলো থাকে সেখানে আপনারা থাকেন না......


সোলায়মান জ্বীনঃ না ইয়াজিদ ভাই, এটা ভুল ধারনা। অবশ্য অনেকেই এরকম মনে করে। আমরা দিন রাত যে কোন জায়গায় যে কোন সময় উপস্থিত হতে পারি। কোন অসুবিধা হয় না। কিন্তু ইয়াজিদ ভাই, আজ আপনাকে আর সময় দিতে পারছি না। আমাকে যেতে হবে।


শরিফুল আলমঃ সোলায়মান ভাই, আপনি আমার ভাগ্নের জন্যে দোয়া করবেন।


সোলায়মান জ্বীনঃ আবার দেখা হবে। ফি আমানিল্লাহ শরিফুল ভাই, ফি আমানিল্লাহ ইয়াজিদ ভাই....


এই বলে হাত নাড়তে নাড়তে বড় গাছটার ওপাশে চলে গেলেন। এরপর আর কোন সাড়া শব্দ নেই। কিছুক্ষন সময় লাগলো আমার ঘোর কাটতে। দৌড়ে গেলাম গাছের ওপাশে। না, কেউ নেই। পাশেই ধু ধু মাঠ, কোথাও কেউ নেই।


আমি আর মামা মোটর বাইকে চেপে ফিরে এলাম।






দ্রষ্টব্যঃ জানি এই ঘটনাটা অনেকেই বিশ্বাস করবেন না। কিন্তু আল্লাহ সাক্ষী আমি মিথ্যা বলছি না। দয়া করে কেউ কোন আপত্তিকর মন্তব্য করবেন না। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আপনাদের সকলের মঙ্গল করুন।

*******************************************
আমার কিছু প্রশ্ন:


১) সুলেমান নামক জ্বিনটি ২৫০ বছর ধরে কাশ্মীরে বসবাস করেও পাণনচটি ভাষা জানা সত্বেও কাশ্মীরের ভাষা 'কাশ্মীরী বা কশুর' জানেন না।


২) উনি লেখকে আলিঙ্গন করলেও এন্টি ম্যাটারের জ্বিন এবং ম্যাটার দ্বারা তৈরী ইয়াজিদ সাহেব বহাল তবিয়তে আছেন ধবংস হয়ে যাননি।


৩) জ্বিনেরা এক জায়গা থেকে অন্য যায়গাও যেতে না পারলেও বাংলাদেশে এসে উনাকে সুলেমান সাহেব সাক্ষাত দিয়ে গেছেন।






জ্বিনের অস্তিত্বের পক্ষে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা

আজকাল অনেকেই জ্বিনের অস্তিত্ব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে। তারা মনে করে দুনিয়াতে জ্বিন বলে কিছু নেই। আসলে এটা ভ্রান্ত ধারণা। জ্বিন আছে এবং জ্বিনের অস্তিত্বও বিজ্ঞান সম্মত। আমরা এখানে সেটা নিয়েই আলোচনা করব।





প্রথমে আমরা জানব জ্বিন সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে কি বলা হয়েছেঃ


সুরা আল জ্বিনে বলা হয়েছেঃ


বলুন, আমার প্রতি ওহী নাযিল করা হয়েছে যে, জ্বিনদের একটি দল কোরআন শ্রবণ করেছে, অতঃপর তারা বলেছেঃ আমরা বিস্ময়কর কোরআন শ্রবণ করেছি। (আয়াত-০১)


অথচ আমরা মনে করতাম মানুষ ও জ্বিন কখনও আল্লাহতা’আলা সম্পর্কে মিথ্যা বলতে পারে না। (আয়াত-০৫)


আর যখন আল্লাহতা’আলার বান্দা তাকে ডাকার জন্যে দন্ডায়মান হল, তখন অনেক জ্বিন তার কাছে ভিড় জমালো। (আয়াত-১৯)






জ্বিন জাতির ইতিহাসঃ


কুরআন অনুসারে জিন জাতি মানুষের ন্যয় আল্লাহ্‌ তা'য়ালার এক সৃষ্ট একটি জাতি। পৃথিবীতে মানব আগমনের পূর্ব থেকেই তাদের অস্তিত্ব ছিল; এখনও তাদের অস্তিত্ব রয়েছে। মানুষের চর্মচক্ষে তারা দৃষ্টিগ্রাহ্য নয়। তবে জিনরা মানুষকে দেখতে পায়। তারা বিশেষ কিছু শক্তির অধিকারী। তাদের মধ্যেও মুসলিম এবং কাফির ভেদ রয়েছে। তারা মসজিদে নামাজ পড়তে আসে। তাদেরও সমাজ রয়েছে। তারা আয়ূ মানুষের চেয়ে অনেক বেশী। উদাহরনস্বরূপ, তারা ৩০০ বছর বয়সে প্রাপ্তবয়স্ক হয়। ঈমাম ইবনে তাইমিয়ার মতে জিন জাতি তাদের অবয়ব পরিবর্তন করতে পারে।






ইসলামের মতে জিন জাতি এক বিশেষ সৃষ্টি। কুরআনের ৭২তম সুরা আল জ্বিন এ শুধু জিনদের নিয়ে কথা বলা হয়েছে। এছাড়া সূরা আন নাস এর শেষ অংশে জিন জাতির উল্লেখ আছে। কুরআনে আরো বলা আছে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে জিন এবং মানবজাতির নবী হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে। হযরত সুলায়মান (আঃ) এর সেনাদলে জিনদের অংশগ্রহণ ছিল বলে কুরআনে উল্লেখ আছে। ইসলামে আরো বলা আছে "ইবলিশ" তথা শয়তান প্রকৃতপক্ষে জিন জাতির একজন ছিল। ইসলামের মতে, শয়তান হচ্ছে দুষ্ট জিনদের নেতা। ইবলিশ বা শয়তান ছিল প্রথম জিন যে আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণ করেছিল।






কুরআনে উল্লেখ আছে যে, ইবলিশ এক সময় আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দা ছিল । কিন্তু আল্লাহ যখন হযরত আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করলেন, তখন হিংসার বশবর্তী হয়ে ইবলিশ আল্লাহর হুকুম অমান্য করে। এ কারণে ইবলিশ কে বেহেশত থেকে বিতাড়িত করা হয় এবং এরপর থেকে তার নামকরণ হয় শয়তান। ইসলাম পূর্ব আরব উপকথা গুলোতে জ্বিন সদৃশ সত্ত্বার উল্লেখ আছে। প্রাচীন সেমাইট জাতির জনগণ জিন নামক সত্ত্বায় বিশ্বাস করতো। তাদের মতানুসারে নানাপ্রকারের জিন পরিলক্ষিত হয়। যেমন, ঘুল (দুষ্ট প্রকৃতির জিন যারা মূলত কবরস্থানের সাথে সম্পর্কিত এবং এরা যেকোন আকৃতি ধারণ করতে পারে), সিলা (যারা আকৃতি পরিবর্তন করতে পারতো) এবং ইফরিত (এরা খারাপ আত্মা)। এছাড়া মারিদ নামক এক প্রকার জিন আছে যারা জিন দের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী। প্রাচীন আরবদের মতে জিন রা আগুনের তৈরি।






বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ব্যাখাঃ আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞান জ্বিন জাতির অস্তিত্ব অস্বিকার করে না। অস্বিকার করার মত কোন যুক্তি বা মতবাদও আজ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বরং এ্যন্টি ম্যাটার সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান যত বৃদ্ধি পাচ্ছে জ্বিনের অস্তিত্বের পক্ষে যুক্তি ততই প্রগাড় হচ্ছে।






আসুন জানি এ্যন্টি ম্যাটার কিঃ


পৃথিবীতে যেমন বস্তু রয়েছে। তেমনভাবে অবস্তুও থাকতে পারে। আসুন দেখি এন্টিম্যাটার সম্পর্কে উইকিতে কি বলা হয়েছেঃ


পার্টিক্যাল ফিজিক্সে এ্যন্টি ম্যাটারেরর ধারণা প্রতিপদার্থের ধারণা রুপ নিয়েছে। ধারণা করা হয়েছে যেভাবে কণা দ্বারা পদার্থ গঠিত হয় ঠিক তেমনিভাবে প্রতিকণা দ্বারা প্রতিপদার্থ গঠিত হয়। উদাহরণস্বরুপ, একটি প্রতিইলেকট্রন (পজিট্রন) এবং একটি প্রতিপ্রোটন মিলিত হয়ে গঠন করে একটি প্রতিহাইড্রোজেন পরমাণু, যেমন করে একটি ইলকট্রন ও প্রোটন মিলে তৈরি করে একটি হাইড্রোজেন পরমাণু। উপরন্তু কণা এবং প্রতিকণা মিলিত হলে যেভাবে পূর্ণবিলয়ের মাধ্যমে সকল শক্তি বিমুক্ত হয়, তেমনি পদার্থ এবং প্রতিপদার্থের মিলনে পূর্ণবিলয়ের সৃষ্টি হয় বলে ধারণা করা হয়েছে। এ ধরণের পূর্ণবিলয়ের ফলে প্রকৃতপক্ষে উচ্চ শক্তির ফোটন (গামা রশ্মি) এবং বহু কণা-প্রতিকণা জোড়ার সৃষ্টি হয়। এই পূর্ণবিলয়ে বিমুক্ত কণাগুলোর মধ্যে বিপুল পরিমাণ শক্তি থাকে। এই শক্তির মান পূর্ণবিলয়ের ফলে সৃষ্ট বস্তুসমূহের নিশ্চল ভর এবং মূল পদার্থ-প্রতিপদার্থ জোড়ার অন্তর্ভুক্ত বস্তুসমূহের নিশ্চল ভরের পার্থক্যের সমান।






অর্থাৎ আমাদের মহাবিশ্বে যত পার্টিক্যাল আছে ঠিক তত পরিমান এ্যন্টি পার্টিক্যাল আছে। শক্তির নিত্যতা সূত্রানুযায়ী।


এ্যান্টিপার্টিকেল অদৃশ্য। এগুলোর মুভমেন্ট কোন যন্ত্র দ্বারা পর্যবেক্ষন করা যায় না। কিন্তু বিজ্ঞান এগুলোর অস্তিত্বকে অস্বিকার করতে পারছে না।






পৃথিবীতে ৬৫০ কোটি মানুষ আছে। এ্যান্টি পার্টিকেল থিওরি অনুযায়ী প্রতিটি মানুষের জন্যে একটি করে প্রতিমানুষ থাকলে সেগুলোর সংখ্যা হবে ৬৫০ কোটি। এগুলো মানুষের মতই কিন্তু অদৃশ্য।


এগুলোকেই জ্বিন বলা হয় যা বিজ্ঞান সম্মত।


Ref: http://m.somewhereinblog.net/blog/yazid/29234486