৮ ডিসেম্বর বরিশাল মুক্ত দিবস ! বরিশালে অবস্থানকারী পাকিস্তান আর্মির সদস্য ও মিলিশিয়ারা তখনও অস্ত্র সমাপর্ণ করে নাই। ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে খুনি পাকিস্তানী আর্মিরা বরিশাল শহরে অপারেশনে বের না হলেও ওয়াপদা ক্যাম্পের আশে পাশে কেউ গেলেই তাকে গুলি করতো, তাদের গুলিতে সেই সময়ে বহু আহতও হয়েছিলেন। তাছাড়া তখনও বরিশাল শহরের প্রধান
তেসরা নভেম্বরের অভ্যুত্থানের পেছনে সুসংগঠিত ও স্পষ্ট ভাবাদর্শিক রাজনৈতিক প্রণোদনা ছিল দুর্বল। সেই অভ্যুত্থানের ব্যর্থতা ও তার সংগঠকদের মৃত্যু কিংবা গ্রেফতারের পরে তার রেশ ধীরে ধীরে মিইয়ে যায়। যদিও ঘটনাবলীর ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া জারি ছিল দীর্ঘদিন। সাতই নভেম্বরের ‘সিপাহি অভ্যুত্থান’-এর ফলাফল ও প্রভাব সেই তুলনায় অনেকাংশেই ভিন্ন। ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ যেমন পূর্ববাংলাকে রাজনৈতিকভাবে পুরোপুরি পাল্টে দিয়েছে তেমনি ১৯৭৫ সালের সাতই নভেম্বরের পূর্বের ও পরের বাংলাদেশও অনেকাংশে পৃথক দুই রাষ্ট্র। ১৯৭৫ সালের সাতই নভেম্বর তারিখটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে তাই অনন্য এক দিন। রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক প্রভাবের বিচারে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের পরেই পঁচাত্তরের সাতই নভেম্বরের গুরুত্ব বাংলাদেশে।
সাতই নভেম্বরের ঘটনাবলীকে বিপ্লব কিংবা প্রতিবিপ্লব কীভাবে চিহ্নিত করা হবে তা নিয়ে আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিতর্ক এখনো চলছে। এইরূপ বিতর্ক বরাবর আবর্তিত হয় কথিত ঘটনাবলী কে ঘটিয়েছে, কারা গুলি ফুটিয়েছে, কারা মারা পড়েছে ইত্যাদির অনুসন্ধানে। তবে এই ঘটনা, বিশেষ করে ঘটনার নায়ক লে. কর্নেল আবু তাহেরের ফাঁসির পর, এই অভ্যুত্থানের মূল রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)-এর রাজনৈতিক ও সামরিক কী পরিণতি হলো এবং তাদের সেই পরিণতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিকভাবে কীভাবে নিজেকে