‘গণতন্ত্র’-এর পথে জিয়াউর রহমান জাসদের ‘পুনর্জন্ম’ এবং ‘দ্বিতীয় সিপাহি বিপ্লব’

১৯৭৬ সালে এসে সিরাজুল আলম খান নতুন তত্ত্ব দিলেও ‘গুরু’র এই নতুন তাত্ত্বিক কাঠামো সম্পর্কে শিষ্যদের মধ্যে মোটেই ঐকমত্য ছিল না। এসময় জাসদ জাতীয় কমিটির সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ সরকারের নামে ‘গণতান্ত্রিক জাতীয় সরকার’-এর বিরোধিতা করে ৩৭ পৃষ্ঠার বিকল্প দলিলও বের হয়। সেখানে ১৯৭৩-৭৪ সালে আওয়ামী লীগের সঙ্গে কমিউনিস্ট পার্টি ও ন্যাপের ‘জাতীয় সরকার’ তথা ‘জাতীয় গণতান্ত্রিক বিপ্লব’ সম্পন্নের ব্যর্থ প্রচেষ্টার উদাহরণ টেনে বলা হয় এ দৃষ্টিভঙ্গী এক ধরনের ‘বিচ্যুতি’। বলাবাহুল্য, আবদুল্লাহ সরকার দলের ভেতরকার একটি শক্তিশালী গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করছিলেন। এভাবেই দ্রুত সিরাজুল আলম খানের নেতৃত্ব দলের মধ্যে প্রথমবারের মতো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। বিশেষত ছাত্রলীগ তার রাজনৈতিক প্রস্তাবগুলো একবাক্যে নাকচ করে দেয়। বিরুদ্ধবাদীরা তখন দাদার নতুন দৃষ্টিভঙ্গীকে অভিহিত করেছিলেন সামরিক সরকারের প্রলোভন ও চাপের প্রত্যক্ষ ফল হিসেবে।
1 3 chapterএসময় (১৯৭৮ পর্যন্ত) ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন আ ফ ম মাহবুবুল হক। তার ভাষায়, ‘সিরাজুল আলম খানসহ জাসদের সর্বোচ্চ নেতাদের বক্তব্য সে-সময় মোটেই মার্কসবাদ- লেনিনবাদ সম্মত ছিল না। কিন্তু তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত সম্পর্কে পার্টিতে আনুষ্ঠানিক বিতর্কেরও সুযোগ দিচ্ছিলেন না তারা। অথচ দল ও গণসংগঠন সবাই তখন চাইছিল জাসদের সামগ্রিক কর্মকান্ডের একটি মূল্যায়ন ও পুনর্গঠন। এই প্রধান দ্বন্দ্বের পাশাপাশি মুখ্য নেতা কর্তৃত্বহীন হয়ে পড়ায় এরপর জাসদের কেন্দ্রীয় স্কোয়াডের মধ্যে আন্দোলন-সংগ্রাম, গণফ্রন্ট, পার্টি, সশস্ত্র সংগঠন ইত্যাদি প্রশ্নে আরেক ধরনের তীব্র মতদ্বৈততাও চলতে থাকে। নূরে আলম জিকুদের উদারনৈতিক অবস্থান এবং হাসানুল হক ইনুদের জঙ্গী ভূমিকা এসময় জাসদে দাদার প্রতি অনুরক্ত অংশেও ধীরে ধীরে সাংগঠনিক দ্বিধাবিভক্তির সৃষ্টি করে। মির্জা সুলতান রাজা ও শাহজাহান সিরাজরা এক পর্যায়ে নাটকীয়ভাবে ইনু, আরেফ, আম্বিয়া প্রমুখদের
পক্ষাবলম্বন করায় ‘দাদা’ রব স্বর্বস্ব হয়ে পড়েছিলেন।
৭ নভেম্বরের অভ্যুত্থানে এবং তাহেরের মৃত্যুর পর হাসানুল হক ইনু নানা র্যাডিক্যাল ভূমিকার মধ্যদিয়ে, বিশেষত সামরিক শাসন বিরোধী গণআন্দোলন গড়ে তোলার প্রক্রিয়ায় জাসদ রাজনীতিতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। ৭ নভেম্বরের অভ্যুত্থান দিকভ্রান্ত হওয়ার পর ১৯৭৫ সালের ২৩ নভেম্বর গ্রেফতার হন তিনি। মুক্তি পান ১৯৮০ সালের ১৪ জুন।
জেনারেল জিয়া প্রথম থেকে জাসদ নেতৃত্বের দুর্বলতা ও সংগঠনের অভ্যন্তরীণ বিশৃংখলাকে স্ব-স্বার্থে ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ১৯৭৬-এ মধ্যসারির নেতা এম এ আউয়ালকে ‘জাসদ’-এর মূল নেতারূপে গড়ে তোলার নীরব একটি সরকারি প্রচেষ্টাও লক্ষ্য করা যায়। এই উদ্যোগের ফলে মূল দলের অভ্যন্তরে আপোষকামী ধারা শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল এবং জিয়ার সঙ্গে আপোষের অনিবার্যতা তুলে ধরতে থাকেন তারা।
2 3 chapterএরই মাঝে রাষ্ট্রপতি সায়েমের মাধ্যমে জেনারেল জিয়া ১৯৭৬ সালের ২৮ জুলাই ১০ দফা ‘রাজনৈতিক দলবিধি’ (Political Party Regulation- পিপিআর) জারি করে কতিপয় বাধা নিষেধ সাপেক্ষে রাজনৈতিক দল গঠন ও রাজনৈতিক কার্যকলাপ পরিচালনার অনুমতি দেন। রাজনৈতিক দলবিধির ৬ নং ধারাটি ছিল জাসদের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ এবং তাতে বলা হয়, কোন জীবিত বা মৃত ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে কোনরূপ ব্যক্তিপূজার উদ্রেক বা ব্যক্তিত্বের মাহাত্ম্য প্রচার বা বিকাশ নিষিদ্ধ করা হলো।’ মৃত কর্নেল তাহেরের সামাজিক ইমেজের বিস্তৃতি রোধ করতেই এইরূপ বিধি তৈরি হয়েছিল বলে ধারণা করা যায়। এ সময় রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহারের প্রচেষ্টাও ব্যাপকতা পায়। জিয়াউর রহমানের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ এস এম মোস্তাফিজুর রহমান তার আত্মজৈবনিক গ্রন্থে লিখেছেন জিয়ার সঙ্গে রাজনীতি করতে এসে হলো আরেক অভিজ্ঞতা। দিনের বেলা যিনি মিছিল করছেন জিয়ার বিরুদ্ধে রাতে দেখি তিনিই এজেন্সির সঙ্গে দেখা করছেন, টাকা নিচ্ছেন। মোস্তাফিজুর রহমানের ইঙ্গিত অস্পষ্ট নয়। রাজপথে জিয়া বিরোধিতায় তখন সর্বাগ্রে ছিল জাসদ ও আওয়ামী লীগ। এই দুই দলের পুনর্জন্মও জিয়ার হাতেই।
পিপিআর-এর অধীনে মোট ৫৭টি দল রাজনীতি করার অনুমিত চেয়েছিল তখন। অনুমতি পায় ২৩টি সংগঠন। তাহেরকে ফাঁসি দেওয়ার মাত্র কয়েকদিন পরই জেনারেল জিয়া এই ‘রাজনৈতিক প্রক্রিয়া’ শুরু করেন এবং সেই প্রক্রিয়ারই অংশ হিসেবে (!) শিগগির (২৯ এপ্রিল ১৯৭৭) রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সায়েমকেও সরিয়ে দেন। এরি মধ্যে ১৯৭৭ সালের অক্টোবর সেনানিবাসগুলোতে অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে আরেক দফা দমনপীড়ন শেষে মূল জাসদকে পুনরায় রাজনৈতিক কার্যকলাপের অনুমতি দেয়া হয় ১৯৭৮ সালের ২৪ এপ্রিল। সেই অনুমতি একেবারে শর্তহীন ছিল না।
জিয়াউর রহমানের অন্যতম একটা লক্ষ্য ছিল জাসদকে দিয়ে পরোক্ষে আওয়ামী লীগকে কোনঠাসা রাখা। অভ্যন্তরীণ বিভেদ সত্ত্বেও আব্দুল মালেক উকিল এবং আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে ১৯৭৭-এর ৪ এপ্রিল নতুন করে গঠিত আওয়ামী লীগই ছিল তখন প্রভাবশালী বিরোধিদল। তবে মিজানুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে আরেকটি আওয়ামী লীগও সক্রিয় ছিল তখন। ১৯৭৬-এর ৪ নভেম্বর মিজানুর রহমান চৌধুরীর বাড়ির ছাদে যার জন্ম হয়। ১৯৭৮ সালের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে এসে জিয়া নিজেও রাজনৈতিক দল গড়ার উদ্যোগ দেন। ১৫ ডিসেম্বর ৯৫ মিনিটের এক বেতার ভাষণের মাধ্যমে জিয়া রাজনৈতিক ফ্রণ্ট গঠনের ঘোষণা দেন। পরের বছর ৯ এপ্রিল সামরিক বাহিনী থেকে পদত্যাগ না করেই তিনি নতুন রাজনৈতিক দলে যোগদানের কথা ঘোষণা করেন। যে দল ‘জাতীয় গণতান্ত্রিক দল’ (জাগোদল) ইতিমধ্যে যাত্রা করেছিল ভাইস প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আব্দুস সাত্তারকে সামনে রেখে। ‘গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও বিভিন্নভাবে প্রভাব বিস্তার করে জিয়ার পক্ষে রাজনীতিবিদদের অনেককে আনতে সক্ষম হন।’ জাসদের অভ্যন্তরে অবস্থা খুবই টালমাটাল তখন। তারই আভাস পাওয়া যায় সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান সিরাজের সে সময়কার (দলীয়ভাবে অননুমোদিত) রিপোর্টে:
...শ্রমিক শ্রেণী ও জনতার অজ্ঞাতেই আমাদের দেশে ৭ নভেম্বর সংঘটিত হয়েছে। অভ্যুত্থান সম্পর্কে কোন ধারণা তাদের ছিল না। আমরা পূর্বে এ সম্পর্কে তাদের কোন ধারণা দিই নি। গুরুত্ব সহকারে তাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গেও আমরা শারীরিকভাবে সম্পর্কিত ছিলাম না। কাজেই বিপ্লবী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত করে অভ্যুত্থান সম্পর্কে ধারণা দেয়ার দুরূহ কাজটি আমরা করিনি। অভ্যুত্থান সম্পর্কে আমাদেরও তেমন স্পষ্ট ধারণা ছিল না। ৭ নভেম্বর সকালে সামরিক আইন জারি, শহীদ মিনারের জমায়েত এবং পরদিন বায়তুল মোকাররমের জনসভায় গুলিবর্ষণ ইত্যাদি ঘটনাবলী অভ্যুত্থানে আমাদের পরাজয়ের সুস্পষ্ট ইঙ্গিত। এরপরও সংগঠিতভাবে পশ্চাৎপসারণের কৌশল গ্রহণ না করে আমরা আরও শক্তি সংগ্রামে অবতীর্ণ হলাম। স্বাভাবিকভাবেই রাষ্ট্রশক্তির বেপরোয়া আঘাতে আমরা অসহায় হয়ে গেলাম। বিরক্ত জনগণও আমাদের কার্যক্রমে সাড়া দেয়নি। কারণ তখন জনগণের কামনা ছিল একটু স্বস্তি।
....৭ নভেম্বরের পর থেকে সংগঠনের ওপর সরকারি আক্রমণ যেভাবে নেমে এসেছিল, তাকে মোকাবেলা করতে আমরা সক্ষম হইনি। এমনি চরম প্রতিকূল অবস্থায় গোপনভাবে সংগঠন ও আন্দোলন পরিচালনা করা সম্ভবপর ছিল না। প্রয়োজন দেখা দিল প্রকাশ্যভাবে আত্মপ্রকাশ করার। এই পরিপ্রেক্ষিতে জিয়া সরকার যখন রাজনৈতিক দলবিধি অনুযায়ী রাজনৈতিক কর্মকান্ড সম্পর্কিত ঘোষণা দেয়, আমরা তার সুযোগ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেই।...”
3 3 chapter১৯৭৫-এর বিপর্যয়ের পর আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তোলার পাশাপাশি জাসদের একটি অংশ বরাবরই সরকারের সঙ্গে সমঝোতার প্রয়াস চালিয়ে যায়। এ প্রয়াস মোটেই গোপন ছিল না। জাসদ নেতৃবৃন্দের অনুমতির ভিত্তিতে মাহবুবুর রব সাদী এ আলোচনা চালাতেন। পুরো জাসদ নেতৃত্ব একাধিকার জিয়ার সঙ্গে বঙ্গভবনে আলোচনায় বসেছিলেন। জাসদের জাতীয় কমিটি ১৯৭৯ সালের ১৮ মার্চ প্রকাশিত এক দলিলে (‘শুধু সদস্যদের জন্য’) স্পষ্টভাবেই স্বীকার করেছে, ‘...বিভিন্ন মহলের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমরা সরকারি স্বীকৃতি লাভ করি।’
এ ধরনের স্ববিরোধিতা যেকোন বিপ্লবী দলেরই নৈতিক ভিত্তি দুর্বল করে দেয় এবং ভবিষ্যতকে করে তোলে বিবর্ণ। জাসদের ক্ষেত্রেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। ১৯৭৬ থেকে পিছু হটছিল এই দল। ১৯৭৭ সালে গণবাহিনী নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। সশস্ত্র সংগ্রাম থেকে শান্তিপূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে পশ্চাৎপসারণ করতে জাসদ তখন মরীয়া। ক্যান্টনমেন্টের বাইরে সাংগঠনিকভাবে নেতৃত্ব এক্ষেত্রে সফল হন। কিন্তু সেনা ছাউনিতে জাসদকে এক্ষেত্রে মূল্য দিতে হয়েছিল খুব চড়া। সেনাবাহিনীকে জাসদের প্রভাব মুক্ত করতে জিয়া এক হাজারের অধিক অফিসার ও জওয়ানকে শাস্তি অথবা বহিষ্কার করেছিলেন। বলা বাহুল্য, এদের সবাই ‘জাসদ’ ছিলেন না।
জিয়াউর রহমান শাসনামলে অন্তত ২০টি অভ্যুত্থানের কথা জানা যায়। কেবল একটি বাদে বাকি সবগুলোই জিয়া কঠোরভাবে দমনে সমর্থ হন। এক্ষেত্রে বিশেষভাবে ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবরের অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার কথা বলতে হয়। অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের দাবি, অভ্যুত্থান পরবর্তী দুই মাসে এক হাজার এক শ’ থেকে এক হাজার চার শ’ সৈনিককে সংক্ষিপ্ত বিচার শেষে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে কিংবা ফায়ারিং স্কোয়াডে হত্যা করা হয়। এছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ শতাধিক সৈনিককে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দেয়া হয়। অনেককে কোর্ট মার্শালের আগেই হত্যা করা হয়েছিল বলেও দাবি করা হয়। উল্লেখ্য, সংবাদপত্রের ভাষ্য অনুযায়ী অভ্যুত্থানকারীদের বিচারের জন্য মিলিটারি ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয় ৭ অক্টোবর; আর সামগ্রিক কাজ এগিয়ে নিতে ব্রিগেডিয়ার মহব্বতজান চৌধুরীকে সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের মহাপরিচালক নিযুক্ত করা হয় পরের দিন। কথিত রয়েছে ’৭৭-এর অক্টোবর অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে ছিল বিমান বাহিনীর সার্জেন্ট আফসার ও হাবিলদার মুজিবুর রহমান। আফসার শাহবাগ রেডিও স্টেশন দখল করে ভাষণও দিয়েছিলেন। তবে এই অভ্যুত্থান শুরু হয় ২৮ সেপ্টেম্বর বগুড়া সেনানিবাস থেকে। জিয়াউর রহমানের শাসনামলে যতগুলো অভ্যুত্থান ঘটে তার মধ্যে ’৭৭-এর সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের অভ্যুত্থানই ছিল সবচেয়ে রক্তাক্ত এবং কেবল এটিতেই নেতৃত্ব পর্যায়ে সৈনিকদের অংশগ্রহণ ছিল ব্যাপক। অনেক ভাষ্যকার একে ‘দ্বিতীয় সিপাহি বিপ্লব’ হিসেবেও অভিহিত করেন। মীর শওকত আলীর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর ৯ম পদাতিক ডিভিশন এই অভ্যুত্থান দমনে জিয়াউর রহমানকে সাহায্য করে। সেনাবাহিনীর সিগন্যাল ও সাপ্লাই কোরের সৈনিকরাই ছিল এই অভ্যুত্থানের কেন্দ্রীয় শক্তি।
সেনাবাহিনীর অনেক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাদের লেখায় ১৯৭৭-এর উপরে উল্লিখিত অভ্যুত্থানে জাসদ ও কর্নেল তাহের প্রতিষ্ঠিত বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার ‘যোগসাজশ’ ছিল বলে উল্লেখ করলেও (যেমন, ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত হোসেন, ‘বাংলাদেশ: রক্তাক্ত অধ্যায় ১৯৭৫-৮১’) জাসদ নেতা হাসানুল হক ইনু তা অস্বীকার করে বলেছেন, ‘তাহের সমর্থকরা জড়িত থাকলে অভ্যুত্থান বিক্ষিপ্ত হতো না বরং আরও সংঘটিত হতো (দেখুন, জায়েদুল আহসান, পূর্বোক্ত, পৃ. ৬৭)। তবে প্রকাশ্যে অভ্যুত্থানে জাসদের যোগাসাজশ সম্পর্কে কোন ‘প্রমাণ’ উপস্থাপিত না হলেও ১৯৭৭-এর ১৪ অক্টোবর জিয়াউর রহমান আরও দুটি দলের সাথে জাসদকেও নিষিদ্ধ করেছিলেন।
PROBENEWS

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন