জাসদ কাহিনী (৩): চরমপন্থিদের ধ্বংসাত্মক ইতিহাস ১৯৭৪

১৯৭৪ সালের ১৮ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু উদ্বোধনী ভাষণে সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা ও গুপ্তহত্যাকাণ্ডে লিপ্ত উগ্রবামপন্থি, প্রকাশ্য ও গোপন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও গ্রুপগুলোর তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ‘তারা যা করছে তা বিপ্লব নয়, বিপ্লবের বিকৃতি-পারভারসন। নিদ্রিত মানুষকে হত্যা করে আর অন্তর্ঘাত ও নাশকতামূলক তৎপরতা চালিয়ে বিপ্লব হয় না।’
স্বাধীনতার দুই বছর পরও উগ্রচরমপন্থি, স্বাধীনতাবিরোধী, পাকিস্তানপন্থিদের সহিংস ও নাশকতামূলক এবং অন্তর্ঘাতী আচরণ অব্যাহত থাকে। এতে দিনরাত উৎকণ্ঠিত ও আতঙ্কিত হয়ে পড়ে দেশবাসী। চোরাগোপ্তা হামলা, জবাই করা, থানা লুটের সঙ্গে বাজার লুট সবই চলছিল কথিত কমিউনিজম প্রতিষ্ঠার নামে। অথচ এরা কেউই জনসমর্থিত বা আদৌ কমিউনিস্ট ছিল না। এরা মানুষের রক্তপান করতে ভালোবাসত। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে জনগণ বেশ বিচলিত হয়ে পড়েছিল। অস্ত্রের সরবরাহ বাড়ছিল।  বিশেষত চীনে নির্মিত অস্ত্র সংগ্রহ করত এ দেশের মাওবাদীরা। যাদের দলেরও চেয়ারম্যান মাও সে তুং। এবং এরা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ছিল অবিশ্বাসী। এদের পক্ষে প্রকাশ্য অবস্থান নিয়েছিলেন মওলানা ভাসানী। মূলত চরমপন্থিরাও ভাসানীকে আশ্রয় করত সুযোগমতো। তাদের অরাজকতার মাত্রার সঙ্গে ভাসানীর বক্তৃতা-বিবৃতি জনমনে আশঙ্কা তৈরি করে। তাই দেখা যায় ভাসানী ১৯৭৪ সালের ২৯ আগস্ট ঢাকা শহরে হরতাল পালন করেন জনমনে আতঙ্ক বাড়াতে। আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক মন্দা, মুদ্রাস্ফীতি এবং ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের পটভূমিতে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু যখন চরম সর্বনাশের করাল গ্রাস থেকে দেশকে উদ্ধারের পথের সন্ধানে ব্যতিব্যস্ত, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো অবাধ গণতন্ত্রের সুযোগে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের দোহাই দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে ‘জেহাদে’ অবতীর্ণ হয়। ভাসানী থেকে শুরু করে জাসদ, মাওবাদী উগ্রবামপন্থি বিভিন্ন প্রকাশ্য রাজনৈতিক দল, এমনকি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র রাজনৈতিক সংগঠন ও সরকারবিরোধী অভিযানে শামিল হয়। রাজাকার, আলবদর প্রভৃতি পাকিস্তানপন্থি দলগুলোর সদস্য এবং সমাজবিরোধীরাও সরকারবিরোধী অভিযানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যোগদান করে। এই প্রকাশ্য তৎপরতার পাশাপাশি অধিকতর তীব্রতায় চলতে থাকে মাওবাদী পার্টি, জাসদের গণবাহিনী, মতিন, আলাউদ্দিন, তোয়াহাদের গুপ্তবাহিনীগুলোর হাতিয়ারবাজি এবং হত্যালীলা। নাশকতা, ব্যাংক ডাকাতি, রাহাজানি, গুপ্তহত্যা, থানা-ফাঁড়িতে সশস্ত্র আক্রমণ, খাদ্যশস্যের গুদাম লুট, খাদ্যশস্য বহনকারী ট্রাক, ট্রেনের বগি ও জাহাজ ধ্বংস, পাটের গুদামে অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি ধ্বংসাত্মক ও অন্তর্ঘাতমূলক কার্যকলাপ অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। এ ধরনের ঘটনার খবর প্রতিদিন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। ৫ জানুয়ারি পবিত্র ঈদুল আজহার দিন ঢাকায় ৬টি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। ১০ জানুয়ারি ভোলার জাতীয় সংসদ সদস্য মোতাহার উদ্দিন কতিপয় আততায়ীর গুলিতে নিহত হন। ১১ জানুয়ারি চরমপন্থি দুর্বৃত্তদের কারসাজিতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের প্রবেশ মুখে ৮ হাজার টন সিমেন্টবাহী ‘গোল্ড কুইন’ জাহাজটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়। ২৫ জানুয়ারি গণবাহিনী নারায়ণগঞ্জের ‘কুমুদিনী’ এবং বালুরঘাটের দুটি পাটের গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটায়। ২৭ জানুয়ারি যশোর জুট মিল আবদুল হকের ইপিসিপি অগ্নিসংযোগে ভস্মীভূত করে। ১ ফেব্রুয়ারি পদ্মা নদীর কাটিছাটা চরে একই সময়ে গণবাহিনী ১০টি লঞ্চে ডাকাতি করে। ২ ফেব্রুয়ারি চরমপন্থিদের গুলিতে নিহত হন যশোরের সাবেক এমসিএ মোশাররফ হোসেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি আলীজান জুটমিল আগুনে পুড়িয়ে ভস্মীভূত করা হয়। ৪ মার্চ দৌলতপুরের ২৩টি পাটের গুদাম একযোগে আগুন জ্বালিয়ে ভস্মীভূত করা হয়। ৯ মার্চ ঢাকার মোহাম্মদপুরে জনতা ব্যাংক থেকে ৭০ হাজার টাকা ছিনতাই করা হয়। ১৫ মার্চ নারায়ণগঞ্জের জনতা ব্যাংকের শাখা হতে ৩ লাখ টাকা ছিনতাই। ১৬ মার্চ নরসিংদী মনোহরদী থানার সংসদ সদস্য গাজী ফজলুর রহমান চরমপন্থিদের গুলিতে নিহত হন। একই দিনে ঈশ্বরদী, সিরাজগঞ্জ লাইনের জামতৈল স্টেশনের অদূরে একটি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। ২২ মার্চ রাজশাহীর নলডাঙ্গায় মতিন-আলাউদ্দিন গ্রুপের বোমা হামলায় ৭ জন নিরীহ ব্যক্তি প্রাণ হারান। ২৭ মার্চ ভেড়ামাড়ায় বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় বিদ্যুৎকেন্দ্রে। ২০ এপ্রিল রাজশাহীর হরিয়ান জনতা ব্যাংকের শাখা হতে ৩৮ হাজার টাকা ছিনতাই করা হয়। ৩০ এপ্রিল সাভারে সোয়া লাখ টাকাসহ একটি টাকা জালকারী দলকে গ্রেফতার করা হয়। ২ মে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানায় সশস্ত্র হামলা চালিয়ে অস্ত্রশস্ত্র লুট করে তোয়াহার দল। ৭ মে  নারায়ণগঞ্জের বাবুরাইল থেকে বিমানবিধ্বংসী কামান ও প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ২৯ মে সাভারের শিমুলিয়া পুলিশ ফাঁড়িটি লুট ও ধ্বংস করে। ১১ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি ছাত্রাবাস থেকে ২৯৭ বাক্স গুলি উদ্ধার করা হয়। ১২ জুন রাতে চট্টগ্রামে ফেরার পথে কতিপয় দুর্বৃত্তের কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক লীগের সভাপতি এম এ হান্নান। ১৭ জুন ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। ২৩ জুন সশস্ত্র হামলায় বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া থানা লুট ও ধ্বংস করা হয়। এতে দুজন পুলিশ নিহত হয়। ৯ জুলাই ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানা লুট হয়। ১৬ জুলাই ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার ৮টি পুলিশ ফাঁড়ি লুট হয় একই সময়ে। ১ আগস্ট রাঙামাটির চন্দ্রঘোনা থানায় চরমপন্থিদের সশস্ত্র হামলায় দুজন বিডিআর সদস্য নিহত হন। ১৫ আগস্ট কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর থানায় চরমপন্থিদের সশস্ত্র হামলায় দুজন নিহত হন। ২০ আগস্ট মুন্সীগঞ্জের বেতকা জনতা ব্যাংক শাখা হতে ৫৭ হাজার টাকা ছিনতাই হয়। একই দিন বিকালে সন্দ্বীপ চ্যানেলের কাছে একটি ২২ হাজার মণ গমবাহী জাহাজ ডুবিয়ে দেয়। ২২ আগস্ট মুন্সীগঞ্জের ভাগ্যকূলের জনতা ব্যাংক শাখায় সশস্ত্র ডাকাতি হয়। ১০ সেপ্টেম্বর ঘোড়াশাল ইউরিয়া সার কারখানার কন্ট্রোল রুমটি দুর্বৃত্তদের কারসাজিতে সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়। এই বিস্ফোরণে ২০ ব্যক্তি হতাহতসহ বৈদেশিক মুদ্রায় ১৫ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি বিনষ্ট হয়। ১১ অক্টোবর চরমপন্থিরা সশস্ত্র হামলা করে মাদারীপুরের সাহেবরামপুর রক্ষীবাহিনীর ক্যাম্পে। দুজন রক্ষীবাহিনীর সদস্যসহ ৯ ব্যক্তি নিহত হন। ২০ অক্টোবর রংপুরের শ্যামপুর রেলওয়ে স্টেশনে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে দুর্বৃত্তরা কয়েকটি গমবাহী ওয়াগন লুট করে। ২১ অক্টোবর মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থানা ও রক্ষীবাহিনী ক্যাম্পে একযোগে হামলা চালায় গণবাহিনী। ২৭ অক্টোবর দুর্বৃত্তদের গুলিতে ঢাকায় নিহত হন পাকিস্তানের এককালের প্রধানমন্ত্রী বগুড়ার মোহাম্মদ আলীর পত্নী। ৩০ অক্টোবর শরণখোলার সুন্দরবনে সর্বহারা পার্টি ও রক্ষীবাহিনীর মধ্যে গুলিবিনিময় হয়। এতে ৯ জন প্রাণ হারায়। ১ নভেম্বর সুনামগঞ্জের জালালপুর গ্রামের প্রাকৃতিক গ্যাস ফিল্ড অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত করা হয়। ৭ নভেম্বর মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান থানা লুট ও ধ্বংস করা হয়। ২৯ নভেম্বর গাজীপুরের কালিয়াকৈরের পুলিশ ফাঁড়ি সশস্ত্র হামলা চালিয়ে লুট ও ধ্বংস করা হয়। ১ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের শুকুরছড়ি এবং চন্দ্রঘোনা পুলিশ ফাঁড়ি চরমপন্থিদের দুটো সশস্ত্র গ্রুপের হামলায় ধ্বংস হয়। অস্ত্রশস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। একই তারিখে মানিকগঞ্জের শিবালয় থানা জনতা ব্যাংকের শাখা হতে ৬৫ হাজার টাকা ছিনতাই করা হয়। ৩ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামের ঘোড়াইছড়ি পুলিশ ফাঁড়ি লুট ও ধ্বংস করে সর্বহারা পার্টি। ৪ ডিসেম্বর দুর্বৃত্তদের সশস্ত্র হামলায় মুন্সীগঞ্জ সদরে ১০ জন নিহত হন। একই তারিখে চরমপন্থিদের গুলিতে নিহত হন ফরিদপুরের সাবেক এমসিএ আবু ইউসুফ  আমিন উদ্দিন। ১৩ ডিসেম্বর চরমপন্থিরা দেশের বিভিন্ন স্থানে বোমাবাজি ও সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা চালায়। তারা দেশের কয়েকটি রেলওয়ে স্টেশন ও তফসিল অফিসে হামলা করে ও অগ্নিসংযোগ ঘটায়। ১৫ ডিসেম্বর চরমপন্থিরা দেশের বিভিন্ন স্থানে বোমাবাজি ও নাশকতামূলক তৎপরতা চালায়। ২০ ডিসেম্বর চরমপন্থিদের কারসাজিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয় টঙ্গীর নিশাত জুট মিলে। এতে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়। ২৫ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ায় ঈদের জামাতে নামাজরত অবস্থায় প্রকাশ্য দিবালোকে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করা হয় সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়াকে। বঙ্গবন্ধু এ খবর পেয়ে বলেছিলেন, ‘মানুষের ধৈর্য ও সহ্যের একটা সীমা পরিসীমা আছে। এখন আমার চরম কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। এতে হয় সকল হত্যা, নাশকতা, অন্তর্ঘাত ও সশস্ত্র সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অবসান হবে। নয়তো আমি নিজেই শেষ হয়ে যাবো।’ ১৫ ডিসেম্বর ১৯৭৪ সালে জাতীয় দিবসের প্রাক্কালে জাতির উদ্দেশে বেতার টিভিতে প্রদত্ত ভাষণে কতিপয় মহলের সহিংস, ধ্বংসাত্মক ও অন্তর্ঘাতমূলক কার্যকলাপ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এখানে মুষ্টিমেয় কিছুসংখ্যক দুষ্কৃতকারীর কথা উল্লেখ না করে আমি পারছি না। রাতের অন্ধকারে সন্ত্রাস সৃষ্টিই তাদের প্রধান উপজীব্য। ৪ জন সংসদ সদস্যসহ তিন হাজার আওয়ামী লীগ নেতা, কর্মী ও নিরীহ গ্রামবাসীকে এদের হাতে প্রাণ দিতে হয়েছে। তারা জনগণের সম্পদ বিনষ্ট করে জনগণের দুঃখ-কষ্ট বৃদ্ধি করতেও দ্বিধা করছে না। সরকার তো দূরের কথা, কোনো শান্তিপ্রিয় নাগরিকই এটা বরদাস্ত করতে পারে না। সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে জনগণের কোনো কল্যাণ বা সমস্যার সমাধান হয় না। এ পন্থা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বহু আগেই প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।’২৮ ডিসেম্বর রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক বিপর্যয় ও আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে অরাজকতাজনিত সংকট মোকাবিলার জন্য সারা দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন রাষ্ট্রপতি। দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে বলা হয়, ‘অবাধ গণতন্ত্রসম্মত সুযোগের যেভাবে অপব্যবহার করা হয়েছে, শান্তিপূর্ণভাবে নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক তৎপরতার পরিবর্তে যেভাবে নৈরাজ্য ও অরাজকতা সৃষ্টি করা হয়েছে, দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়ে জাতীয় বিপর্যয় অনিবার্য করে তোলার জন্য সমাজবিরোধীরা যেভাবে অশুভ তৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে, নাশকতা, অন্তর্ঘাত ও সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপ এবং নির্বিচারে গুপ্তহত্যাকাণ্ড চালিয়ে যেভাবে জনজীবনে নিরাপত্তাহীনতা, ভীতি ও ত্রাসের সঞ্চার করা হয়েছে, জনগণের নির্বাচিত ও আস্থাভাজন কোনো সরকারই তার মোকাবেলায় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে পারে না। সুপরিকল্পিত এই নৈরাজ্য, অরাজকতা ও সংকট থেকে জাতিকে রক্ষা করার জন্য এই কঠোরতম ব্যবস্থা গ্রহণ করা ছাড়া সরকারের সামনে আর কোনো বিকল্প পথ খোলা ছিল না।’
- See more at: http://www.bd-pratidin.com/special/2015/08/31/103357#sthash.6kbXBpV1.dpuf

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন