২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় আটক বিডিআর সদস্যদের নিরাপত্তা হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনাকে ‘কিছুটা সন্দেহজনক’ বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টির সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, বিষয়টি তিনি সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদের কাছে উত্থাপন করবেন। বিদ্রোহে আওয়ামী লীগ জড়িত রয়েছে বলে আটক বিডিআর সদস্যদের দিয়ে জোর করে বলানোর চেষ্টা হয় বলেও অভিযোগ করেন শেখ হাসিনা।
উইকিলিকসের ফাঁস করা মার্কিন তারবার্তায় এ তথ্য পাওয়া গেছে। ২০০৯ সালের ২৭ এপ্রিল শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন মরিয়ার্টি। ২৮ এপ্রিল বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়ে ওয়াশিংটনে তারবার্তা পাঠান তিনি।
তারবার্তায় বলা হয়, বৈঠকে মরিয়ার্টি বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় আটক বিডিআর সদস্যদের আইনি হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় মার্কিন সরকার ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা ও হূদেরাগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বলে উল্লেখ করছেন। এগুলো মূলত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে একমত হয়ে বলেন, এসব মৃত্যু ‘কিছুটা সন্দেহজনক’।
তারবার্তায় বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ষড়যন্ত্র রয়েছে। তাঁর ধারণা, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে (২০০১-০৬) জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্যদের বিডিআরে নিয়োগ দেওয়া হয়। তারা এই ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকতে পারে। তিনি বলেন, বিদ্রোহীদের মধ্যে স্যান্ডেল পরা ও লম্বা চুলসহ কিছু ব্যক্তিকে দেখা গেছে। তারা বিডিআরের সদস্য নয়। প্রধানমন্ত্রী জানান, বিদ্রোহের ঘটনায় তিনিসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সেনাবাহিনীর তদন্ত কর্মকর্তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠান। এতে তিনি ক্ষুব্ধ হন। জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি নাকচ করে দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ রকম জিজ্ঞাসাবাদের দায়িত্ব পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তাদের।
বৈঠকে বাংলাদেশে সিভিল-মিলিটারি সম্পর্ক উন্নয়নে সামরিক বাহিনী ও রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে কর্মশালা করার প্রস্তাব দেন মরিয়ার্টি। প্রধানমন্ত্রী ওই প্রস্তাব গ্রহণ করেন।
অন্য একটি তারবার্তায় আইনি হেফাজতে বিডিআর সদস্যদের মৃত্যু প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি বলেন, প্রতিটি মৃত্যুর ঘটনাই তদন্ত করে দেখা উচিত। ২০০৯ সালের ৪ মে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন মরিয়ার্টি। এতে মরিয়ার্টি বলেন, ‘আমাদের ধারণামতে, বিডিআর সদস্যদের বিডিআর সদর দপ্তর থেকে অন্য কোথাও নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মরিয়ার্টি কয়েকটি বিদ্যুৎ প্রকল্পে মার্কিন বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ফুলবাড়ী কয়লাখনিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মালিকানাধীন কোম্পানি এশিয়া এনার্জি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে পারে।
তারবার্তার মন্তব্য অংশে বলা হয়, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় সরকার ষড়যন্ত্রের কথা বললেও ধীরে ধীরে শেখ হাসিনা তাঁর অবস্থান সংহত করেন।
উইকিলিকসের ফাঁস করা মার্কিন তারবার্তায় এ তথ্য পাওয়া গেছে। ২০০৯ সালের ২৭ এপ্রিল শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন মরিয়ার্টি। ২৮ এপ্রিল বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়ে ওয়াশিংটনে তারবার্তা পাঠান তিনি।
তারবার্তায় বলা হয়, বৈঠকে মরিয়ার্টি বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় আটক বিডিআর সদস্যদের আইনি হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় মার্কিন সরকার ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা ও হূদেরাগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বলে উল্লেখ করছেন। এগুলো মূলত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে একমত হয়ে বলেন, এসব মৃত্যু ‘কিছুটা সন্দেহজনক’।
তারবার্তায় বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ষড়যন্ত্র রয়েছে। তাঁর ধারণা, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে (২০০১-০৬) জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্যদের বিডিআরে নিয়োগ দেওয়া হয়। তারা এই ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকতে পারে। তিনি বলেন, বিদ্রোহীদের মধ্যে স্যান্ডেল পরা ও লম্বা চুলসহ কিছু ব্যক্তিকে দেখা গেছে। তারা বিডিআরের সদস্য নয়। প্রধানমন্ত্রী জানান, বিদ্রোহের ঘটনায় তিনিসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সেনাবাহিনীর তদন্ত কর্মকর্তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠান। এতে তিনি ক্ষুব্ধ হন। জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি নাকচ করে দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ রকম জিজ্ঞাসাবাদের দায়িত্ব পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তাদের।
বৈঠকে বাংলাদেশে সিভিল-মিলিটারি সম্পর্ক উন্নয়নে সামরিক বাহিনী ও রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে কর্মশালা করার প্রস্তাব দেন মরিয়ার্টি। প্রধানমন্ত্রী ওই প্রস্তাব গ্রহণ করেন।
অন্য একটি তারবার্তায় আইনি হেফাজতে বিডিআর সদস্যদের মৃত্যু প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি বলেন, প্রতিটি মৃত্যুর ঘটনাই তদন্ত করে দেখা উচিত। ২০০৯ সালের ৪ মে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন মরিয়ার্টি। এতে মরিয়ার্টি বলেন, ‘আমাদের ধারণামতে, বিডিআর সদস্যদের বিডিআর সদর দপ্তর থেকে অন্য কোথাও নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মরিয়ার্টি কয়েকটি বিদ্যুৎ প্রকল্পে মার্কিন বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ফুলবাড়ী কয়লাখনিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মালিকানাধীন কোম্পানি এশিয়া এনার্জি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে পারে।
তারবার্তার মন্তব্য অংশে বলা হয়, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় সরকার ষড়যন্ত্রের কথা বললেও ধীরে ধীরে শেখ হাসিনা তাঁর অবস্থান সংহত করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন