বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নির্বাচনে আনতে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেছিল সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আলোচনায় খালেদা তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমানের মুক্তি এবং চিকি ৎ সার জন্য বিদেশে পাঠানোর পক্ষে শক্ত অবস্থান নেন। কিন্তু ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে কলঙ্কিত তারেককে চিকি ৎ সার জন্য ঠাঁই দিতে আগ্রহী দেশ খুঁজে পাওয়া সহজ হয়নি।
উইকিলিকসের ফাঁস করা মার্কিন দূতাবাসের তারবার্তায় এ কথা বলা হয়েছে। ২০০৮ সালের ১৩ আগস্ট মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টির সঙ্গে বৈঠক করেন সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের সন্ত্রাসবাদবিরোধী কার্যক্রমের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ টি এম আমিন। তিনি রাষ্ট্রদূতের কাছে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তারবার্তায় এ টি এম আমিনকে জরুরি অবস্থা জারির অন্যতম রূপকার হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত মরিয়ার্টি আলোচনায় ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা এ টি এম আমিনকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় অর্থ লুণ্ঠনবিরোধী নীতি ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, তারেক যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলে তা আইন অনুযায়ী সম্ভব কি না, সেটি খতিয়ে দেখতে হবে মার্কিন সরকারকে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ টি এম আমিন মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো, ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। তিনি জানান, বিএনপি নির্বাচন বয়কট করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে সরকার। আর বিএনপি না এলে তার রাজনৈতিক মিত্র জামায়াতে ইসলামীও নির্বাচন বয়কট করতে পারে। এতে ভোটারদের একটি বড় অংশ নির্বাচনের পর অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে সরকারের।
ব্রিগেডিয়ার আমিন মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে জানান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণা, খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে বিএনপির বিভিন্ন অংশ ঐক্যবদ্ধ হবে এবং নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেবে। এতে খালেদার জোট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নির্বাচনে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারবে বলেও ধারণা করছে সরকার। (ওই সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হিসাব ছিল নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করবে। তবে দলটি সরকার গঠন করার মতো আসন পাবে না।) ব্রিগেডিয়ার আমিন মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে আরও জানান, তারেক রহমান আবারও রাজনীতিতে ফিরতে পারেন বলে আশঙ্কা রয়েছে সরকারের।
ব্রিগেডিয়ার আমিন জানান, তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়া, সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদ ও প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমদের মধ্যে বৈঠক আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। এ বৈঠকের অন্যতম আলোচ্য বিষয় নির্বাচনের পর সেনাপ্রধান মইনের ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে। আমিন বলেন, সেনাপ্রধান মইনের রাষ্ট্রপতি হওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। তবে সেনাপ্রধান পদে তাঁর মেয়াদ আরেক দফা বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের আবারও রাষ্ট্রপতি হওয়ার গুজব নাকচ করেন তিনি।
ব্রিগেডিয়ার আমিন আরও বলেন, খালেদা ও হাসিনার সঙ্গে আলোচনায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি রাজনৈতিক সমঝোতার রূপরেখা তুলে ধরে। এতে নির্বাচনের পর দুই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা কী হবে, তা অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি ছিল, রাজনৈতিক দলগুলো যেন এই সরকারের ২০০৭ সালের জানুয়ারি থেকে নেওয়া পদক্ষেপগুলো অনুমোদন করে। এর মধ্যে আরও যা ছিল তা হচ্ছে, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা পুনর্নির্ধারণসহ বিভিন্ন সাংবিধানিক সংস্কার, জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠন, নির্বাচনের পর সম্ভাব্য মতৈক্যের সরকার গঠন ও দুর্নীতি দমন অভিযান অব্যাহত রাখা। একান্ত আলাপে উভয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী এ রকম বেশ কয়েকটি ইস্যুতে নীতিগতভাবে একমত হন।
মার্কিন তারবার্তার মন্তব্য অংশে বলা হয়, ব্রিগেডিয়ার আমিন সরকারের যে কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেছেন, তা সফল হওয়ার ভালো সম্ভাবনা আছে। এ পরিকল্পনায় এটা পরিষ্কার হয় যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার উপলব্ধি করতে পেরেছে, দুই নেত্রীকে সরিয়ে দেওয়ার মতো আরও বড় রাজনৈতিক লক্ষ্য দুই বছরে পূরণ করা সম্ভব নয়।
উইকিলিকসের ফাঁস করা মার্কিন দূতাবাসের তারবার্তায় এ কথা বলা হয়েছে। ২০০৮ সালের ১৩ আগস্ট মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টির সঙ্গে বৈঠক করেন সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের সন্ত্রাসবাদবিরোধী কার্যক্রমের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ টি এম আমিন। তিনি রাষ্ট্রদূতের কাছে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তারবার্তায় এ টি এম আমিনকে জরুরি অবস্থা জারির অন্যতম রূপকার হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত মরিয়ার্টি আলোচনায় ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা এ টি এম আমিনকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় অর্থ লুণ্ঠনবিরোধী নীতি ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, তারেক যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলে তা আইন অনুযায়ী সম্ভব কি না, সেটি খতিয়ে দেখতে হবে মার্কিন সরকারকে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ টি এম আমিন মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো, ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। তিনি জানান, বিএনপি নির্বাচন বয়কট করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে সরকার। আর বিএনপি না এলে তার রাজনৈতিক মিত্র জামায়াতে ইসলামীও নির্বাচন বয়কট করতে পারে। এতে ভোটারদের একটি বড় অংশ নির্বাচনের পর অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে সরকারের।
ব্রিগেডিয়ার আমিন মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে জানান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণা, খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে বিএনপির বিভিন্ন অংশ ঐক্যবদ্ধ হবে এবং নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেবে। এতে খালেদার জোট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নির্বাচনে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারবে বলেও ধারণা করছে সরকার। (ওই সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হিসাব ছিল নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করবে। তবে দলটি সরকার গঠন করার মতো আসন পাবে না।) ব্রিগেডিয়ার আমিন মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে আরও জানান, তারেক রহমান আবারও রাজনীতিতে ফিরতে পারেন বলে আশঙ্কা রয়েছে সরকারের।
ব্রিগেডিয়ার আমিন জানান, তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়া, সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদ ও প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমদের মধ্যে বৈঠক আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। এ বৈঠকের অন্যতম আলোচ্য বিষয় নির্বাচনের পর সেনাপ্রধান মইনের ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে। আমিন বলেন, সেনাপ্রধান মইনের রাষ্ট্রপতি হওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। তবে সেনাপ্রধান পদে তাঁর মেয়াদ আরেক দফা বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের আবারও রাষ্ট্রপতি হওয়ার গুজব নাকচ করেন তিনি।
ব্রিগেডিয়ার আমিন আরও বলেন, খালেদা ও হাসিনার সঙ্গে আলোচনায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি রাজনৈতিক সমঝোতার রূপরেখা তুলে ধরে। এতে নির্বাচনের পর দুই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা কী হবে, তা অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি ছিল, রাজনৈতিক দলগুলো যেন এই সরকারের ২০০৭ সালের জানুয়ারি থেকে নেওয়া পদক্ষেপগুলো অনুমোদন করে। এর মধ্যে আরও যা ছিল তা হচ্ছে, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা পুনর্নির্ধারণসহ বিভিন্ন সাংবিধানিক সংস্কার, জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠন, নির্বাচনের পর সম্ভাব্য মতৈক্যের সরকার গঠন ও দুর্নীতি দমন অভিযান অব্যাহত রাখা। একান্ত আলাপে উভয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী এ রকম বেশ কয়েকটি ইস্যুতে নীতিগতভাবে একমত হন।
মার্কিন তারবার্তার মন্তব্য অংশে বলা হয়, ব্রিগেডিয়ার আমিন সরকারের যে কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেছেন, তা সফল হওয়ার ভালো সম্ভাবনা আছে। এ পরিকল্পনায় এটা পরিষ্কার হয় যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার উপলব্ধি করতে পেরেছে, দুই নেত্রীকে সরিয়ে দেওয়ার মতো আরও বড় রাজনৈতিক লক্ষ্য দুই বছরে পূরণ করা সম্ভব নয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন