আমিনীকে ঘুষ দিতে চেয়েছিল আওয়ামী লীগ


চারদলীয় ঐক্যজোট থেকে বেরিয়ে যেতে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মুফতি ফজলুল হক আমিনীকে ঘুষের প্রস্তাব দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। মার্কিন কর্মকর্তাদের এ বিষয়টি জানিয়েছিলেন আমিনী। ২০০৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর এক নৈশভোজে তিনি মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের এসব কথা জানান। একই বছর ১৫ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত একটি তারবার্তা ওয়াশিংটনে পাঠান ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের কাউন্সেলর ডিসি
ম্যাককুলঘ।
উইকিলিকস প্রকাশিত ওই তারাবার্তায় বলা হয়েছে, মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে আমিনী হাসিনাকে অবিবেচক বলে মন্তব্য করেন। এ ছাড়া ফজলুল হক আমিনী জামায়াতে ইসলামীকে ক্ষমতার কাঙ্গাল বলে অভিহিত করেন। জামায়াতে ইসলামীর সমালোচনার পাশাপাশি ইসলামী ছাত্রশিবিরকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চরমপন্থি সংগঠন বলে অভিহিত করেন তিনি। তিনি বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সমালোচনা করেছিলেন। ঢাকায় ভারতীয় টাটা কোম্পানির ২ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের কট্টর সমালোচনা করে আমিনী বলেন, টাটাকে বিনিয়োগ করতে দিলে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ ভারতীয় শোষণের শিকার হতে পারে। উইকিলিকস প্রকাশিত তারাবার্তায় বলা হয়েছে, আমিনি মার্কিন কর্মকর্তাদের জানান, তিনি বাংলাদেশকে একটি পরিপূর্ণ ইসলামী রাষ্ট্রে পরিণত করতে চান। তিনি এও জানান, গার্মেন্টে মহিলা কর্মীদের কাজ করার বিষয়টি তিনি মেনে নেবেন তবে তাদের অবশ্যই পুরুষদের থেকে আলাদা হয়ে কাজ করতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইসলামী ঐক্যজোট সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি রয়েছে বলে মার্কিন কর্মকর্তাদের জানান তিনি।
তারবার্তাটির মন্তব্য অংশে বলা হয়েছে, জামায়াতে ইসলামী-ঐক্যজোটের দ্বন্দ্ব সম্পর্কে সবাই জানলেও একে অপরের সমালোচনার তিক্ষষ্টতা অপ্রত্যাশিত। জামায়াতকে ইসলামী ঐক্যজোট সম্পর্কে জিজ্ঞাসার পর তারাও একই প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল। ঘুষের বিষয়টি দুই সপ্তাহ আগে আওয়ামী লীগবিরোধীদের কাছে আমরাও শুনেছিলাম।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন