আমাদের স্বাধীনতা (২য় অংশ)

১৯০৬ সালের ১লা অক্টোবর আগাখান ৩৫ জন মুসলিম নের্তৃবৃন্দ নিয়ে সিমলায় ভাইসরয় মিণ্টোর কাছে মুসলমানদের কিছু দাবী-দাওয়া নিয়ে আলোচনা করেন । এর মধ্যে একটি ছিল পূর্ব বাংলার ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা । বঙ্গভঙ্গের কারণে বৃটিশদের মুসলমান প্রজারা অসন্তুষ্ট হওয়ার কারণে তাদেরকে সাময়িক সান্তনা দেয়ার জন্য ১৯১২ সালের ৩১শে জানুয়ারি লর্ড হার্ডিণ্জ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আশ্বাস দেন । কিন্তু ইতিহাস স্বাক্ষী যে , বর্ণ হিন্দুরা বঙ্গভঙ্গের যেভাবে বিরোধিতা করেছিল , ঠিক সেভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠারও বিরোধীতা করেন । কারণ বর্ণ হিন্দুরা ভালভাবেই বুঝতে পেরেছিল বঙ্গভঙ্গ রদের ক্ষতিটা মুসলমানরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাপ্তির মাধ্যমে কিছুটা পূরণ করতে পারবে (“জীবনের স্মৃতি দ্বীপে” ডঃ রমেশচন্দ্র মজুমদার ) । কলকাতার জমিদার শ্রেণীর , ব্যবসায়ী , চাকুরিজীবি হিন্দুরা পূর্ব বাংলার মুসলমানকে কৃষিজীবির ঊর্ধ্বে চিন্তা করতে নারাজ । একারণেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একই সাথে জমিদার শ্রেণীর (কারণ তিনি জমিদার শ্রেণীর লোক ছিলেন ) এবং বর্ণ হিন্দুর স্বার্থ রক্ষার জন্য ১৯১২ সালের ২৮শে মার্চ কলকাতার গড়ের মাঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে যে সভা ডাকা হয় , সে সভার সভাপতিত্ব করেন । (“দি অটোবায়োগ্রাফী অব আননোন ইন্ডিয়ান” , নীরোদ চন্দ্র চৌধূরী , “একশ বছরের রাজনীতি” , আবুল আসাদ ) । ১৯১২ সালের ১৬ ই ফেব্রুয়ারি বড় লাটের সাথে দেখা করে বর্ধমানের স্যার রাসবিহারী ঘোষের নেতৃত্বে একটি দল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় পূর্ব বাংলার মুসলমান কৃষকরা উপকৃত হতে পারবে না বলে মত প্রকাশ করেন (Report of the Calcutta University Commission Vol-iv , pt-ii-p-133 , উৎসঃ আত্মঘাতী রাজনীতির তিনকাল , “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়” , বাংলাপিডিয়া )। হিন্দুদের এতসব বিরোধীতা সত্ত্বেও লর্ড হার্ডিণ্জ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্য স্যার আশুতোষ মুখার্জীকে বলে দেন , আপনাদের বিরোধীতা সত্ত্বেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে (“ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়” বাংলাপিডিয়া) । এব্যাপারে ডঃ রমেশচন্দ্র মজুমদার তার “জীবনের স্মৃতি দ্বীপে” একটি মজার ঘটনা বর্ণনা করেন । ঘটনাটি হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারতীয় ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক এর অধ্যাপক শ্রী দেবদত্ত রামকৃষ্ন ভান্ডারকর এর বক্তব্য , যা হল , “কলিযুগে বৃদ্ধগঙ্গা নদীর তীরে হরতগ নামক একজন অসুর জন্ম গ্রহণ করবে । মূল গঙ্গার তীরে একটি পবিত্র আশ্রম আছে । সেখানে অনেক মুনি-ঋষি এবং তাদের শিষ্য বাস করেন । এই অসুর সেই আশ্রমটি নষ্ট করার জন্যে নানারকম প্রলোভন দেখিয়ে একে একে অনেক শিষ্যকে নিজ আশ্রমে নিয়ে যাবে । যারা অর্থের লোভে পূর্বের আশ্রম ত্যাগ করে এই অসুরের আকর্ষণে বৃদ্ধগঙ্গার তীরে যাবে , তারাও ক্রমে অসুরত্ব প্রাপ্ত হবে এবং তারা অশেষ দুর্দশাগ্রস্ত হবে ।” এখানে বৃদ্ধগঙ্গা বলতে বুড়িগঙ্গা , হরতগ বলতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভাইস চ্যান্সেলর মিঃ ফিলিপ হরতগ এবং মূল গঙ্গার তীরে পবিত্র আশ্রম বলতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে বুঝানো হয়েছে । এখন মূল বক্তব্যটি যদি আপনি আবার পড়েন , তবে বুঝতে পারবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে অসুর তৈরি হয় এবং বর্ণ হিন্দুরা মনে করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে ধ্বংস করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে । আজ বড়ই পরিতাপের বিষয় , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্র চর্চা হয় , চর্চা হয় হিন্দু সংস্কৃতির , জ্বালানো হয় মঙ্গল প্রদীপ , অনুষ্ঠান হয় রাখী বন্ধনের , স্মরণ করা হয় তাদের যারা এর প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে কথা বলেছিল , কিন্তু স্মরণ করা হয় না , নবাব সলিমুল্লাহকে , নওয়াব আলী , ওয়াজেদ আলী খান পন্নীকে । উল্লেখ্য যে , নওয়াব আলী তার জমির একটি বড় অংশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য দান করেন । নবাব সলিমুল্লাহ এবং তার মৃত্যুর পর নওয়াব আলীর নেতৃত্বে অনেক সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯২১ সালের ২১শে জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার কার্যক্রম শুরু করে । কিন্তু কার্যক্রম শুরু করার পরও বর্ণবাদী হিন্দু নের্তৃবৃন্দদের বিরোধীতা বন্ধ হয়নি । তারা এ বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থবির করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কাজ হাতে নিলেন । রবার্ট নাথান কমিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বার্ষিক ১৩ লক্ষ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করলে বাংলার শিক্ষামন্ত্রী স্যার প্রভাষ মিত্র তা কমিয়ে ৫ লক্ষ টাকায় আনেন । অর্থাৎ নির্ধারিত ব্যয়ের মাত্র ৩৮.৪৬% ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় । শুধু তাই নয় ভারত সরকার (ইংরেজ সরকার) Capital head এ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৫ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার ফান্ড বাংলা সরকারের নিকট প্রদান করলে সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন শিক্ষামন্ত্রী স্যার প্রভাষ মিত্র ঐ ফান্ডকে প্রাদেশিক ফান্ডের সাথে মিলিয়ে মাত্র ৯ লক্ষ টাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রদান করেন । তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চ্যান্সেলর ডঃ হরতগ বলেন , অসহযোগীতাকারীরা (বর্ণ হিন্দু ) শিক্ষার্থীদের বেতন ৮ টাকার পরিবর্তে ৬০ টাকা করা হবে বলে গুজব রটিয়েছিল , যাতে ১ম সেশনে (১৯২১সালে) ছাত্র ভর্তি নিরুৎসাহিত হয় (“ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়” বাংলাপিডিয়া)।
এভাবে বঙ্গভঙ্গ রদ বাংলার মুসলমানকে নিরুৎসাহিত করলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা তাদেরকে কিছুটা হলেও আশ্বান্বিত করে তোলে । তারা ভালভাবেই বুঝতে পারে বর্ণ হিন্দুদের বিভিন্ন সংগঠন এবং কংগ্রেসের আড়ালে মুখোসধারী হিন্দু নেতৃত্ব মোকাবেলার জন্য তাদের একটি শক্তিশালী প্লাটফরম প্রয়োজন । ফলে ১৯০৬ সালে পূর্ব বাংলার ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত মুসলিম লীগ শুধুমাত্র বাংলার মুসলমানদের নয় উপমহাদেশের মুসলমানদের একক সংগঠনে পরিণত হয় । এ পর্যায়ে দেশবন্ধু চিত্তরণ্জন দাস এর মত উদারপন্থি রাজনীতিবিদ বুঝতে পারলেন বাংলার স্বাধীনতার জন্য হিন্দু - মুসলিম দুটি শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে । তাই তিনি শরৎ বসু , জে এম দাস , ডাঃ বিধান চন্দ্র রায় , স্যার আব্দুর রহিম , মৌলবী আব্দুল করিম , মওলানা আকরম খাঁ , মওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী প্রমুখদের সহায়তা নিয়ে ১৯২৩ সালের এপ্রিল মাসে ব্যঙ্গল প্যাক্ট করেন । এ প্যাক্টের কিছু ধারা হল -
(১) সরকারি চাকুরিতে জনসংখ্যার অনুপাতে মুসলমানরা ৫৫% এবং হিন্দুরা ৪৫% চাকুরি পাবে । তবে যতদিন পর্যন্ত সরকারি চাকুরিতে এ অনুপাত (৫৫% )অর্জিত হবে না , ততদিন পর্যন্ত নূতন নিয়োগের ৮০% মুসলমানরা পাবে ।
(২) মসজিদের (নামাজের সময়) সামনে বাদ্যযন্ত্র বাজানো নিষেধ থাকবে ।
(৩) ধর্মীয় অনুশাসনের জন্য মুসলমানরা গোহত্যা করতে পারবে । (উৎসঃ আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর , ১ম খন্ড , একশ বছরের রাজনীতি , আত্মঘাতী রাজনীতির তিনকাল ) ।
বেঙ্গল প্যাক্টকে বর্ণ হিন্দুরা গ্রহণ করতে পারল না । তারা বিভিন্ন ভাবে এর বিরোধীতা করতে লাগল এবং ১৯২৫ সালের চিত্তরণ্জন দাসের মৃত্যুর সাথে সাথে বেঙ্গল পেক্টের মৃত্যু হয় । বেঙ্গল প্যাক্ট হতে বর্তমান প্রজন্ম বুঝতে পারবে , তৎকালে বাংলার মুসলমানদের অবস্থা কী ছিল ? যেহেতু নূতন নিয়োগের ৮০% মুসলমানরা পাবে , সেহেতু বলা যায় যে , চাকুরির ক্ষেত্রে মুসলমানদের কী করুণ অবস্থা ছিল । আবার নামাজের সময় বাদ্যযন্ত্র বাজানো নিষেধ এবং গোহত্যা করা যাবে চুক্তিতে থাকার কারণে বলা যায় যে , পূর্বে এসমস্থ কার্যক্রম মুসলমানরা স্বাভাবিকভাবে করতে পারেনি । আর এসমস্থ সুবিধা বর্ণ হিন্দুরা মুসলমানদের দেবে না বলেই বেঙ্গল প্যাক্ট কার্যকর হয়নি । এজন্যই হিন্দু - মুসলমানের ঐক্যের জন্য দেশবন্ধু চিত্তরণ্জন দাস হিন্দুদের উদারতার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছিলেন । জনাব আবুল মনসুর আহমদের “আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর (১ম খন্ড)” বইয়ের ৪৩ পৃষ্ঠায় দেশবন্ধুর একটি মর্মস্পর্শী বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে , “ হিন্দুরা যদি উদারভাবে মুসলমানদের মনে আস্থা সৃষ্টি করিতে না পারে , তবে হিন্দু-মুসলিম ঐক্য আসিবে না । হিন্দু ও মুসলমান তাদের সাম্প্রদায়িক স্বতন্ত্র সত্তা বিলোপ করিয়া একই সম্প্রদায়ে পরিণত হউক , আমার হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের রূপ তা নয় । ওরূপ সত্তা বিসর্জন কল্পনাতীত । ” এ বক্তব্য স্পষ্ট বলে দেয় , ইংরেজ আমল হতে হিন্দুরা ইংরেজ সহযোগীতায় মুসলমানদের মনে যে আস্থাহীনতা সৃষ্টি করেছে , তা দূর করার একমাত্র দায়িত্ব হল হিন্দুদের ।
১৯৩৫ সালে ভারত শাসন আইন পাশ হয় এবং এ আইনের অধীনে ১৯৩৭ সালে নির্বাচন হয় । ১১ টি প্রদেশের মধ্যে ৫টি প্রদেশে কংগ্রেস নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে । বাংলা প্রদেশে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা কেউ পায়নি । এ প্রদেশে মুসলিম লীগের সমর্থনে শেরে বাংলা এ কে এম ফজলুল হক মন্ত্রীসভা গঠন করেন । যে সব প্রদেশে কংগ্রেস সরকার গঠন করে , সে সব প্রদেশে সাম্প্রদায়িক হিন্দুরা মুসলমান ছাত্রদের বন্দেমাতরম সঙ্গীত গাইতে বাধ্য করল । শেরে বাংলা এ কে এম ফজলুল হক জওহার লাল নেহুরেকে এক চিঠিতে লিখেছিলেন - “ মুসলিম সংখ্যালঘুদের উপর তারা নিজেদের ইচ্ছা চাপিয়ে দিচ্ছে । ----- গোমাতাদের অবশ্যই সম্মান দেখাতেই হবে , মুসলমানদের গরুর গোশত খেতে দেয়া হবে না , মুসলমানদের ধর্মকে হেয় করতেই হবে , আযান দেয়া বারণ করা , মুসল্লীদের উপর হামলা , মসজিদের সামনে বাজনা বাজানোর মত কাজ হচ্ছে । ----- সুতরাং মর্মান্তিক ঘটনার পর মর্মান্তিক ঘটনা যদি ঘটেই চলে এবং দুধের নহরের পরিবর্তে যদি রক্তের স্রোত বয়ে থাকে , তবে বিস্ময়ের কী আছে ।” ( Towards Pakistan , by Wahiduzzaman , উৎসঃ একশ বছরের রাজনীতি । ) ইতিহাসবিদ টি ডব্লিও ওয়ালব্যাংক লিখেছেন , “এদেশে কংগ্রেস শাসনের এমন অন্যান্য দিক রয়েছে যাতে মুসলমানরা বিক্ষুদ্ধ ও ভীত হয়ে উঠেছিল ।” (A short history of India and Pakistan , উৎসঃ একশ বছরের রাজনীতি । ) স্যার জেমস ক্রেয়ার বলেছেন , “ কংগ্রেস শাসিত প্রদেশে এমন বহু ঘটনা ঘটেছে যেগুলো সুপরিকল্পিত এবং মুসলমানদের সন্দেহ প্রমাণের জন্য যথেষ্ট ।” (fortnightly Review March 1940 , India and her future , উৎসঃ একশ বছরের রাজনীতি । ) ১৯৩৭ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস সরকার কর্তৃক মুসলমানদের মাইকে আজান দেয়া বন্ধ , গরু জবাই বন্ধ ইত্যাদি ঘটনা মুসলমানদের মনে একটি আলাদা মুসলিম ভূমির প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি করে । ফলে ১৯৪০ সালে লাহোর প্রস্তাব পাশ হয় , যেখানে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল নিয়ে একাধিক মুসলিম আবাসভূমির কথা বলা হয়েছে । মুসলিম লীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের মাধ্যমে এক ভারতের পক্ষে ছিলেন । কিন্তু বর্ণ হিন্দুদের অতি সাম্প্রদায়িক মনোভাবের কারণে তিনি বাধ্য হলেন দ্বিজাতি তত্ত্বের মাধ্যমে ১৯৪০ সালে লাহোর প্রস্তাব পাশ করতে । উপমহাদেশে দ্বিজাতি তত্ত্ব এসেছিল মুসলমানদের উপর সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের সাম্প্রদায়িক মনোভাবের কারণে । মুসলমানরা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হতে নিজেদের অজস্র প্রাণ রক্ষা করার জন্য , নিজেদের ধর্ম , সংস্কৃতি অনুসরণের জন্য দ্বিজাতি তত্ত্বের মাধ্যমে পৃথক আবাসভূমির দাবী তুলেছিল । ইতিহাস স্বাক্ষ্য যে , যদি উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিদ্যমান থাকত , তবে মুসলমানদের দ্বিজাতি তত্ত্বের মাধ্যমে পৃথক আবাসভূমির দাবী করার কোন প্রয়োজন ছিল না । বরং দ্বিজাতি তত্ত্ব গ্রহণ করতে হিন্দুরা মুসলমানদের বাধ্য করেছিল । আজো হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় সংখ্যালঘু মুসলমান , শিখরা কচুকাটা হয়েছে । কিন্তু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশ বা পাকিস্তানে সংখ্যালঘু হিন্দুরা মারা যায়নি । এটিই সত্য , এটিই ইতিহাস ।
চলবে...... । 

 সুত্রঃ আবু নিশাত(সোনার বাংলাদেশ ব্লগ)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন