আন্তর্জাতিক মহলের চতুর্মুখী চাপ ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ওপর
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা পূনর্মূল্যায়ন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাণিজ্যিক সুবিধা ও উন্নয়ন সহযোগিতা পর্যালোচনা, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ থেকে বিদেশী পর্যবেক্ষকদের সরে দাঁড়ানো এবং প্রয়োজনে বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশী মিশনগুলোকে সঙ্কুচিত করার চতুর্র্মুখী চাপ সৃষ্টি করে আন্তর্জাতিক মহল। আন্তর্জাতিক মহলের পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে মহাজোটের লাগাতার হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধানের পদ থেকে রাষ্ট্রপতি ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদকে পদত্যাগ ও জরুরি অবস্থা ঘোষণায় বাধ্য করে।
জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন এক বিবৃতিতে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এর পরপরই অপর এক বিবৃতিতে সব দলের অংশগ্রহণ ছাড়া ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে সহযোগিতা দেয়ার লক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন প্রশ্নসাপেক্ষ বলে উল্লেখ করে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক রেনেটা লক ডেসালিয়েন বলেন, এতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ভূমিকায় প্রভাব পড়তে পারে। তিনি বলেন, প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ ছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য ও বৈধ বিবেচিত হবে না।
বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি ইব্রাহিম গোমবারি এবং রাজনৈতিক ও শান্তিরক্ষী বাহিনী বিভাগের জন মারি গুহিনো বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও সামরিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ করবেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ সৈন্য প্রেরণকারী দেশের মর্যাদা লাভ করেছে।
একই দিন বিকেলে হোটেল লেক শোরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সব দল নির্বাচনে অংশ না নেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ইইউর নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন (ইওএম) তাদের কর্মকাণ্ড স্থগিত রাখা এবং কয়েক দিনের মধ্যে দেশত্যাগের কথা ঘোষণা দেয়। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এনডিআই, আইআরআই ও কমনওয়েলথ এবং দাতাগোষ্ঠীর অর্থায়নে পরিচালিত ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল। ফলে একপক্ষীয় নির্বাচনের ব্যাপারে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ওপর প্রচণ্ড মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টি হয়। লেক শোরে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে ইউরোপীয় কমিশনের রাষ্ট্রদূত ড. স্টিফেন ফ্রয়েন বলেন, একপক্ষীয় নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা সরকারের সঙ্গে ইইউ বাংলাদেশের জন্য বিদ্যমান বাণিজ্যিক সুবিধা ও উন্নয়ন সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে কি না তা পর্যালোচনা করা হবে।
সবশেষে একপক্ষীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার কার্যক্রম অব্যাহত রাখলে পশ্চিমা কূটনীতিকরা বাংলাদেশে অবস্থিত মিশনগুলো সঙ্কুচিত করার হুমকি দেয়।
বস্তুত ১৯৯১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ১৫ বছরে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মহলের কাছে গ্রহণযোগ্য তিনটি নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবে অনেক এগিয়ে যায়। বিশ্বের অল্প যে ক’টি মুসলিম বা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে পশ্চিমা ধাঁচের গণতন্ত্র চালু রয়েছে বাংলাদেশ তার মধ্যে একটি। তাই পশ্চিমা বিশ্ব বাংলাদেশকে ‘মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ মধ্যপন্থী গণতান্ত্রিক দেশ’ হিসেবে আখ্যায়িত করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা পূনর্মূল্যায়ন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাণিজ্যিক সুবিধা ও উন্নয়ন সহযোগিতা পর্যালোচনা, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ থেকে বিদেশী পর্যবেক্ষকদের সরে দাঁড়ানো এবং প্রয়োজনে বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশী মিশনগুলোকে সঙ্কুচিত করার চতুর্র্মুখী চাপ সৃষ্টি করে আন্তর্জাতিক মহল। আন্তর্জাতিক মহলের পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে মহাজোটের লাগাতার হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধানের পদ থেকে রাষ্ট্রপতি ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদকে পদত্যাগ ও জরুরি অবস্থা ঘোষণায় বাধ্য করে।
জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন এক বিবৃতিতে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এর পরপরই অপর এক বিবৃতিতে সব দলের অংশগ্রহণ ছাড়া ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে সহযোগিতা দেয়ার লক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন প্রশ্নসাপেক্ষ বলে উল্লেখ করে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক রেনেটা লক ডেসালিয়েন বলেন, এতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ভূমিকায় প্রভাব পড়তে পারে। তিনি বলেন, প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ ছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য ও বৈধ বিবেচিত হবে না।
বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি ইব্রাহিম গোমবারি এবং রাজনৈতিক ও শান্তিরক্ষী বাহিনী বিভাগের জন মারি গুহিনো বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও সামরিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ করবেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ সৈন্য প্রেরণকারী দেশের মর্যাদা লাভ করেছে।
একই দিন বিকেলে হোটেল লেক শোরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সব দল নির্বাচনে অংশ না নেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ইইউর নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন (ইওএম) তাদের কর্মকাণ্ড স্থগিত রাখা এবং কয়েক দিনের মধ্যে দেশত্যাগের কথা ঘোষণা দেয়। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এনডিআই, আইআরআই ও কমনওয়েলথ এবং দাতাগোষ্ঠীর অর্থায়নে পরিচালিত ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল। ফলে একপক্ষীয় নির্বাচনের ব্যাপারে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ওপর প্রচণ্ড মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টি হয়। লেক শোরে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে ইউরোপীয় কমিশনের রাষ্ট্রদূত ড. স্টিফেন ফ্রয়েন বলেন, একপক্ষীয় নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা সরকারের সঙ্গে ইইউ বাংলাদেশের জন্য বিদ্যমান বাণিজ্যিক সুবিধা ও উন্নয়ন সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে কি না তা পর্যালোচনা করা হবে।
সবশেষে একপক্ষীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার কার্যক্রম অব্যাহত রাখলে পশ্চিমা কূটনীতিকরা বাংলাদেশে অবস্থিত মিশনগুলো সঙ্কুচিত করার হুমকি দেয়।
বস্তুত ১৯৯১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ১৫ বছরে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মহলের কাছে গ্রহণযোগ্য তিনটি নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবে অনেক এগিয়ে যায়। বিশ্বের অল্প যে ক’টি মুসলিম বা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে পশ্চিমা ধাঁচের গণতন্ত্র চালু রয়েছে বাংলাদেশ তার মধ্যে একটি। তাই পশ্চিমা বিশ্ব বাংলাদেশকে ‘মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ মধ্যপন্থী গণতান্ত্রিক দেশ’ হিসেবে আখ্যায়িত করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন