জনাব হাছানুল হক ইনু --আচ্ছালামু আলাইকুম, আমাকে এতদিন পর আপনার মনে থাকার কথা, এজন্য মাফ চেয়ে নিচ্ছি।আপনাদেরকে চিনি বা আমার পথচলা সেই ১৯৭২ সালের ২১,২২,২৩ শে জুলাই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয সম্মেলন পল্টন ময়দানের প্যান্ডেল থেকে।তারপর ৩১ শে অক্টোবর ৭২ ইং জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দল (জাসদ) এর ব্যানারে মুরিদ-সাগরেদ দের অনেক স্মৃতী ধারন করে আজো বেচে আছি। ৮০ এর দশক পর্যন্ত
আপনি জাসদের অংগ সংগঠন জাতীয় কৃষক লীগের সাধারন সম্পাদক ছিলেন।দাদা সিরাজুল আলম খান রশিকতা করে আপনাদের ৪ জনের নাম রেখেছিলেন চার-কুচুক্রি অর্থাত গ্যান্ক অব ফোর। বংগবন্ধুর লালঘোড়ার হুমকি (লাল-বাহিনী, রখ্খি বাহিনী) মোকাবেলায় আপনাদের ছিলো গনবাহিনী,, তখনকার আপনাদের দুইপখ্খের খুনাখুনিতে ৩০ হাজার জোয়ান মুক্তিযোদ্ধা জীবন দিয়েছে আর আমরা ছিলাম বছরের পর বছর ফেরারী আসামী। আপনার গন-বাহিনী কুষ্টিয়া অন্চলে এত বেশী মানুষ হত্যা করেছিলো যারফলে আপনি দু্ইবার নির্বাচন করে জামানত পাননাই, যারফলে জার্সী বদল করে নৌকায় চড়ে এমপি তারপর চাটামী করে বুবুর পা ছুয়ে মন্ত্রীত্ত পেলেন, যদিও ৭-ই নভেম্বর বাকশালীদের মোকাবেলায় বিপ্লবীদের ট্যাংকে উঠে শুধু উল্লাশ-ই নয় আরও কত কি। রওশন জাহান (সাথী আপা) তার স্বামী কাজী আরিফ হত্যার জন্য আংগুলের ইশারা আপনার দিকেই ছিলো বলেই শুনেছি,,,,,,পরে কিভাবে ম্যানেজ করে তাকে এমপি বানিয়েছেন।ডিগবাজী আর হিংস্রতা শিখ্খার এ্ই শ্রী-ঘর ( বৈগ্গানিক সমাজতন্ত্র) থেকে আমার মত বহুকর্মি ইতিমধ্যে হিজরত করেছে,, আর নিজামী সাহেবেরা আমাদের হাত থেকে অস্ত্র ফেলে দিয়ে সেই হাতে কোরান-হাদিছ তুলে দেন,, সহনশীল হওয়ার শিখ্খা দেন,, মূলত তাদের অপরাধ এখানেই । যাক সেসব>>> গতকাল টিভির পর্দায় জনাব ইনু সাহেব দম্বোক্তি করে বলছিলেন মাও: মতিউর রহমান নিজামী নাকি পবিত্র পদযুগল মসেহ করেছেন যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ থেকে নিস্কৃতির জন্য,, যদিও নিজামীর সামনে ইনু সাহেবের নত-শীর ছবিটি দেখে অনেকে হাসতে-হাসতে বুমি করে ফেলেছেন। জনাব ওস্তাদ ইনু"" আপনার প্রতি একটি দুর্বলতা আমার, আর তাহলো আপনি একজন ফ্যাষ্ট-ক্লাস ইন্জিনিয়ার অথচ যুদ্ধাপরাধের সংগা জানেননা,, সামরিক পোশাখ পরিহিত পাক-জেনারেলদের বাদদিয়ে সমর্থকদের ফাসীর আয়োজন।এতে শুধু দেশবাসী কেন, স্বয়ং আসামীদের ও আপত্তি নেই। গোলাম আজম সাহেবতো বলেই ফেলেছেন বিছানায় মৃত্যুর চাইতে শহীদি মৃত্যু সৌভাগ্যের ব্যাপার তবে, বিচারের নামে অবিচার হলে কেউ মানবেনা। আর যেই ভয় নিজামী-সাইদীদের দেখাবেন ঐ ফাসীর রশীকে নিজামীরা তাদের পায়ের জুতা মনে করে। সুতরাং ভয় দেখিয়ে লাভ নেই বরং নিজেদের কু-কর্মের বিচারের জন্য প্রতিখ্খায় থাকুন,, আল্লাহর জমিনে আল্লাহর নাফরমানি বেশীদিন টেকেনা। ( সাইদীর মামলা গ্রাম্য শালীসের মত-বিচারপতি নাসিম) শেষ করার আগে জনাব হাছানুল হক ইনুকে আল-কোরানের বানী স্বরন করিয়ে শেষ করতে চাই , মহান আল্লাহ বলেন:---- ইমানদার গন লড়াই করে আল্লাহর জন্য, আর অস্বীকার কারীরা লড়াই করে তাগুতের জন্য, সুতরাং তোমরা লড়াই করতে থাক শয়তানের পখ্খাবলম্বন কারীদের বিরুদ্ধ, বস্তুত শয়তানের চক্রান্ত একান্তই দুর্বল--সুরা-নিসা--৭৬
|
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন