নুলা মুসাকে একজন রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী কিংবা মানবতাবিরোধী অপরাধী যাই বলা হোক না কেন একাত্তরে ফরিদপুরের শীর্ষ স্বাধীনতা বিরোধী ও রাজাকার ঐ লোকটির আরও কিছু বাড়তি পরিচয় আছে। আর সেই পরিচয় হলো সে আওয়ামী লীগের সাংসদ, প্রেসিডিয়াম মেম্বার, শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই শেখ ফজলুল হক সেলিমের বেয়াই।
১৯৭১ সালে ফরিদপুর শহরে ধর্ষণ, হত্যা, লুটের সাথে জড়িত থাকার
অভিযোগ রয়েছে মুসা বিন শমসেরের নামে, যে ‘নুলা মুসা’ নামে ফরিদপুরে পরিচিত ছিল। পাকিস্তানী সৈন্যদের সাথে প্রত্যক্ষভাবে এই মুসা এসব অপকর্ম করে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে ‘দৈনিক জনকণ্ঠে’ এসব অপকর্মের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন জনকন্ঠের ফরিদপুর সংবাদদাতা প্রবীর সিকদার। এজন্য নুলা মুসা বাহিনী প্রবীর সিকদারকে হত্যার উদ্দেশে হামলা চালায়। প্রবীর সিকদার বেঁচে গেলেও একটি পা হারিয়ে আজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যান। ১৯৭১ সালে ফরিদপুর শহরে ধর্ষণ, হত্যা, লুটের সাথে জড়িত থাকার
সেই চিহ্নিত রাজাকারের মেয়েকে পুত্রবধু করে এনেছেন শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই ও আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম। সেই সেলিম গতকাল জাতীয় সংসদে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করে ও বক্তব্য দিয়ে বলে, "রাজনীতির সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছেন জিয়াউর রহমান। মুক্তিযোদ্ধা হয়ে তিনি রাজাকারদের মন্ত্রী বানিয়েছেন। আর এখন তাঁর স্ত্রী খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের সার্টিফিকেট দিচ্ছেন, ওরা রাজাকার না।"
যে শেখ সেলিম একজন চিহ্নিত রাজাকারকে নিজের বেয়াই বানায়, যে সেলিম রাজাকারের বংশ বৃদ্ধি করে চলেছে নিজের ছেলের মাধ্যমে, সেই সেলিম কোন মুখে খালেদা জিয়া ও জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে? আওয়ামী লীগ করলে কি মানুষ একেবারে নির্লজ্জ হয়ে যায়?
প্রথম আলো
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন