দূতাবাসস্থ ভিসা ভাইপার কমিটি ১ মে ২০০৫ তারিখে সভায় বসে। কমিটি বাংলাদেশের ইসলামি আন্দোলন বিষয়ে সফররত আরএও বিশ্লেষকদের বক্তব্য শোনে। কমিটি ভিসা ভাইপার কর্মসূচীতে অন্তর্ভুক্তির জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত উগ্রপন্থী ইসলামি গ্রুপগুলোর কয়েকজন নেতাকে মনোনীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আগেই যেমনটি বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি কয়েকটি উগ্র ইসলামপন্থী গ্রুপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে, জামায়াতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) ও জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশ (জেএমজেবি)। এই দুই গ্রুপের বহু নেতা পুলিশ হেফাজতে আছেন, যদিও অন্যান্য অনেক নীচু পর্যায়ের নেতাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
দূতাবাস নিম্নলিখিত ব্যক্তিদেরকে ভিসা ভাইপার কর্মসূচীতে অন্তর্ভুক্ত করতে ইচ্ছুকঃ
নামঃ আল-গালিব, মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ
জন্মের সম্ভাব্য তারিখঃ ০১ নভেম্বর ১৯৫০, বাংলাদেশ
দলঃ আহলে হাদিস আন্দোলন বাংলাদেশ (এএইচএবি) নামক উগ্র ইসলামপন্থী গ্রুপের নেতা। এএইচএবি অনৈসলামিক বিবেচনায় বাংলাদেশের অধিকাংশ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্কারের বিরোধিতা করে। সরকার কর্তৃক সম্প্রতি নিষিদ্ধ ঘোষিত দুইটি দলই এএইচএবি থেকে উদ্ভূত। অভিযোগ আছে যে জেএমবি এএইচএবির সামরিক শাখা, এবং উত্তর-পশ্চিম বাংলাদেশের কথিত বামপন্থী/কমিউনিস্ট ও অপরাধ মোকাবেলা করার জন্য জেএমজেবি এএইচএবি-এর সদস্যদের দিয়ে গঠিত হয়েছিল। আগে যেমন মন্তব্য করা হয়েছে, ২০০৫ সালের প্রথম দিকে উত্তর-পশ্চিম বাংলাদেশের বিভিন্ন “অনৈসলামিক” লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করার অভিযোগ আছে জেএমবি এবং জেএমজেবি-এর বিরুদ্ধে। সরকার বিশ্বাস করে যে আল-গালিব ২০০৫ সালের প্রথম দিকে বেশ কিছু আইইডি হামলার প্ররোচণা যোগান, যদিও তাঁর দাবী অনুযায়ী তিনি কেবল “বাগাড়ম্বরের জিহাদের” ডাক দিয়েছিলেন। স্থানীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানাচ্ছে যে আল-গালিব নিকট অতীতে ভারত, কুয়েত, বাহরাইন এবং পাকিস্তান সফর করেছেন। কুয়েতে তিনি একজন সালাফি নেতার সাথে সাক্ষাৎ করেন।
এএইচএবি কুয়েত-ভিত্তিক এনজিও রিভাইভাল অভ ইসলামিক হেরিটেজ সোসাইটি (আরআইএইচএস) থেকে কিছু অর্থ পায়। আল-গালিব ও তাঁর সহযোগীদের ব্যাপারে তদন্ত করতে গিয়ে বাংলাদেশ সরকার আরআইএইচএস –এর স্থানীয় ব্যাংক হিসাবসমূহ নিষ্ক্রিয় করেছে। সরকার আল-গালিব ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে শক্ত কেস দাঁড় করানোর কাজ করছে এবং তাঁদেরকে দীর্ঘ মেয়াদে কারাগারে প্রেরণের অঙ্গিকার করেছে।
মন্তব্যঃ যদিও বাংলাদেশের ইসলামি সংগঠনগুলোর দৃষ্টি মূলত আভ্যন্তরীন বিষয়ে নিবদ্ধ, আল-গালিবের ভ্রমণের ধাঁচ থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় তাঁর সাথে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইসলামি আন্দোলনগুলির যোগাযোগ আছে। এ ধরনের যোগাযোগ সময় ও সুযোগ পেলে ভবিষ্যতে আরো ঘনিষ্ঠ কাজের সম্পর্কে রূপ নিতে পারে।
নামঃ রহমান, সিদ্দিকুর (ওরফে বাংলা ভাই)
সম্ভাব্য জন্মতারিখঃ অজানা, বাংলাদশ
দলঃ জেএমজেবির অপারেশনাল কমান্ডার। জেএমজেবির কর্মকান্ড স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় ব্যাপক প্রচার পেয়েছে। যদিও সরকার বাংলা ভাইকে গ্রেফতারের ব্যাপক তৎপরতা চালানোর দাবি করেছে, তিনি এখনো মুক্ত, সম্ভবত ভারতে। জেএমবির হামলার অনেকগুলোই অনৈসলামিক লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে ছিল, অনেকগুলিই ধর্মের আলখেল্লার আড়ালে অপরাধমূলক কাজ। যদিও জেএমবির কিছু সংখ্যক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়ছে, এখন পর্যন্ত অস্ত্রের ব্যাপক কোন মওজুদ পাওয়া যায়নি। অস্ত্র যা উদ্ধার হয়েছে তা মূলত আইইডিতে ব্যবহৃত স্থানীয়ভাবে প্রস্তুত কালো পাউডার।
নামঃ ইসলাম, নূরুল (ওরফে একেএ ইসলাম, মাওলানা নূরুল)
সম্ভাব্য জন্ম তারিখঃ ০১ অক্টোবর, ১৯৬৩, বাংলাদেশ
দলঃ ডঃ আল-গালিবের জ্যেষ্ঠ সহযোগী এবং এএইচএবির জ্যেষ্ঠ সদস্য
নামঃ সালাফি, শেখ আব্দুস সামাদ
সম্ভাব্য জন্ম তারিখঃ ০২ অগাস্ট, ১৯৪৬
দলঃ ডঃ আল-গালিবের জ্যেষ্ঠ সহযোগী এবং এএইচএবির জ্যেষ্ঠ সদস্য।
নামঃ আজিজুল্লাহ, এএসএম¶
সম্ভাব্য জন্ম তারিখঃ ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৬।
দলঃ ডঃ আল-গালিবের জ্যেষ্ঠ সহযোগী এবং এএইচএবির জ্যেষ্ঠ সদস্য।
ভিসা ভাইপার কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিসিএম জুডিথ এ. চামাস এবং সমন্বয়ক হিসাবে কাজ করেন কনসুলার শাখার ভারপ্রাপ্ত প্রধান রবার্ট জাকিম।
রেফারেন্স আইডিঃ 05DHAKA2222
তারিখঃ ১০/০৫/২০০৫
বিষয়ঃ ঢাকা ভিসা ভাইপার রিপোর্ট – এপ্রিল ২০০৫
আগেই যেমনটি বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি কয়েকটি উগ্র ইসলামপন্থী গ্রুপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে, জামায়াতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) ও জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশ (জেএমজেবি)। এই দুই গ্রুপের বহু নেতা পুলিশ হেফাজতে আছেন, যদিও অন্যান্য অনেক নীচু পর্যায়ের নেতাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
দূতাবাস নিম্নলিখিত ব্যক্তিদেরকে ভিসা ভাইপার কর্মসূচীতে অন্তর্ভুক্ত করতে ইচ্ছুকঃ
নামঃ আল-গালিব, মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ
জন্মের সম্ভাব্য তারিখঃ ০১ নভেম্বর ১৯৫০, বাংলাদেশ
দলঃ আহলে হাদিস আন্দোলন বাংলাদেশ (এএইচএবি) নামক উগ্র ইসলামপন্থী গ্রুপের নেতা। এএইচএবি অনৈসলামিক বিবেচনায় বাংলাদেশের অধিকাংশ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্কারের বিরোধিতা করে। সরকার কর্তৃক সম্প্রতি নিষিদ্ধ ঘোষিত দুইটি দলই এএইচএবি থেকে উদ্ভূত। অভিযোগ আছে যে জেএমবি এএইচএবির সামরিক শাখা, এবং উত্তর-পশ্চিম বাংলাদেশের কথিত বামপন্থী/কমিউনিস্ট ও অপরাধ মোকাবেলা করার জন্য জেএমজেবি এএইচএবি-এর সদস্যদের দিয়ে গঠিত হয়েছিল। আগে যেমন মন্তব্য করা হয়েছে, ২০০৫ সালের প্রথম দিকে উত্তর-পশ্চিম বাংলাদেশের বিভিন্ন “অনৈসলামিক” লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করার অভিযোগ আছে জেএমবি এবং জেএমজেবি-এর বিরুদ্ধে। সরকার বিশ্বাস করে যে আল-গালিব ২০০৫ সালের প্রথম দিকে বেশ কিছু আইইডি হামলার প্ররোচণা যোগান, যদিও তাঁর দাবী অনুযায়ী তিনি কেবল “বাগাড়ম্বরের জিহাদের” ডাক দিয়েছিলেন। স্থানীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানাচ্ছে যে আল-গালিব নিকট অতীতে ভারত, কুয়েত, বাহরাইন এবং পাকিস্তান সফর করেছেন। কুয়েতে তিনি একজন সালাফি নেতার সাথে সাক্ষাৎ করেন।
এএইচএবি কুয়েত-ভিত্তিক এনজিও রিভাইভাল অভ ইসলামিক হেরিটেজ সোসাইটি (আরআইএইচএস) থেকে কিছু অর্থ পায়। আল-গালিব ও তাঁর সহযোগীদের ব্যাপারে তদন্ত করতে গিয়ে বাংলাদেশ সরকার আরআইএইচএস –এর স্থানীয় ব্যাংক হিসাবসমূহ নিষ্ক্রিয় করেছে। সরকার আল-গালিব ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে শক্ত কেস দাঁড় করানোর কাজ করছে এবং তাঁদেরকে দীর্ঘ মেয়াদে কারাগারে প্রেরণের অঙ্গিকার করেছে।
মন্তব্যঃ যদিও বাংলাদেশের ইসলামি সংগঠনগুলোর দৃষ্টি মূলত আভ্যন্তরীন বিষয়ে নিবদ্ধ, আল-গালিবের ভ্রমণের ধাঁচ থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় তাঁর সাথে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইসলামি আন্দোলনগুলির যোগাযোগ আছে। এ ধরনের যোগাযোগ সময় ও সুযোগ পেলে ভবিষ্যতে আরো ঘনিষ্ঠ কাজের সম্পর্কে রূপ নিতে পারে।
নামঃ রহমান, সিদ্দিকুর (ওরফে বাংলা ভাই)
সম্ভাব্য জন্মতারিখঃ অজানা, বাংলাদশ
দলঃ জেএমজেবির অপারেশনাল কমান্ডার। জেএমজেবির কর্মকান্ড স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় ব্যাপক প্রচার পেয়েছে। যদিও সরকার বাংলা ভাইকে গ্রেফতারের ব্যাপক তৎপরতা চালানোর দাবি করেছে, তিনি এখনো মুক্ত, সম্ভবত ভারতে। জেএমবির হামলার অনেকগুলোই অনৈসলামিক লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে ছিল, অনেকগুলিই ধর্মের আলখেল্লার আড়ালে অপরাধমূলক কাজ। যদিও জেএমবির কিছু সংখ্যক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়ছে, এখন পর্যন্ত অস্ত্রের ব্যাপক কোন মওজুদ পাওয়া যায়নি। অস্ত্র যা উদ্ধার হয়েছে তা মূলত আইইডিতে ব্যবহৃত স্থানীয়ভাবে প্রস্তুত কালো পাউডার।
নামঃ ইসলাম, নূরুল (ওরফে একেএ ইসলাম, মাওলানা নূরুল)
সম্ভাব্য জন্ম তারিখঃ ০১ অক্টোবর, ১৯৬৩, বাংলাদেশ
দলঃ ডঃ আল-গালিবের জ্যেষ্ঠ সহযোগী এবং এএইচএবির জ্যেষ্ঠ সদস্য
নামঃ সালাফি, শেখ আব্দুস সামাদ
সম্ভাব্য জন্ম তারিখঃ ০২ অগাস্ট, ১৯৪৬
দলঃ ডঃ আল-গালিবের জ্যেষ্ঠ সহযোগী এবং এএইচএবির জ্যেষ্ঠ সদস্য।
নামঃ আজিজুল্লাহ, এএসএম¶
সম্ভাব্য জন্ম তারিখঃ ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৬।
দলঃ ডঃ আল-গালিবের জ্যেষ্ঠ সহযোগী এবং এএইচএবির জ্যেষ্ঠ সদস্য।
ভিসা ভাইপার কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিসিএম জুডিথ এ. চামাস এবং সমন্বয়ক হিসাবে কাজ করেন কনসুলার শাখার ভারপ্রাপ্ত প্রধান রবার্ট জাকিম।
রেফারেন্স আইডিঃ 05DHAKA2222
তারিখঃ ১০/০৫/২০০৫
বিষয়ঃ ঢাকা ভিসা ভাইপার রিপোর্ট – এপ্রিল ২০০৫
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন