বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় শেখ হাসিনার ভিসা প্রত্যাহার না করতে ওয়াশিংটনে তারবার্তা পাঠান ঢাকায় নিযুক্ত ত ৎ কালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি। ‘যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থেই’ হাসিনাকে সীমিত সময়ের জন্য দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন তিনি।
উইকিলিকসের ফাঁস করা মার্কিন কূটনৈতিক তারবার্তায় এ কথা বলা হয়েছে। তারবার্তাটি ২০০৮ সালের জুন মাসের প্রথমদিকে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস থেকে ওয়াশিংটনে পাঠানো হয়।
তারবার্তায় মরিয়ার্টি বলেন, ‘শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনেক অভিযোগ রয়েছে। তার পরও আমি দৃঢ়ভাবে মনে করি, কম সময়ের জন্য শেখ হাসিনাকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেওয়া উচিত।’ মরিয়ার্টি উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনার ভিসা প্রত্যাহারের ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তাঁরা প্রস্তুত নন। ভিসা প্রত্যাহার করা হলে বেশির ভাগ বাংলাদেশির ধারণা হবে, মার্কিন সরকার সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে বাধা দিচ্ছে। আর তা হলে, বাংলাদেশে মার্কিন স্বার্থে আঘাত আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
মরিয়ার্টি আরও আশঙ্কা প্রকাশ করেন, হাসিনার ভিসা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে আওয়ামী লীগ রাজপথে নেমে আসতে পারে। এ সুযোগে কোনো কুচক্রীমহল বাংলাদেশে মার্কিন স্বার্থ ও মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর হামলা চালাতে পারে।
তারবার্তায় মরিয়ার্টি বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগগুলো তদন্ত করে দেখা উচিত। সিঙ্গাপুরে হাসিনা পরিবারের কোনো সম্পদ আছে কি না তা খতিয়ে দেখতে তিনি দেশটির সরকারকে তাদের তদন্তের গতি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেন, এসব তদন্তে হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তথ্য পাওয়া গেলেই কেবল যুক্তরাষ্ট্র যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে পারে। কিন্তু সে পর্যন্ত হাসিনাকে যুক্তরাষ্ট্রে যেতে দেওয়া বাংলাদেশকে রাজনৈতিক বিপর্যয় এড়িয়ে শক্তিশালী গণতন্ত্রের পথে ফেরায় সাহায্য করতে পারে।
মরিয়ার্টি তারবার্তায় বলেন, হাসিনা ছেলেমেয়ের সঙ্গে দেখা করতে ৯ জুন যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে পৌঁছাতে পারেন। সেখানে কয়েক সপ্তাহ অবস্থানের পর কানাডা যাবেন। সেখানে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হওয়ার কথা। উভয় পক্ষ সমঝোতায় পৌঁছালে নির্বাচনী প্রচারাভিযানের জন্য তিনি দেশে ফিরতে পারেন। এ সময় তাঁর মামলাগুলো চলতে থাকবে। প্যারোলের শর্ত হিসেবে হাসিনা কিছুটা নিভৃতে থাকতে ও বেশি প্রকাশ্য বক্তব্য না দিতে সম্মত হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন মরিয়ার্টি। তিনি বলেন, ‘আমাদের ধারণা, খালেদা জিয়াকেও এমন প্রক্রিয়ার মধ্যে নেওয়া হতে পারে।’
উইকিলিকসের ফাঁস করা মার্কিন কূটনৈতিক তারবার্তায় এ কথা বলা হয়েছে। তারবার্তাটি ২০০৮ সালের জুন মাসের প্রথমদিকে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস থেকে ওয়াশিংটনে পাঠানো হয়।
তারবার্তায় মরিয়ার্টি বলেন, ‘শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনেক অভিযোগ রয়েছে। তার পরও আমি দৃঢ়ভাবে মনে করি, কম সময়ের জন্য শেখ হাসিনাকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেওয়া উচিত।’ মরিয়ার্টি উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনার ভিসা প্রত্যাহারের ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তাঁরা প্রস্তুত নন। ভিসা প্রত্যাহার করা হলে বেশির ভাগ বাংলাদেশির ধারণা হবে, মার্কিন সরকার সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে বাধা দিচ্ছে। আর তা হলে, বাংলাদেশে মার্কিন স্বার্থে আঘাত আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
মরিয়ার্টি আরও আশঙ্কা প্রকাশ করেন, হাসিনার ভিসা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে আওয়ামী লীগ রাজপথে নেমে আসতে পারে। এ সুযোগে কোনো কুচক্রীমহল বাংলাদেশে মার্কিন স্বার্থ ও মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর হামলা চালাতে পারে।
তারবার্তায় মরিয়ার্টি বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগগুলো তদন্ত করে দেখা উচিত। সিঙ্গাপুরে হাসিনা পরিবারের কোনো সম্পদ আছে কি না তা খতিয়ে দেখতে তিনি দেশটির সরকারকে তাদের তদন্তের গতি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেন, এসব তদন্তে হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তথ্য পাওয়া গেলেই কেবল যুক্তরাষ্ট্র যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে পারে। কিন্তু সে পর্যন্ত হাসিনাকে যুক্তরাষ্ট্রে যেতে দেওয়া বাংলাদেশকে রাজনৈতিক বিপর্যয় এড়িয়ে শক্তিশালী গণতন্ত্রের পথে ফেরায় সাহায্য করতে পারে।
মরিয়ার্টি তারবার্তায় বলেন, হাসিনা ছেলেমেয়ের সঙ্গে দেখা করতে ৯ জুন যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে পৌঁছাতে পারেন। সেখানে কয়েক সপ্তাহ অবস্থানের পর কানাডা যাবেন। সেখানে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হওয়ার কথা। উভয় পক্ষ সমঝোতায় পৌঁছালে নির্বাচনী প্রচারাভিযানের জন্য তিনি দেশে ফিরতে পারেন। এ সময় তাঁর মামলাগুলো চলতে থাকবে। প্যারোলের শর্ত হিসেবে হাসিনা কিছুটা নিভৃতে থাকতে ও বেশি প্রকাশ্য বক্তব্য না দিতে সম্মত হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন মরিয়ার্টি। তিনি বলেন, ‘আমাদের ধারণা, খালেদা জিয়াকেও এমন প্রক্রিয়ার মধ্যে নেওয়া হতে পারে।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন