সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দেশে থাকার ব্যাপারে আপসহীন ছিলেন। উইকিলিকসে ফাঁস করা ২০০৮ সালের ১৮ জুনের এক গোপন মার্কিন তারবার্তায় বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা চিকিৎসা গ্রহণের জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বিদেশে চলে গেলেও কারাবন্দী বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে সমঝোতা এখনো সুদূরপরাহত বলে মনে হচ্ছে।
খালেদা জিয়া তার দুই ছেলেকে নি:শর্ত মুক্তি দিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো এবং তার নিজের বাংলাদেশে থাকার ব্যাপারে অনড় থাকায় বিষয়টি জটিল হয়ে পড়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও বেগম জিয়ার মধ্যে শিগগিরই সমঝোতা হবে বলে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা থাকলেও তার ও তার সমর্থকদের মধ্যে সমঝোতার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। গত ৩০ আগস্ট সাড়া জাগানো ওয়েবসাইট এ তারবার্তাটিও প্রকাশ করে।
ঢাকার মার্কিন দূতাবাস থেকে পাঠানো তারবার্তাটিতে বলা হয়,
দুর্নীতি মামলায় গত বছর তত্ত্বাবধায়ক সরকার সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া উভয়কেই গ্রেফতার করে। শেখ হাসিনা প্রধানত তার ছেলে, কন্যা, নাতি ও বোনকে দেখতে বিদেশ যেতে চাওয়ায় তার মুক্তির শর্তাবলি নিয়ে আলোচনা ছিল তুলনামূলক অনেক সহজ। তার মুক্তির ব্যাপারে প্রধান প্রতিবìধকতা ছিল সরকারের বিভিন্ন অংশ, বিশেষ করে সামরিক গোয়েন্দা সংস্খা ডিজিএফআইয়ের তার শর্তাবলিতে রাজি হওয়া।
অন্য দিকে খালেদা জিয়া তার অসুস্খ দুই ছেলেকে অবিলম্বে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্খা করার ব্যাপারে জোর দিচ্ছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার তার জ্যেষ্ঠ ছেলে তারেক রহমানকে নিয়ে বিশেষভাবে নার্ভাস ছিল। সরকারের আশঙ্কা ছিল ব্যাপক দুর্নীতি ও নির্মমতার কারণে রাজনীতিতে তার প্রত্যাবর্তন ভঙ্গুর গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতির কারণ হবে। তারেকের ভাগ্য অনেকাংশে নির্ভর করছে তার মা তার সাথে বিদেশে যেতে রাজি হন কি না তার ওপর। তারেকের শ্যালিকা ইত:পূর্বে মার্কিন দূতাবাসকে জানিয়েছিলেন, ছেলের সাথে দেশ ত্যাগ করার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার খালেদা জিয়াকে চাপ দিচ্ছে। কিন্তু ১৬ জুন আদালতে হাজির হয়ে খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সাথে জানিয়েছেন তিনি বিদেশে যাবেন না।
তারবার্তাটিতে বলা হয়, আদালতে সর্বশেষ হাজিরার সময়ে দেখার আলোকে বলা যায় খালেদা জিয়ার দুই ছেলের স্বাস্খ্য খুবই খারাপ। কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত, আশায় বুক বাঁধছেন যে তাদের শোচনীয় স্বাস্খ্যগত অবস্খার কারণে তাদেরকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যাপারে খালেদা জিয়ার সাথে একটা সমঝোতায় পৌঁছানো যেতে পারে। তবে সরকার মনে করে, খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া রাজনৈতিক সংলাপ এবং ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেয়ার সম্ভাবনা নেই। এখন প্রধান বিবেচ্য বিষয় হলো তারেক রহমানের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এবং খালেদা জিয়া তার সাথে বিদেশে চলে যাবেন নাকি দেশে থাকবেন। তিনি চলে গেলে নজরুলের মতো কেউ কেউ মনে করেন, ডিসেম্বরের নির্বাচনে অংশ নেয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হবে। এর মাধ্যমে দুই নারীর বজ্রমুষ্টিতে বন্দী হয়ে থাকা বাংলাদেশের রাজনীতির মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে।
তারবার্তাটিতে বলা হয়, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব নজরুল ইসলাম খান সম্প্রতি মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তাকে বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন খালেদা জিয়া এখনো সামরিক বাহিনীর মধ্যে জনপ্রিয় থাকায় খালেদা জিয়া ও তার ছেলেদের সাথে সমঝোতা প্রতিষ্ঠার একটি ব্যবস্খা হয়ে যাবে। নজরুল বলেন, তিনি মনে করছেন মুক্তির পর খালেদা জিয়া সপ্তাহখানেক পার্টিকে ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত করার কাজ করে দুই ছেলে তারেক ও আরাফাত রহমান কোকোকে নিয়ে বিদেশে যাবেন। মুক্তির পর শেখ হাসিনার মতো খালেদা জিয়াও দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাথে সংলাপে বসবেন। তিনি স্বীকার করেন, খালেদা জিয়া সরকারের সাথে আলোচনার বিষয়টি নিজের হাতে রাখায় তার চিন্তাধারা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া কঠিন।
তারবার্তাটিতে বলা হয়, খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যেও দলছুট সংস্কারবাদীদের সাথে তার অনুগতদের ঐক্যপ্রক্রিয়াও থমকে আছে। খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী মোহাম্মদ নওশেদ জমির ও বিএনপির দফতর সম্পাদক মোহাম্মদ রুহুল কবির রিজভী মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তাকে বলেন, গত অক্টোবরে সংস্কারবাদীদের যে সভায় অব: মেজর হাফিজকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে সেটিকে ‘অবৈধ’ ঘোষণা না করা পর্যন্ত কোনো ধরনের ঐক্যপ্রক্রিয়া হবে না।
নওশেদ জমির আরো বলেন, চলতি মাসের প্রথম দিকে আদালত কক্ষে আলোচনাকালে খালেদা জিয়া সেনাপ্রধান জেনারেল মইন ইউ আহমেদের প্রতি তার বিতৃষäার কথা প্রকাশ করেছেন।
তারবার্তাটির এক নোটে বলা হয়, বিএনপির অনেক নেতা মনে করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান সমর্থক মইন আওয়ামী লীগের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট। নওশেদ বলেন, নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেয়ার পূর্বশর্ত হতে পারে মইনের পদত্যাগ। নওশেদ ও রিজভী তিন সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগও সম্ভাব্য পূর্বশর্ত হতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে আলোচনা সংস্কারবাদীদের আমন্ত্রণ জানিয়ে ওই কমিশন তার বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। খালেদা জিয়া অবশ্য নিজে তার মুক্তির জন্য এ ধরনের কোনো দাবি উথাপন করেননি।
তারবার্তাটিতে বলা হয়, বিএনপিকে বিশৃঙ্খল দেখা যাওয়ার প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ ভাবার অবকাশ নেই। শেখ হাসিনা যে দিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা হন সেই দিনই আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আমির হোসেন আমু মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তাকে বলেন, তিনি শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বিরুদ্ধে স্খানীয় পার্টি কর্মীদের মধ্যে ‘গোপন কার্যক্রম’ পরিচালনা করবেন। আমু বলেন, তিনি শেখ হাসিনার সাথে দীর্ঘমেয়াদে কাজ করতে পারবেন না এবং শেখ হাসিনা কারাগার থেকে মুক্তির পর বিদেশে চলে যাওয়ার আগে তিনি তার সাথে সামান্য কথা বলেছেন। শেখ হাসিনাকে মুক্তি না দিতে আমু গোপনে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছিলেন। আমু স্বীকার করেন, তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে অন্তত একটি দুর্নীতি মামলায় শেখ হাসিনার দণ্ডিত হওয়ার ওপর। তারবার্তাটির নোটে উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনার দুর্নীতির মামলাটি তার অনুপস্খিতিতেও অব্যাহত থাকবে।
ডিজিএফআই রাজনীতিতে জড়িত : মার্কিন দূতাবাসের অপর এক তারবার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশের সামরিক গোয়েন্দা সংস্খা (ডিজিআইএফ) ঘরোয়া রাজনীতিতে তাদের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অনেক রাজনীতিবিদকে ভয় দেখাচ্ছে এবং পর্দার অন্তরাল থেকে কাজ করছে। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই ঢাকার মার্কিন দূতাবাস থেকে পাঠানো বার্তাটিতে বলা হয়, বেশ কয়েকজন সিনিয়র রাজনীতিবিদ গোয়েন্দা সংস্খাটি তৎপরতা সম্পর্কে দূতাবাসকে অবহিত করেন। তারবার্তাটিতে বলা হয়, ডিজিএফআই বিএনপির মধ্যে ভাঙন সৃষ্টি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার গ্রেফতারকৃত ছেলের ওপর কথিত শারীরিক লাঞ্ছনাসহ বিভিন্ন ধরনের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ সত্ত্বেও তারা সাফল্য পেয়েছে তা দাবি করার অবকাশ খুব কমই থাকে। ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ঘরোয়া রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ডিজিআইএফ সবচেয়ে ভীতি সৃষ্টিকারী সামরিক গোয়েন্দা সংস্খা।
তারবার্তাটিতে বলা হয়, ডিজিএফআইয়ের রাজনৈতিক রেকর্ড এখন পর্যন্ত ভালো নয়। সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রীকে বিদেশে নির্বাসনে পাঠানো কিংবা দেশে তাদের রাজনৈতিকভাবে ধ্বংস করে দেয়ার ‘মাইনাস টু’ নীতিটি ব্যর্থ হয়েছে। দুর্নীতির ব্যাপক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ওই দু’জনের রাজনৈতিক অবস্খান এখনো দৃঢ় রয়েছে।
এতে বলা হয়, বিএনপির দুই সংস্কারবাদী সাবেক স্বাস্খ্যমন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ ও তার ভাই সাবেক সংসদ সদস্য চৌধুরী আকমল ইবনে ইউসুফ মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তার কাছে ২৩ জুন সিনিয়র ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল গোলাম মোহাম্মদ ও সংস্খাটির সন্ত্রাস দমন ইউনিটের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ টি এম আমিনের সাথে তাদের বৈঠকের বিবরণ তুলে ধরেন। কামাল ভ্রাতৃদ্বয় বলেন, ডিজিএফআই কর্মকর্তারা তাদের জানিয়েছেন ডিসেম্বরে অবশ্যই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তারা চান নির্বাচিত বেশির ভাগ সদস্য হবেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অ্যাজেন্ডার সমর্থক। ডিজিএফআই কর্মকর্তারা জানান, এর ফলে মূল ধারার খালেদা জিয়ার অনুগতরা নির্বাচন বয়কট করলেও সংস্কারবাদীদের উচিত নির্বাচনে অংশ নেয়া।
দুই ভাইয়ের একজন বলেন, সম্প্রতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিনের এক কাজিন ফোনে তার কাছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম জানতে চেয়েছেন। আওয়ামী লীগের এক সাবেক সংসদ সদস্যও জানিয়েছেন, ডিজিএফআইও তার কাছে একই বিষয় জানতে চেয়েছে।
জোট ছাড়তে আমিনীকে টাকা সেধেছিলেন শেখ হাসিনা
খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ত্যাগ করার জন্য ইসলামী ঐক্যজোটের (আইওজে) চেয়ারম্যান মুফতি ফজলুল হক আমিনীকে টাকা সেধেছিলেন শেখ হাসিনা। তবে তিনি তাতে রাজি হননি। ২০০৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের পাঠানো এক গোপন তারবার্তায় মুফতি আমিনীর এই দাবির কথা জানানো হয়। সাড়া জাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিকসে গত ৩০ আগস্ট এই তারবার্তাটি ফাঁস করে।
২০০৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর স্বল্প পরিসরে আয়োজিত একটি নৈশভোজে মার্কিন দূতাবাসের কাউন্সিলর (পি/ই) ডি সি ম্যাককুলাফের সাথে ঘন্টাখানেক খোশমেজাজে আলাপ করেন মুফতি আমিনী এমপি। আমিনী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে বিবেকবর্জিত হিসেবে অভিহিত করে মার্কিন কর্মকর্তাকে বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা ‘রাজনৈতিক সমঝোতায়’ পৌঁছার জন্য তাকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
মুফতি আমিন জোট সরকারের দুর্নীতি ও অপশাসন নিয়ে ক্ষুব্ধ থাকলেও তিনি খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন জোট ত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তার দলের সমর্থকেরা মনে করে জোট ত্যাগ করা হলে শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক সুবিধা এনে দেবে। তিনি ক্ষমতায় থাকাকালে শেখ হাসিনার আইওজে’র মাদরাসাগুলোতে দমনাভিযান এবং তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগের বিষয়গুলোর কথা স্মরণ করেন।
আমিনী মার্কিন কর্মকর্তার কাছে প্রশ্ন করেন ‘আইওজে কিভাবে যুক্তরাষ্ট্রে তার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে এবং আপনাদের সরকার কেন মাদরাসাবিরোধী?’
তারবার্তাটিতে উল্লেখ করা হয়, আমিনী অপর রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীকে ‘ক্ষমতালোভী’ হিসেবে অভিহিত করেন এবং বলেন জামায়াত নেতৃত্বের পরবর্তী প্রজন্ম ‘চরমপন্থী’ হবে।
আমিনী দাবি করেন আইওজে মিশনারি কাজে আগ্রহী, রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রতি নয়।
আমিনী বলেন, বাংলাদেশকে সত্যিকারের ইসলামি দেশে পরিণত করতে সাংবিধানিক ও অন্যান্য পরিবর্তন প্রয়োজন। ‘এই নতুন রাষ্ট্রে নারীরা ভোটাধিকার পাবে, শরিয়াভিত্তিক সুদমুক্ত ব্যাংকিং চালু হবে, জাকাত ভিন্ন অন্য সব কর হন্সাস করা হবে, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক মনে করা হবে না। তিনি বাংলাদেশের জন্য বা আইওজে’র জন্য কোনো বিদেশী মডেলের কথা ভাবছেন না।’
আমিনী গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিগুলোতে নারীদের ব্যাপক সংখ্যায় চাকরি করাকে সমর্থন করে জানান তাদের পুরুষদের চেয়ে আলাদা রাখা উচিত।
তারবার্তাটির মন্তব্যে বলা হয়, আমিনী বেশ খোশমেজাজে ছিলেন। সম্ভাব্য বিতর্ক সৃষ্টিকারী বিষয় তিনি এড়িয়ে যাচ্ছিলেন। এতে জামায়াতে ইসলামীর বিরদ্ধে তার বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করে বলা হয় আইওজে-বিএনপি টানাপড়েনের বিষয়টি সুপরিচিত, কিন্তু জামায়াতের বিরুদ্ধে তার সমালোচনার তীক্ষîতা অপ্রত্যাশিত। বিশেষ করে জামায়াতকে যখন আইওজের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল তখন তারা কোনো বিদ্বেষ প্রকাশ করেনি। এতে বলা হয়, আমিনীর মধ্যে মার্জিতভাব নেই এবং মূলধারার ইসলামি নেতৃত্ব সম্পর্কে তার ধারণা নেই।
বিএনপি থেকে ভাগিয়ে নিতে আওয়ামী লীগ আমিনীকে টাকা দিতে চায় বলে বক্তব্যটির ব্যাপারে সংশয় থাকলেও তা পুরোপুরি উড়িয়ে দেয়া যায় না। কাউন্সিলর বলেন, তারা দুই সপ্তাহ আগেও এই অভিযোগটি শুনেছিলেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন