আড়াই লাখ মার্কিন তারবার্তা ফাঁস করেছে উইকিলিকস। মার্কিন কূটনীতিকদের ভাষ্যে এসব তারবার্তায় বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশের রাজনীতি ও ক্ষমতার অন্দরমহলের খবর
সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাওয়া শেখ হাসিনা যাতে দেশে ফিরতে না পারেন, সে জন্য নির্দেশনার বাইরে গিয়ে উদ্যোগ নিয়েছিলেন তখন ওয়াশিংটনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত শমসের মবিন চৌধুরী। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিল হাসিনাকে বাংলাদেশগামী বিমানে উঠতে না দিতে বিমান সংস্থাগুলোকে অনুরোধ জানাতে। তিনি নির্দেশনার বাইরে গিয়ে শেখ হাসিনার পাসপোর্ট জব্দ করতে মার্কিন সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছিলেন।
সাড়া জাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিকসের ফাঁস করা মার্কিন দূতাবাসের কূটনৈতিক তারবার্তায় এ কথা বলা হয়েছে।
তারবার্তায় বলা হয়, রাষ্ট্রদূত শমসের মবিন চৌধুরীকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিল যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে শুধু বিমান সংস্থাগুলোকে অনুরোধ করার বিষয়টি জানাতে।
২০০৭ সালের ১৯ এপ্রিল ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন গীতা পাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমেরিকা ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অনুবিভাগের মহাপরিচালক শহীদুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষা ৎ করেন। মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আবিদা ইসলাম ও খাস্তগীর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ডেপুটি চিফ অব মিশন গীতা পাসি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শমসের মবিন চৌধুরী শেখ হাসিনার পাসপোর্ট জব্দ করতে এবং তাঁকে বিমানে উঠতে না দেওয়ার জন্য বিমান সংস্থাগুলোকে পরামর্শ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অনুরোধ জানান। কারণ হিসেবে তিনি বলেছিলেন, হাসিনা নিরাপত্তার জন্য হুমকি। গীতা পাসি বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এ দুই অনুরোধের কোনোটাই রক্ষা করবে না। তিনি জোর দিয়ে বলেন, শেখ হাসিনাকে নিরাপত্তার প্রতি হুমকি হিসেবে ঘোষণা করার কোনো কারণ যুক্তরাষ্ট্রের জানা নেই। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রীর পাসপোর্ট জব্দ করার কোনো পরিকল্পনা নেই মার্কিন সরকারের। শেখ হাসিনা নিরাপত্তার জন্য হুমকি—আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিংবা বিমান সংস্থার কর্মকর্তাদের এ কথা জানানোর কোনো পরিকল্পনা নেই যুক্তরাষ্ট্রের। শেখ হাসিনার যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগে বাধা দেওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই দেশটির।
তারবার্তার ভাষ্য অনুযায়ী, ১৭ এপ্রিল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে পাঠানো বাংলাদেশ দূতাবাসের এক বার্তায় বলা হয়, নিরাপত্তাজনিত কারণে যুক্তরাষ্ট্র সফররত আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশে উপস্থিতি এ মুহূর্তে কাঙ্ক্ষিত নয়। শেখ হাসিনা যাতে এখন বাংলাদেশে যাওয়ার জন্য বিমানে উঠতে না পারেন, সে জন্য বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাতে অনুরোধ জানাচ্ছে দূতাবাস। এ বার্তার একটি অনুলিপি ডেপুটি চিফ অব মিশনের কাছেও আসে। গীতা পাসি উল্লেখ করেন, এই অনুরোধে তাঁরা ও ওয়াশিংটন বিস্মিত। তিনি বলেন, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সঙ্গে এ ব্যাপারে আগে কথা হলে তাঁরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে দিতেন যে এই অনুরোধ রক্ষা করা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে সম্ভব হবে না।
১৯ এপ্রিল রাষ্ট্রদূত বিউটেনিস ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে কথা বলেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, শেখ হাসিনাকে বিমানে উঠতে না দিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শমসের মবিন চৌধুরীর অনুরোধ রক্ষা করতে পারে না যুক্তরাষ্ট্র। পররাষ্ট্রসচিব তখন বলেন, রাষ্ট্রদূত শমসের চৌধুরীর প্রতি নির্দেশনা ছিল, শেখ হাসিনাকে বিমানে উঠতে না দিতে বিমান সংস্থাগুলোর সঙ্গে কথা বলা এবং পররাষ্ট্র দপ্তরের আন্ডার সেক্রেটারি বার্নসের কাছে পরিস্থিতি বর্ণনা করা। তৌহিদ হোসেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে লিখিত অনুরোধ রাষ্ট্রদূত শমসের মবিন চৌধুরীর কর্তৃত্বের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল করেছে।
সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাওয়া শেখ হাসিনা যাতে দেশে ফিরতে না পারেন, সে জন্য নির্দেশনার বাইরে গিয়ে উদ্যোগ নিয়েছিলেন তখন ওয়াশিংটনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত শমসের মবিন চৌধুরী। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিল হাসিনাকে বাংলাদেশগামী বিমানে উঠতে না দিতে বিমান সংস্থাগুলোকে অনুরোধ জানাতে। তিনি নির্দেশনার বাইরে গিয়ে শেখ হাসিনার পাসপোর্ট জব্দ করতে মার্কিন সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছিলেন।
সাড়া জাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিকসের ফাঁস করা মার্কিন দূতাবাসের কূটনৈতিক তারবার্তায় এ কথা বলা হয়েছে।
তারবার্তায় বলা হয়, রাষ্ট্রদূত শমসের মবিন চৌধুরীকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিল যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে শুধু বিমান সংস্থাগুলোকে অনুরোধ করার বিষয়টি জানাতে।
২০০৭ সালের ১৯ এপ্রিল ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন গীতা পাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমেরিকা ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অনুবিভাগের মহাপরিচালক শহীদুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষা ৎ করেন। মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আবিদা ইসলাম ও খাস্তগীর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ডেপুটি চিফ অব মিশন গীতা পাসি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শমসের মবিন চৌধুরী শেখ হাসিনার পাসপোর্ট জব্দ করতে এবং তাঁকে বিমানে উঠতে না দেওয়ার জন্য বিমান সংস্থাগুলোকে পরামর্শ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অনুরোধ জানান। কারণ হিসেবে তিনি বলেছিলেন, হাসিনা নিরাপত্তার জন্য হুমকি। গীতা পাসি বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এ দুই অনুরোধের কোনোটাই রক্ষা করবে না। তিনি জোর দিয়ে বলেন, শেখ হাসিনাকে নিরাপত্তার প্রতি হুমকি হিসেবে ঘোষণা করার কোনো কারণ যুক্তরাষ্ট্রের জানা নেই। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রীর পাসপোর্ট জব্দ করার কোনো পরিকল্পনা নেই মার্কিন সরকারের। শেখ হাসিনা নিরাপত্তার জন্য হুমকি—আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিংবা বিমান সংস্থার কর্মকর্তাদের এ কথা জানানোর কোনো পরিকল্পনা নেই যুক্তরাষ্ট্রের। শেখ হাসিনার যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগে বাধা দেওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই দেশটির।
তারবার্তার ভাষ্য অনুযায়ী, ১৭ এপ্রিল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে পাঠানো বাংলাদেশ দূতাবাসের এক বার্তায় বলা হয়, নিরাপত্তাজনিত কারণে যুক্তরাষ্ট্র সফররত আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশে উপস্থিতি এ মুহূর্তে কাঙ্ক্ষিত নয়। শেখ হাসিনা যাতে এখন বাংলাদেশে যাওয়ার জন্য বিমানে উঠতে না পারেন, সে জন্য বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাতে অনুরোধ জানাচ্ছে দূতাবাস। এ বার্তার একটি অনুলিপি ডেপুটি চিফ অব মিশনের কাছেও আসে। গীতা পাসি উল্লেখ করেন, এই অনুরোধে তাঁরা ও ওয়াশিংটন বিস্মিত। তিনি বলেন, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সঙ্গে এ ব্যাপারে আগে কথা হলে তাঁরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে দিতেন যে এই অনুরোধ রক্ষা করা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে সম্ভব হবে না।
১৯ এপ্রিল রাষ্ট্রদূত বিউটেনিস ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে কথা বলেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, শেখ হাসিনাকে বিমানে উঠতে না দিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শমসের মবিন চৌধুরীর অনুরোধ রক্ষা করতে পারে না যুক্তরাষ্ট্র। পররাষ্ট্রসচিব তখন বলেন, রাষ্ট্রদূত শমসের চৌধুরীর প্রতি নির্দেশনা ছিল, শেখ হাসিনাকে বিমানে উঠতে না দিতে বিমান সংস্থাগুলোর সঙ্গে কথা বলা এবং পররাষ্ট্র দপ্তরের আন্ডার সেক্রেটারি বার্নসের কাছে পরিস্থিতি বর্ণনা করা। তৌহিদ হোসেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে লিখিত অনুরোধ রাষ্ট্রদূত শমসের মবিন চৌধুরীর কর্তৃত্বের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল করেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন