সংবিধান। এ যেন হেরা পর্বতের বাঁকে নাজিল হওয়া বাই দ্যা শেখ, অব দ্যা শেখ এন্ড ফর দ্যা শেখ নামের আমলনামা। অবস্থাদৃষ্টে মন হচ্ছে শেখ হাসিনা কেবল ম্যাসেঞ্জার হয়ে জাতিকে পৌছে দিচ্ছেন ঈশ্বরের সিদ্ধান্ত। মানব আইন নয়, এ যেন তার নির্দেশ, শাসন ব্যবস্থায় যেখানেই শেখ নাম অনুপস্থিত থাকবে তা হবে অন্যায়, অবৈধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ যা মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত গড়াতে পারে। খায়রুল আর সুরঞ্জিত বাবুদের কাধে বন্দুক রেখে এমন একটা উচ্চতাই পদানত করেছেন নেত্রী আর সরকার প্রধান শেখ হাসিনা। খবরে প্রকাশ, সংবিধান সংশোধন চূড়ান্ত হওয়ায় ফুরফুরে মেজাজে আছেন প্রধানমন্ত্রী। মাঝে মধ্যে নাকি কবিতা আওড়াচ্ছেন আর রবীন্দ্র সংগীত চর্চার চেষ্টা করছেন। একই মেজাজে আছেন সুরঞ্জিত বাবু আর হানিফ-আশারাফ নামের পাইক, পেয়াদা, আন্দাজ-বরকান্দাজের দল। ভাবটা এমন আগামী ১০০ বছরের জন্যে নিশ্চিত করা গেছে রাজনৈতিক ক্ষমতা! প্রধানমন্ত্রীর ভাষায় জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছেই ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে সংশোধনের মাধ্যমে, যা কেউ কোনদিন কেড়ে নিতে পারবে না। শুনতে অবশ্যই ভাল লাগে। আমিও জনগণ, সুতরাং প্রধানমন্ত্রীর দাবি মতে আমার ক্ষমতা আমাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে একটা জিনিষ পরিস্কার নয়, কি এমন ক্ষমতা যা কেড়ে নিয়ে ফিরিয়ে দেয়া হল? মলমূত্র ত্যাগের জরুরি তাগাদায় একবার চিরুনী অভিযান চালাতে হয়েছিল প্রিয় ঢাকা শহরে। কোটি মানুষের এই মেগা শহরে একটাও সুস্থ মুতখানা পাওয়া যায়নি যেখানে বসে গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি সুবিচার করা যেত। অন্যের কাছে ব্যাপারটা কেমন জানিনা, আমার ক্ষমতার তালিকায় সুস্থভাবে মলমূত্র ত্যাগ করার ক্ষমতাও অর্ন্তভুক্ত। সংবিধানে ঈশ্বর না খোদা, মুজিব না জিয়া, এর চাইতেও জরুরি একটা গন্ধহীন মুতখানার নিশ্চয়তা। যতদিন এ ক্ষমতা নিশ্চিত না করা হবে আমার চোখে সংবিধান একদলা কাগজ হিসাবেই বিবেচিত হবে, যা আপদকালীন টয়লেট পেপার হিসাবে ব্যবহার করতে সামান্যতম দ্বিধা করব না। গেল আড়াই বছরে শেখ হাসিনা কি ফিরিয়ে দিয়েছেন সে অধিকার?
ওয়াচডগ এর ব্লগ থেকে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন