১/১১, রক্তের বেইমানী

দূর্ভাগ্যজনক নিউজের শেষ কোথায়?? ১/১১ এর জন্মদাতা মইন নয়। ১/১১ এর পরবর্তী সুবিধাভোগী মইন। খালেদা জিয়ার রক্ত যদি বেইমানী না করতো ১/১১ জন্ম হতো না। তারেক রহমানের সাথে ডান্ডি ডায়িং, রহমান নেভীগেশন সহ বিভিন্ন কারনে তার মামা সাইদ ইসকান্দারের সম্পর্ক তেমন ভালো ছিলনা। লে.জে. মাসুদ সাইদ ইসকান্দারের ভায়রা। মইনকে সাইদ ইসকান্দারের পছন্দে সেনা প্রধান করায় তারেক রহমানের মনপূত হয়নি। পরবর্তী সেনা প্রধান করার জন্য তারেকের পছন্দ হয় দলের, জিয়া পরিবারের বিশ্বস্ত রেজ্জাকুল। রেজ্জাকুলের নিকট থেকে মাসুদের ঔদত্ত সম্পর্কে যথাযথ রির্পোট করা হয়। রেজ্জাকুলকে চীফ(লে.জে.) প্রোমশন দিয়ে প্রেসিডেন্টের অনুমোদন হয়। রেজ্জাকুলের ফাইল অনুমোদনের খবর মাসুদকে জানিয়ে দেয় তার ভায়রা সাইদ ইসকান্দার। জানায় যে মাসুদ তুমি চীফ(লে.জে.) হচ্ছো না। রেজ্জাকুলের ফাইল অনুমোদন হয়ে গেছে। শুরু হয় ক্যু এর প্রচেষ্টা। যে কোন ঝাটিকা আক্রমনের জন্য নবম ডিভিশন যথেষ্ট। সেনা প্রধানের সরাসরি কমান্ডে কোন অপারেশন শুরু হয়না প্রায়শ। কারন সরকার সহ তার দিকে সবার দৃষ্টি, সন্দেহ থাকে। মাসুদ দ্রুততার সাথে বঙ্গভবন আক্রমন করে বসলেন। তার আগে পিজিআর প্রধান হাত করা হলো। প্রেসিডেন্টের সামরিক সচিব মইন পক্ষ নিলো। মাসুদ সরসরি অস্ত্র নিয়ে বঙ্গভবন দখল করে রেজ্জাকুলের ফাইল ছেড়ালেন। মার খেল মোখলেস। শুরু হলো দানব সরকারের পদযাত্রা যার নিকৃষ্ট না ১/১১। দ্রুত আক্রোমনে হতচকিত সকলে । কোন বাধা দেয়া হলোনা কারন রক্তপাত হবে। রেজ্জাকুলকে মেরে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল তিনি সাময়িকভাবে পালিয়ে বেচেছেন। পরবর্তীতে বাধ্যতামূলক অবসরে যেতে বাধ্য করা হয়। সাইদ ইসকান্দার সহায়তা না করলে ১/১১ হতোনা। মাসুদকে ১/১১ ঘটানোর সুযোগ করে দেয়ার পুরস্কার হিসাবে দূনীর্তির সাথে জড়িত থাকার সন্দেহ থাকলেত্ত সাইদ ইসকান্দারের নামে কিছু হলো না। মাসুদের খায়েস জাগলো সে হবে সেনাপ্রধান আর তার ভায়রা সাইদ ইসকান্দার হবে অনুগত খন্ডিত সেনা সমর্থিত বিএনপির প্রধানমন্ত্রী। খালেদা জিয়া তারেক রহমানকে জেলে নিয়ে চাপ দেয়া হলো সাইদ ইসকান্দারকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির পদ দিয়ে দেয়ার নইলে তারেককে রাম ধোলাই দেয়া হবে। তারেক রহমানের দৃঢ়তা সাইদ ইসকান্দার খায়েস পুরো হলোনা। কিংস পার্টি বাধ্যহয়ে ধর্না দিলেন লীগের দিকে। পরবর্তী ফলাফল সবার জানা। শামীম ইসকান্দারকে ধরা হলো ধরা হলো ডিউককে দেশান্তরি সাইফুল ইসলাম। সাইদ ইসকান্দার আজো অম্লান কিছু হয়নি তার। খালেদা জিয়া তারেক রহমান হাত পা খোলা থেকেত্ত আজো বন্দি তার চারপাশে ঘেরা মির জাফর, রায় দূর্লভ, রাজ বল্লভ, ঘসেটি বেগমের কারাগারে। পলাশীর পর ঘসেটি বেগম কে তার জবাব যার যা খুশি মিলিয়ে নিতে পারে। তবে খালেদা জিয়াকে বাড়ী ছাড়া করা দলকে ধংস্ব করা শেখ হাসিনা বা খায়রুলে ক্রেডিট বা ক্রিয়েটিভিটি নয়। ক্রেডিট বিএনপির ভেতরে বসবাস করা তথা কথিত কিছু স্টান্ডিং কমিটি মেম্বার, ব্যক্তিগত সহকারী সহ কতিপয় গুরুত্বপূর্ন পদধারী মিরজাফর, উমিচাদ, রায় দূর্লভ ঘসেটি বেগমদের। বাংলাদেশের জনগন আর বিএনপির দূঃখ করা আহ বলা ছাড়া কিছু করার নেই। কারন কারাগারে বন্দি খালেদা জিয়ার চেয়ে মিরজাফর বেইমান দ্বারা বন্দী খালেদা জিয়া বেশী অসহায়। খালেদা জিয়ার কিছু করার নেই। কারন সিরাজ জানতো মিরজাফররা ষড়যন্ত্র করতেছে তবু সিরাজের কিছু করার ছিল না কারন সে তাদের উপর নির্ভরশীল ছিল। বন্দি খালেদা জিয়া পর্যন্ত কোন তথ্য পৌছায় না। সকল তথ্য পাচার হয়ে যায়। প্রসাদ ষরড়ন্ত্র, দলীয় মিরজাফরদের অবস্থান খালেদা জিয়ার পরিবারে, স্টান্ডিং কমিটিতে, ব্যক্তিগত সহকারী সহ গুরুত্বপূর্ন পদে, দলের শিরায় শিরায় রন্দ্রে রন্দ্রে। শারীরিক ভাবে মুক্ত থেকেও মিরজাফরদের বৃত্তে বন্দি খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের জন্য দোয়া করা ছাড়া কিছুই করার নেই। কারন মিরজাফরা, ঘসেটি বেগমরা যে তাদের চরম খাস লোক হিসাবে অবস্থান করে আছে।
জিয়ার কোন আত্নীয় রাজনীতিতে জড়ায়নি। অথচ খালেদা জিয়ার পরিবারের কিছু অযোগ্য লোক রাজনীতিকে কুলশীতই করেনি কেউ দুলাভাইয়ের প্রাইভেট প্রোপাটি, খালুর প্রাইভেট প্রোপাটি বানিয়ে ফেলেছে। আর চেষ্টা করেছে আয় দেস্তরা গনিমাতের মাল পেয়েছি বিএনপি, লুটেপুটে খাই। তার সাথে যোগ হয়েছে কিছু চামচা মামুন, অপু, আসিক, কালু, আলু, লালু পালূ---- কতো লু ওয়ালারা। তাদের দাপটে আজীবন বিএনপি করা লোক গুলো তটস্ত। ভাবতে হবে কাদের তান্ডবে, বেয়াদবিতে এলডিপর জন্ম হলো। কাদের উৎপাতে মানুষ তার দীর্ঘদিনের চেনা দল ছাড়তে বাধ্য হয়ে অচেনা পথে পা বাড়ায়, বিএনপি ভাগ হয়ে যায়। কোন কারন ছাড়া কেউ নিজ সরকারী দল, নিজ এমপিত্ব ছাড়েন। শুধু তাদের দোষ দিয়ে লাভ কি? দলের ভূলের কথাও ভাবতে হবে। যারা দল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে তারা আর যাই হোক লীগান নয়। আর্মিতে সাইদ ইসকান্দার, ডিউকের অজাচিত হস্তক্ষেপ বিএনপি বান্ধব আর্মিকে বিএনপি বিরোধী আর্মিতে পরিনত করেছে। তাদের কর্মের ফসল ভোগ করেছে তারেক রহমান। মাঝখান থেকে রাম ধোলাই খেয়েছে। বিএনপি ধংস্বস্তুপ। সাইদ ইসকান্দার তো কোন দূর্নীতির নোটিশ পায়নি। অথচ হাজত খাটে শামীম ইসকান্দার। কেন?? কেউ যদি মনে করেন যে খালেদা জিয়া দেশে আছেন বলে বন্দী আছেন তারেক রহমান লন্ডনে আছেন বলে মুক্ত আছেন তাও ভূল। তারেক রহমান যখন লন্ডন যায় তার সাথে একই প্লেনে বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার কয়েকজন চৌকস অফিসার যায় তারেক রহমানকে পর্যবেক্ষন করার জন্য। তাদের বিশেষ মিশন শেষ হয়নি। কারন বর্তমান সরকার দানব সরকারের পদক্ষেপগুলো চলমান রেখেছে রাজনৈতিক স্বার্থে। বরং তাদের কর্মকান্ড আরো প্রসারিত করেছে। গোয়েন্দা সংস্থার সাথে যোগ হয়েছে আওয়ামী তৎপরতা। তারেকের ঘনষ্ট লোক হিসাবে সেট করে দেয়া হয়েছে লন্ডনেও। আজো সরকার অঢেল টাকা, পাউন্ড, ডলার খরচ করছে তারেকের প্রতিটা বিষয়ে নজরদারী করতে। তারেক খালেদা বৃত্তের মধ্যে থাকলে শুধু নাম মাত্র বিরোধী দল সরকারের জন্য কোন ক্ষতিকর হবে না। তারেক রহমান বা খালেদা জিয়া বন্দীত্বের বৃত্ত সহসা ভাঙ্গতে পারবে বলে মনে হয়না। খালেদা জিয়া আজো বন্দী ব্যক্তিগত সহকারী নামক গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট, নব্য বিএনপিওয়ালাদের দ্বারা। তারা নির্ধারন করে দেয় কে কি পদে থাকবে। খালেদা জিয়ার নিজেস্ব চিন্তা কর্মকান্ড বন্দী। বিএনপির প্রতিটি কথা ফাস হয়ে যায়, পাচার হয়ে যায় সরকারের কাছে। ১/১১ এর জন্মদাতা সাইদ ইসকান্দার নামক মামা যেন সেই নবাব সিরাজের আপন রক্তের ঘসেটি খালা।(তথ্যগুলো সহ অতি দীর্ঘ, করুন কাহিনীর সংক্ষেপে বর্ননা করা হলো)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন