প্রবর্তনের প্রেক্ষাপট
বাংলাদেশের বিগত নির্বাচন সমূহ
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর দেশের প্রথম পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ৭ মার্চ ১৯৭৩ । যে নির্বাচনের ব্যাপারে ভোট কারচুপি, ব্যালটবক্স ছিনতাইসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। তবে সাধারণত ধরে নেয়া হয় জেনারেল জিয়াউর রহমানের ১৯৭৭ সালে অনুষ্ঠিত রেফারেন্ডামের মধ্য দিয়ে ভোট জালিয়াতি সাধারণ রূপ লাভ করে। যে নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক ৮৮.৫ শতাংশ ভোট পড়ে এবং প্রদত্ত ভোটের ৯৮.৮৮ শতাংশই ছিল জিয়াউর রহমানের পক্ষে হ্যাঁ ভোট। তার সময়ে আরো দুবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় যে নির্বাচনসমূহ সিভিল, সামরিক গোয়েন্দা ও প্রশাসনের ছত্র-ছায়ায় কারচুপির অভিযোগ রয়েছে।
জেনারেল জিয়াউর রহমানের পদাংক অনুসরন করে লে. জে. হু. মু. এরশাদ ২১ মার্চ ১৯৮৫ সালে জাল ভোটের আয়োজন করে। যে নির্বাচনের ৭২.২ শতাংশ ভোটার অংশগ্রহণ দেকানো হয় এবং যাতে হ্যাঁ ভোট ছিল ৮৪.১ শতাংশ। পরবর্তীতে এরশাদ তিনটি সংসদ নির্বাচন আয়োজন করে। প্রথমটি ১৯৮১ সালের ৭ মে, দ্বিতীয়টি ১৯৮৬ সালের ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়। তাং তৃতীয়টি ১৯৮৮ সালে ৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়, যে নির্বাচনে দেশের জাতীয় পার্টি ছাড়া দেশের উল্লেখযোগ্য কোন দল অংশ নেয়নি। সবগুলো নির্বাচনই ছিল কারচুপির নির্ভর।
১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর জেনারেল এরশাদের পতন হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সমঝোতার মাধ্যমে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহম্মদকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার করা হয়। ফলে তার অধীনে অনুষ্ঠিত হয় একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। যে নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করে ১৯৯১ সালে ২০ মার্চ। বিএনপি সরকার সম্মিলিত বিরোধী দলগুলোর বয়কটের মুখেও ১৫ ফেব্রুয়ারী ১৯৯৬ একটি একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করে। এ নির্বাচনে মাত্র ২১ শতাংশ ভোট পরে। বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে এটাই ছিল সর্বনিম্ন উপস্থিতি।
ত্রয়োদশ সংশোধনী
দেশের প্রায় সকল রাজনৈতিক দলের বয়কটের মুখে ১৫ ফেব্রুয়ারী ১৯৯৬ সালে বিএনপি ভোটারদের সর্বনিম্ন অংশ গ্রহনে ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একতরফা ভাবে ক্ষমতায় আসে। কিন্তু রাজনৈতিক দলসমূহের সম্মিলিত দাবীর মুখে এবং জনগণের নিকট এ নির্বাচন চরম প্রশ্নের সম্মুখীন হয়। ফলে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নির্বাচনের দাবীকে বিএনপি সরকার মেনে নিতে অনেকটা বাধ্য হয়। খালেদা জিয়ার সরকার ২৬ মার্চ ১৯৯৬ ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করে। যা ২৭ মার্চ ১৯৯৬ কার্যকর হয়। এই সংশোধনীর আওতায় বাংলাদেশের সর্বশেষ অবসর প্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করে খালেদা জিয়ার সরকার পদত্যাগ করেন।
বাংলাদেশের বিগত নির্বাচন সমূহ
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর দেশের প্রথম পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ৭ মার্চ ১৯৭৩ । যে নির্বাচনের ব্যাপারে ভোট কারচুপি, ব্যালটবক্স ছিনতাইসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। তবে সাধারণত ধরে নেয়া হয় জেনারেল জিয়াউর রহমানের ১৯৭৭ সালে অনুষ্ঠিত রেফারেন্ডামের মধ্য দিয়ে ভোট জালিয়াতি সাধারণ রূপ লাভ করে। যে নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক ৮৮.৫ শতাংশ ভোট পড়ে এবং প্রদত্ত ভোটের ৯৮.৮৮ শতাংশই ছিল জিয়াউর রহমানের পক্ষে হ্যাঁ ভোট। তার সময়ে আরো দুবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় যে নির্বাচনসমূহ সিভিল, সামরিক গোয়েন্দা ও প্রশাসনের ছত্র-ছায়ায় কারচুপির অভিযোগ রয়েছে।
জেনারেল জিয়াউর রহমানের পদাংক অনুসরন করে লে. জে. হু. মু. এরশাদ ২১ মার্চ ১৯৮৫ সালে জাল ভোটের আয়োজন করে। যে নির্বাচনের ৭২.২ শতাংশ ভোটার অংশগ্রহণ দেকানো হয় এবং যাতে হ্যাঁ ভোট ছিল ৮৪.১ শতাংশ। পরবর্তীতে এরশাদ তিনটি সংসদ নির্বাচন আয়োজন করে। প্রথমটি ১৯৮১ সালের ৭ মে, দ্বিতীয়টি ১৯৮৬ সালের ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়। তাং তৃতীয়টি ১৯৮৮ সালে ৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়, যে নির্বাচনে দেশের জাতীয় পার্টি ছাড়া দেশের উল্লেখযোগ্য কোন দল অংশ নেয়নি। সবগুলো নির্বাচনই ছিল কারচুপির নির্ভর।
১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর জেনারেল এরশাদের পতন হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সমঝোতার মাধ্যমে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহম্মদকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার করা হয়। ফলে তার অধীনে অনুষ্ঠিত হয় একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। যে নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করে ১৯৯১ সালে ২০ মার্চ। বিএনপি সরকার সম্মিলিত বিরোধী দলগুলোর বয়কটের মুখেও ১৫ ফেব্রুয়ারী ১৯৯৬ একটি একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করে। এ নির্বাচনে মাত্র ২১ শতাংশ ভোট পরে। বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে এটাই ছিল সর্বনিম্ন উপস্থিতি।
ত্রয়োদশ সংশোধনী
দেশের প্রায় সকল রাজনৈতিক দলের বয়কটের মুখে ১৫ ফেব্রুয়ারী ১৯৯৬ সালে বিএনপি ভোটারদের সর্বনিম্ন অংশ গ্রহনে ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একতরফা ভাবে ক্ষমতায় আসে। কিন্তু রাজনৈতিক দলসমূহের সম্মিলিত দাবীর মুখে এবং জনগণের নিকট এ নির্বাচন চরম প্রশ্নের সম্মুখীন হয়। ফলে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নির্বাচনের দাবীকে বিএনপি সরকার মেনে নিতে অনেকটা বাধ্য হয়। খালেদা জিয়ার সরকার ২৬ মার্চ ১৯৯৬ ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করে। যা ২৭ মার্চ ১৯৯৬ কার্যকর হয়। এই সংশোধনীর আওতায় বাংলাদেশের সর্বশেষ অবসর প্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করে খালেদা জিয়ার সরকার পদত্যাগ করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন