জাতীয় পরিচয়পত্রের গোপন নম্বরের মানে জানুন...


 আজ আমরা আমাদের অতি প্রয়োজনীয় একটা জিনিষের ব্যাপারে জানবো, সেটা হল আমাদের জাতীয় পরিচয় পত্র বা ন্যাশনাল আইডি কার্ড । বাংলাদেশী হিসাবে আমাদের অনেকের ই জাতীয় পরিচয় পত্র আছে। অনেকে এটাকে ভোটার আইডি কার্ড হিসাবে বলেন যেটা সম্পুর্ণ ভুল। এটা ন্যাশনাল আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র। এটা শুধু যারা ১৮ বছরের উপর তাদের দেওয়া হচ্ছে কিন্তু এটা বাংলাদেশের প্রতিটা নাগরিকের থাকা উচিৎ। আসুন আমরা কারও আইডি কার্ড এর নাম্বার দেখে কিভাবে বুজতে পারি সে কোন ধরনের এলাকার বাসিন্দা সেটা জেনে নেই।






আপনারা দেখবেন এটার নীচে লাল কালি দিয়ে লেখা ১৩ সংখ্যার একটা নম্বর আছে যাকে আমরা আইডি নম্বর হিসাবে জানি।






কিন্তু এই ১৩ সংখ্যার মানে কি?






১। এর প্রথম ২ সংখ্যা - জেলা কোড। ৬৪ জেলার আলাদা আলাদা কোড আছে। ঢাকার জন্য এই কোড ২৬।






২। পরবর্ত্তি ১ সংখ্যা - এটা আর এম ও (RMO) কোড।






সিটি কর্পোরেশনের জন্য - ৯


ক্যান্টনমেন্ট - ৫


পৌরসভা - ২


পল্লী এলাকা - ১


পৌরসভার বাইরে শহর এলাকা - ৩


অন্যান্য - ৪






৩। পরবর্ত্তি ২ সংখ্যা - এটা উপজেলা বা থানা কোড






৪। পরবর্ত্তি ২ সংখ্যা - এটা ইউনিয়ন (পল্লীর জন্য) বা ওয়ার্ড কোড (পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের জন্য)






৫। শেষ ৬ সংখ্যা - আই ডি কার্ড করার সময় আপনি যে ফর্ম পূরণ করেছিলেন এটা সেই ফর্ম নম্বর।






বর্তমানে আবার ১৭ ডিজিট ওয়ালা আইডি কার্ড দেয়া হচ্ছে যার প্রথম ৪ ডিজিট হচ্ছে জন্মসাল!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন