ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দিন সরকারের আমলে ঘটে যাওয়া নানা জানা-অজানা ও এক্সক্লুসিভ... ১ম পর্ব

বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশের এক প্রকারের শাসন ব্যবস্থা, যার অধীনে দুইটি নির্বাচিত সরকারের মধ্যবর্তী সময়কালে সাময়িক ভাবে অনির্বাচিত ব্যক্তিবর্গ কোন দেশের শাসনভার গ্রহন করে থাকে। সাধারণত নির্বাচন পরিচালনা করাই এর প্রধান কাজ হয়ে থাকে।
বাংলাদেশের সংবিধানের সংশোধনী অনুসারে দুই নির্বাচনের মধ্যকার সময়ে নির্দলীয় নিরপে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ৩ মাসের জন্য মতা গ্রহন করে। এসময় সুপ্রিম কোর্ট হতে সর্বশেষ অবসর গ্রহনকারী প্রধান বিচারপতি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁকে এক দল নিরপে উপদেষ্টা মন্ডলী সাহায্য করে থাকে। তবে এসময় সামরিক বাহিনীর কর্তৃত্ব রাষ্ট্রপতির হাতে থাকে।
এ অভিনব পদ্ধতি প্রথম প্রস্তাব করেন আশির দশকে জামায়াতের তৎকালীন আমির অধ্যাপক গোলাম আযম। তিনি বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে জামায়াত আয়োজিত এক জনসভায় এ ফর্মুলা পেশ করেন। আবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর পক্ষ থেকে দাবী করা হয় এই পদ্ধতির উদ্যোক্তা তারাই। বিএনপির নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাও নিজেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার প্রস্তাবক হিসেবে দাবি করেন। তিনি চ্যানেল আই-এর তৃতীয় মাত্রা অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রস্তাব উত্থাপনের জন্য বিএনপি তাকে পঞ্চম জাতীয় সংসদের মন্ত্রীসভা থেকে অপসারণ করে। সাম্প্রতিক কালে ২০০৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সিএম শফি সামী বলেন, বাংলাদেশের সমস্যাগ্রস্থ আমলাতন্ত্রের কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন হয়েছে।

প্রেক্ষাপট
১৯৮১ থেকে গণতন্ত্রের দাবিতে দীর্ঘ নয় বছরের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদ সরকারের পতন ঘটে। এরশাদ সরকারের পতনের পর সব দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে ততালীন প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। শাহাবুদ্দিন আহমদের অধীনে ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বিএনপি সবচেয়ে বেশি আসন পেয়ে সরকার গঠন করে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এই নির্বাচনে সু কারচুপির অভিযোগ 
আনেন। কিন্তু তিনি এই নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিয়ে শপথ গ্রহণ করেন। সেই থেকে পঞ্চম সংসদের যাত্রা শুরু হয়। বিএনপি সরকার গঠন করার কিছুদিন পর থেকেই বিরোধী দলগুলো সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান সংযোজনের জন্য সরকারকে চাপ দিতে থাকে।

বিল উত্থাপন
সর্বপ্রথম জামায়াত এবং তারপর আওয়ামী লীগ ১৯৯৩ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংক্রান্ত বিল সংসদ সচিবালয়ে পেশ করে। এতে বলা হয়, জাতীয় নির্বাচনকে অবাধ ও নির্বাচনের সামগ্রিক প্রক্রিয়াকে মতাসীন দলের প্রভাবমুক্ত করার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান সংবিধানে সংযোজন করা উচিত। কিন্তু বিএনপি প্রথম থেকেই এ দাবি অসাংবিধানিক বলে অগ্রাহ্য করতে থাকে। ১৯৯৪ সালের ২৭ জুন সংসদ ভবনে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ, জামায়াত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা ঘোষণা করে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ওই রূপরেখাকে অসাংবিধানিক ও অবাস্তব বলে ঘোষণা করেন।। বেগম জিয়া বলেন, এক মাত্র পাগল ও শিশু ছাড়া কোন মানুষের পে নিরপে হওয়া সম্ভব নয়। কমনওয়েলথ মহাসচিব সরকার ও বিরোধী দলগুলোর মাঝে সমঝোতার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এরপর নভেম্বরে কমনওয়েলথ মহাসচিবের প্রতিনিধি স্যার নিনিয়ান সমঝোতা প্রচেষ্টা চালান। তিনিও ব্যর্থ হন।

আন্দোলন
৬ ডিসেম্বর ১৯৯৪ আওয়ামী লীগ, জামায়াত আলাদা সমাবেশ থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেয়। সরকার তার অবস্থানে অনড় থাকায় ২৮ ডিসেম্বর বিরোধী দলের ১৪৭ জন সংসদ সদস্য পদত্যাগপত্র পেশ করে। ২৩ ফেব্রুয়ারি স্পিকার তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণযোগ্য নয় বলে রুলিং দেন। ১৯৯৫ সালের ১৯ জুন বিরোধী সংসদ সদস্যদের পরপর ৯০ কার্যদিবস সংসদে অনুপস্থিনি পূর্ণ হয়। এতে সংসদে তাদের আসন শূন্য হবে কিনা এ নিয়ে বিতর্কে সরকারি দল ও স্পিকারের মাঝে মতদ্বৈধতা দেখা দেয়। এ অবস্থায় প্রেসিডেন্ট সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ মোতাবেক পদত্যাগী সংসদ সদস্যদের আসন শূন্য হবে কিনা জানতে চেয়ে সুপ্রীম কোর্টের কাছে পরামর্শ চান। সুপ্রীম কোর্ট পদত্যাগী সংসদ সদস্যদের আসন শূন্য হওয়ার পে মত দেন। ৩১ জুলাই ১৯৯৫সংসদ সচিবালয় থেকে ৮৭ জন বিরোধী সংসদ সদস্যর আসন শূন্য বলে ঘোষণা করা হয়। এছাড়া যে ৫৫ জন বয়কটকালে হাজিরা খাতায় সই করেছিলেন তাদের সংসদ সচিবালয় থেকে চিঠি দিয়ে জানতে চাওয়া হয়, যেদিন তারা হাজিরা খাতায় সই করেছিলেন সেদিন বৈঠকে তারা উপস্থিত ছিলেন কিনা। সংসদ সদস্যরা এ চিঠির কোনো উত্তর দেননি। অবশেষে ৭ আগস্ট ওই ৫৫ জনের আসনও শূন্য ঘোষণা করা হয়। নির্বাচন কমিশন ১৪২টি শূন্য আসনে ১৭ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচনের ঘোষণা দেয়। পরে বন্যার কারনে উপনির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে ১৫ ডিসেম্বর ধার্য করা হয়। কিন্তু বিরোধী দলগুলো নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়। তারা সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ২ সেপেম্বর থেকে টানা ৩২ ঘণা হরতাল পালন করে। ৬ সেপেম্বর শেখ হাসিনা আবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের প্রস্তান দেন।
প্রধানমন্ত্রী এ প্রস্তাব অসাংবিধানকি, অযৌক্তিক বলে বাতিল করে দেন। প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলগুলোকে আলোচনার জন্য ডাকেন। কিন্তু বিরোধী দলগুলো আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। এরপর ১৬ নভেম্বর ১৯৯৫ থেকে একাধারে ৭ দিন হরতাল পালিত হয়। হরতাল আর অবরোধের ফলে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি চরম দুরবস্থার মুখোমুখি হয়। সরকার উপনির্বাচনে না গিয়ে ২৪ নভেম্বর জাতীয় সংসদ ভেঙে দেয় এবং ১৮ জানুয়ারি ১৯৯৬ সাধারণ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। পরে তৃতীয়বারের মতো তারিখ পরিবর্তন করে নতুন তারিখ দেয়া হয় ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। সব বিরোধী দল এ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়। বিরোধী দলগুলোর প্রতিরোধের মুখে ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দেশব্যাপী সহিংসতায় কমপে ১৫ জন নিহত হয়। সারা দেশ রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলায় নিপতিত হয়। ২৪, ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিরোধী দলের আহবানে দেশব্যাপী অসহযোগ পালিত হয়। ৩ মার্চ জাতির উদ্দেশে ভাষণে খালেদা জিয়া ষষ্ঠ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল আনার ঘোষণা দেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় ষষ্ঠ সংসদ বাতিল ও পদত্যাগ সম্পর্কে কোনো কথা না থাকায় বিরোধী দলগুলো তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখে। ৬ মার্চ হরতাল ডাকা হয়। ওই দিন সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের পুনঃনির্বাচনে সহিংসতায় ৯ জন নিহত হয়। এরপর ৯ মার্চ থেকে সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত বিরোধী দলগুলো লাগাতার অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে। এই অসহযোগের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে রাষ্ট্রপতি সংলাপ আহবানের জন্য বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করেন। প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রীর চিঠি বিনিময় হয়। পাচ বুদ্ধিজীবী বিভিন্নভাবে সমঝোতার চেষ্টা করেন। কিন্তু সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

জনতার মঞ্চ
২৩ মার্চ প্রেস কাবের সামনে সচিবালয়ের আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তারা তাদের চাকুরির নিয়ম ভঙ্গ করে জনতার মঞ্চ স্থাপন ও সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত অবস্থান ধর্মঘটের ডাক দেয়। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ মার্চ সরকার নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল জাতীয় সংসদে পাস করে। ২৮ মার্চ সচিবালয়ের ভেতরে ১৪৪ ধারা জারি এবং সচিবালয়ের ভেতরে-বাইরে সেনাবাহিনী, পুলিশ মোতায়েন করেও বিক্ষুব্ধ সচিবালয়কে নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার ব্যর্থ হয়।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল পাশ
অসহযোগের মাঝেই ১৯ মার্চ খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিপরিষদ গঠিত হয় এবং ষষ্ঠ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে। কিন্তু সারা দেশে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। সরকার ২১ মার্চ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল সংসদে উত্থাপন করে। ২৬ মার্চ সরকার নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল জাতীয় সংসদে পাস হয়। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে ৩০ মার্চ রাষ্ট্রপতি ষষ্ট সংসদ ভেঙে দেয় এবং খালেদা জিয়া পদত্যাগ করেন। রাষ্ট্রপতি সাবেক প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ করেন।

সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী আইন ১৯৯৬
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান সংবলিত বাংলাদেশের সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধন আইন ১৯৯৬ সালের ২৬ মার্চ ষষ্ঠ সংসদের প্রথম অধিবেশনে ২৬৮-০ ভোটে পাস হয়। ২৮ মার্চ রাষ্ট্রপতির সম্মতিলাভের পর এটি আইনে পরিণত হয়। এই সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে চতুর্থ ভাগে “২ক পরিচ্ছদ : নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার” নামে নতুন পরিচ্ছেদ যোগ হয়। এতে ৫৮ক, ৫৮খ, ৫৮গ, ৫৮ঘ ও ৫৮ঙ নামে নতুন অনুচ্ছেদ সন্নিবেশিত হয়। এছাড়া সংবিধানের ৬১,৯৯,১২৩,১৫৭,১৫২ অনুচ্ছেদসহ তৃতীয় তফসিলের বিধান সংশোধন করা হয়।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংশোধনী অনুযায়ী দু’ভাবে তত্ত্বাবধ্যায়ক সরকার গঠন করা হয়:
১. কোনো কারণে সংসদ ভেঙে দেয়া হলে সংসদ ভেঙে দেয়ার ১৫ দিনের মধ্যে।
২. মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার পর ১৫ দিনের মধ্যে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠন
৫৮গ অনুচ্ছেদ অনুসারে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ১১ সদস্যের বেশি হবে না। এর মধ্যে একজন প্রধান উপদেষ্টা ও অনধিক ১০ জন উপদেষ্টা থাকবেন।

উপদেষ্টা হওয়ার যোগ্যতা
উপদেষ্টা হওয়ার জন্য নিম্নলিখিত যোগ্যতা থাকতে হবে :
১. সংসদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা থাকতে হবে
২. তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের বা রাজনৈতিক দলের কোনো সংগঠনের সদস্য হবেন না
৩. আসন্ন সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী নহেন বা প্রার্থী হবেন না এ মর্মে লিখিতভাবে সম্মত হয়েছেন
৪. ৭২ বছরের অধিক বয়স্ক নহেন

প্রধান উপদেষ্টা কাকে নিয়োগ দেয়া যাবে
১. বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিগণের মধ্যে যিনি সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত হয়েছেন
২. যদি সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে পাওয়া না যায় অথবা তিনি যদি প্রধান উপদেষ্টার পদ গ্রহণ করতে অস¡ীকৃতি জানান তাহলে তার অব্যবহিত পূর্বে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে
৩. যদি কোনো অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে পাওয়া না যায় অথবা তিনি যদি প্রধান উপদেষ্টার পদ গ্রহণে অসম্মতি জানান তাহলে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারকগণের মধ্যে যিনি সর্বশেষে অবসরপ্রাপ্ত হয়েছেন
৪. যদি আপিল বিভাগের কোনো অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে না পাওয়া যায় অথবা তিনি যদি প্রধান উপদেষ্টার পদ নিতে অসম্মতি জানান তাহলে প্রেসিডেন্ট প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শক্রমে কোনো ব্যক্তিকে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ দেবেন।
৫. উপরোক্ত কাউকে না পাওয়া গেলে প্রেসিডেন্ট তার সংসদীয় দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে নির্দলীয় কেয়ারটেকার সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন।

পদমর্যাদা ও কার্যাবলী
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রধানমন্ত্রীর পদমর্যাদা এবং পারিশ্রমিক ও সুযোগ-সুবিধা এবং উপদেষ্টাগণ মন্ত্রীর পদমর্যাদা এবং পারিশ্রমিক ও সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

কার্যাবলী
১. দৈনিন্দন কার্যাবলী সম্পাদন ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার কোনো নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন না।
২. শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও নিরপেভাবে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এই সরকার নির্বাচন কমিশনকে সার্বিক সাহায্য করবেন। (চলবে) 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন