সৈকতে সাবধান, কয়েকদিন আগেই অনেক গুলা প্রান চলে গেলো সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপে।
আজ সারাদিন এই বিষয় নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করলাম, আমরা সবসময় নিজেদের পালার জন্য অপেক্ষা করি,
আমি চাই না শুধু মাত্র একটু সাবধানতার জন্য আর প্রান যাক।
আমি যতটুকু সম্ভব চেস্টা করছি, কোথাও সমস্যা মনে হলে অবশ্যই কমেন্টে জিজ্ঞেস করবেন।
অনেকেই বলে এই স্পট বিপদজনক, আসলে সৈকতে কোন নির্দিষ্ট স্পট সব সময়ই বিপদজনক না.। যে কোন স্পট যে কোন সময়ই বিপদের কারন হয়ে দারাতে পারে।
মুলত সাগরে ডুবে যাওয়ার পিছে প্রধানত দায়ী হচ্ছে, রিপ কারেন্ট বা রিপ টাইড।
গভীর সাগর থেকে আসা স্রোত যখন তীরে আসে আর সেই পানি ফেরত যাওয়ার জন্য একটা নির্দিষ্ট পথ মেনে চলে।
সেই ফিরতি পানির স্রোতটাই রিপ টাইড।
আমরা দুই হাত সামনের দিকে যদি সম্প্রসারণ করি আর হাতের কব্জি যদি আমাদের বুকের দিকে তাক করে রাখি,
তাহলে সম্প্রসারিত হাত দুইটা হচ্ছে প্রধান স্রোত, যা গভীর সাগর থেকে সৈকতের দিকে যাচ্ছে, আর আমাদের হাতের কব্জি যেটা আমাদের বডির দিকে মুখ করে আছে, সাগরের ক্ষেত্রে গভীর সাগরের দিকে,
সেইটাই হচ্ছে রিপ টাইডের চ্যানেল। ওই চ্যানের স্রোতটাই মুলত রিপ টাইড।


সৈকতের দিকে তেরে আসা স্রোতের কাজ হচ্ছে সৈকতের দিকে ঠেলে দেয়া, আর রিপ টাইড গভীর সাগরে টেনে নিয়ে যায়।
এবং যাবার সময় নিচের বালুও টেনে নেয়, এজন্য দেখা যায়, প্রায় সকল রিপ চ্যানেলই একটু খাঁদ টাইপের, অর্থাৎ নিচে বালু কমে যায়,
তার পাশের স্থান থেকে, কেও হুট করে রিপ চ্যানেলে পরে গেলে, আর যখন স্রোতটা তাকে গভীর সাগরে টেনে নিতে চায়,
তখন যে কেও সাতারের চেস্টা করে, রিপ চ্যানেলে সাতার অনেক বড় বোকামি।
সব সময় মাথায় রাখতে হবে, রিপ টাইড কক্ষন পানিতে ডুবিয়ে দেয় না, বা কাওকে নিচে টেনে নেয় না।
রিপ টাইডের একমাত্র এবং প্রধান কাজই হচ্ছে, শুধুমাত্র গভীরে টেনে নেয়া। তাই বলে একদম গভীরে না।
তাই কেও রিপ চ্যানেলে যদি টাইডের শিকার হন, তবে শুধু দম রেখে ভেসে থাকার চেস্টা করবেন।
আর স্বাভাবিক থাকার চেস্টা করবেন। প্যানিক হবার কিচ্চুই নাই।
এবার রিপ চ্যানেল এর বডি নিয়ে কিছু বলি।
বেসিক্যালি রিপ চ্যানেল ৩টা পার্টে বিভক্ত,
১। ফিডার, ২। নেক, ৩। হেড

ফিডারটা সেইফ জোন, আমরা সৈকতে দাড়িয়ে থাকলে মাঝে মাঝে ফিল করি পায়ের নিচের বালু খুব তাড়াতাড়ি টেনে নিছে, ওই এলাকাটা থেকে আর কিছু অংশ
সামনের এরিয়াই মুলত ফিডার। এখানে রিস্ক নেই বললেই চলে।
নেকের এরিয়াটাই মুলত সবচেয়ে ভয়ঙ্কর, ওখানে টানের পরিমান, আর গভীরতা বেশি থাকায় ওখানেই মুলত দুর্ঘটনাটা ঘটে।
কেও যখন রিপ চ্যানেলের নেকে চলে যাবে, তার প্রথম কাজ, স্রোতটা যতক্ষণ না তাকে রিপ হেডে নিয়ে যাচ্ছে, ততক্ষন সময়
প্যানিক না হয়ে, দম নিয়ে গা ছেড়ে দেয়া।
রিপ হেডে তেমন কোন বিপদ থাকে না, তবে কেও যদি রিপ নেকে সাতারের চেস্টা করে, তখন সে হেডে তাড়াতাড়ি পৌঁছে যাবে, তবে তা আর বিপদ দেকে আনবে,
কারন আল্লাহ্ র সৃষ্টিই এমন, সে স্রোতটা তাকে টেনে নিয়ে যাবে, সে স্রোতটা হেডে পৌঁছানোর পর, সে কিছুক্ষন সময় পাবে। কিন্তু সে যদি সাতার দেয় তবে
সে আগেই রিপ হেডে পৌঁছাবে, আর পেছন থেকে আরেকটা স্রোত এসে তাকে রিপ হেডে ডুবিয়ে দিবে। কিন্তু সে যে স্রোতের টানে যাচ্ছিলো, সেটার সাথে পিছের দিকে গেলে
আরেকটা স্রোতের আসার আগে সে কিছুক্ষন সময় পাবে।
রিপ হেডে পৌঁছেই একমাত্র এবং প্রধান কাজ, তাকে একটু ডানে বা বামে সরে যাওয়া, যেদিকে স্রোত আছে, আর যে স্রোত তাকে অটোম্যাটিকাল্লি তীরে নিয়ে যাবে।

আল্লাহ্ কারো সাথেই না করুন তার পরও যদি রিপ টাইডে পরে গেলেঃ
১। রিপ টাইডের বিপরীতে অর্থাৎ তীরের দিকে সাতরে আসার চেস্টা করবেন না।
২। হেডে পৌঁছেই স্রোতের মাঝে যাওয়ার চেস্টা করবেন।
৩। যদি সাতার না জানেন, তবে স্রোতের মাজে দম নিয়ে গা ছেড়ে দিবেন, স্রোতই আপনাকে তীরে ঠেলে দিবে।
৪। সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্বাভাবিক থাকবেন, ভুলেও প্যানিকড হবেন না।
এই বার হয়তো বলবেন, সরকার কেন রিপ চ্যানেল চিহ্নিত করে দেয় না,
আসলে এইটা সম্ভব না। উন্নত দেশ সমূহও পারে না।
রিপ চ্যানেল যে কোন সময় যে কোন স্থানেই হতে পারে, এইটা স্রোতের কারনে হয়।
তাই এর কোন নির্দিষ্ট এলাকা থাকে না।
রিপ টাইডের একটা ভিডিও লিঙ্ক দিয়ে দিলাম, সময় করে এইটাও দেখে নিবেন।।

সবাই কে এই বিষয়ে জানান, সচেতনই সতর্কতা।
যে স্টুডেন্ট গুলো মারা গেলো ওদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
অসমাপ্ত ছোটগল্প
আজ সারাদিন এই বিষয় নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করলাম, আমরা সবসময় নিজেদের পালার জন্য অপেক্ষা করি,
আমি চাই না শুধু মাত্র একটু সাবধানতার জন্য আর প্রান যাক।
আমি যতটুকু সম্ভব চেস্টা করছি, কোথাও সমস্যা মনে হলে অবশ্যই কমেন্টে জিজ্ঞেস করবেন।
অনেকেই বলে এই স্পট বিপদজনক, আসলে সৈকতে কোন নির্দিষ্ট স্পট সব সময়ই বিপদজনক না.। যে কোন স্পট যে কোন সময়ই বিপদের কারন হয়ে দারাতে পারে।
মুলত সাগরে ডুবে যাওয়ার পিছে প্রধানত দায়ী হচ্ছে, রিপ কারেন্ট বা রিপ টাইড।
গভীর সাগর থেকে আসা স্রোত যখন তীরে আসে আর সেই পানি ফেরত যাওয়ার জন্য একটা নির্দিষ্ট পথ মেনে চলে।
সেই ফিরতি পানির স্রোতটাই রিপ টাইড।
আমরা দুই হাত সামনের দিকে যদি সম্প্রসারণ করি আর হাতের কব্জি যদি আমাদের বুকের দিকে তাক করে রাখি,
তাহলে সম্প্রসারিত হাত দুইটা হচ্ছে প্রধান স্রোত, যা গভীর সাগর থেকে সৈকতের দিকে যাচ্ছে, আর আমাদের হাতের কব্জি যেটা আমাদের বডির দিকে মুখ করে আছে, সাগরের ক্ষেত্রে গভীর সাগরের দিকে,
সেইটাই হচ্ছে রিপ টাইডের চ্যানেল। ওই চ্যানের স্রোতটাই মুলত রিপ টাইড।
সৈকতের দিকে তেরে আসা স্রোতের কাজ হচ্ছে সৈকতের দিকে ঠেলে দেয়া, আর রিপ টাইড গভীর সাগরে টেনে নিয়ে যায়।
এবং যাবার সময় নিচের বালুও টেনে নেয়, এজন্য দেখা যায়, প্রায় সকল রিপ চ্যানেলই একটু খাঁদ টাইপের, অর্থাৎ নিচে বালু কমে যায়,
তার পাশের স্থান থেকে, কেও হুট করে রিপ চ্যানেলে পরে গেলে, আর যখন স্রোতটা তাকে গভীর সাগরে টেনে নিতে চায়,
তখন যে কেও সাতারের চেস্টা করে, রিপ চ্যানেলে সাতার অনেক বড় বোকামি।
সব সময় মাথায় রাখতে হবে, রিপ টাইড কক্ষন পানিতে ডুবিয়ে দেয় না, বা কাওকে নিচে টেনে নেয় না।
রিপ টাইডের একমাত্র এবং প্রধান কাজই হচ্ছে, শুধুমাত্র গভীরে টেনে নেয়া। তাই বলে একদম গভীরে না।
তাই কেও রিপ চ্যানেলে যদি টাইডের শিকার হন, তবে শুধু দম রেখে ভেসে থাকার চেস্টা করবেন।
আর স্বাভাবিক থাকার চেস্টা করবেন। প্যানিক হবার কিচ্চুই নাই।
এবার রিপ চ্যানেল এর বডি নিয়ে কিছু বলি।
বেসিক্যালি রিপ চ্যানেল ৩টা পার্টে বিভক্ত,
১। ফিডার, ২। নেক, ৩। হেড
ফিডারটা সেইফ জোন, আমরা সৈকতে দাড়িয়ে থাকলে মাঝে মাঝে ফিল করি পায়ের নিচের বালু খুব তাড়াতাড়ি টেনে নিছে, ওই এলাকাটা থেকে আর কিছু অংশ
সামনের এরিয়াই মুলত ফিডার। এখানে রিস্ক নেই বললেই চলে।
নেকের এরিয়াটাই মুলত সবচেয়ে ভয়ঙ্কর, ওখানে টানের পরিমান, আর গভীরতা বেশি থাকায় ওখানেই মুলত দুর্ঘটনাটা ঘটে।
কেও যখন রিপ চ্যানেলের নেকে চলে যাবে, তার প্রথম কাজ, স্রোতটা যতক্ষণ না তাকে রিপ হেডে নিয়ে যাচ্ছে, ততক্ষন সময়
প্যানিক না হয়ে, দম নিয়ে গা ছেড়ে দেয়া।
রিপ হেডে তেমন কোন বিপদ থাকে না, তবে কেও যদি রিপ নেকে সাতারের চেস্টা করে, তখন সে হেডে তাড়াতাড়ি পৌঁছে যাবে, তবে তা আর বিপদ দেকে আনবে,
কারন আল্লাহ্ র সৃষ্টিই এমন, সে স্রোতটা তাকে টেনে নিয়ে যাবে, সে স্রোতটা হেডে পৌঁছানোর পর, সে কিছুক্ষন সময় পাবে। কিন্তু সে যদি সাতার দেয় তবে
সে আগেই রিপ হেডে পৌঁছাবে, আর পেছন থেকে আরেকটা স্রোত এসে তাকে রিপ হেডে ডুবিয়ে দিবে। কিন্তু সে যে স্রোতের টানে যাচ্ছিলো, সেটার সাথে পিছের দিকে গেলে
আরেকটা স্রোতের আসার আগে সে কিছুক্ষন সময় পাবে।
রিপ হেডে পৌঁছেই একমাত্র এবং প্রধান কাজ, তাকে একটু ডানে বা বামে সরে যাওয়া, যেদিকে স্রোত আছে, আর যে স্রোত তাকে অটোম্যাটিকাল্লি তীরে নিয়ে যাবে।
আল্লাহ্ কারো সাথেই না করুন তার পরও যদি রিপ টাইডে পরে গেলেঃ
১। রিপ টাইডের বিপরীতে অর্থাৎ তীরের দিকে সাতরে আসার চেস্টা করবেন না।
২। হেডে পৌঁছেই স্রোতের মাঝে যাওয়ার চেস্টা করবেন।
৩। যদি সাতার না জানেন, তবে স্রোতের মাজে দম নিয়ে গা ছেড়ে দিবেন, স্রোতই আপনাকে তীরে ঠেলে দিবে।
৪। সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্বাভাবিক থাকবেন, ভুলেও প্যানিকড হবেন না।
এই বার হয়তো বলবেন, সরকার কেন রিপ চ্যানেল চিহ্নিত করে দেয় না,
আসলে এইটা সম্ভব না। উন্নত দেশ সমূহও পারে না।
রিপ চ্যানেল যে কোন সময় যে কোন স্থানেই হতে পারে, এইটা স্রোতের কারনে হয়।
তাই এর কোন নির্দিষ্ট এলাকা থাকে না।
রিপ টাইডের একটা ভিডিও লিঙ্ক দিয়ে দিলাম, সময় করে এইটাও দেখে নিবেন।।
সবাই কে এই বিষয়ে জানান, সচেতনই সতর্কতা।
যে স্টুডেন্ট গুলো মারা গেলো ওদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
অসমাপ্ত ছোটগল্প
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন