এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য, যারা বুকে ব্যথার জন্য তথা হৃদরোগের জন্য নাইট্রো গ্লিসারিন ব্যবহার করেন তাদের ক্ষেত্রে ভায়াগ্রা মারাত্মক পরিণতি বয়ে আনতে পারে। পুরুষত্বহীনতার অনেক কারণ রয়েছে। মানসিক কারণ তার মধ্যে প্রধান। কিন্তু যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে কিংবা যারা দীর্ঘ দিন ধরে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ সেবন করেন তাদের মধ্যে পুরুষত্বহীনতা দেখা দিতে পারে। কিন্তু তারা যদি পুরুষাঙ্গ উত্থানের জন্য ভায়াগ্রা সেবন করেন তাহলে বিপদ ঘটতে পারে। তাদের ভায়াগ্রা সেবনের আগে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ভায়াগ্রা বিক্রি করা উচিত নয়
তবে নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া ভায়াগ্রা সেবনের চেয়ে এর অপব্যবহারই বেশি হয়। অনেকে স্ত্রীর কাছে নিজেকে জাহির করার জন্য ভায়াগ্রা সেবন করেন। এ ওষুধটি ১৯৯৮ সালের ২৭ মার্চ আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সে দেশে বিক্রির অনুমতি দেয়। এ ছাড়া ব্রাজিল, এনডোরা, সাউথ আফ্রিকা ও মরক্কোতেও বিক্রয় হয়। আর অনুমতি না পেলেও বর্তমানে সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটি কালোবাজারে চড়াদামে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় ঘটছে কুৎসিত ও ভয়াবহ ঘটনা।
এ ওষুধ যত্রতত্র বিক্রি করা উচিত নয়। বিশ্বব্যাপী বিকৃত কামের যে ভয়াবহ রূপ প্রকাশ পাচ্ছে এবং যার বিস্তৃতি ঘটছে বাংলাদেশেও, সেটা গ্রহণের আগে ভেবে দেখা উচিত ঠিক কী কারণে ভায়াগ্রা প্রয়োজন। এটা কি স্বাভাবিক যৌন উত্তেজনা লাভের জন্য, নাকি বিকৃত কাম চরিতার্থ করার জন্য? চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া যত্রতত্র খোলাবাজারে ভায়াগ্রা বিক্রির অনুমতি পেলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে সন্দেহ নেই। তাই প্রশাসনের এ দিকে দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।
পুরুষত্বহীনতার অনেক বৈজ্ঞানিক চিকিৎসা রয়েছে। বিভিন্ন থেরাপির মাধ্যমে পুরুষত্বহীনতা ভালো করা সম্ভব। শুধু ভায়াগ্রার ওপর নির্ভরশীল হওয়ার প্রয়োজন নেই। ভায়াগ্রা শুধু স্বাভাবিক যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করে না, এটা জন্ম দেয় বিভিন্ন ধরনের বিকৃত কামের। তাই ভায়াগ্রা সেবনের আগে ভেবে নিন, এটা আপনাকে কতটা সাহায্য করবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন