স্বাধিনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে যুদ্ধ ফেরত বিপুলসংখক তরুন মুক্তিযোদ্ধাদের কর্মসংস্থানের জন্য ১৯৭২ এর সুরুতে “জাতীয় রক্ষীবাহিনী” গঠিত হয়।
"গোপন সাত দফা চুক্তি" মোতাবেক একটি আধাসামরিক বাহিনী তৈরীর প্রস্তুতি আগেভাগেই ছিল ভারতের আর ‘র’ মনোনীত ব্যাক্তি বসেই ছিলেন ডাক পাবার অপেক্ষায় আর সে ব্যক্তিটি ছিলেন বিশেষ ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী তৈরীতে বিশেষ অভিজ্ঞ মুজিব বাহিনীকে মূল ট্রেনিং দাতা মেজর জেনারেল এস এস উবান। শেখ মুজিবুর রহমান ভারতের প্রাধানমন্ত্রী ইন্দিরা কে চিঠি দিতেই হাজির
উবান।
সাথে আসে মেজর মালহোত্রা। তানদুয়ার মুজিব বাহিনীর ক্যাম্পে ট্রেনিং এর
সময় ও এই মেজর মালহোত্রা ছিল। তার মানে নতুন বোতলে পুরানো মদ। মুজিব বাহিনীর ট্রেইনাররা আসে রক্ষী বাহিনী কে ট্রনিং দিতে। এই রক্ষী বাহিনী যাপিয়ে পরে বামপন্থী আর সমাজতান্ত্রিক বামপন্থী চিন্তাধারার অনুবর্তীদের ওপর।
কিভাবে রক্ষীবাহিণী তৈরী হয় তা Phantoms of Chittagong : the "Fifth Army" in Bangladesh এই বইতে পরিস্কার লেখা আছে যে রক্ষী বাহিনী তৈরী করছে।
রক্ষীবাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা উবান।

"এই তিন লাখ বাঙ্গালিদের ৭১ সাল থেকে ৭৪ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানে প্রায় তিন বছর যাবত যুদ্ধবন্দির মত জিম্মি করে রাখা হয়েছিল বিচারাধিন ১৯৫ জন পাকি সামরিক অফিসার যুদ্ধাপরাধির বিপরিতে।
এই শুন্যতা পুরন করতেই মুলত 'রক্ষীবাহিনী' গঠিত হয়েছিল।"
রক্ষীবাহিনী তৈরী হয় ১৯৭২ সালে শেখ মনির অনুসারী মুজিব বাহিনী থেকে। সে যায়গায় আপনার ৭১ থেকে ৭৪ পর্যন্ত নাকি সব অফিসার সৈন্য বন্দী থাকে পাকিস্তানে তাহলে রক্ষীবাহিনীর লোক কিভাবে পাকিস্তান ফেরত সৈন্য হয়?
রক্ষীবাহিনীর জন্য এক খানা ইন্ডেমেনিটির দরকার ছিলে সেনাবাহিনীতে তা কি জানেন?
ছোট্ট একটি ঘটনা রক্ষীবাহিণীর দেশ প্রেমেরঃ
রক্ষী বাহিনী এসে বিপ্লবকে প্রথম খুব মারধর করলো।.. খুব মেরে বিপ্লবের মা ও বাবাকে ডাকিয়ে আনলেন। তারপর বিপ্লবকে বললো,’কলেমা পড়’। বাধ্য হয়ে বিপ্লব হিন্দু হয়েও কলেমা পড়লো। এরপর বললো, ‘ সেজদা দাও পশ্চিমমুখী হয়ে।‘ ভয়ে বিপ্লব তাই করলো। যখন সেজদা দিল, পেছন থেকে বেয়োনেট চার্জ করে বাবা-মা ও অনেক লোকের সামনে হত্যা করলো তাকে। বেয়োনেট চার্জ করার সময় রক্ষীদের একজন বললো, মুসলমান হয়েছো, এবার বেহেশতে চলে যাও।...
আমার সাথে যে ৪০জনের মতো ছেলে রাজনীতি করতো তারা সবাই ছিল ব্রিলিয়ান্ট, ফাস্টক্লাস পাবার মতো ছেলে। শুধু বেঁচে আছি আমি ও আরেকজন। বাকী সবাই রক্ষী বাহিনী, মুজিব বাহিনী ও মুজিবের অন্যান্য বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে গৌতম দত্তকে গ্রেফতার করা হয় ঢাকায় এবং হত্যা করা হয় কাটুবুলিতে তার নিজের বাড়িতে নিয়ে। রশিদকে হত্যা করা হয় রামভদ্রপুরে নিয়ে। ডামুড্যার আতিক হালদার, ধনুই গ্রামের মোতালেব এদেরকেও তাদের বাড়িতে নিয়ে আত্মীয়স্বজনের সামনে হত্যা করা হয়। পঁচাত্তরের প্রথম দিকে মোহর আলীকে ধরেছিল পুলিশে। শিবচর থেকে তাকে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। তার শরীরের চামড়া খুলে লবণ মাখিয়ে তাকে হত্যা করা হয় এবং তার লাশ ডামুড্যা বাজারে টানিয়ে রাখা হয় কয়েকদিন।
.... আঘাত এলো সিরাজ সরদারের উপরে। তিনি পালিয়ে গিয়ে সিরাজ সিকদারের বাহিনীতে আশ্রয় নিলেন। সিরাজ সিকদার তাকে চারজন গার্ড দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। একদিন তাকে ডেকে নিয়ে এলো। এরপর ঘেরাও করে প্রথমে তারা সিরাজ সিকদারের দেয়া চারজন গার্ডকে হত্যা করলো। আর সিরাজ সরদারকে নিয়ে এলো নদীতে। নৌকার মাঝির বর্ণনামতে, প্রথমে তারা সিরাজ সরদারের হাতের কব্জি কাটল, তারপর পা ও অন্যান্য অংগ প্রত্যঙ্গ কেটে এবং শরীরের মাংস কেটে টুকরো টুকরো করে নদীতে ফেলে দিলো।‘ ( বামপন্থী নেতা শান্তি সেনের বর্ণনা)
"গোপন সাত দফা চুক্তি" মোতাবেক একটি আধাসামরিক বাহিনী তৈরীর প্রস্তুতি আগেভাগেই ছিল ভারতের আর ‘র’ মনোনীত ব্যাক্তি বসেই ছিলেন ডাক পাবার অপেক্ষায় আর সে ব্যক্তিটি ছিলেন বিশেষ ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী তৈরীতে বিশেষ অভিজ্ঞ মুজিব বাহিনীকে মূল ট্রেনিং দাতা মেজর জেনারেল এস এস উবান। শেখ মুজিবুর রহমান ভারতের প্রাধানমন্ত্রী ইন্দিরা কে চিঠি দিতেই হাজির
উবান।
সাথে আসে মেজর মালহোত্রা। তানদুয়ার মুজিব বাহিনীর ক্যাম্পে ট্রেনিং এর
সময় ও এই মেজর মালহোত্রা ছিল। তার মানে নতুন বোতলে পুরানো মদ। মুজিব বাহিনীর ট্রেইনাররা আসে রক্ষী বাহিনী কে ট্রনিং দিতে। এই রক্ষী বাহিনী যাপিয়ে পরে বামপন্থী আর সমাজতান্ত্রিক বামপন্থী চিন্তাধারার অনুবর্তীদের ওপর।
কিভাবে রক্ষীবাহিণী তৈরী হয় তা Phantoms of Chittagong : the "Fifth Army" in Bangladesh এই বইতে পরিস্কার লেখা আছে যে রক্ষী বাহিনী তৈরী করছে।
রক্ষীবাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা উবান।
"এই তিন লাখ বাঙ্গালিদের ৭১ সাল থেকে ৭৪ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানে প্রায় তিন বছর যাবত যুদ্ধবন্দির মত জিম্মি করে রাখা হয়েছিল বিচারাধিন ১৯৫ জন পাকি সামরিক অফিসার যুদ্ধাপরাধির বিপরিতে।
এই শুন্যতা পুরন করতেই মুলত 'রক্ষীবাহিনী' গঠিত হয়েছিল।"
রক্ষীবাহিনী তৈরী হয় ১৯৭২ সালে শেখ মনির অনুসারী মুজিব বাহিনী থেকে। সে যায়গায় আপনার ৭১ থেকে ৭৪ পর্যন্ত নাকি সব অফিসার সৈন্য বন্দী থাকে পাকিস্তানে তাহলে রক্ষীবাহিনীর লোক কিভাবে পাকিস্তান ফেরত সৈন্য হয়?
রক্ষীবাহিনীর জন্য এক খানা ইন্ডেমেনিটির দরকার ছিলে সেনাবাহিনীতে তা কি জানেন?
ছোট্ট একটি ঘটনা রক্ষীবাহিণীর দেশ প্রেমেরঃ
রক্ষী বাহিনী এসে বিপ্লবকে প্রথম খুব মারধর করলো।.. খুব মেরে বিপ্লবের মা ও বাবাকে ডাকিয়ে আনলেন। তারপর বিপ্লবকে বললো,’কলেমা পড়’। বাধ্য হয়ে বিপ্লব হিন্দু হয়েও কলেমা পড়লো। এরপর বললো, ‘ সেজদা দাও পশ্চিমমুখী হয়ে।‘ ভয়ে বিপ্লব তাই করলো। যখন সেজদা দিল, পেছন থেকে বেয়োনেট চার্জ করে বাবা-মা ও অনেক লোকের সামনে হত্যা করলো তাকে। বেয়োনেট চার্জ করার সময় রক্ষীদের একজন বললো, মুসলমান হয়েছো, এবার বেহেশতে চলে যাও।...
আমার সাথে যে ৪০জনের মতো ছেলে রাজনীতি করতো তারা সবাই ছিল ব্রিলিয়ান্ট, ফাস্টক্লাস পাবার মতো ছেলে। শুধু বেঁচে আছি আমি ও আরেকজন। বাকী সবাই রক্ষী বাহিনী, মুজিব বাহিনী ও মুজিবের অন্যান্য বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে গৌতম দত্তকে গ্রেফতার করা হয় ঢাকায় এবং হত্যা করা হয় কাটুবুলিতে তার নিজের বাড়িতে নিয়ে। রশিদকে হত্যা করা হয় রামভদ্রপুরে নিয়ে। ডামুড্যার আতিক হালদার, ধনুই গ্রামের মোতালেব এদেরকেও তাদের বাড়িতে নিয়ে আত্মীয়স্বজনের সামনে হত্যা করা হয়। পঁচাত্তরের প্রথম দিকে মোহর আলীকে ধরেছিল পুলিশে। শিবচর থেকে তাকে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। তার শরীরের চামড়া খুলে লবণ মাখিয়ে তাকে হত্যা করা হয় এবং তার লাশ ডামুড্যা বাজারে টানিয়ে রাখা হয় কয়েকদিন।
.... আঘাত এলো সিরাজ সরদারের উপরে। তিনি পালিয়ে গিয়ে সিরাজ সিকদারের বাহিনীতে আশ্রয় নিলেন। সিরাজ সিকদার তাকে চারজন গার্ড দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। একদিন তাকে ডেকে নিয়ে এলো। এরপর ঘেরাও করে প্রথমে তারা সিরাজ সিকদারের দেয়া চারজন গার্ডকে হত্যা করলো। আর সিরাজ সরদারকে নিয়ে এলো নদীতে। নৌকার মাঝির বর্ণনামতে, প্রথমে তারা সিরাজ সরদারের হাতের কব্জি কাটল, তারপর পা ও অন্যান্য অংগ প্রত্যঙ্গ কেটে এবং শরীরের মাংস কেটে টুকরো টুকরো করে নদীতে ফেলে দিলো।‘ ( বামপন্থী নেতা শান্তি সেনের বর্ণনা)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন