১৭ই জুন ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্থানে পাঠানো বার্তায় এসব কথা বলা হয়। এর ক্যানোনিক্যাল আইডি: ১৯৭৫ঢাকা০২৯৭১-বি। শিরোনাম ‘বিডিজি টেকস কন্ট্রোল অব প্রেস’। এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ অবজারভার ও দৈনিক বাংলা ছিল পরিত্যক্ত। সেই থেকে এটি অধ্যাদেশ জারির আগে থেকেই বাংলাদেশ সরকারের কার্যকর নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই ছিল। বাকি বাংলাদেশ টাইমস ও ইত্তেফাক সরকারের হুকুমের মধ্যে পড়ে গেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ টাইমসের ক্ষেত্রে ওই অধ্যাদেশ খাটে না। কারণ বাকশালের তিন সাধারণ সম্পাদকের একজন শেখ ফজলুল হক মণি এ পত্রিকার সম্পাদক। ইত্তেফাকের ক্ষেত্রে পরিণতি অনেক ভয়াবহ ও দুঃখজনক। তফাজ্জল হোসেন (মানিক মিয়া)’র পরিবার এ পত্রিকার ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন। মানিক মিয়ার ছেলে মঞ্জু হোসেন এর সম্পাদক। তিনি এরই মধ্যে শেখ মুজিবকে জানিয়ে দিয়েছেন সরকার নিয়ন্ত্রণ করলে তিনি আর সম্পাদক থাকবেন না। তার পদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। তার পরিবারের ক্ষোভের কারণে দৈনিক ইত্তেফাক পক্ষপাতহীন রিপোর্ট করে যাওয়ার চেষ্টা করে আসছিল। প্রকৃত পক্ষে এ পত্রিকাটিই শুধু বস্তুনিষ্ঠ সম্পাদকীয় মন্তব্য প্রকাশ করে এসেছে। মানিক মিয়া স্বাধীনতার আগে থেকেই আওয়ামী লীগ ও শেখ মুজিবের সমর্থক। এ পত্রিকাটি এ সময়ে বাংলাদেশে যে কোন পত্রিকার চেয়ে বেশি প্রচার পায়। গত বছর সংবাদপত্রগুলো বেশ দুর্বলতা দেখায়। শুধু হলিডে ও ইত্তেফাক সতর্কতার মধ্য থেকে নিয়ম মেনে বাংলাদেশ সরকার ও শেখ মুজিবের সমালোচনা করেছে। হলিডে বন্ধ হয়ে গেছে। ইত্তেফাকের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় সংবাদ মাধ্যম খুব কমই খবর ও মন্তব্য প্রকাশ করতে পারবে। এখন থেকে তারা অবশ্য বাকশাল, সরকার, ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’ ও শেখ মুজিবুর রহমানের ঢালাও গুণকীর্তন করতে পারবে।
উইকিলিকস: মানিক মিয়ার পরিবার ইত্তেফাকের নিয়ন্ত্রণ হারালেন
১৭ই জুন ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্থানে পাঠানো বার্তায় এসব কথা বলা হয়। এর ক্যানোনিক্যাল আইডি: ১৯৭৫ঢাকা০২৯৭১-বি। শিরোনাম ‘বিডিজি টেকস কন্ট্রোল অব প্রেস’। এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ অবজারভার ও দৈনিক বাংলা ছিল পরিত্যক্ত। সেই থেকে এটি অধ্যাদেশ জারির আগে থেকেই বাংলাদেশ সরকারের কার্যকর নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই ছিল। বাকি বাংলাদেশ টাইমস ও ইত্তেফাক সরকারের হুকুমের মধ্যে পড়ে গেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ টাইমসের ক্ষেত্রে ওই অধ্যাদেশ খাটে না। কারণ বাকশালের তিন সাধারণ সম্পাদকের একজন শেখ ফজলুল হক মণি এ পত্রিকার সম্পাদক। ইত্তেফাকের ক্ষেত্রে পরিণতি অনেক ভয়াবহ ও দুঃখজনক। তফাজ্জল হোসেন (মানিক মিয়া)’র পরিবার এ পত্রিকার ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন। মানিক মিয়ার ছেলে মঞ্জু হোসেন এর সম্পাদক। তিনি এরই মধ্যে শেখ মুজিবকে জানিয়ে দিয়েছেন সরকার নিয়ন্ত্রণ করলে তিনি আর সম্পাদক থাকবেন না। তার পদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। তার পরিবারের ক্ষোভের কারণে দৈনিক ইত্তেফাক পক্ষপাতহীন রিপোর্ট করে যাওয়ার চেষ্টা করে আসছিল। প্রকৃত পক্ষে এ পত্রিকাটিই শুধু বস্তুনিষ্ঠ সম্পাদকীয় মন্তব্য প্রকাশ করে এসেছে। মানিক মিয়া স্বাধীনতার আগে থেকেই আওয়ামী লীগ ও শেখ মুজিবের সমর্থক। এ পত্রিকাটি এ সময়ে বাংলাদেশে যে কোন পত্রিকার চেয়ে বেশি প্রচার পায়। গত বছর সংবাদপত্রগুলো বেশ দুর্বলতা দেখায়। শুধু হলিডে ও ইত্তেফাক সতর্কতার মধ্য থেকে নিয়ম মেনে বাংলাদেশ সরকার ও শেখ মুজিবের সমালোচনা করেছে। হলিডে বন্ধ হয়ে গেছে। ইত্তেফাকের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় সংবাদ মাধ্যম খুব কমই খবর ও মন্তব্য প্রকাশ করতে পারবে। এখন থেকে তারা অবশ্য বাকশাল, সরকার, ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’ ও শেখ মুজিবুর রহমানের ঢালাও গুণকীর্তন করতে পারবে।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন