

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্র“য়ারি ঢাকার পিলখানায় ঘটে যাওয়া বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে সরকারকে বিরোধীদল হিসেবে সহায়তা করতে বিএনপি চেয়ারপারসনকে আহ্বান জানান ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি। বিডিআর বিদ্রোহের পর ২০০৯ সালের ৪ মার্চের ওই বৈঠকে খালেদা জিয়া মরিয়ার্টির কাছে অভিযোগ করে বলেন, দেশের এ বিপর্যয় নিয়ে সরকার বিএনপিকে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে দেয়নি। তাদের সঙ্গে কোনও আলোচনার প্রয়োজন বোধ করেনি সরকার। এ সময় সরকারকে এক প্রকার
হুমকি দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, এভাবে চলতে থাকলে আমরা আন্দোলনে নামব। ১৯ মিনিটের ওই বৈঠকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান, শমসের মোবিন চৌধুরী ও ফজলে ইলাহি আকবরও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের বিস্তারিত জানিয়ে ৫ মার্চ ওয়াশিংটনে গোপন তারবার্তা পাঠান মরিয়ার্টি। সম্প্রতি উইকিলিকস তারবার্তাটি প্রকাশ করেছে।
বৈঠকে খালেদা জিয়াকে মরিয়ার্টি বলেন, এ বিপর্যয় নিয়ে সরকারের সঙ্গে আপনার আপসমূলক আচরণ করা দরকার ছিল। বিরোধী দল হিসেবে আপনারা সরকারকে সহায়তা করতে পারতেন। এ সময় বিএনপির সংসদে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান মরিয়ার্টি।
জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে সংসদে আমাদের কথা বলা অত্যন্ত কঠিন ছিল। বিএনপি সদস্যদের কথা বলার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এমনকি বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে আমার মন্তব্য ও শোকবার্তা প্রচারে অসম্মতি জানায় বিটিভি।
এসময় খালেদা জিয়া বলেন, এ অবস্থায় আমি কীভাবে সরকারকে সহায়তা করতে পারতাম? আরও বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের দিন আমি আশা করেছিলাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে ফোন করবেন কিন্তু তা হয়নি। ওইদিন আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি এ অভিযোগের উত্তরে খালেদা জিয়া বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের দিন দলীয় নেতাদের সঙ্গে আমার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন