২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি যে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ভোটার তালিকাসহ কয়েকটি ইস্যুতে তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল আওয়ামী লীগ তাতে অংশ নিতে আপত্তি জানায়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বিভিন্ন চ্যানেলে প্রধান বিরোধী দলকে নির্বাচনে আনার চেষ্টা করেন। বিরোধী দলবিহীন নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে না এমন আশঙ্কা ছিল বিএনপির। এ কারণে খালেদা জিয়া আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনতে জাতীয় পার্টি (জেপি) চেয়ারম্যান তৎকালীন সাংসদ আনোয়ার
হোসেন মঞ্জুর সহায়তা চান। খালেদা জিয়া এ ব্যাপারে মঞ্জুর সঙ্গে ২০০৬ সালের ৬ জুলাই দু'ঘণ্টাব্যাপী এক বৈঠক করেন। উইকিলিকসের একটি ফাঁস করা তারবার্তা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত প্যাট্রিসিয়া এ বিউটেনিস ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস থেকে এ তারবার্তাটি পাঠান ২০০৬ সালের ২০ জুলাই।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত তার পাঠানো বার্তায় লেখেন, মঞ্জু আমাকে বলেছেন জুলাইয়ের ৬ তারিখে খালেদা জিয়া তাকে ডেকে নিয়ে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে খালেদা জিয়া আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যাতে অংশ নেয় সে ব্যাপারে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। মঞ্জু জানান, তার মনে হয়েছে আওয়ামী লীগবিহীন নির্বাচন বৈধতা পাবে কি-না তা নিয়ে খালেদা জিয়ার সংশয় আছে।
বিউটেনিস তারবার্তায় আরও লেখেন, মঞ্জু জানান তিনি খালেদা জিয়াকে আশ্বাস দিয়েছেন এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে (খালেদা জিয়া) বলেছেন, এ ব্যাপারে বিএনপিরও কিছু করণীয় আছে। উদাহরণ হিসেবে মঞ্জু তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) অপসারণের কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের তারবার্তা অনুযায়ী, খালেদা জিয়া সিইসির পক্ষ নিয়ে তাকে রাখার যুক্তি তুলে ধরেন। তবে তিনি তাকে (সিইসি) সরাতে একদম রাজি নন এমন কথাও বলেননি। মঞ্জু এ সময় বিউটেনিসকে বলেন, খালেদা জিয়া তাকে আশ্বস্ত করেছেন, নির্বাচন 'অবাধ ও সুষ্ঠু' হবে। তবে নির্বাচন নিয়ে দেশের মানুষ যে সংশয়ে আছে সেটাও তিনি খালেদা জিয়াকে জানান।
তারবার্তার তথ্য অনুযায়ী, ১০ জুলাই আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বিএনপি মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন। মান্নান ভূঁইয়া বৈঠকে মঞ্জুকে অনুরোধ করেন আওয়ামী লীগের কাছে বিএনপির আলোচনার প্রস্তাব নিয়ে যেতে। বিএনপি মহাসচিবের অনুরোধের পর মঞ্জু ১১ জুলাই শেখ হাসিনার কাছে এ প্রস্তাব পেঁৗছে দেন। ১২ জুলাই আওয়ামী লীগ মঞ্জুকে জানায়, তারা আলোচনার প্রস্তাব 'অনিচ্ছার সঙ্গে' গ্রহণ করেছে। আওয়ামী লীগ এ সময় মঞ্জুকে জানায়, মান্নান ভূঁইয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে তাদের আপত্তি নেই। তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে মান্নান ভূঁইয়ার কতটুকু ক্ষমতা আছে সে ব্যাপারে তারা সংশয় প্রকাশ করেন। আওয়ামী লীগ যে প্রস্তাব গ্রহণ করেছে সে খবর নিয়ে তিনি মান্নান ভূঁইয়ার কাছে যান।
পরে মান্নান ভূঁইয়া মঞ্জুকে বলেন, আলোচনার প্রস্তাব আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আসতে হবে। মঞ্জু বিউটেনিসকে বলেন, আমি বুঝতে পারছি না মান্নান ভূঁইয়া কেন বারবার পীড়াপীড়ি করছিলেন যে, আলোচনার প্রস্তাব আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আসতে হবে। এরপর তিনি জানান, তার পক্ষে আর 'মধ্যস্থতাকারী'র ভূমিকা পালন করা সম্ভব নয়।
হোসেন মঞ্জুর সহায়তা চান। খালেদা জিয়া এ ব্যাপারে মঞ্জুর সঙ্গে ২০০৬ সালের ৬ জুলাই দু'ঘণ্টাব্যাপী এক বৈঠক করেন। উইকিলিকসের একটি ফাঁস করা তারবার্তা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত প্যাট্রিসিয়া এ বিউটেনিস ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস থেকে এ তারবার্তাটি পাঠান ২০০৬ সালের ২০ জুলাই।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত তার পাঠানো বার্তায় লেখেন, মঞ্জু আমাকে বলেছেন জুলাইয়ের ৬ তারিখে খালেদা জিয়া তাকে ডেকে নিয়ে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে খালেদা জিয়া আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যাতে অংশ নেয় সে ব্যাপারে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। মঞ্জু জানান, তার মনে হয়েছে আওয়ামী লীগবিহীন নির্বাচন বৈধতা পাবে কি-না তা নিয়ে খালেদা জিয়ার সংশয় আছে।
বিউটেনিস তারবার্তায় আরও লেখেন, মঞ্জু জানান তিনি খালেদা জিয়াকে আশ্বাস দিয়েছেন এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে (খালেদা জিয়া) বলেছেন, এ ব্যাপারে বিএনপিরও কিছু করণীয় আছে। উদাহরণ হিসেবে মঞ্জু তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) অপসারণের কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের তারবার্তা অনুযায়ী, খালেদা জিয়া সিইসির পক্ষ নিয়ে তাকে রাখার যুক্তি তুলে ধরেন। তবে তিনি তাকে (সিইসি) সরাতে একদম রাজি নন এমন কথাও বলেননি। মঞ্জু এ সময় বিউটেনিসকে বলেন, খালেদা জিয়া তাকে আশ্বস্ত করেছেন, নির্বাচন 'অবাধ ও সুষ্ঠু' হবে। তবে নির্বাচন নিয়ে দেশের মানুষ যে সংশয়ে আছে সেটাও তিনি খালেদা জিয়াকে জানান।
তারবার্তার তথ্য অনুযায়ী, ১০ জুলাই আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বিএনপি মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন। মান্নান ভূঁইয়া বৈঠকে মঞ্জুকে অনুরোধ করেন আওয়ামী লীগের কাছে বিএনপির আলোচনার প্রস্তাব নিয়ে যেতে। বিএনপি মহাসচিবের অনুরোধের পর মঞ্জু ১১ জুলাই শেখ হাসিনার কাছে এ প্রস্তাব পেঁৗছে দেন। ১২ জুলাই আওয়ামী লীগ মঞ্জুকে জানায়, তারা আলোচনার প্রস্তাব 'অনিচ্ছার সঙ্গে' গ্রহণ করেছে। আওয়ামী লীগ এ সময় মঞ্জুকে জানায়, মান্নান ভূঁইয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে তাদের আপত্তি নেই। তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে মান্নান ভূঁইয়ার কতটুকু ক্ষমতা আছে সে ব্যাপারে তারা সংশয় প্রকাশ করেন। আওয়ামী লীগ যে প্রস্তাব গ্রহণ করেছে সে খবর নিয়ে তিনি মান্নান ভূঁইয়ার কাছে যান।
পরে মান্নান ভূঁইয়া মঞ্জুকে বলেন, আলোচনার প্রস্তাব আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আসতে হবে। মঞ্জু বিউটেনিসকে বলেন, আমি বুঝতে পারছি না মান্নান ভূঁইয়া কেন বারবার পীড়াপীড়ি করছিলেন যে, আলোচনার প্রস্তাব আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আসতে হবে। এরপর তিনি জানান, তার পক্ষে আর 'মধ্যস্থতাকারী'র ভূমিকা পালন করা সম্ভব নয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন