"আওয়ামী লীগ এবং ভন্ডামী" একটি পরিপূরক শব্দ

  অন্যান্য দলের মত আওয়ামী লীগকেও জানার ও বুঝার কিছুটা সুযোগ হয়েছে আমার। এই আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদে স্পীকারকে (শাহেদ আলী) হত্যা করে প্রথম ইতিহাস গড়ে। মানুষ হত্যার রাজনীতিতে তাদের জুড়ি নেই। এরা ১৯৭২ এবং ৭৫ সালে জাসদের এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ৩৫০০০ লোককে হত্যা করেছিল। এরা জাতীয় নেতা সিরাজ সিকদারকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধু নেতৃত্বে সংসদে দাড়িয়ে উল্লাস প্রকাশ করেছিল। এরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোহিনুর সহ ৭ জন মেধাবী ছাত্রকে সূর্যসেন হলে ষ্টেনগানের ব্রাশফায়ারে হত্যা করেছিল। এরা বাহাত্তর পঁচাত্তর সালে ক্ষমতার দাপটে ক্যান্টনমেন্ট এবং থানা থেকে অস্ত্র এনে প্রতিপক্ষদের অনেকেই হত্যা করেছিল। এরা সিরাজগঞ্জের কারাগার থেকে ৭ জন বিরাধীদলীয় নেতাকে বের করে এনে প্রথম জেল হত্যার উদাহরণ সৃষ্টি করেছিল। এরা রাজনৈতিক অনেক স্বরূপ আছে, এরা যখন ৭২-৭৫ ক্ষমতায় ছিল তখন একদিকে চলছিল দূর্ভিক্ষ, আরেক দিকে চলছিল এদের লুটপাট। এদের সময় রাস্তায় এক ব্যক্তি বমি করেছিল, অন্য ব্যক্তি তা তুলে খেয়েছিল (ক্ষুধার যন্ত্রণায়)। এদের সময় একটু হাঁড় নিয়ে কুকুর এবং মানুষের মধ্যে ডাষ্টবিনে দস্তাদস্তি হয়েছিল। এদের সময় যুবতী নারী বাসন্তী লজ্জা নিবরনের জন্য মাছ ধরা জাল পরেছিল। এরাই বিরোধী দল করার কারণে হনুফা বিবিকে মাসের পর মাস তাদের টর্চার সেলে অত্যাচার করেছিল। এরাই এরশাদের আমলে আন্দোলন চাঙ্গা করার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে লাশ চুরি করে সেই লাশ নিয়ে রাজপথে মিছিল করেছিল। এরাই খন্দকার মোসতাকের জনসভায় সাপ ছেড়ে দিয়ে বোমা ফাটিয়ে ২০ জন লোককে হত্যা করেছিল। এরাই ঢাকার রাজপথে রব-জলিলের (জাসদ) মিছিলে গুলি করে ৫০ জন জাসদ কর্মীকে হত্যা করেছিল। এরাই পল্টন ময়দানে ৬৯ সালে মাওলানা মওদুদীর জনসভায় হামলা করে ১০ জন কর্মীকে হত্যা করেছিল। এরাই ২৮ অক্টোবর লগি বৈইটার তান্ডব করে জামায়াত-শিবিরের ৬ নেতা কর্মীকে হত্যা করেছিল এবং মৃতের লাশের উপর নৃত্য করে গ্রীনিচ বুকে নাম লেখিয়েছিল। এরাই মালিবাগে ডাঃ ইকবালের নেতৃত্বে বি.এন.পি'র মিছিলে হামলা করে ৪জন নেতা কর্মীকে হত্যা করেছিল। এরাই একজন সেনা অফিসার (মেজর ডালিম) এর স্ত্রীকে হাইজ্যাক করেছিল। এরা হরতালের নামে নারীদের পরণের কাপড় খুলে নিয়েছিল। এরা সমর্থনের জন্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে গোলাম আজমের বাড়ীতে দোয়ার জন্য পাঠিয়েছিল (১৯৯১ সালে)। এরাই ১৯৯৬ সালে আন্দোলন জোরদার করার জন্য জামাত নেতা নিজামী, মুজাহিদ ও কামরুজ্জামানদেরকে ৩২ নং দাওয়াত দিয়ে মেহমানদারী করেছিল। এরাই নির্বাচনের পূর্বে মাথায় টুপি পট্টি বাধিযে ধর্ম ব্যবসায় নেমে ক্ষমতায় এসেছিল। এরাই আজকে মহাগ্রন্থ আল কোরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। সুতরাং আওয়ামী রাজনীতির ইতিহাস মানুষ হত্যা, ও ভন্ডামীর ইতিহাস

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন