দেশে তৈরি আইসক্রিম এবং মিষ্টিজাত কোনো পণ্যেই দুধ কিংবা পুষ্টিজাত উপাদান নেই। নামিদামি ব্র্যান্ডের সরিষার তেলেও সরিষার কোনো উপাদানই পাওয়া যায়নি। পাওয়া গেছে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ। ঢাকা সিটি করপোরেশনের (ডিসিসি) স্বাস্থ্য বিভাগের পরীক্ষায় উঠে এসেছে খাদ্যে ভেজালের এ ভয়াবহ চিত্র।
খাদ্যে ভেজালের ভয়াবহতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে ডিসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ নাসিরউদ্দিন সমকালকে বলেন, বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্যের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট দেখার পর বাজারে গিয়ে আমার নিজের ভেতরেই প্রশ্ন জাগছে, খাদ্যপণ্যের নামে আমি কী কিনছি? নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী প্রায় প্রতিটি পণ্যের খাদ্যমান শুধু প্যাকেটের গায়েই লেখা আছে, ভেতরে নেই। ডিসিসির স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে ১ হাজার ১৩৯টি বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্যের নমুনা পরীক্ষা করা হয় সিটি করপোরেশনের পরীক্ষাগারে। গত বছর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় আইসক্রিম, মিষ্টিজাত দ্রব্য এবং ভোজ্যতেলের ওপর। এর মধ্যে ৯৭২টি নমুনায় সরাসরি ক্ষতিকর দ্রব্য বা ভেজাল মেশানোর অভিযোগে মামলা করা হয়। এছাড়া কোনো পণ্যেই প্যাকেটের গায়ের বর্ণনা অনুযায়ী উপাদান পাওয়া যায়নি। বিশেষ করে বাজারে পাওয়া কোনো ব্র্যান্ডের আইসক্রিমেই প্যাকেটের গায়ে লেখা
উপাদান পাওয়া যায়নি। নিবিড় পরীক্ষায় দেখা যায়, এগুলোতে দুধ কিংবা পুষ্টিমান আছে এমন কোনো উপাদানই নেই। বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধি এবং রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে। এসব রাসায়নিক শরীরের কতটা ক্ষতি করতে পারে তা ডিসিসির পরীক্ষাগারে নির্ধারণ সম্ভব হয়নি। তবে এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে, কোনো ব্র্যান্ডের আইসক্রিমেই দুধ কিংবা কোনো ধরনের পুষ্টি উপাদান নেই। এগুলো নিছক কিছু রাসায়নিকের সমাবেশ মাত্র। অতি দামি ব্র্যান্ডসহ সব আইসক্রিমেই একই চিত্র। এ কারণে বর্তমানে সব নামিদামি ব্র্যান্ডের আইসক্রিম কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
একই ধরনের চিত্র পাওয়া গেছে নামিদামি ব্র্যান্ডসহ মিষ্টিজাত দ্রব্যে। দামি ব্র্যান্ডের মিষ্টির ভেতরে বালু, কাঁকর পর্যন্ত পাওয়া গেছে। মিষ্টি তৈরিতে ব্যবহৃত উপাদানে প্রথমে দুধ পাওয়া গেলেও সেগুলো আবার বিভাজনের পর দেখা গেছে সেগুলো দুধের মতোই এক ধরনের রাসায়নিক, যা দুধের বদলে মিষ্টি তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে নামিদামি ব্র্যান্ডসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মিষ্টি তৈরির প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রায় আড়াইশ' মামলা করা হয়।
ভোজ্যতেলের মধ্যে একশ' ভাগ ভেজাল পাওয়া গেছে সরিষার তেলে। নামিদামি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সরিষার তেল পরীক্ষা করে সরিষার কোনো উপাদান পাওয়া যায়নি। এগুলোতে পাওয়া গেছে সয়াবিন তেল, পামঅয়েলের উপাদান এবং রাসায়নিক। সরিষার তেলে পাওয়া রাসায়নিক খুবই ঝাঁঝালো ধরনের এবং আলাদাভাবে স্বাদ নিলে তা খুবই বিস্বাদ। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য বড় ধরনের ক্ষতির কারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভোজ্যতেলের নমুনা পরীক্ষা এখনও চলছে। এরই মধ্যে একাধিক ব্র্যান্ডের সরিষার তেলে ভেজাল পাওয়ার কারণে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে তীর মার্কা সরিষার তেলের উৎপাদক প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপ মামলার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেছে। সেই আপিল মামলাও বিচারাধীন।
ডিসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ নাসিরউদ্দিন বলেন, গত বছর খাদ্যে ভেজাল পরীক্ষার পদ্ধতি কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে। আগে ব্র্যান্ডের নাম উল্লেখ করে পরীক্ষাগারে নমুনা পাঠানো হতো। ফলে ওই ব্র্যান্ড মালিকরা প্রভাব খাটিয়ে পরীক্ষার রিপোর্ট নিজেদের পক্ষে নেওয়ার সুযোগ পেত। পরিবর্তিত পদ্ধতিতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পণ্যের নমুনা খোলা বাজার থেকে সংগ্রহ করে ব্র্যান্ডের নাম গোপন রেখে বিশেষ একটি কোড নম্বর দিয়ে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। পরীক্ষার পর ওই কোড নম্বর অনুযায়ী ব্র্যান্ড নাম দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট আইনে যতটা ব্যবস্থা সম্ভব ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে ততটা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বছরজুড়েই নিয়মিত এ কার্যক্রম চলবে।
খাদ্যে ভেজালের ভয়াবহতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে ডিসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ নাসিরউদ্দিন সমকালকে বলেন, বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্যের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট দেখার পর বাজারে গিয়ে আমার নিজের ভেতরেই প্রশ্ন জাগছে, খাদ্যপণ্যের নামে আমি কী কিনছি? নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী প্রায় প্রতিটি পণ্যের খাদ্যমান শুধু প্যাকেটের গায়েই লেখা আছে, ভেতরে নেই। ডিসিসির স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে ১ হাজার ১৩৯টি বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্যের নমুনা পরীক্ষা করা হয় সিটি করপোরেশনের পরীক্ষাগারে। গত বছর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় আইসক্রিম, মিষ্টিজাত দ্রব্য এবং ভোজ্যতেলের ওপর। এর মধ্যে ৯৭২টি নমুনায় সরাসরি ক্ষতিকর দ্রব্য বা ভেজাল মেশানোর অভিযোগে মামলা করা হয়। এছাড়া কোনো পণ্যেই প্যাকেটের গায়ের বর্ণনা অনুযায়ী উপাদান পাওয়া যায়নি। বিশেষ করে বাজারে পাওয়া কোনো ব্র্যান্ডের আইসক্রিমেই প্যাকেটের গায়ে লেখা
উপাদান পাওয়া যায়নি। নিবিড় পরীক্ষায় দেখা যায়, এগুলোতে দুধ কিংবা পুষ্টিমান আছে এমন কোনো উপাদানই নেই। বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধি এবং রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে। এসব রাসায়নিক শরীরের কতটা ক্ষতি করতে পারে তা ডিসিসির পরীক্ষাগারে নির্ধারণ সম্ভব হয়নি। তবে এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে, কোনো ব্র্যান্ডের আইসক্রিমেই দুধ কিংবা কোনো ধরনের পুষ্টি উপাদান নেই। এগুলো নিছক কিছু রাসায়নিকের সমাবেশ মাত্র। অতি দামি ব্র্যান্ডসহ সব আইসক্রিমেই একই চিত্র। এ কারণে বর্তমানে সব নামিদামি ব্র্যান্ডের আইসক্রিম কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
একই ধরনের চিত্র পাওয়া গেছে নামিদামি ব্র্যান্ডসহ মিষ্টিজাত দ্রব্যে। দামি ব্র্যান্ডের মিষ্টির ভেতরে বালু, কাঁকর পর্যন্ত পাওয়া গেছে। মিষ্টি তৈরিতে ব্যবহৃত উপাদানে প্রথমে দুধ পাওয়া গেলেও সেগুলো আবার বিভাজনের পর দেখা গেছে সেগুলো দুধের মতোই এক ধরনের রাসায়নিক, যা দুধের বদলে মিষ্টি তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে নামিদামি ব্র্যান্ডসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মিষ্টি তৈরির প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রায় আড়াইশ' মামলা করা হয়।
ভোজ্যতেলের মধ্যে একশ' ভাগ ভেজাল পাওয়া গেছে সরিষার তেলে। নামিদামি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সরিষার তেল পরীক্ষা করে সরিষার কোনো উপাদান পাওয়া যায়নি। এগুলোতে পাওয়া গেছে সয়াবিন তেল, পামঅয়েলের উপাদান এবং রাসায়নিক। সরিষার তেলে পাওয়া রাসায়নিক খুবই ঝাঁঝালো ধরনের এবং আলাদাভাবে স্বাদ নিলে তা খুবই বিস্বাদ। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য বড় ধরনের ক্ষতির কারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভোজ্যতেলের নমুনা পরীক্ষা এখনও চলছে। এরই মধ্যে একাধিক ব্র্যান্ডের সরিষার তেলে ভেজাল পাওয়ার কারণে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে তীর মার্কা সরিষার তেলের উৎপাদক প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপ মামলার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেছে। সেই আপিল মামলাও বিচারাধীন।
ডিসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ নাসিরউদ্দিন বলেন, গত বছর খাদ্যে ভেজাল পরীক্ষার পদ্ধতি কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে। আগে ব্র্যান্ডের নাম উল্লেখ করে পরীক্ষাগারে নমুনা পাঠানো হতো। ফলে ওই ব্র্যান্ড মালিকরা প্রভাব খাটিয়ে পরীক্ষার রিপোর্ট নিজেদের পক্ষে নেওয়ার সুযোগ পেত। পরিবর্তিত পদ্ধতিতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পণ্যের নমুনা খোলা বাজার থেকে সংগ্রহ করে ব্র্যান্ডের নাম গোপন রেখে বিশেষ একটি কোড নম্বর দিয়ে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। পরীক্ষার পর ওই কোড নম্বর অনুযায়ী ব্র্যান্ড নাম দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট আইনে যতটা ব্যবস্থা সম্ভব ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে ততটা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বছরজুড়েই নিয়মিত এ কার্যক্রম চলবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন