ডিজনিল্যান্ডে না গিয়ে থাকলেও তার নাম শোনেননি এমন মানুষ নেই। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এই থিম পার্কটি বহু ঘুরেও এর অনেক কিছুই দেখতে পারেননি অনেকে। ডিজনিল্যান্ড সম্পর্কে এখানে ২২টি গোপন বিষয় জেনে রাখুন।
১. ডিজনি ল্যান্ডের মূল সড়কের ফায়ার স্টেশনের ওপর একটি বাতি রয়েছে। এখানেই একটি অ্যাপার্টমেন্টে ওয়াল্টি ডিজনি নিজেই থাকতেন। এখানে আসলেই ওই বাতিটি তিনি জ্বালিয়ে রাখতেন যেনো পার্কের কর্মীরা বোঝেন যে, তিনি এখানেই রয়েছেন। তার মৃত্যুর পর বাতিটি সব সময়ের জন্য জ্বালিয়ে রাখা হয়েছে। অর্থাৎ
তিনি সব সময়ই এখানে আছেন।১. ডিজনি ল্যান্ডের মূল সড়কের ফায়ার স্টেশনের ওপর একটি বাতি রয়েছে। এখানেই একটি অ্যাপার্টমেন্টে ওয়াল্টি ডিজনি নিজেই থাকতেন। এখানে আসলেই ওই বাতিটি তিনি জ্বালিয়ে রাখতেন যেনো পার্কের কর্মীরা বোঝেন যে, তিনি এখানেই রয়েছেন। তার মৃত্যুর পর বাতিটি সব সময়ের জন্য জ্বালিয়ে রাখা হয়েছে। অর্থাৎ
২. টি-কাপে চড়ে যদি সবচেয়ে দ্রুত গতিতে ঘুরতে চান, তবে ম্যাড হ্যাটারস রাইডে চড়ুন।
৩. গোটা পার্কে সব সময় মিউজিক বেজে চলেছে, খেয়াল করলে কানে ধরা পড়ে। এই মিউজক পার্কটিকে আরো মূর্ত করে তুলেছে। এর ট্রেন স্টেশনে গেলে শুনতে পাবেন যে, পার্কের উদ্বোধনী দিনে ওয়াল্ট ডিজনীর ভাষণ মোর্স কোডে বাজছে।
৪. এই পার্কের ভিতরে লুকানো অবস্থায় রয়েছে ক্লাব ৩৩, যেখানে একমাত্র সদস্যরা অ্যালকোহল পাবেন। এখানে সদস্য হতে পারবেন। তবে ১০ বছরের অপেক্ষমান তালিকার পর সুযোগ মিলবে। এরপর ২৫ হাজার ডলার দিয়ে সদস্য হয়ে প্রতি বছর ১০ হাজার ডলার করে ফি দিতে হবে।
৫. ডিজনিল্যান্ডজুড়ে মিষ্টি গন্ধ ছড়িয়ে রয়েছে। রাস্তায় পাবেন ভ্যানিলার সুবাস। আর ক্রিসমাসে এ গন্ধ হয়ে যায় পিপারমিন্টের।
৬. স্নো হোয়াইটের ভয়ঙ্কর অভিযানের জন্য লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় স্পেল বুকের ওপরের ব্রাশ অ্যাপলটি ঘষলে বজ্রপাত আর ডাইনির ভয়ঙ্কর শব্দ পাওয়া যাবে।
৭. হান্টেড মাউন্টেনের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় যে কবরের ফলকগুলো দেখা যায়, তার অনেকগুলোই সত্যিকার। যারা এই পার্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করেছিলেন তাদের অনেকেই সেখানে শায়িত রয়েছেন।
৮. ইন্ডিয়ানা জোন্সের মন্দিরে প্রবেশের সময় যে চিহ্নগুলো রয়েছে তা টুকে নিন। এর পর সামনে গিয়ে অন্যান্য সাইনে যে সতর্ক বার্তা দেওয়া রয়েছে, তার বিপরীতটি করুন। কিছু দারুণ শব্দ শুনতে পাবেন।
৯. আপনি জানেন কি, ম্যাটারহর্নের ওপর একটি বাস্কেটবল কোর্ট ও পিংপক টেবিল রয়েছে? সেখানে পার্কটি বানানোর সময় কর্মীরা বিশ্রাম করতেন।
১০. মূল রাস্তার এবেবারে শেষের দিকে মায়েরা তাদের শিশুর জন্য কেয়ার রুম পাবেন।
১১. পার্কের কিছু স্থাপনাকে চোখের আড়াল করার জন্য 'গো অ্যাওয়ে গ্রিন' নামে পরিচিত রং করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি ক্লাব ৩৩।
১২. ক্যালিফোর্নিয়া স্ক্রিমিং রাইডে চড়লে কাউন্টডাউন শোনা যাবে যা নিল প্যাট্রিক হ্যারিস করেছিলেন।
১৩. টুমরোল্যান্ড এলাকায় লাগানো প্রতিটি গাছ খাওয়ার যোগ্য। ঘুরতে ঘুরতে ক্ষুধা লেগে গেলে এই গাছগুলো খাওয়া যায়।
১৪. যদি জন্মদিনে সেখানে যান, তবে প্রবেশের আগে গেটে তথ্যটি দিন। তারা একটি বার্থডে ব্যাজ লাগিয়ে দেবে আপনাকে। পার্কে প্রবেশের পর পুতুলরা এসে আপনাকে শুভেচ্ছা জানাবে আর ছোট ছোট উপহার দেবে।
১৫. স্নো হোয়াইটস ক্যাসল প্রবেশের পর ওপরের দিকে তাকান। প্রতি দুই মিনিট পর পর ওপরে কাঁচের ভেতর দিয়ে কয়েক সেকেন্ডের জন্য ইভিল কুইন দেখা যায়।
১৬. পার্কটি খোলা হয় সকাল সাড়ে ৬টায়। আপনি যদি প্রথম প্রবেশের একজন হতে পারেন, তবে স্পেস মাউন্টেন-এ স্পেশাল রাইড ফ্রি পাবেন।
১৭. মার্কেট হাউজ থেকে যদি এক কাপ কফি কিনে খান, তবে যতক্ষণ কাপটি সঙ্গে রাখবেন ততক্ষণ ফ্রি কফি ভরে দেওয়া হবে কাপে।
১৮. নব বর্ষে রাত ১১টা ৫০ মিনিটে পার্কের সব চরিত্র এক হয়ে আনন্দ উদযাপন করেন। এটি মিস করা উচিত নয়।
১৯. ডিজনিল্যান্ডে একদিনের প্রবেশ টিকিট নিয়ে ঢুকলে কর্মীরা যারা ট্যাবলেট নিয়ে ঘুরছেন তাদের প্রশ্নের জবাব দিন। দিতে পারলেই পাবেন আরেক দিনের প্রবেশ টিকিট ফ্রি।
২০. ব্লু ব্যায়ো দিয়ে যাওয়া সময় ওপরে তাকালে দেখবেন একটি তারা ও একটি চাঁদ উঠছে আর মিলিয়ে যাচ্ছে এবং আবার উঠছে।
২১. স্টার টুরস রাইডে চড়ে কৌতুকপূর্ণ মুখগুলো তুলে পর্দার দিতে তাকিয়ে থাকুন। সেখানে আপনাকে বিদ্রোহী স্পাই হিসেবে দেখানো হবে।
২২. ওয়ার্ল্ড অব কালার রাইডে উঠে সলিটারি অরেঞ্জ ফ্ল্যাশ খুঁজতে থাকুন। এগুলোকে বলা হয় 'স্পিরিট অব ওয়াল্ট ডিজনি'।
এনজেবিডি নিউজ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন