কার্বাইড দিয়ে পাঁকানো ফল

আজকাল বাজার ছেয়ে গিয়েছে পাকা আম, লিচু ও নানান ধরণের গ্রীষ্মকালীন ফলে। কিন্তু  ফল গুলোর স্বাদ নেহাতই পানসে। বলতে গেলে কোন রকম স্বাদ-গন্ধই নেই।  এমনকি কলা বা পেঁপের মত সস্তা ফলের ক্ষেত্রেও একই হাল। পাকা পেঁপে কিনলেন,কিন্তু কাটার পরে দেখা গেল ভিতরটা বিশ্রী রকমের কাঁচা। পাকা কলার খোসা ছাড়িয়ে কামড় বসাতেই টের পাওয়া গেল কলা মোটেই পাকেনি। এর পেছনের কারন হচ্ছে কার্বাইড। আজকাল ফল মাত্রই কার্বাইড দিয়ে পাকানো হয়।
প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে  সময়ের আগেই কার্বাইড
দিয়ে দ্রুত পাকানো হয় ফলকে চড়া দামে বিক্রির জন্য। ফল পাকানোর জন্য ব্যবহৃত এই রাসায়নিকের নাম ক্যালসিয়াম কার্বাইড। হাওয়ার সংস্পর্শে এলে কার্বাইড থেকে অ্যাসিটিলিন নামে এক ধরনের গ্যাস বেরোয়। এবং এই গ্যাসের উত্তাপেই ফল পেঁকে যায়।  এই গ্যাস লোহা কাটতে ব্যবহৃত হয়। ৫০ টন আম পাকাতে প্রয়োজন হয় মাত্র ১০০ গ্রাম কার্বাইড। কার্বাইডে পাকানো ফল নিয়মিত খেলে ফল হতে পারে মারাত্মক। মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়ে স্নায়ুর সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া, পাকস্থলীর নানা সংক্রমণের পাশাপাশি কার্বাইড থেকে ক্যানসারও হতে পারে। গর্ভবতী নারী কার্বাইডে পাকানো ফল খেলে সন্তানের হতে পারে নানান রকম শারিরীক বিকলাঙ্গতা। ফলের উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয় চেহারা দেখলেই চিনবেন কার্বাইড দিয়ে পাকানো ফল। গোটা ফলের চেহারা একই রকম হবে, রঙ একই রকম হবে। দেখে মনে হবে সমান ভাবে পেঁকেছে। গাছপাকা ফল কখনো সমানভাবে পাকে না।
ফলের মাঝে স্বাভাবিক পাকা ফলের ঘ্রান থাকবে না। অনেক ফলে রসুনের মত হালকা গন্ধ থাকতে পারে।
তাই ফল খাওয়ার আগে ১৫ মিনিট ভিনেগার মেশানো পানিতে ডুবিয়ে রাখবেন। তারপর ভাল
ভাবে ধুঁয়ে নিবেন। খোসা সহ ফল কখনোই খাবেন না। ভরা  মৌসুমের আগে কখনই ফল কিনবেন না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন