অ্যাপোলো মিশন এবং এরিয়া-৫১ এর রহস্যময় জগত – কিছু অজানা তথ্য


মানব সভ্যতার সব থেকে রমাঞ্ছকর ও শরীর হিম করার মতো একটা ছোট্ট মন্তব্য, “একজন মানুষ এর জন্য ছোট্ট একটি পদক্ষেপ কিন্তু মানব জাতির জন্য অনেক বড় পাওয়া”- এভাবেই ২০ জুলাই, ১৯৬৯ চাঁদে পা রাখা প্রথম মানুষটি পৃথিবীবাসী-কে জানিয়েছিল তার অভিজ্ঞতা। মানুষটি আর কেউ না, হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন নীল আরমষ্ট্রং। পৃথিবীবাসী মানে আমরা অনেক অবাক হয়েছিলাম। অবশ্য আমার সৌভাগ্য হয়নি, আমি তখন পৃথিবীর আলো দেখিনি। কিন্তু যাদের এই সৌভাগ্য হয়েছিল তাদের মধ্যে অনেকে আছেন সন্দেহবাদী। তারা দাবি করেন সেই দিন যা হয়েছিলো তা ছিল মানব সভ্যতার সব থেকে বড় মিথ্যা। সব থেকে মজার বিষয় হলও আমেরিকার ২০% মানুষ বিশ্বাস করে আমরা কখনও চাঁদে যাইনি।
বিল কেইসিং যিনি ছিলেন অ্যাপোলো রকেট ডিজাইন করা কম্পানি রকেটডাইন-এর একজন ইঞ্জিনিয়ার ও

পর্যবেক্ষক। তার লেখা একটি বই “উই নেভার ওয়েন্ট টু দি মুন”। বইটি প্রকাশ হয়েছিল ১৯৭৪ সনে। এই বইয়ে তিনি দাবি করেন অ্যাপোলো মিশন ছিল শুধু বড় একটা মিথ্যা। এই মিশন এর সম্পূর্ণটাই ছিল ধোঁকাবাজি, যাকে আমরা বলতে পারি আইওয়াস। তিনি এই বইয়ে অনেক প্রমান উপস্থাপন করেন যা সত্যি অ্যাপোলো মিশনকে প্রশ্ন বিদ্ধ করে।
শুধু বিল কেইসিং নন, ব্রাইয়ান ওলেরি-ও অ্যাপোলো মিশনকে ১০০% সত্য মানতে নারায । ষাট এর দশকে তিনি নাসাতে কর্মরতো ছিলেন একজন মহাকাশচারী এবং অ্যাপোলো মিশন এর বৈজ্ঞানিক পরামর্শদাতা হিসাবে। তিনি বলেন “ আমি শত ভাগ নিশ্চিত ভাবে বলতে পারছি না যে সত্যিই তারা চাঁদে গিয়েছিলো কিনা?”
তাহলে আমরা যা জানি সবই ভুল!!! উত্তর জানতে আমরা ফিরে যাই ৪০ বছর আগে যখন আমেরিকা এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন পৃথিবীতে একক আধিপত্য বিস্তার করতে চাচ্ছিল। দুই দেশের মধ্যে একটা শীতল যুদ্ধ চলছিলো। আর সেই যুদ্ধ জিততে চাচ্ছিলো দুই দেশই। তখন এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিলো, যে দেশ মহাকাশে আগে আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে সেই এই শীতল যুদ্ধে জয়ী হবে। ৪র্থ অক্টোবর, ১৯৫৭ সোভিয়েত ইউনিয়ন পৃথিবীর প্রথম স্যাটেলাইট “স্পুটনিক” মহাকাশে পাঠায় যা আমেরিকাকে আতঙ্কিত করেছিলো। কারন মহাকাশ দৌড়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন আমেরিকা-এর আগে চলে গেছিলো। যা আমেরিকা কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি। কিন্তু আমেরিকা-এর মহাকাশ গবেষণা তখন অনেক সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলো এমনকি তাদের অনেকগুলো মহাকাশযান মাটি থেকে ওড়ার আগেই ধ্বংস হয়ে যায়। আমেরিকা ধারনা করছিলো সোভিয়েত ইউনিয়ন এর চূড়ান্ত লক্ষ্য হল চাঁদে মিশাইল বেস বানানো। বিল কেইসিং এর মতে মানুষের চাঁদে যাওয়া এবং নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে আসার সম্ভাবনা .০০১৭%। কারন ষাট এর দশক এর প্রযুক্তি। যা বস্তুতো পক্ষে মানুষের চাঁদে যাওয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
যদি অ্যাপোলো মিশন মিথ্যা হয় তাহলে কিভাবে আমেরিকা এত বড় মিথ্যা পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা করলো???? বিল কেইসিং আরও বলেন, “অ্যাপোলো মহাকাশযান গুলো সত্যি মহাকাশে গিয়েছিল কিন্তু চাঁদে মানুষ পাঠানো হয়নি। অ্যাপোলো ১১ মহাকাশযানটি ৮ দিন পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরেছিল মাত্র। আর টিভিতে পূর্বে ধারণ করা মহাকাশচারীদের ভিডিও ও ছবি দেখানো হয়েছিলো। ৮ম দিনে মহাকাশযান থেকে মূল যানটি আলাদা হয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসে।”
অনেকে মজা করে বলেন অ্যাপোলো মিশন পৃথিবীর সবথেকে বিগ বাজেটের মুভি। ১৯৭৮ সনে একটা মুভি “কেপ্রিকন ১” মুক্তি পায়, সেই মুভিতে দেখানো দৃশ চাঁদ থেকে মহাকাশচারীদের পাঠানো ভিডিও এর সাথে একদম মিলে যায়। ছবি এর প্রযোজক পল ল্যাযারুস-এর মতে, নাসার ৪০ বিলিয়ন বাজেটের প্রোগ্রাম অ্যাপোলো মিশন-এ যে ভিডিও দেখিয়েছে তা তারা মাত্র ৪ মিলিয়ন বাজেট নিয়ে করে দেখিয়েছেন এবং তা তারা করেছেন একটা টিভি ষ্টিডিও-তে। তিনি মনে করেন ষাট এর দশকে সেটা করার মতো প্রযুক্তি তখন আমাদের ছিল।
বিল কেইসিং এর মতে নাসার অ্যাপোলো মিশন এর চিত্রায়ন করা হয়েছিল আমেরিকা এর একটি মরুভুমিতে যা “এরিয়া ৫১” নামে পরিচিত। এরিয়া ৫১ হল আমেরিকা এর একটি খুবই গোপনীয় মিলিটারি বেস। যেখানে সাধারন মানুষের প্রবেশ নিষেধ। রাশিয়া এর স্পাই স্যাটেলাইট থেকে এরিয়া ৫১ এর তোলা ছবিতে দেখা যায় সেখানে মুভি সেট রয়েছে এবং কিছু যায়গা চাঁদের পৃষ্ঠের মতো দেখতে। নিচে কিছু ফটো দেওয়া হল।
উপরের ছবির বাম পাশের ছবিটা চাঁদের, তোলা হয়েছিলো অ্যাপোলো ১০ থেকে। আর ডান পাশের ছবিটা হল এরিয়া ৫১ এর। যা তোলা হয়েছিলো স্যাটেলাইট থেকে। কিন্তু মজার বিষয় হল কোন কারনে দুটি ছবিতে আশ্চর্য রকম মিল খুজে পাওয়া যায়। তিনি আরও বলেন এই কারনে এরিয়া ৫১ এত সুরক্ষিত। তিনি মনে করেন চাঁদে যাওয়ার শুটিং স্পট এখনও সেখানে আছে।

এটা এরিয়া ৫১ এর যা স্যাটেলাইট থেকে তোলা। অনেকে মনে করেন গোল চিহ্নিত জায়গাটা আসলে একটা মুভি সেট। যেখানে অ্যাপোলো মিশন গুলোর জন্য ভিডিও তৈরি করা হয়।

উপরের ছবিটিও এরিয়া ৫১ এর যা গুগল আর্থ থেকে নেওয়া। ছবিটা দেখতে চাঁদ পৃষ্ঠের মত।

ব্লাষ্ট ক্রিয়েটর ও ইঞ্জিন নয়েজঃ
রকেট ইঞ্জিন এর শব্দের মাত্রা ১৪০-১৫০ ডেসিবল। এক কথায় রকেট ইঞ্জিন অনেক উচ্চ মাত্রার শব্দ উৎপন্ন করে। কিন্তু লুনার মডিউল এর চাঁদে অবতরণের নাসার অফিসিয়াল ভিডিওতে কোন ইঞ্জিন নয়েজ ছিলও না। ভিডিওতে দেখা যায় মহাকাশচারীদের কথা স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে, যেখানে ইঞ্জিনের কোন আওয়াজ নেই। বিল কেইসিং অ্যাপোলো মিশন এর ছবিগুলো পরীক্ষা করে দেখেন কিন্তু লুনার মডিউলে কোন ব্লাষ্ট ক্রিয়েটর দেখতে পাননি। প্রতিটি রকেটের পিছনে ব্লাষ্ট ক্রিয়েটর থাকে। যা দিয়ে রকেট-এর পিছন দিকে উচ্চ মাত্রায়ের চাপ সৃষ্টি করা হয়। যা রকেটকে প্রচণ্ড গতিতে উপরের দিকে যেতে সাহায্য করে। নিচে একটা ছবি দেওয়া হল।

লুনার মডিউল-এর চাঁদ থেকে মূলযানে ফিরে যাওয়ার যে ভিডিও দেখানো হয় তাতে লুনার মডিউল এর পিছনে নজল থেকে কোন আগুনের ফুলকি বের হতে দেখা যায়নি। এটা প্রমান করে লুনার মডিউলে কোন ব্লাষ্ট ক্রিয়েটর ছিল না। যা বিস্ময়কর একটা ব্যাপার, যা অবাস্তব। নিচে রকেট এর উত্থান কালের একটা ছবি দিলাম।


পায়ের চিহ্ন ও চাঁদের ধুলাঃ
আগেই বলা হয়েছে যে রকেট এর পিছন দিয়ে অতি উচ্চ চাপের জ্বালানি বের হয়। যা চাঁদে অবতরণ কালে চাঁদের পাউডার এর মতো বালিকে উড়িয়ে নিয়ে যাবে। কিন্তু বিল কেইসিং জানান যদি লুনার মডিউল সত্যি চাঁদে অবতরন করে তাহলে লুনার মডিউলের ফুট প্যাডে অবশ্যই ধুলা বালি থাকবে। কিন্তু লুনার মডিউলের ফুট প্যাডে কোন ধুলাবালি দেখা জায়নি। যে পরিমান চাপ একটি শক্তিশালী রকেট ইঞ্জিন এর পিছন দিয়ে বের হয় তা চাঁদের ধুলাবালিকে উড়িয়ে দিবে। কিন্তু কেন কোন ধুলাবালি ফুট প্যাডে ছিল না??? নিচের ছবিটা খেয়াল করুন।

ছবিটা লুনার মডিউলের চাঁদে অবতরণের পর তোলা।
রকেট ইঞ্জিন অনেক শক্তিশালী হয়। চাঁদে অবতরণ করার সময় এবং উত্থান কালে যে পরিমান চাপ রকেট দিবে তা চাঁদ এর ধুলাবালি উড়িয়ে দিবে। সুতরাং লুনার ল্যান্ডার এর আশেপাশে কোন ধারনের পদচিহ্ন থাকার কথা না। কিন্তু দেখতে পাই লুনার মডিউল চাঁদ থেকে ফিরে আসার পরও চাঁদে রেখে আশা ক্যামেরা থেকে পাঠানো ছবিতে লুনার ল্যান্ডার এর আশেপাশে অনেক পায়ের চিহ্ন। নিচের ছবিটি দেখুন।


চাঁদ ও পৃথিবীর মহাকর্ষ শক্তিঃ
চাঁদের মহাকর্ষ শক্তি পৃথিবীর ৬ ভাগের ১ ভাগ। তাই আমরা চাঁদের পৃষ্ঠে মহাকাশচারীদের যে ভিডিও দেখতে পাই তা আমাদের কাছে মনে হবে একটু ধীরে নড়ছে। ডেভিড পারসি (রয়্যাল ফটোগ্রাফিক স্যোসাইটি এর একজন পুরুস্কার বিজিত ফটোগ্রাফার ) বিশ্লেষণ করে দেখেন যে যদি অ্যাপোলো মিশন এর ভিডিও স্পীড দিগুণ করা হয় তা হলে তা পৃথিবীতে চিত্রিত বলে মনে হবে। এমনকি লুনার রোঁভার (চাঁদে যে গাড়ি মহাকাশচারীরা ব্যবহার করেছেন)-কে মনে হবে পৃথিবীর কোন মরুভূমিতে চলছে।
উড়ন্ত পতাকাঃ
চাঁদে কোন বাতাস নেই। কিন্তু ভিডিও-তে অ্যামেরিকান পতাকা উড়তে দেখা যায়। যা কোন ভাবেই সম্ভব নয়। পুরো চন্দ্রাভিযান পৃথিবীতে শুটিং করা এই ধারনার পিছনে এটা একটি বড় কারন।


স্টিল ফটোগ্রাফি ও একাধিক আলোর উৎসঃ
অ্যাপোলো মিশন-এ মহাকাশচারীদের বিশেষ পোশাক ছিল অনেক ভারী ও মোটা। এই পোশাকে চলাফেরা করা খুবই কষ্টকর। তাদের যে ক্যামেরা দেওয়া হয় তা তাদের বুকে লাগানো থাকত। অনেকে বলেন এই ভারী পোশাকে তাদের বুকে লাগানো ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কষ্টসাদ্ধ ছিল। ছবি তোলার সময়ে তাদের শরীর ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ছবি তুলতে হতো। এই পোশাক পরা অবস্থায় তারা তাদের বুকে লাগানো ক্যামেরা দেখতে পেতো না। কারন তারা তাদের মাথা ঘুরাতে ও উপর নিচে করতে পারত না। সুতরাং ক্যামেরার ভিউ ফাইনডার দেখতে পেতো না। কিন্তু মজার ব্যাপার হল চাঁদে তোলা সব ছবি অত্যন্ত নিখুঁত ও পরিষ্কার, যা স্বন্দেহের কারন। তথ্য গুলো দিয়েছেন অ্যাপোলো মহাকাশচারীদের জন্য ক্যামেরা-এর নকশাকারী জন লুন্ডবার্গ।
বিল কেইসিং আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেন। তা হলও একাধিক আলোর উৎস। চাঁদে মহাকাশচারীদের আলোর উৎস ছিলও শুধু মাত্র সূর্য। সুতরাং চাঁদে ছবি তুললে বস্তুর ছায়া হবে সমান্তরাল। কিন্তু ছবি গুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় ছায়া গুলো একে অপরকে ছেদ করে, মানে সমান্তরাল নয়। যা একাধিক আলোর উৎসকে ইঙ্গিত করে। তিনি বলেন এই সব ছবি পৃথিবীতে তোলা, চাঁদে নয়।



নিচের কিছু ছবি লক্ষ করুন।



উপর এর ছবি দুটি লক্ষ্য করুন। প্রথম ছবির ডান পাশের ছবিটি অ্যাপোলো ১১ মিশনের। যেখানে মহাকাশচারী লুনার মডিউল থেকে নামছেন । ছবিটি অনেক নিখুঁত এবং উজ্জল, যদিও মহাকাশচারী লুনার মডিউলের ছায়া তে ঢাকা পরেছেন। চাঁদে যেহেতু আলোর উৎস শুধু একমাত্র সূর্য তাই ছবিটি হওয়া উচিৎ ছিল বাম পাশের ছবিটির মতো। এটাও “একাধিক আলোর উৎস” এই যুক্তির পিছনে শক্ত একটা কারন। নিচের দুটি ছবিটিতে মহাকাশচারীর সামনের অংশ একদম পরিষ্কার। যেখানে সূর্য তার পিছনে ছিল। যা একাধিক আলোর উৎস ছাড়া সম্ভব না। এগুলো প্রমান করে অ্যাপোলো মিশন পৃথিবীতে শুটিং করা। এসব ছবি ও ভিডিও অ্যাপোলো মিশন কে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

অভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ডঃ
নিচের ছবিগুলো দেখুন।

ছবিগুলো একটু খেয়াল করুন। চারটি ছবি বিভিন্ন চন্দ্রাভিযান এর। কিন্তু প্রথম দুটি ও শেষ দুটির ব্যাকগ্রাউন্ড অভিন্ন মনে হবে। যদিও নাসা দাবি কারে ছবিগুলো চাঁদের ভিন্ন ভিন্ন স্থানের।

উপরের ছবি দুটি অ্যাপোলো ১৬ অভিযানের। প্রথম ছবিটি চাঁদে নামার প্রথম দিনের এবং দ্বিতীয় ছবিটি পরের দিনের ভিন্ন একটি যায়গার। নাসা বলেছিল যায়গাটা প্রথম স্থান থেকে ২.৫ মাইল দূরে অবস্থিত। যদি তাই হয় তাহলে লোকেশন অভিন্ন হয় কিভাবে তার উত্তর জানা নেই কারো। এমন কি অ্যাপোলো মিশন গুলোর ভিডিও চিত্রেয়েও এরকম অভিন্ন লোকেশন দেখতে পাওয়া যায়। তার মানে হল পৃথিবীতে একি লোকেশনে বার বার ভিডিও ধারণ করে তা দেখানো হয়েছিল।

ক্রসহেয়ারঃ 
অ্যাপোলো মিশনে যে ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছিলো তার লেন্সে ক্রসহেয়ার স্থায়ী ভাবে লাগানো। তাই ওই ক্যামেরা দিয়া ছবি তুললে ছবির উপর ক্রসহেয়ার থাকবে। কিন্তু অ্যাপোলো মিশন এর অনেক ছবিতে দেখা যায় ক্রসহেয়ার এর কিছু অংশ অবজেক্টে ঢেকে রেখেছে। যা প্রমান কারে ছবিগুলো এডিট করা।

উপরের ছবিগুলো তাহলে কি প্রমান করে? আমরা চাঁদে যাইনি কখনও???? সবই কি তাহল নাসা এর কারসাজি মহাকাশ লড়াইয়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে এগিয়ে থাকতে???
বিজ্ঞানী রলফ রেনে এর মতে মহাকাশের রেডিয়েশন থেকে বাঁচতে হলে অ্যাপোলো মহাকাশযান এর যে পরিমাণ পুরু দেয়াল থাকা দরকার ছিল তা ছিল না। এছাড়া মহাকাশচারীদের পোশাকও ছিলনা রেডিয়েশন ঠেকানোর জন্য যথেষ্ট। আর পৃথিবীর বাহিরের এই সব ভয়ঙ্কর রেডিয়েশন মানুষের অনেক ক্ষতি করে যেমন ক্যান্সার সৃষ্টি করে,চামড়া পুড়ে যাওয়া,চুল ঝরে যাওয়া ইত্যাদি। এমন কি মৃত্যুও হতে পারে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন অ্যাপোলো মহাকাশচারীর কোন রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়নি, যা মহাজাগতিক রেডিয়েশন এর জন্য হতে পারে। চাঁদের ভুমি মানুষের জন্য খুবই রুক্ষ। দিনের বেলাতে তাপমাত্রা ২৫০ ডিগ্রি এর উপরে এবং রাতের বেলাতে তা -২৫০ ডিগ্রি এর নিচে থাকে। যা নাসায়ের মহাকাশচারীদের জন্য বানানো পোশাক মহাকাশচারীদের সুরক্ষিত করতে পারবে না। তিনি নাসাকে প্রমান করতে বলেছিল তার যুক্তি মিথ্যা। তিনি বলেছিলেন কোন একজন মানুষকে ওই পোশাক পরিয়ে ২৫০ ডিগ্রি তাপ কক্ষে রাখার জন্য। কিন্তু নাসা তা কারেনি।
বিল কেইসিং বলেন, “যদি নাসা সত্যি চাঁদে গিয়ে থাকে তাহলে লুনার ল্যান্ডার, রোভার ও অন্যান্য যন্ত্র চাঁদে এখনও থাকবে। পৃথিবীর সবথেকে শক্তিশালী টেলিস্কোপ দিয়ে নাসা যদি লুনার ল্যান্ডার চাঁদের পৃষ্ঠে দেখাতে পারে তাহলে আমি কোন দিন অ্যাপোলো মিশন নিয়ে কথা বলবো না।”
সত্যি অবাক লাগছে, তাই না। আমারও অবাক লেগেছিলো। সত্যি যদি অ্যাপোলো মিশন মিথ্যা হয় পৃথিবীবাসী হিসাবে আমাদের গৌরব করার মতো আর কি থাকল??????

এরিয়া-৫১ রহস্যময় দুনিয়া

আলোচনা করব আমেরিকার নেভাদা অঙ্গরাজ্যের সামরিকঘাটি এরিয়া৫১ নিয়ে। বিতর্কিত এ স্থাপনাটি সম্পর্কে কমবেশী সবাই মনে হয় জানেন।এ স্থাপনাটি লাসভেগাস থেকে ৯৫ কিমি দুরে "গ্রুম" লেকের পাশে অবস্থিত। দুর্ভেদ্য বেষ্টনীতে ঘেরা এ ঘাটির প্রবেশপথে লেখা আছে অনধিকার প্রবেশকারীকে গুলি করা হতে পারে। আজপর্যন্ত বেসামরিক কেউ দাবী করেনি তিনি এরিয়া৫১ এ ঢুকেছেন। যদি কেউ ঢুকেও থাকেন তাহলে তিনি জীবিত আর বের হতে পারেন নি তা নিশ্চিত।তবে স্থাপনাটিকে বিতর্কিত ও রহস্যময় করে তোলার পিছনে আশপাশের বাসিন্দারাই দায়ী।তাদের অনেকের দাবী এরিয়া৫১ এর আকাশে ফ্লাইং সসারের মত মত কিছু উড়তে তারা দেখেছেন।আবার অনেকেই নাকি এমন দ্রুতগতির বিমান উড়তে দেখেছেন যার গতি সাধারন বিমান বা যুদ্ধবিমান কোনোটার সাথেই মিলে না।তবে এসব বিতর্কের আগুনে ঘি ডেলেছেন এরিয়া৫১ এ কর্মরত পদার্থবিজ্ঞানী বব লেজার । এক টিভি সাক্ষাৎকারে তার দাবী ওখানে এমন কিছু মৌলিক পদার্থ নিযে গবেষনা করা হয় যা এখনও আবিষ্কারের ঘোষনা দেওয়া হয় নি।তিনি অবশ্য কিছু ধোয়াটে বক্তব্য দিয়েছেন একটি মৌলিক পদার্থ নিয়ে।তারমতে সুপারনোভা বা বাইনারি স্টার সিস্টেম থেকেই সম্ভবত একটি মৌল সংগ্রহ করা হয়েছে।যার মাত্র ২.২ পাউন্ড ৪৭টি ১০মেগাটন হাইড্রোজেন বোমা বানানোর জন্য যথেষ্ট।ওখানে নাকি একটি সরল যন্ত্র আছে যা চাকতি আর বল দিয়ে তৈরী।যন্ত্রের বলের চিপে ঐ মৌলটি রাখা হলে সময়কে স্থির করে রাখতে পারে।তারা নাকি সময় স্থির করে রাখার পরীক্ষা চালিয়ে সফলও হয়েছেন। তার মতে ঐ মৌলপদার্থটি বলের চিপে রাখামাত্র তা কোনএকভাবে অ্যান্টিম্যাটার তৈরী করে এবং তারফলে বিপুল শক্তি উৎপাদিত হয়।অ্যার্টিম্যাটার রিয়েক্টরে শক্তি উৎপাদনের ফলে বস্তুর নিজস্ব মহাকর্ষ বলের সৃষ্টি হয় এবং নিজস্ব শক্তিতে তা বিদুৎবেগে ছুটতে পারে।এবং এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নাকি ওখানে ফ্লাইং সসার তৈরীর গবেষনা চলছে। তবে বব সবচেয়ে বড় বোমা ফাটান এই বলে সেখানে নাকি এলিয়েন দের নিযে ধ্বংস হয়ে যাওয়া এক ফ্লাইং সসার আছে।ওখানে এলিয়েনটির ব্যবচ্ছেদ করে নাকি পাওয়া গেছে ঐ প্রাণীটি এসেছে রেটিকুলাম-৪ নামক জ্যোতিষ্ক থেকে।প্রাণীটির উচ্চতা সাড়ে তিনফুট শরীর রোমহীন কালো বড় বড় চোখ এবং শরীর কৃশকায়।দেহ ব্যবচ্ছেদ করে নাকি ফুসফুস ও হৃৎপিন্ডর বদলে বিশাল এক পতঙ্গ পাওয়া গেছে।
তবে এতসব বিতর্কই শেষ নয়। এরিয়া৫১ নিয়ে চলমান বিতর্কের সবচেয়ে বড়টি হল মানুষের চাদে যাওয়া নিয়ে নাটক।
মানুষত চাদে গিয়েছে এ নিয়ে নাটকের কি আছে? আপনারা হয়ত তা বলবেন।
কিন্তু দুনিয়াতে প্রচুর সন্দেহবাদী আছে(আমি নিজেও সেই তালিকায়।পুরা ব্যাপারটা আমার কাছে ধাপ্পাবাজি মনে হয়) যাদের ধারনা মানুষ চাদে কখন্ও যায়নি ।পুরো নাটকটি সাজানো হযেছে এই এরিয়া৫১ এর ভিতর।মজার ব্যাপার হচ্ছে এত বিতর্ক চললেও আমেরিকান সরকার এসব কোনোকিছুই স্বীকার করেনি আজপর্যন্ত।তাতে সন্দেহ না কমে বরং আরো বেড়েছে।

এরিয়া৫১ দুর থেকে


বি.দ্রঃ
উপরের সব তথ্য বিভিন্ন উৎস থেকে নেয়া। এখানে আমার ব্যক্তিগত কোন মতামত দেওয়া হয়নি।

তথ্যের উৎসঃ
১) উইকিপিডিয়া
২) ইন্টারনেট
৩) বিভিন্ন ব্লগ 

হাম্মাদ সেজুল

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন