জেনারেল মঈন ও জেনারেল মতিনের বাকযুদ্ধ, মাঝখানে শুভঙ্করের ফাঁক: মোবায়েদুর রহমান

mobayedবাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রাক্তন প্রধান জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ নিউইয়র্কের বহুল প্রচারিত বাংলা সাপ্তাহিক ‘ঠিকানাকে’ একটি ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন। এই ইন্টারভিউ ছাপা হয়েছিল গত ১৮ জুন। এ সম্পর্কে আমি একটি কলাম লিখেছিলাম। কলামটি ছাপা হয়েছে দৈনিক ‘ইনকিলাবে’, গত ২৪ জুন। জেনারেল মঈনের সমস্ত তথ্য এবং বক্তব্যের সাথে একমত হতে পারেননি মেজর জেনারেল (অব.) এমএ মতিন। তিনি এ সম্পর্কে তার বক্তব্য দিয়েছেন দৈনিক ইনকিলাবে। সেটি ছাপা হয়েছে গত ২৬ জুন। জেনারেল মতিনের লেখাটিও আমি মনযোগের সাথে পড়েছি। দুই জেনারেলের বক্তব্যের মাঝেই কিছু শুভঙ্করের ফাঁক রয়েছে। মঈন ইউ আহমেদের লেখার ওপর আমার বিশ্লেষণ ও মন্তব্য আমার ঐ কলামে বিধৃত রয়েছে। আজ আমি দুই জেনারেলের বক্তব্য নিয়েই আলোচনা করব। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, জেনারেল মতিন সেনা নিয়ন্ত্রিত কেয়ারটেকার সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। ১/১১’র আমলে দুর্নীতি দমন অভিযান পরিচালনার লক্ষ্যে জাতীয় সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছিল। উপদেষ্টা থাকা কালে জেনারেল মতিন ছিলেন এই কমিটির চেয়ারম্যান এবং সেই সময়ে নবম ডিভিশনের অধিনায়ক লে. জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ছিলেন প্রধান সমন্বয়ক।
উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ১/১১’র সময় দেশের দুই প্রধান নেত্রী
বেগম খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়। মঈন ইউ আহমেদ বলেছেন যে, দুর্নীতি দমন সংক্রান্ত সমন্বয় কমিটি দুই নেত্রীকে গ্রেফতারের সিদ্বান্ত গ্রহণ করে। তিনি অর্থাৎ মঈন ইউ আহমেদ এ ব্যাপারে কিছু জানতেন না। মঈন ইউ আহমেদের এই বক্তব্য মোটেই ধোপে টেকে না। খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনা দেশের সবচেয়ে বড় দুই নেত্রী। দেশের কোটি কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব তারা করেন। ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৪ সাল- এই ২৩ বছর ঘুরে-ফিরে এই দুই নেতাই (হাসিনা এবং খালেদা) দেশ শাসন করেছেন। তাদের দুইজনকেই গ্রেফতার করা হবে, আর জরুরি শাসনের সেনা প্রধান সেটি জানবেন না, সে কথা কি পাগলেও বিশ্বাস করবে? সেনা প্রধানকে পাশ কাটিয়ে একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল এবং একজন কর্মরত লে. জেনারেল দেশের দুই সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বৃহত্তম দুই দলের দুই প্রধানকে গ্রেফতার করলেন, এটি কি কখনো হয়? বড় জেনারেল অর্থাৎ মঈনের এ কথা শুনলে ঘোড়াও হাসবে। একথা যদি সত্য হয় তাহলে বলতেই হবে যে, জেনারেল মঈন ছিলেন তাদের হাতের পুতুল, অথবা তিনি সত্য কথা বলছেন না। এ ব্যাপারে মতিন সাহেবের বক্তব্য, গ্রেফতারকৃত একজন রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর ব্যাপারটি যেখানে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ন্ত্রিত হতো, সেক্ষেত্রে জেনারেল মঈনের বক্তব্যের সূত্র ধরে স্বভাবতই যে প্রশ্ন মনের কোণে উঠে আসে তা হলো- দু’নেত্রীকে গ্রেফতারের মতো একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে একজন উপদেষ্টার আওতাধীন একটি ‘জাতীয় সমন্বয় কমিটির উপর ন্যাস্ত করা হয়েছিল কোন বিবেচনায়? এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, চিকিৎসার জন্য প্রাক্তন সেনা প্রধান জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমানকে ভারতে পাঠানোর প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু কর্মরত সেনা প্রধান হিসেবে জেনারেল মঈন উক্ত প্রস্তাবে সম্মতি দেননি। তাই শাক দিয়ে যেমন মাছ ঢাকা যায় না, তেমনি এ কথাও আজ আর কারো অবিদিত নয় যে, দুই নেত্রীকে গ্রেফতারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করা হয়েছিল দেশের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেই।
॥ দুই ॥
এ ব্যাপারে জেনারেল মতিনের বক্তব্যকে অধিকতর যৌক্তিক বলে মনে হয়। দৈনিক ইনকিলাবের ঐ নিবন্ধে তিনি বলেন, ১/১১’র পর উপদেষ্টা থাকাকালীন এ মর্মে একটি জনশ্র“তি একসময় চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে যে, শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করা হতে পারে। প্রেস এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতেও চলছিল ‘মাইনাস-২ ফর্মুলা’ সম্পর্কীয় নানাবিধ মুখরোচক আলোচনা। এমতাবস্থায় আমি জেনারেল মঈনের কাছ থেকে সময় নিয়ে একদিন সন্ধ্যায় তার বাসায় গমন করি। বাজারে প্রচলিত জনশ্র“তির কথা উল্লেখ করে আমি সরাসরি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, নেত্রী দু’জনকে গ্রেফতার করার কোন প্রকার চিন্তা-ভাবনা তারা করছেন কী? তিনি নিরুত্তর। আমি তাকে বুঝাবার চেষ্টা করলাম যে, নেত্রী দু’জন খুবই জনপ্রিয়, তাদেরকে গ্রেফতার করা হলে দেশে গণ-অসন্তোষ দানা বেঁধে উঠবে, দেশে এক বেসামাল পরিস্থিতির উদ্ভব হবে এবং পরিণামে তা দেশের জন্য এবং বিশেষ করে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য এক বিব্রতকর পরিস্থিতির উদ্রেক করবে। আমি তাকে আরো বলি, রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি অনেক সু-সংগঠিত ও শক্তিশালী, তাদের শাখা-প্রশাখা তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত। সার্বিক বিবেচনায় তৎপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দেয়া সরকারের জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে। তিনি আমাকে বললেন, আপনি অযথা ভয় পাচ্ছেন। দেশে ইমার্জেন্সি চলছে, জনগণের ও সেনাবাহিনীর সমর্থন আপনাদের পেছনে রয়েছে। অপেক্ষা করুন এবং দেখুন, কি ঘটে! কি ঘটে, সেটি তো জনগণ অল্প কয়েকদিন পরেই দেখতে পেলেন। উভয় নেত্রী গ্রেফতার হয়ে গেলেন। এখানে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, কে সত্য কথা বলেছেন, আর কে সত্য গোপন করেছেন।
॥ তিন ॥
শেখ হাসিনা ছাড়া পেলেন এবং বিদেশ চলে গেলেন। কিছু দিন পর হাসিনা সিদ্ধান্ত নিলেন যে, তিনি দেশে ফিরবেন। হাসিনার দেশে ফেরা সম্পর্কে ১/১১ চক্রের পরবর্তী কার্যক্রম সম্পর্কে জেনারেল মতিনের জবানিতে শুনুন, ‘একদিন প্রধান উপদেষ্টার অফিসে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টাদের মিটিং সমাপ্তির পর প্রধান উপদেষ্টার অফিসের পাশের একটি কামরায় বসে প্রধান উপদেষ্টা ও সেখানে উপস্থিত জেনারেল মঈনের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে জানতে পারলাম যে, তারা শেখ হাসিনাকে যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে দেশে ঢুকতে দেবেন না, ঢাকা বিমানবন্দর থেকেই তাকে ফিরিয়ে দেয়া হবে। এ কাজ করা থেকে নিবৃত্ত থাকার জন্য আমি তাদেরকে তাৎক্ষণিকভাবে অনুরোধ জানালাম। কিন্তু তারা তাদের সিদ্ধান্তে অনঢ়। আমি বুঝতে পারলাম এটা হবে একটা মস্তবড় ভুল পদক্ষেপ। অনেক আলাপ-আলোচনার পর আমি তাদেরকে বললাম, আপনারা কিছু মনে না করলে এবং আপনাদের সম্মতি পেলে আমি আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর দেশে প্রত্যাবর্তনের তারিখ বিলম্বিত করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে দেখতে পারি। যদি তা করতে পারি, আপনাদের সমস্যার সমাধান হবে। চেষ্টা চালিয়ে যেতে তারা আমাকে সম্মতি প্রদান করলেন।
আওয়ামী লীগ নেতা শেখ সেলিমকে জরুরি আলোচনার জন্য আমার বাসায় আসতে অনুরোধ করা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই শেখ সেলিম আমার বাসায় এসে উপস্থিত হন। তাকে সবকিছু খুলে বলার পর তিনি আমার বাসায় বসেই শেখ হাসিনার সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করেন এবং দেশে প্রত্যাবর্তনের তারিখ পিছিয়ে তার সফরকে আরো দীর্ঘায়িত করার অনুরোধ জানান। শেখ সেলিমের কথা থেকে বুঝতে পারলাম শেখ হাসিনা তাতে রাজি হননি। অতঃপর শেখ সেলিম টেলিফোনটি আমার হাতে দিয়ে কথা বলতে বলেন। আমি তাকে সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে সরাসরি অবহিত না করে, আরো কিছুদিন যুক্তরাষ্ট্রে কাটিয়ে আসতে অনুরোধ জানাই। কিন্তু তিনি তার সিদ্ধান্তে অনঢ় থাকলেন, আমার অনুরোধ উপেক্ষিত হলো। পরবর্তী ইতিহাস সবারই জানা।’
এবার তারেক রহমানের গ্রেফতার প্রসঙ্গ। তিনি গ্রেফতার হওয়ার পর অনেকের সাথেই কথা বলি। ডিজিএফআইয়ের পরিচালক তারেক রহমানকে নির্যাতনের কথা সরাসরি অস্বীকার করেন। আমি বলি, এমন একটি গর্হিত কাজ যে বা যারাই করে থাকুক, তাদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। জিজ্ঞাসাবাদের নামে কারো গায়ে হাত দেয়া অন্যায়। আমি ডিজিএফআইর পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদের নামে এ ধরনের নির্যাতন অনতিবিলম্বে বন্ধ করার জন্য বলি। সেদিনকার মিটিংয়ের এসব আলোচনা ও কথাবার্তা তৎকালীন, ডিজিএফআই মেজর জেনারেল মোহাম্মদের কানে পৌঁছায়। তিনি পরদিন সচিবালয়ে আমার অফিসে আসেন এবং আমাকে জানান, ডিজিএফআইর লোকজন তারেক রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, কিন্তু তাকে প্রহার করা হয়নি। তিনি আরও জানান, তারেক রহমানের মেরুদন্ডের ব্যথা, যা পত্রিকায় বলা হয়েছে, তা অনেক পুরনো এবং তিনি ক’বছর পূর্বে চিকিৎসার জন্য জার্মানী গিয়েছিলেন। এর পরদিনই বেইলি রোডস্থ আমার বাসায় বসে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীমকে বিষয়টি অবহিত করি। তিনিও আমাকে জানালেন যে, তারেক রহমানকে ভীষণভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। আমি তাকে জানালাম, ডিজিএফআই মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আমাকে জানিয়েছেন, তারেক রহমানের মেরুদন্ডের এ ব্যথা নাকি অনেক পুরনো এবং তিনি চিকিৎসার জন্যে একবার জার্মানীও গিয়েছিলেন। জবাবে শামীম আমাকে জানালেন, তারেক রহমানের মেরুদন্ডের কোনো ব্যথা পূর্বে কখনো ছিল না এবং তিনি ইতিপূর্বে কখনো জার্মানী যাননি। এরপর আমি বিষয়টি জেনারেল মঈনের গোচরে আনয়ন করি এবং এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তাকে অনুরোধ জানাই।
॥ চার ॥
এখানে তথ্যগত পরস্পর বিরোধিতা লক্ষ্য করা যায়। ডিজিএফআই মেজর জেনারেল মোহাম্মদ জেনারেল মতিনকে জানিয়েছেন যে, তারেক রহমানের মেরুদন্ডের ব্যথা অনেক পুরনো। চিকিৎসার জন্য তিনি কয়েক বছর পূর্বে জার্মানী গিয়েছিলেন। পক্ষান্তরে বেগম খালেদা জিয়ার ভাই এবং তারেক রহমানের মামা শামীম বলেন যে, তারেক রহমানের মেরুদন্ডের ব্যথা কোন দিন ছিল না এবং এর আগে তিনি কোন দিন জার্মানী যাননি। কিন্তু এ ব্যাপারে জেনারেল মঈনের বক্তব্য সম্পূর্ণ ভিন্ন। তিনি বলেন, ‘তারেক রহমানকে ধরে আনা হয়েছে, এটা আমাকে জানানো হয়নি। পরে যখন জানতে পারলাম তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। তাকে আনার পর টর্চার করা হয়েছে- এমন একটা খবর আমার কাছে এলো। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে ডেকে পাঠালাম, কেন তাকে মারা হয়েছে- এটা জানার জন্য। তাকে মারা হয়নি বলে জানালেন। এটাও বললেন যে, তিনি ভালো আছেন। তিনি বলেন, টিভিতে দেখা গেল তিনি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছেন। এর কারণ জানতে চাইলে আমাকে জানানো হলো- তিনি নাকি বগুড়ায় একবার সিঁড়ি থেকে পড়ে ব্যথা পান। এই জন্য তার পায়ে ও কোমরে ব্যথা রয়েছে। এখন ব্যথা বেড়েছে তাই খুঁড়িয়ে হাঁটছেন। তাকে নির্যাতন করা হয়েছে, এটা আমি যখন শুনলাম তখন ওই অফিসারকে বদলি করে দিলাম অন্যত্র।’
জেনারেল মঈনের কথার সূত্র ধরে বলি, তার কাছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/অফিসাররা সত্য গোপন করেছেন। তার কথা মোতাবেক তিনি তারেকের গ্রেফতারের খবর জানেন না, নির্যাতনের খবরও জানেন না। তাহলে তিনি জানেন টা কি? তিনি কি সেখানে বসে বসে ভেরেন্ডা ভেজেছেন? তাকে নাকি বলা হয়েছে যে, তারেক বগুড়ায় একবার সিঁড়ি থেকে পড়ে ব্যথা পান। এই জন্য তার পায়ে ও কোমরে ব্যথা রয়েছে। এখন ব্যথা বেড়েছে। তাই খুঁড়িয়ে হাঁটছেন। অথচ জেনারেল মতিনের কাছে দেয়া ডিজিএফআইয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, তারেক রহমানের মেরুদন্ডের ব্যথা অনেক পুরানো। চিকিৎসার জন্য তিনি কয়েক বছর পূর্বে জার্মানী গিয়েছিলেন। কার কথা সত্য? জেনারেল মঈন বলেন, তাকে নির্যাতন করা হয়েছে এটা আমি যখন শুনলাম তখন ওই অফিসারকে বদলি করে দিলাম অন্যত্র।’ বদলিই কি এতো বড় গুরুতর অপরাধের শাস্তি? আসলে বদলি তো কোন শাস্তি নয়। এখন যদি বলা হয় যে, তারেককে মারপিট করা হয়েছে মঈনের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ইশারায় তাহলে কি ভুল বলা হবে?
জেনারেল মতিনের বক্তব্য অনুযায়ী, শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরতে দেয়া হবেনা বলে জেনারেল মঈন সিদ্ধান্ত নেন। তার সিদ্ধান্ত মোতাবেক এবং তার অনুমতি নিয়ে জেনারেল মতিন এবং শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাই শেখ সেলিম শেখ হাসিনাকে টেলিফোনে দেশে আসতে বারণ করেন। তারপরও শেখ হাসিনা তাদের আদেশ অমান্য করে দেশে ফেরেন। কই, মঈনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে তো বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হয়নি। বরং নিউইয়র্ক থেকে তাকে রাজকীয় সম্মান দিয়ে ঢাকায় আনা হয়েছে। কিভাবে এটা সম্ভব হলো? এ ব্যাপারে মতিন সাহেব তার প্রবন্ধে কিছুই বলেননি। কেন বলেননি? মাঝখানে নিশ্চয়ই কোন ঘটনা ঘটেছে। কি সেই ঘটনা?
সে জন্যই এই কলামের শিরোনাম দিয়েছি, জেনারেল মঈন ও জেনারেল মতিনের বাকযুদ্ধ এবং মাঝখানে শুভঙ্করের ফাঁক।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন