মানুষের অন্যতম একটি খারাপ গুণ হলো হিংসা। ইসলামে হিংসা কিংবা বিদ্বেষ পোষনকারীকে খুবই নিকৃষ্ট চোখে দেখা হয়েছে। হিংসা মানুষকে শুধুমাত্র প্রতিপন্নই করে না বরং হিংসুকের জীবন কখনই সুখের হয় না।
কেননা হিংসুক ব্যক্তি সবসময় সব জিনিসের অধিকারী হতে চায়। তার সর্বদা এই চেষ্টাই থাকে যে, অন্যের কাছে যা আছে তারচে তার জিনিসটা ভালো হওয়া চাই। আর এই হিংসুক ব্যক্তি সমাজের অন্যান্য সন্মানিত ব্যক্তিদের ব্যক্তিত্বকে হেয় করার চেষ্টা করে। কেননা তার দৃষ্টিতে সে একাই সমাজে সন্মানিত ব্যক্তি,
বাকিরা সবাই তারচেয়ে নগন্য। এই কারণে বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যক্তির পরিনাম সম্পর্কে আপনারা একটু লক্ষ্য করলেই বুঝতে পারবেন যে, তারা না আল্লাহতায়ালার দৃষ্টিতে ভালো আর না মানুষের দৃষ্টিতে।
হিংসুককে কেউ ভালো দৃষ্টিতে দেখে না। সবার মাঝে তার প্রতি একটা খারাপ ধারনা জন্ম নেয়- তার কর্মকাণ্ডের কারণে। সমাজের আর অন্য সবার সাথে বসবাস করলেও হিংসুক ব্যক্তি মানুষের মনে কোনো স্থান করে নিতে পারে না।
পবিত্র কোরআনে কারিমে হিংসার নিন্দায় বর্ণিত হয়েছে, ‘এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে।’-সূরা ফালাক : ৫
পবিত্র কোরআনে কারিম ও হাদিস শরীফে হিংসা এবং হিংসুককে কঠিনভাবে নিন্দা করা হয়েছে। এখানে হিংসা সম্পর্কিত কিছু বাণী উল্লেখ করা হলো—
ইমাম কুরতুবি (রহ.) বলেছেন, ‘হিংসা ও বিদ্বেষকারী ব্যক্তি সর্বদা শোকার্ত হয়। কারণ সে অন্যের ভালো কোনো কিছু সহ্য করতে পারে না। তাই মনে কষ্টে নীল হতে থাকে।’ তিনি আরো বলেন, ‘হিংসা ও বিদ্বেষ মানুষের কোনো উপকারে আসে না।’
চিন্তাবিদ আলেমদের অভিমত হলো, হিংসা ও ঈমান একত্রে থাকতে পারে না। কারণ, আগুন যেভাবে কাঠকে জ্বালিয়ে ছাই করে দেয়, তেমনি হিংসাও ঈমানকে ভক্ষণ করে ফেলে। সূতরাং হিংসা থেকে সবাইকে বেঁচে থাকতে হবে।
শাহ ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী (রহ.) বলেছেন, ‘একে অপরের সাথে হিংসা করা থেকে বিরত থাকো, কেননা হিংসা হলো কুফরের ভিত্তিস্বরূপ।’
হিংসুকের চিহ্ন ও লক্ষণ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, হজরত লোকমান (আ.) স্বীয় পুত্রকে উপদেশ প্রদানকালে বলেন, ‘হিংসুকের তিনটি চিহ্ন রয়েছে- পিছনে গীবতকরা, সামনা সামনি তোষামোদ করা এবং অন্যের বিপদে আনন্দিত হওয়া।
আমরা মানুষ, আমাদের মাঝে মানবীয় দোষ-ত্রুটির অন্যতম হিংসা কোনো না কোনোভাবে জায়গা করে নিতে পারে। এটা বিচিত্র কিছু নয়। তবে আমাদের চেষ্টা করতে হবে, কারো মাঝে এমন ত্রুটি থাকলে থাকলে তা দ্রুত শোধরে নেওয়া, যে সব কারণে এমন বদঅভ্যাস মনে জায়গা করে নিতে পারে, সেসব থেকে দূরে থাকা। আর যদি আমাদের মধ্যে এমন খারাপ গুণ বিদ্যমান না থাকে- তবে বিনম্রচিত্তে আল্লাহতায়ালা দরবারে শুকরিয়া আদায় করা এবং এই দোয়া করা যে, হে আল্লাহ! এমন ধরণের ত্রুটি হতে আমাকে সদা রক্ষা করো।
কেননা হিংসুক ব্যক্তি সবসময় সব জিনিসের অধিকারী হতে চায়। তার সর্বদা এই চেষ্টাই থাকে যে, অন্যের কাছে যা আছে তারচে তার জিনিসটা ভালো হওয়া চাই। আর এই হিংসুক ব্যক্তি সমাজের অন্যান্য সন্মানিত ব্যক্তিদের ব্যক্তিত্বকে হেয় করার চেষ্টা করে। কেননা তার দৃষ্টিতে সে একাই সমাজে সন্মানিত ব্যক্তি,
বাকিরা সবাই তারচেয়ে নগন্য। এই কারণে বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যক্তির পরিনাম সম্পর্কে আপনারা একটু লক্ষ্য করলেই বুঝতে পারবেন যে, তারা না আল্লাহতায়ালার দৃষ্টিতে ভালো আর না মানুষের দৃষ্টিতে।
হিংসুককে কেউ ভালো দৃষ্টিতে দেখে না। সবার মাঝে তার প্রতি একটা খারাপ ধারনা জন্ম নেয়- তার কর্মকাণ্ডের কারণে। সমাজের আর অন্য সবার সাথে বসবাস করলেও হিংসুক ব্যক্তি মানুষের মনে কোনো স্থান করে নিতে পারে না।
পবিত্র কোরআনে কারিমে হিংসার নিন্দায় বর্ণিত হয়েছে, ‘এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে।’-সূরা ফালাক : ৫
পবিত্র কোরআনে কারিম ও হাদিস শরীফে হিংসা এবং হিংসুককে কঠিনভাবে নিন্দা করা হয়েছে। এখানে হিংসা সম্পর্কিত কিছু বাণী উল্লেখ করা হলো—
ইমাম কুরতুবি (রহ.) বলেছেন, ‘হিংসা ও বিদ্বেষকারী ব্যক্তি সর্বদা শোকার্ত হয়। কারণ সে অন্যের ভালো কোনো কিছু সহ্য করতে পারে না। তাই মনে কষ্টে নীল হতে থাকে।’ তিনি আরো বলেন, ‘হিংসা ও বিদ্বেষ মানুষের কোনো উপকারে আসে না।’
চিন্তাবিদ আলেমদের অভিমত হলো, হিংসা ও ঈমান একত্রে থাকতে পারে না। কারণ, আগুন যেভাবে কাঠকে জ্বালিয়ে ছাই করে দেয়, তেমনি হিংসাও ঈমানকে ভক্ষণ করে ফেলে। সূতরাং হিংসা থেকে সবাইকে বেঁচে থাকতে হবে।
শাহ ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী (রহ.) বলেছেন, ‘একে অপরের সাথে হিংসা করা থেকে বিরত থাকো, কেননা হিংসা হলো কুফরের ভিত্তিস্বরূপ।’
হিংসুকের চিহ্ন ও লক্ষণ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, হজরত লোকমান (আ.) স্বীয় পুত্রকে উপদেশ প্রদানকালে বলেন, ‘হিংসুকের তিনটি চিহ্ন রয়েছে- পিছনে গীবতকরা, সামনা সামনি তোষামোদ করা এবং অন্যের বিপদে আনন্দিত হওয়া।
আমরা মানুষ, আমাদের মাঝে মানবীয় দোষ-ত্রুটির অন্যতম হিংসা কোনো না কোনোভাবে জায়গা করে নিতে পারে। এটা বিচিত্র কিছু নয়। তবে আমাদের চেষ্টা করতে হবে, কারো মাঝে এমন ত্রুটি থাকলে থাকলে তা দ্রুত শোধরে নেওয়া, যে সব কারণে এমন বদঅভ্যাস মনে জায়গা করে নিতে পারে, সেসব থেকে দূরে থাকা। আর যদি আমাদের মধ্যে এমন খারাপ গুণ বিদ্যমান না থাকে- তবে বিনম্রচিত্তে আল্লাহতায়ালা দরবারে শুকরিয়া আদায় করা এবং এই দোয়া করা যে, হে আল্লাহ! এমন ধরণের ত্রুটি হতে আমাকে সদা রক্ষা করো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন